শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধ্বসে ১ শ্রমিক নিহত, আহত-২

টঙ্গীর তামিসনা গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের অবহেলা


স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গীর মুদাফা এলাকায় স্থাপিত তামিসনা গ্রুপ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে গতকাল সোমবার দুপুরে তাদের নিজস্ব একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর একটি নির্মাণাধীন ভবনের নীচতলায় দেয়াল ভাঙ্গার কাজ করার সময় উক্ত ভবনের দেয়াল ধ্বসে নির্মাণ শ্রমিক হাসান (২৮) নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে নির্মাণ শ্রমিক আলাল উদ্দিন (২৫) ও জজ মিয়া (৩৫)। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদশী ও নিহতের আত্বীয়-স্বজনরা জানায়, প্রতিদিনের মতো একদল নির্মাণ শ্রমিকরা তামিসনা গ্রুপের একটি ভবনের নীচ তলায় দেয়াল ভাঙ্গার কাজ করছিলো। কাজ করার সময় ভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এবং কর্তৃপক্ষের াবহেলার কারনে গতকাল দুপুর পৌনে ১ টার দিকে হঠাৎ দেয়াল ধ্বসে শ্রমিকদের উপরে পড়ে। এতে করে নির্মাণ শ্রমিক হাসান, আলাল উদ্দিন ও জজ মিয়া গুরুতর আহত হয়। আহত ৩ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার হাসানকে মৃত ঘোষনা করে। অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। নিহত হাসান ৩ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানের জনক। স্ত্রী হামিদা ও সন্তানকে নিয়ে টঙ্গীর বাকরাল গ্রামে বসবাস করতো এবং তামিসনা গ্রুপে সিভিল ডিপামেন্টের দিনমুজুর হিসেকে কাজ করতো। সে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী থানার রমনা মেস্তরী পাড়া গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে।
এব্যাপারে তামিসনা গ্রুপের এ্যাডমিন অফিসার মোঃ তোফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং নিজেকে তামিসনা গ্রুপের একজন সাধারণ শ্রমিক বলে পরিচয় দেন। কিছুক্ষন পওে দেখা যায়, উক্ত কর্মকর্তা নিহতের পরিবারের আত্বীয় স্বজনদের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংষাসহ স্থানীয় থানা পুলিশকে ম্যানেজ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
এব্যাপারে টঙ্গী মডেল থানা অফির্সাস ইনচার্জ মোঃ ইসমাইল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহত হাসানের স্ত্রী ও একটি শিশু সন্তান রয়েছে তাছাড়া দরিদ্র হওয়ায় ক্ষতিপূরন দেয়ার মাধ্যমে ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আপোষ মিমাংষা করতে চাইছেন। নিহতের পরিবার মামলা করতে চাইলে আমি মামলা নেবো।

টঙ্গীতে সরকারী হাসপাতাল দালালদের কাছে জিম্মি

হয়রানীর শিকার সাধারাণ রোগীরা


স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : শিল্প নগরী টঙ্গীর সরকারী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এখন স্থানীয় এবং বহিরাগত দালালাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এই হাসপাতালে আসা একাধিক নিরিহ রোগীরা দালাল চক্রের হাতে পড়ে ভূল চিকিৎসায় প্রান হারাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো সরকারী হাসপাতাল এলাকা। এই দালারচক্রের হাতে প্রতারিত হচ্ছে না এমন রোগির সংখ্যা কমই আছে।
জানা যায় প্রায় ১০জন চিহ্নিত দালাল দিয়ে রাত দিন দুই ভাগে একটি সিন্ডিকেট তৈরী করা হয়েছে। আর এই দালাল সিন্ডিকেটের মুলহোতা ঢাকা উত্তরার সেক্টর ৯ এ অবস্থিত রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাবেক সচিব আমিনুল হকসহ হাসপাতালের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অবঃ মেজর বা এক সময়ে সংবাদপত্রের কর্মী।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, টঙ্গী ও এর আশেপাশের সাধারণ মানুষ ভিবিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা নিতে উক্ত সরকারী হাসপাতালে ছুটে আসে। এই হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ না থাকায় অধিকাংশ রোগিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা অনান্য সরকারী হাসপাতালে স্থানাান্তর কর হয়। এসময় টঙ্গী সরকারী হাসপাতালের ভিতরে থাকা দালার চক্র রোগিদের উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে উত্তরা রিজেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তিন চার দিন চিকিৎসা শেষে লক্ষাধিক টাকার বিল রোগির স্বজনদের হাতে ধরিয়ে দেয়। এনিয়ে একাধিক ভুক্ত ভোগীরা টঙ্গী থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও থানা পুলিশ রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের ভয়ে মামলা না নিয়ে মিমাংসা করে দেয়। গত শুক্রবার টঙ্গী সেবা শশ্রুদ্ধা হাপাতালে চিকিৎসারত রাবেয়া বেগম (৫০) এর স্বামী রসুল আলীকে দালালরা ভালো চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর এক ঘন্টা পর রাবেয়ার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহতের স্বামী থানায় অভিযোগ দিলে টঙ্গী থানার এসআই নজমুল হুদা ঘটনার সাথে জড়িত দালাল শফিকুল ইসলাম জীবন (৩০) মেহেদী হাসান (২৫) হুমায়ুন মিয়া (৪৫) কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা দিয়ে টঙ্গী থানায় মামলা না নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ বাদীকে মামলা না করার কন্য অনুরোধ জানালে, অভিযোগকারী নিরাশ হয়ে বাড়ী ফিরে গেলেও এসআই নজমুল হুদা টঙ্গী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি)র আসামী ছাড়ার নির্দেশ অমান্য করে নিজে বাদী হয়ে অপরাধী ৪ দালালের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে প্রেরন করে। টঙ্গী আরিচপুরের বাসিন্দা সালমা বেগম (৩০) স্বামী মো: কাইয়ুম ও মিরাশপাড়ার সুমিনা (২৪) স্বামী ডেভিড অভিযোগ করে বলেন, পেটের ব্যাথার চিকিৎসার জন্য তারা প্রথমে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে আসেন এসময় জরুরী বিভাগে দাড়ীয়ে থাকা রিজেন্ট হাসপাতালের দুই দালাল মিন্টু ও তার ভাই মিনহাজ এই রোগের উন্নত চিকিৎসা আছে বলে আমাদের টঙ্গী হাসপাতাল থেকে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আংশিক চিকিৎসা করে ৭০ হাজার টাকা বিল করে এবং আমাকে হাসপাতালে আটক রেখে আমার স্বামীকে টাকা নিয়ে আসতে বলে। পরে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের সহযোগিতায় ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ীতে আসি। এব্যাপারে রিজেন্ট হাসপাতালের ম্যানেজার মিজানুর রহমান (এক সময়ে সংবাদ পত্রের কর্মী) জানান, আমাদের কিছু লোক টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে আছে। তবে আমাদেও কোন লোক কোন রোগী/রোগীনিকে জোরপূর্বক নিয়ে আসে না আর প্রাইভেট হাসপাতালে বিল একটু বেশী হবেই। টঙ্গী সরকারী হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো: মাহাবুবুর রহমান চেীধুরী জানান, আমি এই দালালদের গ্রেফতার করার জন্য টঙ্গী থানা পুলিশকে ২৫টি চিঠি দিয়েছি পুলিশ ব্যাবস্থা না নিলে আমাদের কিছু করার নেই। টঙ্গী থানা ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোর মালিকরা অধিক ক্ষমতাসীন। দালালদের আটক করলে আমাদের উপর থেকে চাপ আসে তাই ঝামেলায় জড়াতে চাই না।

রাজাকারদের নামের তালিকা প্রনয়ণ করুন



জামায়াতের বর্তমান আমির কে

॥ এম.এ. ফরিদ ॥

জামায়াত একটি বিতর্কীত সংগঠন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত সরাসরি আমাদের বিরোধীতা করেছিল। জামায়াতের তৎকালীন নেতারা এদেশের স্বাধীনতাকামী বাঙালিদের ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যায়িত করে পাকসেনাদের সঙ্গে একাতœ হয়ে মহাহত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল। জামায়াত শুধু আমাদের বিরোধীতাই করে নাই, ওরা আমাদের দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানীও ঘটিয়েছিল। শান্তি কমিটি গঠন করার মাধ্যমে বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর জামায়াত এদেশের বুদ্ধিজীবিদের নামের তালিকা করে তাদের নির্মমভাবে হত্যা করে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করি আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা। স্বাধীনতার প্রধান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলার মহানায়ক, কিংবদন্তীর মহা পরুষ, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমেই রাজাকারদের একটি নামের তালিকা প্রনয়ণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ভালো করেই জানতেন, রাজাকারদের নামের তালিকা প্রকাশ না করলে ওরা আবার লেবাস পরিবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাতারে ঢুকে পড়তে পারে। তাই তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকার পাশাপাশি রাজাকারদেরও একটি তালিকা করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে জেনারেল জিয়া রাজাকারদের নামের তালিকাটি নষ্ট করে ফেলে। শুধু তাই নয়, জিয়া স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের পুনর্বাসন করেছিলেন। শাহ্ আজিজকে প্রধানমন্ত্রীত্ব দিয়ে তিনি ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করেছিলেন। জিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতকেও অপমান করেছিলেন। জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করেন তাঁর পতিœ বেগম খালেদা জিয়াও। তিনি ক্ষমতায় এসে আরো একধাপ এগিয়ে যান। বেগম জিয়া নতুন করে রাজাকারদের একটি নামের তালিকা করে স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা রেখেছিলেন। সেই তালিকা অনুযায়ী বিএনপি সরকার রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের সরকারিভাবে ভাতাও প্রদান করতেন। প্রয়োজন বোধে এদের অস্ত্রও সরবরাহ করা হতো এমনটি শোনা যায়, বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমগুলো থেকে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী, শান্তি বাহিনী ও রাজাকার বাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক পিটার আর ক্যান যা লিখেছেন তা নিন্মরূপঃ পূর্ব পাকিস্তানের বেসামরিক লোকদের ওপর সেনাবাহিনীর আস্থা না থাকায় তাদের মাথার ওপর ছড়ি ঘোরানোর ক্ষমতা দিয়ে গঠন করা হয় শান্তি কমিটি। অবাঙালি-বিহারী এবং মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর মতো কিছু রক্ষণশীল ধর্ম ভিত্তিক ছোট রাজনৈতিক দলের লোকজনকে নিয়ে এ কমিটি গঠন করে সেনাবাহিনী। রাজাকার বাহিনীতে লোকজনকে বিক্রুট করার ক্ষমতা দিয়ে দেয়া হয় এদের। যারা সেনাবাহিনীর আদেশ পালন করে পাকিস্তানের আজ্ঞাবহ থাকবে। এরা বিভিন্ন এলাকার হিন্দু ও স্বাধীনতা পন্থীদের বাড়ি-ঘর, দোকাটপাট ও জমিজমা দখল করে তা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। সম্মানিত পাঠক আমরা সাংবাদিক পিটারের এ লেখা থেকে কি বুঝতে পারলাম? রাজাকার অর্থাৎ স্বাধীনতা বিরোধীরা আমাদের ওপর কি ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছিল। তাঁরা এদেশের স্বাধীনতা পন্থী বাঙালিদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে পুঁড়িয়ে ছাড়খার করে ফেলেছিল। বর্বর হানাদার পাকিস্তান বাহিনীর পক্ষে রাজাকাররা সরাসরি কাজ করেছিল। আজ আমরা কি দেখতে পাচ্ছি। ওই একই কায়দায় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আমাদের দেশের নিরীহ মানুষকে পুঁড়িয়ে মারছে। জামায়াত একটি সন্ত্রাসী দল এ মন্তব্য বিজ্ঞ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আদালতের। এখন জামায়াতকে দিয়ে বিএনপি সারা দেশে সন্ত্রসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। জামায়াতকে মন্ত্রীত্ব দিয়ে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেছিল। এখন জঙ্গিবাদকে উস্কে দিতে জামায়াতকে ব্যবহার করে দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার পৈশাচিক চক্রান্তে মেতে উঠেছে। বিএনপির মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে। যুদ্ধাপরাধী হিসেবে জামায়াতের নেতারা এখন বিচারের মুখোমুখি। অনেক নেতাই যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষি সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে অন্ত্যরীন রয়েছে। আবার অনেক নেতাই পর্দার অন্তরালে চলে গেছেন। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন দলটির অঘোষিত আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, জামায়াতের নেতারা গা ঢাকা দেয়ায় দলটি নেতিয়ে পড়েছে তাই বেগম খালেদা জিয়া দলটিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সফল হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চয়তার মধ্যেই পড়ে রয়েছে। ভবিষৎতে জানা যাবে কে কতটা সফল হবে বা হয়েছে। তবে নতুন প্রজন্মের একজন সদস্য হয়ে বর্তমান সরকারকে অনুরোধ জানাবো, মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন নামের তালিকা রয়েছে ঠিক তেমনি রাজাকারদেরও একটি নামের তালিকা প্রনয়ণ করা হোক। বর্তমানে রাজাকাররা কে কোথায় রয়েছে তাঁরও একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি প্রকাশ করার প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে নতুন প্রজন্ম এক সময় রাজাকারদের নাম ভুলে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন দেশ পরিচালনা করছে। তাই এই সরকারের পক্ষেই সম্ভব নির্ভুল একটি রাজাকারদের তালিকা আমাদের উপহার দেয়ার। তাই বর্তমান সরকারের নিকট সবিনয় অনুরোধ জানাবো রাজাকারদের একটি নামের তালিকা দ্রুত প্রনয়ণ করবার জন্য।

কাপাসিয়ায় কেয়ার বাংলাদেশ আইএমআইএইচবি প্রকল্পের এডভোকেসি

ব্যুরো চীফ, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগিতায় স্থানীয় রাউৎকোনা কমিউনিটি ক্লিনিকে আইএমআইএইচবি প্রকল্পের এডভোকেসি সভা ৩০ মার্চ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যু কমানোর লক্ষ্যে আয়োজিত এডভোকেসি সভায় উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজগর হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিজি কমিটির কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান প্রধান, আইএমআইএইচবি প্রজেক্টের কাপাসিয়া প্রতিনিধি রেজাউন আহমেদ, ইউপি সদস্য ওবায়দুল কবির, ইপিআই ইনচার্জ বোরহান উদ্দিন খান, মোঃ সামসুল আলম, সিএইচসিপির আল-আসাদি মুনমুন, এফপিআই জাহিদুল ইসলাম, এফডাব্লিউএ আনোয়ারা বেগম, শিক্ষক সুলতানা পারভীন, মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিন, গ্রাম্য চিকিৎসক ডাঃ সিরাজুল ইসলাম, সিএসজি কমিটির  অন্যান্য সদস্য। 

ময়মনসিংহে ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও প্রতিবাদ

মোঃ শাহজাহান খান : গত ২৩ মার্চ সোমবার ২০১৫ইং তারিখ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাঁঠালী গ্রামের রাসেল মিলের সামনে কতিপয় এলাকার ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের ষড়যন্ত্রের শিকার নাজমা খাতুন ও হোসনে আরা শিশির’র বিরুদ্ধে যে মিথ্যা কাল্পনিক ও কুরুচিপূর্ন খবর প্রচার করায় কথিত মানববন্ধন সম্পর্কে এলাকাবাসী তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জানা যায়, কাঁঠালী গ্রামের নিম্ন লিখিত ব্যক্তিবর্গ মোছাম্মৎ নাজমা খাতুনের সত্য দখলীয় পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। যার প্রেক্ষিতে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মোছাম্মৎ নাজমা খাতুন বাদী হয়ে ময়মনসিংহের সিনিয়ল জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ভালুকা (দ্রুত বিচার) আদালতে গত ২৩ মার্চ সোমবার ২০০২ সংশোধনী ২০০৯ এর ৪/৫ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলা নং- ১০৩/২০১৫ইং। আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার ভালুকা থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন। এই ঘটনা হতে রেহাই পাওয়ার জন্য ঘটনার সাথে জড়িত নিম্ন লিখিত ব্যক্তিবর্গ কাঁঠালী এলাকায় স্থাপিত কতিপয় মিল ফ্যাক্টরী হতে কিছু সংখ্যাক শ্রমিকদের ভয় ভীতি দেখিয়ে কথিত মানবন্ধনে এনে ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। ঐ মানব বন্ধনে উল্টাপাল্টা এবং মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে বর্তমান সরকারের কতিপয় নেতাকর্মী এবং সাংবাদিকদের এনে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও কাঁঠালী গ্রামের সাধারণ মানুষজন জানান। নাজমা খাতুনের মামলার আসামীগণ হল (১) মাসুদ মিয়া, পিতা- খালেক, ২) হুরমুজ আলী, পিতা- হযরত আলী, ৩) আঃ খালেক, পিতা- আছমর আলী, ৪) বোরহান, পিতা- হাছেন আলী, ৫) জাহাঙ্গীর, পিতা- হাজী মুন্সী, ৬) শরিফুল, পিতা- আঃ কুদ্দুছ, ৭) শাহজাহান, পিতা- মৃত আছমর খা, ৮) শরিবুল, পিতা- আঃ কুদ্দুছ সর্ব সাং- কাঠালী, থানা- ভালুকা, জেলাঃ ময়মনসিংহ। এলাকাবাসী জানায়, উল্লেখিত মামলার আসামীগণ ঐ এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু এবং খুনী হিসাবে ব্যাপক পরিচিত। উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন মানুষের সত্য দখলীয় জমি জোর পূর্বক দখল করে, বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে এবং বাউন্ডারী ভাংচুর করে টাকা আদায় করে থাকে। তারা যে সময় যে সরকার আসে তাদের ছত্র ছায়ায় থেকে এসব অপকর্ম চালিয়ে থাকে বলে জানা যায়। এদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রাণভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ উক্ত কথিত মানবন্ধনের বিষয়টি গত ২৪ মার্চ ২০১৫ মঙ্গলবার দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় “ভালুকায় দুই নারীর গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশে প্ররোচিত করে। সেই সংবাদে নাজমা খাতুন এবং তার মেয়ে হোসনে আরাকে ভূমি দস্যু, মাদক সম্রাজ্ঞী ও প্রতারক চক্রের হোতা বলে উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে কাঁঠালী গ্রামের বাসিন্দারা উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানান। জানা যায় যে, মোছাম্মৎ নাজমা খাতুন কাঁঠালী গ্রামের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত বিশাল সহায় সম্পত্তির মালিক। তাহার সেই সম্পত্তি উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ জোর পূর্বক দখল করে নেওয়ার জন্য এসব অপপ্রচার চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে নেওয়ার জন্য এসব অপপ্রচার চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে আগুন দিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা লিপ্ত রয়েছে। মুলতঃ নাজমা খাতুন, ঐ এলাকার একজন সম্মানী এবং সমাজ সেবিকা হিসাবে সকলের নিকট ব্যাপক পরিচিত একজন ভদ্র মহিলা। উক্ত নাজমা খাতুন সব সময়ই দুঃখী মানুষদেরকে সহায়তা করে থাকেন-যা এলাকার সকলেই অবগত রয়েছে। তাকে সংবাদে যে অপব্যাখ্যামূলক কথাবার্তা উল্লেখ করার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ষড়যন্ত্রমূলক। নাজমা খাতুন পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত যে পরিমান সম্পদের মালিক তাতে তার কখনই আইনের বাইরে কোন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত হওয়ার কোন প্রকার প্রশ্নই আসে না বলে এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর প্রেক্ষিতে উক্ত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুরা প্রতিনিয়ত নাজমা খাতুন ও হোসনে আরা শিশিরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।  তাই উল্লেখিত কথিত সন্ত্রাসী কর্তৃক সৃষ্ট মানববন্ধন এবং দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাঁঠালী এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এবং ভালুকা উপজেলাবাসী।

গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় অগ্নিকান্ড


স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর মহানগরের ভীমবাজার এলাকার কেমিট্যাক্স নামের একটি কেমিক্যাল কারখানায় বুধবার গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের কর্মীরা প্রায় সোয়া তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রেণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে টিনশেড ভবনের ওই কেমিক্যাল কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনট নিয়ে কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে ভোর পৌনে ৫টার দিকে আগুন নেভায়। আগুনে কারখানায় থাকা মেশিন ও বিভিন্ন কেমিক্যাল  পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান যানা যায়নি।

গাজীপুরে লেগুনার ধাক্কায় নিহত ১ আহত ৮

স্টাফ রিপোর্টা : বৃহ¯পতিবার দুপুরের দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সালনা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এবং নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় নওগাঁ-নজিপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মহিলা হলেন টাঙ্গাইলের আবুল মণ্ডলের স্ত্রী আসিয়া বেগম (৪৫)।
গাজীপুরের নাওজোড় মহাসড়ক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সালনা এলাকার কনকর্ড গার্মেন্টসের সামনে একটি লেগুনা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী আসিয়াকে চাপা দেয় এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আসিয়া মারা যান এবং লেগুনার আট আরোহী আহত হন।  স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠায়।

কালিয়াকৈরে লক্ষাধিক টাকার চোরাই মালামাল উদ্ধার আটক-১

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার টিগার্ডেন এলাকার  শিউলি সাউন্ড সিষ্টেম নামক একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকানে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার লক্ষাধিক টাকার চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশ সাদেক আলী নামে একজনকে আটক করেছে। আটককৃত সাদেক আলী উপজেলার ঝিঙ্গাহাটি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানাগেছে ।
 পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, কালিয়াকৈর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের টিগার্ডেন বাজারের সাদেক আলীর দোকানে অভিযান চালিয়ে ৩টি সাউন্ড মিক্সার যন্ত্রসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল উদ্ধার করে। সাদেক আলী গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরাইকৃত মালামাল ক্রয় করে দির্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছিল বলে এলাকবাসী জানায়। কালিয়াকের থানার ডিউটি অফিসার ্এএসআই মুনজিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুরের কোনাবাড়িতে প্রায় ৩৭ শতাংশ জমি জোড়পূর্বক দখল করে নিয়েছে ভূমি দস্যুরা

সম্পত্তির দখল পাচ্ছেনা প্রকৃত মালিকগং

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি বাইমাইল মৌজায় এক অসহায় ব্যক্তির প্রায় ৩৭ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তি জোড়পূর্বক দখল করে নিয়েছে ভূমিদস্যু বাইমাইল এলাকার মৃত্যু জহিরউদ্দিনের তিন ছেলে রমিজউদ্দিন, সমেজউদ্দিন ও আরেজউদ্দিন। তাদের ভয়ে ওই জমিতে যেতে পারছে না ভূত্তভোগী জমির মালিক।
জমির মালিক শামীম এ প্রতিবেদককে জানান- কোনাবাড়ি বাইমাইল এলাকার রমিজউদ্দিন, সমেজউদ্দিন ও আরেজউদ্দিন ভূমিদস্যু। তারা তিন ভাই মিলে বাইমাইল মৌজার আমার বাপ দাদার ওয়ারিশের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। প্রাণের ভয়ে ওই জমিতে কখনো যেতে পারিনি। ওরা আমাদেরকে মেরে ফেলবে বলে হুমকী-ধামকী দিচ্ছে।
শামীম আরো অভিযোগ করেন- দেশ স্বাধীনের পরে আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের সংসারে অভাবের কারণে বাবা তার পৈত্রিক সম্পত্তি ফেলে নাটোর সদর থানার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় চলে যায় এবং সেখানেই বসবাস শুরু করে। আমাদের চাচা মৃত জহিরউদ্দিন, আমার বাবার রেখে যাওয়া ওই সম্পত্তি ভোগ ও দেখভাল করতেন। প্রায় দুই যুগ পরে, আমার বাবা ওই জমিতে আসলে, চাচা ও তার সন্তানরা তাকে জমি দখল দেয়না। ফলে আমার বাবা গাজীপুর কোর্টে একটি দেওয়ানি মামলা করেন। প্রায় ২০ বৎসর অনেক কষ্টে, খেয়ে না খেয়ে আমার বাবা কিতাব আলী ওই মামলা পরিচালনা করেন এবং গাজীপুরের সকল আদালতে ৩টি রায় পান।
এতে ভূমিদস্যু রমিজউদ্দিন হাই কোর্টে আপিল করেন। কিছু দিন পরে ঢাকার হাইকোর্টও আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় চারটি রায় থাকার পরেও আমরা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে যেতে পারছিনা। আমার চাচার ওয়ারিশ তথা রমিজগং আমাদরেকে খুন করে ফেলবে মর্মে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে। এমও বলছে, আমাদেরকে খুন-জখম করে হলেও তারা ওই সম্পত্তি ভোগ দখলে রাখবে।

গাজীপুরের ভবানীপুরে চাঁন মিয়ার ভেজাল সরিষার তেলের কারখানা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সদরের ভবানীপুর বাজারে নকল ভেজাল সরিষার তেলের কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চান মিয়া দীর্ঘ দিন যাবত প্রশাসনের নাকের ডগায় নষ্ট পঁচা সরিষা দিয়ে অবৈধভাবে তার নিজস্ব মিলে নোংরা পরিবেশে তৈরি করে গাজীপুর তথা সারাদেশে সানেরুল এন্টারপ্রাইজ নামে বাজারজাত করে আসছে। তার নেই কোন রেজিষ্ট্রেশন ও নেই কোন বিএসটিআই অনুমোদন। মানহীন এসব সরিষার তেলে যে ক্ষতিকর দ্রব্য ব্যবহার করছে যা শরীরের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর  আর চান মিয়ার উৎপাদিত ভেজাল তেল খেয়ে এপর্যন্ত বহুলোক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, চান মিয়া প্রায় ৮ বছর ধরে এখানে অবৈধ কারখানা খুলে ভেজাল সরিষার তেল তৈরি করে আসছে। সে বিডিআর’র (অব:)প্রাপ্ত বলে এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে
পারেনা। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে থাকে। আরো জানা গেছে, চান মিয়ার  উৎপাদিত পন্যে খাটি সরিষার কোন বিন্দুমাত্র ছোয়া নেই। সে পাম অয়েলের সঙ্গে বাজারের খোলা সয়াবিন তেল মিশিয়ে বোতলজাত করে  প্রস্তুত কারক সানেরুল এন্টারপ্রাইজ নামে  বোতলে নকল লেবেল লাগিয়ে দেদারছে বাজারজাত করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন জানান, বিডিআর থেকে অবসর নিয়ে এই অসাধু ব্যবসায়ী চান মিয়া দীর্ঘদিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলা তেলের বোতলে সানেরুল এন্টারপ্রাইজ নাম দিয়ে সরিষার তেলের ভুয়া লেবেল লাগিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের ঠকিয়ে ও সরকারী রাজস্ব ফাকি অধিক মুনাফা করে আসছে। এমন কি ঐ অসাধু ব্যবসায়ী চান মিয়া লেবেলে বিএসটিআইর নকল সিল ব্যবহার করেছে। অথচ বিএসটিআইর কোন অনুমোদন নেই। আর এই বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি ভেজাল ও নকল সরিষার তেল আসল সরিষার তেল ভেবে রান্নায় ব্যবহার করে অগণিত মানুষ প্রতিনিয়ত হৃদরোগ, আলসার, গ্যাস্ট্রিকসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। ভেজাল তেল জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিশেষ করে শিশুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এব্যাপারে চান মিয়ার বিরুদ্ধেপ্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

গাজীপরের কোনাবাড়িতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপরের কোনাবাড়ি জেল খানা সড়ক সংলগ্ন দুলালের বাড়ির নিচতলা মার্কেটে গেলো শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আনোয়ার (২০) নামের একজন যুবককে কুপপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তার বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি থানার শিদিলী গ্রামের মোঃ মোতালিব হোসেনের ছেলে বাবা মা সহ কোনাবাড়ি শহিদুলের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।পরিবারের দাবি, কেরাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে,আনোয়ারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তবে  এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। একটি সুত্র জানায়, গেলো শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আনোয়র কোনাবাড়ি জেলখানা সড়কে দুলালের বাড়ির নিচতলার মার্কেটে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কোনাবাড়ি পপুলার হাসপাতাল পরে গাজীপুর সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসককে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন।
আনোয়ারের বন্ধ নাজমুল জানায়,দুলাল মার্কেটের নিচতলায় কেরাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে কয়েক জন দেশীয় অস্ত্রসহ আনোয়ারকে মারতে আসে এসময় আমি আশেপাশের লোকজনকে খবর দিতে গেলে তারা এলোপাতারি ভাবে কুপিয়ে চলে যায়।

গাজীপুরের কোনাবাড়িতে আবাসিক হোটেল মুনে নাসির ও কামালের নারী ব্যবসা কত দিন চলবে ?

গাজীপুর জেলা প্রশাসকের দৃষ্ঠি আকর্ষন ঃ পর্ব দুই

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি আবাসিক হোটেল মুন এর দুই যৌন ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন ও নারীর দালাল কামালের অসামাজিক কার্যকলাপ আর কত দিন চলবে ?
একটি সূত্র ধরে জানায়- তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে র্দীঘ দিন ধরে আবাসিক হোটেল মুনে যৌন ব্যবসা ও মাদকের বড় বড় চালান লেন-দেন করছে। সূত্রটি আরো জানায়- বরিশাল থেকে আসা ওই দুই মাদক ও যৌন ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন ও কামালউদ্দিন তারা দুই জনে মিলে কোনাবাড়ির সকল আবাসিক হোটেলে নাড়ি সাপ্লাই দেয়। তারা পদবী ছাড়া কিছু ভুয়া আওয়ামীলীগ নেতাকে মাসিক মোটা অংকের টাকা দিয়ে এসব রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করছে।
তথ্য নিয়ে জানাযায়- যৌন ব্যবসার পাশাপাশি আবাসিক হোটেল মুন এবার মাদকের আঁখড়া হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠছে। ওই দুই যৌন ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন ও কামালউদ্দিন মহান স্বাধীনতা দিবসেও তাদের আবাসিক হোটেল মুনে দেদারছে ভাসমান পতিতাদের খদ্দেরসহ উঠিয়েছে। ওইদিন হোটেলে পা রাখার পর্যন্ত কোনো জায়গা ছিল না। যেমন যৌন ব্যবসার চাপ, তেমনি ছিল মাদকের বেসামাল টান।
প্রতি নিয়ত দেখা যায়- ওই আবাসিক হোটেলে স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা উঠা নামা করে। তারা একটি রুম ১ হাজার টাকায় ভাড়া নিয়ে যৌন তৃপ্তি মিটিয়ে বাবা মায়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে থাকে। এতে তাদের লেখা-পড়া সিঁকেয় উঠে।
এব্যাপারে কোনাবাড়ি ওলামা লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান- এসব নোংরামী এলাকা থেকে চিরতরে বিদায় না করলে, আমাদের ভবিষৎ প্রজন্ম মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তিনি গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের উদ্দেশ্যে বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। আমাদেরকে অবাধ যৌনতার হাত থেকে বাঁচান।
ওলামা লীগের নেতা আরো বলেন, গুটি কয়েক নাড়ি লোভি দালালেরা মাসে কিছু টাকার লোভে আমাদের কোনাবাড়ির সুন্দর পরিবেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, আমরা মুত্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ,ক,ম,মোজাম্মেল হক এমপি কে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

কালীগঞ্জে আরএম বিদ্যাপিঠ এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূর্নমিলনী অনুষ্ঠান

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে আর এম বিদ্যাপিঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের  প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ৮০ বৎসর পূর্তি উপলক্ষে  পূর্নমিলনী  ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়েছে । গতকাল শনিবার সকালে  উপজেলার জামালপুর আর এম বিদ্যাপিঠ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৮০ বৎসর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূর্নমিলনী  ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্টিত হয়েছে । উক্ত অনুষ্ঠানে উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও জামারপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো.খাইরুল আলম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি। এসময় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. মনিরুজ্জান , সাবেক জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি আনোয়ারা বেগম, এডি,এসপি (সি.আই.ডি)ঢাকা মো.আশরাফ হোসেন, জেলা রেজিস্টার আবু কাইয়ুম, ভাইস চেয়ারম্যান আমজাত হোসেন স্বপন, ওসি মো,মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মো.খাইরুল আলম, প্রমুখ ।

কালীগঞ্জে সেই আইনজীবির বিরুদ্ধে মামলা

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রেমিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ছেলেকে মারধর করে গুরুতর আহত করার অপরাধে জেলা জর্জ কোর্টের সেই আইনজীবি এরশাদ উল্লাহ এসুর (৫০) বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার থানায় মামলা রেকর্ডভূক্ত হয়েছে। আর এই মামলার বাদী হয়েছেন আহতের নানি ফিরোজা আক্তার।
জানা যায়, কালীগঞ্জ পৌর এলাকা ভাদার্ত্তী গ্রামের বাসিন্দা ও ৩ সন্তানের জনক ঐ আইনজীবি কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও স্বামী পরিত্যক্তা ২ সন্তানের জননী খন্দকার বিউটি বেগম পাতার (৪২) সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। আর এ সম্পর্কের সূত্র ধরে পৌর এলাকার বালীগাঁও গ্রামের প্রেমিকা পাতার বাড়ীতে দীর্ঘদিন যাবৎ অবাধে যাতায়াত করতো। কিন্তু গত শনিবার রাতে আইনজীবি এসু পাতার ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে তার বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ছেলে তুর্জ খান (১৮) বাধা দেয়। এসু তার বাধা অতিক্রম করে পাতার ঘরে প্রবেশের চেষ্ঠা করে। এতে তুর্জ তার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এক পর্যায়ে পাতার প্রেমিক আইনজীবি এসু তুর্জর উপর চড়াও হয় এবং তাকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে তুর্জ গুরুতর আহত হয়। পরে তুর্জর বৃদ্ধ নানি ফিরোজা আক্তার স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনার দিন পাতার মা নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করায় রাতে বৃদ্ধ মা ও প্রতিবন্ধি ছেলেকে বাহিরে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পাতা তার কর্মস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে যায়।
এ ঘটনার পর থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে কালীগঞ্জ থানায় গাজীপুর জর্জ কোর্টের সেই আইনজীবি এরশাদ উল্লাহ এসুর বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ডভূক্ত হয়েছে। মামলা নং ১৪।
মামলার বাদী ফিরোজা আক্তার প্রতিবেদকের কাছে ঘটনার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শেষ বয়সে এত কিছু দেখার আগে আল্লাহ আমারে মৃত্যু দিলনা কেন? এমন অনাচারের চেয়ে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তারা বিয়ে করে ফেলুক। এ ব্যাপারে নার্স পাতাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কিছু না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। আর আইনজীবি এসুকে না পেয়ে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্ঠা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুস্তাফিজুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, এ ব্যাপারে থানায় আইনজীবির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালিয়াকৈরে বিশ্ব যক্ষা দিবস পালন

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিশ্ব যক্ষা দিবস মঙ্গলবার পালন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বিশ্ব যক্ষা দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও সভার আয়োজন  করে। এবারের বিশ্ব যক্ষা দিবসের শ্লে¬াগান ছিল ”যক্ষা ঘরে ঘরে, সুস্থ্য করব চিকিৎসা করে”। সকাল সাড়ে ১০টায়  উপজেলা প্রশাসনের উদ্দোগে একটি র‌্যালী উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে কালিয়াকৈর বাজার হয়ে পুনরায় উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয় । র‌্যালী শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে-ক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার প্রবীর , ব্রাকের স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসুচী ম্যানেজার মোঃ মাহাতাব উদ্দিন, সহ স্থাণীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

কাপাসিয়ায় শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কাপাসিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ মার্চ বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। জাতির ইতিহাসে আলোকিত ও গৌরবোজ্জ্বল এক দিন। মহিমান্বিত এই দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষে কাপাসিযা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান সর্বস্তরের মানুষকে আয়োজিত প্রতিটি অনুষ্ঠানে আন্তরিক উপস্থিতি ও সক্রিয় অংশ গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় কালো রাত্রি স্মরণে আলোর মিছিল, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাত ১২ টা ০১ মিনিটে উপজেলা পরিষদ চত্বরে  ৩১ বার তোপধ্বনি ও স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন। সুর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী, বেসরকারী ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল পোনে ৮ টায় কাপাসিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল কাপাসিয়া শীর্ষক সংবাদ, সামগ্রী ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী। পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কাপাসিয়া থানা পুলিশ বাহিনী, বিভিন্ন স্কুল, মাদরাসা, কলেজ ও কিন্ডারগার্টেনের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে ও পুরস্কার বিতরন। সকাল সোয়া ১০ টায় কাপাসিয়া প্রাইভেট হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন এবং জোবায়দা হাসপাতালের উদ্যোগে বিনা মূল্যে সকলের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। এছাড়া টি-২০ ক্রিকেট ম্যাচ, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, মহিলাদের জন্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং  জাতীর শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ-মন্দিরে বিশেষ মিলাদ, দোয়া ও প্রার্থনা ।

শ্রীপুরের মাওনায় বীজ ভান্ডারের অন্তরালে আলমগীরের ভেজাল ঔষধের জমজমাট ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ময়মনসিংহ রোডের পূর্ব পার্শ্বে মাওনা চৌরাস্তায় খান সুপার মার্কেটে বীজ ভান্ডারের অন্তরালে আলমগীর হোসেনের সম্পূর্ন নকল ভেজাল ঔষধের জমজমাট ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত দোকানের মালিক আলমগীর হোসেন লাইসেন্স বিহীন অবৈধ দোকান খুলে বীজ ভান্ডারের অন্তরালে নকল ঔষধ তৈরি করে বাজারজাত করছে এবং দীর্ঘ দিন যাবত প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। খান সুপার মার্কেটে বীজ ভান্ডারের অন্তরালে আলমগীর হোসেন যেকল নকল ভেজাল ঔষধ বিক্রি করছে তা খেলে মানুষের মৃত্যুছাড়া কোন উপায় আবার ঔষধের গায়ে লেবেলে যে সমস্ত কোম্পানির নাম লেখা আছে এবং রেজি নং-বিএসটিআই ছাপা হয়েছে সেগুলিও নকল। নকল খোলা ঔষধের কৌটায় নিজের তৈরিকৃত নামীদামী কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে দেদারছে বাজারজাত করছে প্রতারক আলমগীর হোসেন। যা দেখলে বোঝা যায় উক্ত কোম্পানির নামে বাংলাদেশের কোথাও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নাই। সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে এসব নকল ভেজাল ঔষধের ব্যবসা করে আলমগীর হোসেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। বীজ ভান্ডারের অন্তরালে ঔষধের দোকান খুলে যে সকল হাকিমী ও কবিরাজী ঔষধ বিক্রয় করা হয় সেসব ঔষধের বিন্দু পরিমান গুনগত মান নেই। আলমগীর হোসেন মানহীন কিছু ঔষধ কমদামে কিনে কৌটায় নিজের তৈরি করা বিভিন্ন কোম্পানির উচ্চ মূল্যের লেবেল লাগিয়ে মাওনা চৌরাস্তা, শ্রীপুর, বরমী এলাকার বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজের কিছু ভুয়া হাকিম/কবিরাজ ও ক্যানভাসারদের কাছে পাইকারী বিক্রি করছে এবং ক্যানভাসারগন এসব নকল ভেজাল ঔষধ উচ্চ দামে বিক্রি করে জনসাধারনের সাথে প্রতারনা করছে। খান সুপার মার্কেটে আলমগীর হোসেনের বীজ ভান্ডারের অন্তরালে বিভিন্ন প্রকার জীবনঘাটি নিম্নমানের সেক্স এর ট্যাবলেট উচ্চদামে বিক্রি হচ্ছে ধুম-ধারাক্কা। যার জন্য আলমগীর হোসেনের বীজ ভান্ডার নামক এই দোকানটি খুবই প্রিয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বীজ ভান্ডারের অন্তরালে আলমগীর হোসেন যেমনি নকল ভেজাল ঔষধ তেমনি আবার ইঁদুর,তেলাপোকা ,পিপড়ার ঔষধ একসাথে বাজারজাত করছে। এছাড়া আলমগীর হোসেন তার দোকানে বিভিন্ন নামের বিভিন্ন কোম্পানির যৌন উত্তেজক টেবলেটও বিক্রি করছে দেদারছে । ফলে অসচেতন ও অতি উৎসাহী যুবকরা এর ক্ষতিকারক দিক না জেনে তা সেবন করছে উচ্চমূল্যে । এছাড়া টেবলেটের পাশাপাশি অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ যেমন-পাওয়ার হর্স, পাওয়ার প্লাস, হর্স ফিলিংস, জিনসিন। টেবলেট ফুলফিল ও ভুয়া মুসলিম কোম্পানির আরদে খোরমা হালুয়া যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং সয়াবিন তৈল দিয়ে বানানো গোপন অঙ্গের মালিশের জমজমাট ব্যবসা। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, আলমগীর হোসেন বীজ ভান্ডারের অন্তরালে নিম্ন মানের ও নকল ভেজাল ঔষুধপত্র বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা কামাচ্ছেন। অথচ উক্ত দোকানের নেই কোন ড্রাগ লাইসেন্স, নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, নেই কোন ভালো ট্রেনিং। কিন্তু চালাক চতুর এই আলমগীর হোসেন প্রশাসনের চোঁখকে ফাকি দিয়ে ধুম ধারাক্কা এসব নকল ঔষধের ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছেন। গাজীপুর মাওনাবাসীর প্রশ্ন একটি গণতান্ত্রিক স্বাধীন দেশে কি করে বীজ ভান্ডারের অন্তরালে আলমগীর হোসেনের মত একজন প্রতারক নকল ভেজাল ঔষধ বিক্রি করছে। তাই তদন্ত পূর্বক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন শ্রীপুর মাওনাবাসী।

ভালুকায় অসহায় মহিলার জমি দখলের চেষ্টা শতাধিক ফলদ গাছ কর্তন ঃ মারধর



আদালতের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ

মোঃ শাহজাহান খান : ময়মনসিংহের ভালুকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক মহিলার কোটি টাকা মূল্যের ২৮ শতাংশ জমি দখলের চেষ্টা চালায় প্রতিপক্ষরা। এ সময় হামলা চালিয়ে প্রায় শতাধিক ফলদ গাছ কেটে ফেলে পেট্রল ঢেলে আগুণ ধরিয়ে দেয়া হয় এবং ব্যাপক লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার সকালে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাঠালী গ্রামে। পরে ক্ষতিগ্রস্তের পক্ষে আদালতে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন। ভূক্তভোগী পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভালুকা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাঠালী গ্রামের আয়ূব আলী মোল্লার স্ত্রী নাজমা খাতুন কাঠালী মৌজার ১০৭ নম্বর দাগে ক্রয়কৃত প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ২৮ শতাংশ জমির উপর বসতবাড়ি করে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছিলেন। ভূক্তভোগী নাজমা খাতুন জানান, তিনি অসুস্থ স্বামী, এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে শান্তিপূণূভাবেই বসবাস করে আসছিলাম। স্থানীয় আব্দুল খালেক খান, শাহ জাহান খান ও ছাইফুল ইসলাম গং বেশ কিছুদিন ধরে জোরপূর্বক জমি দখলের হুমকি দিয়ে আসছিল। এই আশঙ্কায় উক্ত জমির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরই জের হিসেবে গত রোববার সকালে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক লোক দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে তার কাটাতারের বেড়ার ভেতর চার বছর পূর্বে লাগানো বিভিন্ন ফলদ প্রায় শতাধিক কাঠ কেটে ফেলে এবং পেট্রল ঢেলে আগুণ ধরিয়ে দেয়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে আহত করে। তিনি আরো জানান, ঘটনার সময় বিবাদীপক্ষ বাড়িতে প্রবেশ করে ব্যাপক লুটপাট করে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ময়মনসিংহের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত একটি এবং ভাঙচুর ও লুটপাট ঘটনায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট ভালুকার আদালতে দ্রুত বিচার আইনে অপর একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল খালেক গংদের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। ভালুকা মডেল থানার ওসি গোলাম সরোয়ার জানান, এ ধরণের ঘটনায় কোন অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

বিএনপি গণতন্ত্রের নামে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যার রাজনীতি করছে ঃ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গিদের কর্মকান্ডকে আশ্রয় দিয়ে নারী শিশু শ্রমিক জনতাকে নির্বিচারে পুড়িয়ে হত্যা করছে রাজনীতিক ভাবে তাদের কবর রচনা হবেই হবে। তার সাথে কোন আলোচনা নয়। যারা ৭১ সালে মানুষ হত্যা করেছে সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারা হতে দিতে চায় না। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মহানগরের টঙ্গী চেরাগ আলী ট্রাক স্ট্যান্ডে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত বিশাল এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব এড.আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি এসব কথা বলেন।
নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী মোঃ শাহজাহান খান এমপির সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি ও নারী নেত্রী শিরিন আক্তার এমপি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর প্রতিক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পরিবহণ নেতা মোঃ উসমান আলী, শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব কামরুল আনাম, কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি, জাসদ নেত্রী শাহীন আক্তার, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা উসমান আলী, গাজীপুর জেলা ট্রাক শ্রমিক-মালিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক দুদু মিয়া, টঙ্গী থানা যুবলীগ সভাপতি আলহাজ্ব এম.এ সাত্তার মোল্লা, যুবলীগ নেতা কাজী সেলিম, ছাত্রলীগ নেতা নাসির খান প্রমুখ।
নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে ১৮জন কৃষক হত্যাসহ বর্তমানে নারী-শিশুসহ গণমানুষকে হত্যা করছে। খালেদা জিয়াকে এদেশের শ্রমিকরা কোন অবস্থাতেই ক্ষমা করবে না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় না থাকলে এতদিন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকত কিনা তা সন্দেহ ছিল। নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান শান বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জামায়াতকে তালাক দিয়ে গণতন্ত্রের রাজনীতির পথে আসার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে কুয়েত আগ্রহী

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনশক্তি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কুয়েত। সফররত কুয়েতের  অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত গাজীপুরের ট্রাস্ট টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার পরিদর্শণকালে তাদের এ আগ্রহের কথা জানান।
কুয়েতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি লেফটেন্যান্ট জেনারেল সোলাইমান ফাহাদ আল ফাহাদের নেতৃত্বে ২৩  সদস্যবিশিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধি দল  ৫ দিনের বাংলাদেশ সফর করছেন। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে অবস্থানকালে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শণ করবেন এবং দুই দেশের মধ্যে পার¯পরিক স¤পর্ক উন্নয়নের সম্ভাব্যতা যাচাই করবেন। প্রতিনিধি দলটি টিটিটিআই’র ক্যা¤পাসে পৌঁছালে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আসাদুর রহমান খান তাদেরকে স্বাগত জানান। পরে কনফারেন্স হলে টিটিটিআই’র প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ওপর একটি ব্রিফিং প্রদান করা হয় । সফররত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা টিটিটিআই’র প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন এবং প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে বিভিন্ন ট্রেডের দক্ষ জনশক্তি  নিতে খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া স¤পন্ন করবেন বলে জানান। প্রতিনিধি দলের অন্যদের  মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লেফট্যানেন্ট কর্নেল ওমার আল হাসিনান, মেজর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ আল ইয়াসীন, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মাহমুদ হোসেইন, ক্যাপ্টেন আব্দুর রাহমান আদেল আল আব্দুল আজিজ আল ওমার, ক্যাপ্টেন মাশাল খালেদ আব্দুল আজিজ আল জানাহী  এবং মেজর মোরশেদ আব্দুল্লাহ খালেদ আল জোয়ায়েদ।

কাপাসিয়ায় শিশু ছাত্রী ধর্ষিত ঃ ধর্ষক গ্রেফতার

ধামাচাপায় মরিয়া প্রভাবশালীরা

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের বড়বেড় টেকপাড়া গ্রামে গত শনিবার রাতে দশ বছর বয়সী শিশু ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ২৩ মার্চ সোমবার দুপুরে বড়বেড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ধর্ষক আশরাফুল আলম মৃধা (২২) কে কাপাসিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে ওই গ্রামের জামাল উদ্দিন মৃধার ছেলে। ধর্ষিত শিশুটি ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষণের পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালীরা মরিয়া হয়ে ওঠে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করলে ‘দেখে নেওয়ারও’ হুমকি দেন প্রভাবশালীরা। হুমকি উপেক্ষা করে ধর্ষিত শিশুর বাবা গতকাল ২৩ মার্চ সোমবার দুপুরে কাপাসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থানার এ এস আই মিজান নৈশপ্রহরী আশরাফুলকে বিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করে।
স্বজনরা জানায়, দীর্ঘদিন আগে ওই শিশুর মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটায় শিশুটি তার দাদির সঙ্গে থাকত। গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি একা ঘরে ঘুমিয়েছিল। পাশের ঘরে তার দাদি বড় ছেলের বৌয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ চিৎকার শুনে তার চাচি ছুটে গিয়ে শিশুসহ ধর্ষককে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। ওই সময় তিনি ধর্ষিত শিশুকে উদ্ধার করে ধর্ষককে আটকের চেষ্টা করলে জানালা ভেঙে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পালানোর সময় ধর্ষক আশরাফুল তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ফেলে যায়।
ধর্ষিত শিশু জানায়, ঘুমন্ত অবস্থায় তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে আশরাফুল আলম। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সে চিৎকার দেয়।
ধর্ষিত শিশুর চাচা জানান, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মুকুল মৃধা ও তাঁর ছেলে মামুন মৃধা তাঁদের মামলা করতে নিষেধ করেন। গত রবিবার দিনভর স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী মাতব্বর শিশুর বাবাকে এক লাখ টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু আপসরফায় রাজি না হলে মুকুল মৃধা ও তাঁর ছেলে মামুন মৃধা শিশুর বাবাকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেয়।
বড়বেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন জানান, ধর্ষক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী হওয়ায় ঘটনাটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও সাবেক মেম্বার নুরুজাজামান মুকুল সহ উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদকে অবহিত করা হয়েছে। সোমবার বেলা ২ টার দিকে থানার এএসআই মিজান নৈশপ্রহরী আশরাফুলকে বিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করেছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কাশেম খান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছে। ধর্ষিত শিশুসহ পরিবারকেও পুলিশ নিরাপত্তা দেবে।’

শ্রীপুরের মাওনায় সরকার মেডিসিন এন্ড ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে জুয়েলের নকল ঔষধের ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ঢাকা ময়মনসিংহ রোডের পূর্ব পার্শ্বে মাওনা চৌরাস্তায় সরকার মেডিসিন এন্ড ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে সম্পূর্ন নকল ভেজাল ঔষধের জমজমাট ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত দোকানের মালিক মোঃ জুয়েল সরকার লাইসেন্স বিহীন অবৈধ দোকান খুলে নকল ওষুধ তৈরি করে বাজারজাত করছে এবং দীর্ঘ দিন যাবত প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। সরকার মেডিসিন এন্ড ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে নকল ভেজাল ছাড়া কোন ঔষধ নাই। ঔষধের গায়ে লেবেলে যে সমস্ত কোম্পানির নাম লেখা আছে এবং রেজি নং-বিএসটিআই ছাপা হয়েছে সেগুলিও নকল। নকল খোলা ঔষধের কৌটায় নিজের তৈরিকৃত নামীদামী কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করছে দেদারছে। যা দেখলে বোঝা যায় উক্ত কোম্পানির নামে বাংলাদেশের কোথাও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নাই। সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে এসব নকল ভেজাল ঔষধের ব্যবসা করে জুয়েল সরকার কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। সরকার মেডিসিন এন্ড ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে যে সকল হাকিমী ও কবিরাজী ঔষধ বিক্রয় করা হয় সে সব ঔষধের বিন্দু পরিমান গুনগত মান নেই। জুয়েল সরকার মানহীন কিছু ঔষধ কমদামে কিনে কৌটায় নিজের তৈরি করা বিভিন্ন কোম্পানির উচ্চ মূল্যের লেবেল লাগিয়ে মাওনা চৌরাস্তা, শ্রীপুর বরমী এলাকার বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজের কিছু ভুয়া হাকিম/কবিরাজ ও ক্যানভাসারদের কাছে পাইকারী বিক্রি করছে এবং ক্যানভাসারগন এসব নকল ভেজাল ঔষধ উচ্চ দামে বিক্রি করে জনসাধারনের সাথে প্রতারনা করছে। সরকার মেডিসিন এন্ড ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে বিভিন্ন প্রকার জীবনঘাটি সেক্স এর ট্যাবলেট কমদামে বিক্রি হচ্ছে ধুম-ধারাক্কা। যার জন্য জুয়েলের দোকান খুবই প্রিয়। জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, আমি নকল ভেজাল ঔষধ বিক্রি করি ঠিক আছে কিন্তু মাওনা চৌরাস্তায় এমন কোন পুলিশ নাই যে আমি তাদেরকে মাসিক টাকা দেই না। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকার মেডিসিন এন্ড ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে যেমনি নকল ভেজাল ঔষধ তেমনি আবার ইঁদুর,তেলাপোকা ,পিপড়ার ঔষধ একসাথে বাজারজাত করছে। এছাড়া জুয়েল সরকারের ঔষধের দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির যৌন উত্তেজক টেবলেটও বিক্রি করছে দেদারছে । ফলে অসচেতন ও অতি উৎসাহী যুবকরা এর ক্ষতিকারক দিক না জেনে তা সেবন করছে উচ্চ মূল্যে । এছাড়া টেবলেটের পাশাপাশি অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ যেমন-পাওয়ার হর্স, পাওয়ার প্লাস, হর্স ফিলিংস, জিনসিন। টেবলেট ফুলফিল ও ভুয়া মুসলিম কোম্পানির আরদে খোরমা হালুয়া যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং সয়াবিন তৈল দিয়ে বানানো গোপন অঙ্গের মালিশের জমজমাট ব্যবসা। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, জুয়েল সরকার নিম্ন মানের ও নকল ভেজাল ঔষুধপত্র হাতে বিক্রি মোটা অংকের টাকা কামাচ্ছেন। অথচ উক্ত ঔষধের দোকানের নেই কোন ড্রাগ লাইসেন্স, নেই কোন লাইসেন্স নবায়ন, নেই কোন ভালো ট্রেনিং। কিন্তু চালাক চতুর এই জুয়েল সরকার প্রশাসনের চোঁখকে ফাকি দিয়ে ধুম ধারাক্কা এসব নকল ঔষধের ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছেন। গাজীপুর মাওনাবাসীর প্রশ্ন একটি গণতান্ত্রিক স্বাধীন দেশে কি করে নকল ভেজাল ঔষধ ব্যবসার মূল হোতা জুয়েল সরকারের মত একজন প্রতারক ও ধাপ্পাবাজ এসব নকল ভেজাল ঔষধ বিক্রি করছে। তাই তদন্ত পূর্বক জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন মাওনাবাসী।  

শ্রীপুরে শিশু মেলা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, শ্রীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ১ নং মাওনা ইউনিয়ন পরিষদে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর সহযোগীতায় শিশু মেলা-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাওনা ইউনিয়ন শিশু লাইব্রেরী উদ্বোধন করার কথা থাকলেও তা অবশেষে করা হয়নি। ১ নং মাওনা ইউনিয়ন পরিষদ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
বাংলাদেশ যৌথ ভাবে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প যেমন- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন, চিকিৎসা, বাল্যবিবাহ বন্ধ সহ আরও নানামূখী কার্যক্রম একত্রে বাস্তবায়ন করছে। আর এরই ধারা বাহিগতায় মানুষকে সচেতন করার লক্ষে উক্ত দিনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে ছিল। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে সরকার দলীয় কিছু নেতাকর্মীদের অতিথি না করায় স্থানীয় সরকার দলীয় নেতাদের কোন্দলে অবশেষে অনুষ্ঠানটি করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ১ নং মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কর্মকর্তা শুভন জানান, আমরা সাধারনত এই ধরনের অনুষ্ঠান ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ও গ্রামে গঠিত কমিটি দের নিয়ে করে থাকি। আমরা এই ভাবেই মূলত অনুষ্ঠানটি সাজিয়ে ছিলাম। যেহেতু স্থানিয় নেতাদের তোপের মুখে আমরা অনুষ্ঠানটি করতে পারলাম না সেহেতেু আমরা আমন্ত্রিত সকল শিশু ও তাদের অভিভাবকদের কাছে দুংখ প্রকাশ করছি। এবং আমরা কথা দিচ্ছি পরবর্তীতে সামনে সবাইকে নিয়ে আমরা এই ধরনের অনুষ্ঠান সবার সম্মলিত প্রচেষ্টায় করার চেষ্টা করব।
এই অনুষ্ঠান না হওয়ার মূল কারন হচ্ছে ১ নং মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন শ্রীপুর উপজেলার বি. এন. পির সাধারন সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক। অপর দিকে অন্যান্য যে সদস্য গুলো রয়েছে প্রায় সবাই সরকার দলের সমর্থক। এই দিকে অনুষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ এই অনুষ্ঠানটিকে কোন অবস্থাতেই রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে পরিণিত করতে চাননি বা করার কোন সুযোগ নেই।

কালিয়াকৈরে মহিলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাজীপুর জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নেজবাহার বেগম সোমবার ওই কমিটি ঘোষণা করেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ নাসিম কবীর জানান, কালিয়াকৈর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০০৩ সালে। দীর্ঘ ১২ বছর পর মোসাম্মৎ হাসিনা খালেককে সভাপতি ও  মোসাম্মৎ নাজমা বেগমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।  ওই কমিটি আগামী  ৫ বছর দায়িত্ব পালন করবে।

গাজীপুরের চান্দনায় বদরুজ্জামানের বাড়ী দখলের চেষ্টা

পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা

স্টাফ রির্পোটার : শিক্ষক তার মেধা আদর্শ দিয়ে এ জাতিকে করে চলেছেন শিক্ষিত। তেমনি একজন শিক্ষক গাজীপুরের কেশরিতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ বদরুজ্জামান তার জীবনের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটু জমি কিনে বাড়ি করে ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। সেই জমি ও বসত বাড়িতে কুঞ্জন পড়েছে ভোগড়া এলাকার আ:গফুরের ছেলে আ: হালিম ও উজার পাড়া এলাকার মো: নুরুল ইসলামের  ছেলে মো: নাজমুল ইসলাম নামে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের। উল্লেখিত সন্ত্রাসী গং আলহাজ¦ বদরুজ্জামান মাষ্টারের চান্দনা কলেজপাড়া এলাকার বসতবাড়িতে জোর পুর্বক প্রবেশ করে বসত বাড়ি দখলের পায়তাড়া করছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ব্যাপারে আলহাজ্ব বদরুজ্জামান মাষ্টার সুবিচার চেয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায় আ: হালিম ও নাজমুল ইসলাম গংদের সাথে হাজী বদরুজ্জামান মাষ্টারের ছোট ছেলে কামরুজ্জামান জুয়েল ৩/৪ বছর পূর্বে জমির ব্যবসা ছিল সেই সুুবাদে আ:হালিম ও নাজমুল ইসলাম জুয়েলের নিকট ২ লক্ষ টাকা পাওনা দাবি করে জুয়েল তা অস্বীকৃতি জানালে আ: হালিম ও নাজমুল  ইসলাম গং হাজী  বদরুজ্জামানের বসতবাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে জিম্মি করে জোরপূর্বক  তাদের বাড়ির ভাড়া ৩০ হাজার টাকা মাসিক হারে তুলে নিয়ে যায় । এক পর্যায়ে হাজী বদরুজ্জামান মাষ্টারের বড় ছেলে আসাদুজ্জামান বাবুল এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে  বিষয়টি মীমাংসার জন্য আ:হালিম ও নাজমুল ইসলামকে ১,৭৫,০০০/- (এক লক্ষ পচাঁত্তর হাজার )টাকা প্রদান করে । বদরুজ্জামান পবিত্র হজ্জব্রত পালনের জন্য সৌদি আরব চলে যায়। যাওয়ার পূর্বে তার ছেলে মেয়েদের নামে কিছু জমি দিয়ে যায় । তারপর  আ:হালিম এলাকায় প্রচার করে যে, জুয়েলের নিকট থেকে ৬ কাঠা জমি ক্রয় করিয়াছে। এক পর্যায়ে ২৩/০৩/২০১৩ ইং তারিখে উক্ত জমি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার জন্য জুয়েলকে অপহরন করে নিয়ে যায় পর দিন হাজী বদরুজ্জামান এর স্ত্রী জুয়েলের মাকে ফোন করে ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য । বিষয়টি জানাজানি হলে আ:হালিম গং তাদেরকে মারপিট করে ১৫০ টাকা মূল্যের স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ঐ স্ট্যাম্পে ১৩ লক্ষ টাকা পাইবে দাবি করিয়া আ: হালিম ও নাজমুল ইসলাম গং হাজী বদরুজ্জামানের বসত বাড়িতে জোর পূর্বক প্রবেশ  করে নিয়ে বাড়ির সবাইকে মারধর করে বাড়িটি দখল করে নিয়ে বাড়ির ভাড়া মাসিক ৩০ হাজার টাকা তুলে নিতে থাকে এবং এ বিষয়ে মামলা মোকাদ্দমা করিলে সবাইকে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিতে থাকে । এ বিষয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হাজী বদরুজ্জামানের বড় ছেলে আসাদুজ্জামান বাবুলের স্ত্রী লাভলী বাদী হয়ে গত ২৫/০২/২০১৫ ইং  তারিখে জয়দেবপুর থানায় একটি সাধারন ডাইরি করেন। আ:হালিম ও তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল হারিয়ে যাওয়ায় হাজী বদরুজ্জামান মাস্টারের বড় ছেলে আসাদুজ্জামান বাবুলের নামে জয়দেবপুর থানায় একটি পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে ।এ বিষয়ে আলহাজ¦ বদরুজ্জামান এ প্রতিনিধিকে জানান আমার সারা জীবনের সঞ্চয়  দিয়ে গড়া এ বাড়িটি আ: হালিমের নামে লিখে দেওয়ার জন্য হুমকি-দামকি, খুন–-জখম এমনকি অপহরণ করার হুমকি দিচ্ছে। মাষ্টারের পরিবার এখন বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে গাড়ী চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা


শিমু আক্তার : গতকাল রোববার বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির আয়োজনে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে গাড়িচালকদের সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন- যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত ও ফিটনেস বিহীন, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি ওভারটেকিং নিষিদ্ধ। তিনি আরো বলেন- যান্ত্রিক ক্রটিযুক্ত ও ফিটনেসবিহীন ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি, রাস্তায় বের করা নিষিদ্ধ। গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা নিষেধ এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। তা হলেই সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে রোধ পাবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওসমান আলী। তাছাড়া কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বি.আর.টি.এ সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদ আলম, সহকারী কমিশনার মোঃ শরীফুল ইসলাম ও মোঃ তৈহিদ হাসান, ডাঃ আতিকুল ইসলাম, ট্রাফিক কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

ডিসিসি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার ঘোষণা দেয়ায় বিএনপিকে অভিনন্দন


॥ এম.এ. ফরিদ ॥

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন হলে বিএনপি ডিসিসি নির্বাচনে অংশ নেবে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ গত শুক্রবার রাতে বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের তিনি বিষয়টি অবগত করেন। ডিসিসি নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার খবরে পুরো দেশবাসীর মতো আমার মনের মধ্যেও কিছুটা পুলক সৃষ্টি হয়েছে। কিছুটা স্বস্তির আমেজ লক্ষ করা যাচ্ছে সাধারন মানুষের মধ্যে। দেশবাসী কিছুদিনের জন্য হয়তো অবরোধ-হরতাল থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পেতে যাচ্ছে। অবশ্য এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা। ডিসিসি নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশ গ্রহণ করে তবে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে হয়তো দলটি কিছু একটা ভাবতে পারে বলে আমি মনে করি। বিএনপি একটি বড় দল। এবার ডিসিসি নির্বাচনে তাঁরা অংশ গ্রহণ করে হয়তো এর প্রমাণ রাখার চেষ্টা করবেন। তাছাড়া এটা একটা বড় সুযোগ সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা। বিএনপি ডিসিসি নির্বাচনকে উপলক্ষ করে নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করারও একটা সুযোগ পাবে বলেও আমি মনে করি। বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলতে গেলে এখন অনেকটা নিস্ক্রিয় সময় অতিবাহিত করছে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজেও আন্দোলন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। জনগণ তাঁর জ্বালাও-পোঁড়াও কর্মসূচীকে প্রত্যাখান করেছে। বেগম জিয়ার রাজনীতি এখন অনেকাংশে জামায়াত-শিবির কেন্দ্রিক নির্ভর হয়ে পড়েছে। ফলে তাঁর সহিংসতা ও নাশকতার কর্মসূচী আন্দোলন কোমায় চলে গেছে। ডিসিসি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার মাধ্যমে তিনি আবার কোমা থেকে ফিরে আসতে পারবেন বলে আমি একান্তভাবে বিশ্বাস করি। বিভিন্ন সূত্র থেকে যা জানতে পারলাম, সেটি হলো বিএনপির সঙ্গে জোট বাধা ছোট খাট দলগুলো ডিসিসি নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে আগ্রহী। এ ব্যাপারে হয়তো তাদের ২০ দলীয় জোটের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হতে পারে। বিশ দলীয় জোট যদি নির্বাচনে অংশ নেয় তবে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটও পরিবর্তন হতে পারে। বিজ্ঞজনদের সঙ্গে কথা বলে যতটা বুঝা গেল তাঁরাও মনে করেন বিএনপি ডিসিসি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভঙ্গুর দলকে কিছুটা হলেও মেরামত করার ভালো সুযোগ পাবেন। আন্দোলন সবার গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু অগণতান্ত্রিক আন্দোলন কারো কাম্য নয়। বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট গণতন্ত্র রক্ষার নামে বর্তমানে যে টানা কর্মসূচী পালন করে আসছে তা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক বলে এদেশের কোটি মানুষের সঙ্গে আমিও একমত পোষণ করছি। শত শত সাধারন মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে পুঁড়িয়ে হত্যা করে, হাজার হাজার যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলে বেগম জিয়া কোন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন তা এদেশের মানুষ জানতে চায়। দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে আমাদের কোন সুখের গান তিনি শুনাতে চান তা জাতি তাঁর নিকট জানতে চায়। বেগম জিয়া যদি মনে করে থাকেন এ দেশের ভূখা-নাঙ্গা মানুষগুলো তাঁর বক্তব্য শুনে ঘুমিয়ে পড়বে আর তিনি ঘুমন্ত মানুষগুলোকে পাকিস্তানী কায়দায় মেরে ফেলবেন তবে তিনি ভুল করবেন। এ দেশের মানুষকে ঘুম পাড়ানি গান শুনিয়ে আর ঘুম পাড়ানো সম্ভব হবে না। আমরা আমাদের পবিত্র মাটির এক ইঞ্চিও ষড়যন্ত্রের জন্য বেগম জিয়া ও তাঁর দোসর জামায়াত-শিবিরকে বরাদ্দ দিব না। গত ৭৭/৭৮ দিনে বেগম জিয়া দেশের যে ক্ষতি করেছেন তাঁর হিসেব একদিন এদেশের জনগণ পাইপাই করে নিয়ে ছাড়বে। ১২৩ জন সাধারন মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে পুঁড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। কি তাদের অপরাধ ছিল? তা আমার জানা নেই। তবে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয়েছে পেট্রোল বোমায় মারা যাওয়া লোকগুলোর অপরাধ ছিল কেন তাঁরা বেগম জিয়ার তথা কথিত হরতাল-অবরোধে ঘর থেকে বের হলো। ম্যাডাম খালেদা জিয়া আপনি হয়তো আপনার ওই পার্টি অফিসে বসে বসে খাবার খেতে পান কিন্তু যারা মারা গেছেন তাঁরা একদিন ঘরে বসে থাকলে তাদের স্ত্রী, সন্তান, বাবা, মাকে নিয়ে সেদিনটিতে উপোস থাকতে হতো। দীর্ঘ ৭৭ দিনেও আপনি আপনার কার্যালয় থেকে বের হওয়া তো দূরের কথা আপনি অফিসের বাইরে একটু উকি মেরেও দেখেননি যে দেশে কি ঘটছে। আপনার জন্য আপনার দলের নেতা কর্মীরা রাজকীয় খাবার রান্না করে নিয়ে আসে কিন্তু হতভাগ্য ওই পরিবারগুলোর জন্য কেউ তো আর রান্না করা খাবার নিয়ে আসে না। তাহলে তাঁরা কাজের জন্যে ঘর থেকে বের হবে এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে কেন তাদের দিনের পর দিন আপনি কষ্টে রাখবেন। আগে জানতাম নারী জাতি মায়ের জাতি। তাদের মন অত্যন্ত কোমল। কিন্তু আপনার মন এত পাথরের মতো কঠিন কেন? আমাদের কান্না কি আপনার হৃদয়কে এতটুকুও স্পর্শ করে না। আপনি তো আমাদের মতো ভূখা-নাঙ্গাদের কথা চিন্তা করেই রাজনীতি করেন। তবে কেন হিংসাতœক রাজনীতি করছেন? এদেশের জনগণ অনেক আগেই আপনার বর্তমান আন্দোলকে প্রত্যাখান করেছে। এদেশের বেশির ভাগ মানুষকে খেটে খেতে হয়। আমরা কাজ না করলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা না খেয়ে থাকি। দয়া করে আমাদের আর দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দিবেন না। অনেক আগেই আপনি বর্তমান সহিংস রাজনীতি থেকে সরে আসতে পারতেন। আপনি আপনার জেদের কারণে তা করেননি। তাই এবার আর একটি সুযোগ এসেছে। জনগণের কাছাকাছি আসার জন্য ডিসিসি নির্বাচন একটি বিরাট মওকা বিএনপির জন্য। এ নির্বাচন হয়তো সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয়। তবে এ নির্বাচনের মাধ্যমে আপনার পার্টির গ্রহণ যোগ্যতা প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন। অনেক সূত্র অনেক তথ্য দিয়ে আপনার দলের বিভিন্ন পর্যায়ের চামুচরা আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে। সকল বিভ্রান্তিকে পেছনে ফেলে আপনার নিজস্ব মতামতকে প্রাধান্য দিন। শুনেছি আপনার দলীয় ফোরাম আসন্ন ডিসিসি নির্বাচনের প্রার্থীও নাকি চুড়ান্ত করে ফেলেছে। আলহামদুলিল্লাহ। তাহলে আর চিন্তা কি? আমি তো মনে করি এ মুহুর্ত থেকে হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহার করে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার বাস্তব সময় এটি আপনার জন্য। যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিন, দেখবেন তাঁরা আপনার সম্মান রাখবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম দুটি গুরুত্বপূর্ণ মহানগর। এ দুটি মহানগরের ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য দলের নেতা কর্মীদের মাঠে নামিয়ে দিন। আজ আমরা অত্যান্ত আনন্দিত। র্দীর্ঘ দিন পর বিএনপি একটি রাজনৈতিক দলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এটি দেশের জন্য শুভ সংবাদ। আমরা হয়তো খুব সহসাই অস্বস্তি পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছি। র্দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির পর এক পশলা বৃষ্টি যেমন মানুষকে স্বস্তি দেয় ঠিক বিএনপির বর্তমান চিন্তা চেতনাও মানুষের মধ্যে এক পশলা বৃষ্টির মতো স্বস্তি এনে দিয়েছে। ভিন্ন জনের ভিন্ন মত থাকতে পারে। তাঁর পরও বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁরা কোন পথে হাটবেন। সহিংসতার পথে নাকি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির পথে। তবে সহিংসতার পথ পরিহার করে নির্বচনমূখী হলে এ দেশের কোটি ভোটারের সঙ্গে আমিও বিএনপিকে অভিনন্দন জানাবো। বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং আগামী দিনে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে আসবে সে প্রত্যাশায় আজকের মতো আমার এ লেখার যবনিকা টানছি।

কালিয়াকৈরে রুটিন ইপিআই কার্যক্রম শুরু

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : রুটিন ইপিআই কার্যক্রমে নিউমোক্কল নিউমোনিয়া প্রতিরোধে রবিবার সকালে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামূল্যে নিউমোক্কল কনজুগেট ভ্যাকসিন (পিসিভি) সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ডাঃ জলিল উদ্দিন মন্ডল  ডেপুটি ডাইরেক্টর (গ্যাবি) । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ প্রবীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তব্য রাখেন, ডাঃ জলিল উদ্দিন মন্ডল  ডেপুটি ডাইরেক্টর (গ্যাবি) ,আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুল ইসলাম , ডাঃ মাসুদ হাসান, ডাঃ রেহনো পারভিন সাংবাদিক আরিফ হোসেন খোকন প্রমূখ ।

কালিয়াকৈরে দুই দিন ব্যাপী ডিজিটাল মেলা

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রবিবার থেকে শুরু হয়েছে উপজেলা পর্যায়ে দুই দিন ব্যাপী ডিজিটাল মেলা।  উপজেলা  পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম রাসেল ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন। উপজেলা পরিষদের হল রুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবীবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনি সভায় বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা  পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল করিম রাসেল , ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ সাইফুল কবির, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ প্রমূখ। পরে অতিথি সহ আগত দর্শকরা  উপজেলা চত্বরে আয়োজিত ডিজিটাল মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।

কাপাসিয়ায় সাংবাদিককে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিলেন সেনাসদস্য!

স্টাফ রিপোর্টার : কাপাসিয়ার বীরউজুলীতে সাংবাদিককে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছেন এক সেনাসদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সকালে।
আহত সাংবাদিক এম এ মোমেন জানান, ওই দিন তার বাবা ধানক্ষেতে সেচের পানি দিচ্ছিলেন। তার চাচাতো ভাই আক্তার হোসেন আগে পানি নেবেন বলে লাইন ভেঙে তাদের জমিতে দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আক্তার তার বাবার গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করেন। এর প্রতিবাদ করলে আক্তার ও তার ভাই শরীফসহ কয়েকজন এম এ মোমেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, হামলায় এম এ মোমেনের বাম হাত ভেঙে গেছে। তাকে আরও কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
এম এ মোমেন অনলাইন ‘ডে-নাইট নিউজ ডটকমে’ স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা, ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান লস্কর মিঠু ও টোক ইউপি চেয়ারম্যান এম এ জলিল হাসপাতালে গিয়ে তার খোঁজখবর নিয়েছেন। এ ব্যাপারে গতকাল থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আক্তার হোসেন সেনাসদস্য। তিনি বর্তমানে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টে আছেন।

কালীগঞ্জে মায়ের প্রেমিকের আঘাতে প্রতিবন্ধি ছেলে আহত

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে মায়ের প্রেমিকের আঘাতে মানষিক প্রতিবন্ধি ছেলে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি পৌর এলাকার বালীগাঁও গ্রামে ঘটেছে। এ ব্যাপারে গতকাল রবিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ পৌর এলাকা ভাদার্ত্তী গ্রামের বাসিন্দা ও গাজীপুর জর্জ কোর্টের আইনজীবি ৩ সন্তানের জনক এরশাদ উল্লাহ এসু (৫০) সাথে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স স্বামী পরিত্যক্তা ২ সন্তানের জননী খন্দকার বিউটি বেগম পাতার (৪২) দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসু শনিবার দিবাগত রাতে পৌরসভার ভবনের বিপরীতে বালীগাঁও গ্রামের পাতার নিজ বাড়ীতে ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে মানষিক প্রতিবন্ধি ছেলে তুর্জ খান (১৮) বাধা প্রদান করে। কিন্তু এসু তার বাধা অতিক্রম করে পাতার ঘরে ডুকে। এ সময় প্রতিবন্ধি তুর্জয় এসুর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে তাড়া করে পাশ্ববর্তী ওহাব মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে শারীরিকভাবে আঘাত করে। এক পর্যায় এসুও লোহার রড দিয়ে তুর্জকে আঘাত করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনার পর পাতার বৃদ্ধ মা ফিরোজা আক্তার আক্ষেপ করে বলেন, শেষ বয়সে এত কিছু দেখার আগে আল্লাহ আমারে মৃত্যু দিলনা কেন? তিনি অবাধ্য মেয়ে পাতাকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, এমন অনাচারের চেয়ে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক এসুকে বিয়ে করে ফেল, তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু এমন অসামাজিক কর্মকান্ড করিস না। রাতে বৃদ্ধ মা ও প্রতিবন্ধি ছেলেকে বাহিরে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পাতা তার কর্মস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে যায়। এ ঘটনার পর গতকাল রবিবার সকালে আহত তুর্জর নানি ফিরোজা আক্তার বাদি হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
 সূত্র আরো জানায়, পরকীয়া বিষয়ে পাতার বৃদ্ধ মা ও প্রতিবন্ধি ছেলে এসুকে আসতে নিষেধ করলে ইতিপূর্বে তাদের মধ্যে একাধিবার বাক-বিতন্ডা হয়েছে এবং তুর্জকে মারধর করেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের পরকীয়ার এই বিষয়টি এলাকার আলোচিত ঘটনা।

কাপাসিয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা ঃ ফুপু গুরুতর আহত

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের জায়গীর গ্রামে ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা র্দুবৃত্তরা ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মাহফুজাকে (১২) জোরপূর্বক উপর্যুপরি ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় ফুপু রিনা বেগম (২৬) বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে ও এলোপাথারী পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। রিনা বেগমকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাঁদপুর  উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ও জায়গীর গ্রামের সবজী ব্যবসায়ী কবিরের কন্যা মাহ্ফুজা বৃহস্পতিবার রাতে পার্শ্ববর্তী আবুল খায়েরের স্ত্রী ও তার ফুপু রিনা বেগমের সাথে ঘুমিয়েছিল। ৫/৬ জন র্দুবৃত্ত রাত ৩ টার দিকে আত্বিয় পরিচয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। দরজা খুলার সাথে সাথে র্দুবৃত্তরা ঘরে ঢুকে ফুপুকে জিম্মি করে মাহ্ফুজাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মাহ্ফুজার মাথা, চোখ, বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্বক ভাবে আঘাত করে। মাহফুজা র্দুবৃত্তদের চিনে ফেলার কারনে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা চলে যায় জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানায়, গত ৪/৫ দিন আগে রাতে এলাকার বহুল আলোচিত ও বহু অপকর্মের হোতা জায়গীর গ্রামের মিয়া বাড়ির বকুলের বখাটে পুত্র নাঈম কে পুলিশ ধাওয়া করে। নাঈম কোন উপায় খুজে না পেয়ে মাহ্ফুজাদের বাড়িতে আশ্রয় নিতে চেয়েছিল। কিন্তু নাঈম সন্ত্রাসী ও নেশাগ্রস্ত হওয়ায় মাহফুজার পিতা কবির তাকে আশ্রয় দেয়নি। পুলিশ সে রাতে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। মাহফুজার পিতা কবিরের কারনে তাকে পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হয়েছিল বলে সে লোকজনের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করে ও হুমকী দিয়েছিল। তাই ক্ষুব্দ নাঈম ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা এ জগন্য ও নির্মম হত্যা কান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
মাহুফুজার চাচা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য রমজান আলী মোবাইল টেলিফোনে জানান, ঢাকা মেডিকেলে জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন রিনা বেগম আশংকাজনক অবস্থায় আছে। তার অবস্থা অবনতির দিকে। এলাকার চিহ্নিত বখাটে সন্ত্রাসীরা তাদের পিছু ছাড়ছে না। রিনা বেগম র্দুবৃত্তদের চিনে ফেলতে পারে। সে কারনে তারা ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী রিনাকে হাসপাতালে লোক লাগিয়ে হত্যা করতে পারে বলে আশংকা করছে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ্ ঘটনার সত্যতা স্বিকার এবং তদন্ত শেষে আসল রহস্য উদঘাটন হবে বলে জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাহ্ফুজার পিতা কবির হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

গাজীপুরে বিএনপির ২শতাদিক নেতাকর্মী আওয়ামীলীগে যোগদান

স্টাফ রিপোর্টার , টঙ্গী :  গাজীপুর সিটি কর্পোরশনের ৩০ নং ওয়ার্ডের নীলের পাড়া  এলাকার বিএনপি নেতা মোকলেছুর রহমানের নেত্বত্বে বিএনপির ২ শতাদিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার সন্ধায় নীলের পাড়া কাউন্সিলর কার্যালয়ে গাজীপুর কর্পোরশের কাউন্সিলর মো: জান্নাতুর রহমান এর সভাপত্বিত্তে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের সম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল , বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি কর্পোরশনের মহিলা কাউন্সিলর এড. আয়শা আক্তার, নীলের পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: সাখাওয়াত হোসেন মুকুল , গাজীপুর জজ কোটের প্রতিত দশা আইন জীবি এড, মনির হোসেন , ইঞ্জি. আসাদুস জামান, মোকলেছুর রহমান , দিলিপ কুমার সরকার, কামাল হোসের বাবুল, আফরোজা আক্তার, হাসনাত হোসেন, সামসু উদ্দিন মোল্লা, সাখাওয়াত হোসেন সরকার, প্রমুখ।  যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল বলেন বিএনপি আজ দিশে হারা হয়ে জ্বালাও  পোড়াও করে প্রেটোল বোমা মেরে  মানুষ হত্যা করছে। আগামীতে এই যোগদানের মধ্য দিয়ে আপনার ঐক্যবন্ধ হয়ে তা প্রতিহত করবেন।

গাজীপুরে ডোবা থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল এলাকার একটি ডোবা থেকে বৃহস্পতিবার এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আনুমানিক ২৪ বছর বয়সী ওই তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি।
জয়দেবপুর থানার পুবাইল পুলিশ ক্যা¤েপর এসআই মো. একরামুল হক জানান, বৃহ¯পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিটি কর্পোরেশনের তালটিয়া এলাকার একটি ডোবায় এলাকাবাসী ওই তরুণীর লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহতের পরনে নীল সালোয়ার, কালো কামিজ এবং নীল-কালো-হলুদ প্রিন্টের বোরকা ছিল।
বুধবার রাতের কোন এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ডোবায় ফেলে যায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

ধারালো ছোঁরাসহ মামলার ৪ আসামী গ্রেফতার

টঙ্গীতে জাহাঙ্গীর আলম হত্যাকান্ড

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গীর খাঁপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি ছোঁরাকাঘাতে নিহত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলার সাথে জড়িত ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে টঙ্গী মডেল থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধাঁরালো ছোঁরা উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়, টঙ্গী মডেল থানার এস.আই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানসহ একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হওয়া টঙ্গীর খাঁপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলার আসামী শরীয়তপুর জেলার পালং থানার শৌলীপাড়া (খাঁপাড়া) এলাকার স্থায়ী এবং টঙ্গীর এরশাদ নগরস্থ ৭ নং ব্লকের বাসিন্দা মুজিবরের ছেলে মোঃ সজিব হোসেন (২২)কে দত্তপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই এলাকা থেকে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার দেবদুন মিয়া বাড়ীর স্থায়ী বাসিন্দা এবং টঙ্গীর দত্তপাড়াস্থ মিজানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া চুন্নু মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন ওরফে চুন্নু সুমন (২৫) কে দত্তপাড়া থেকে, মুন্সিগঞ্জ জেলার স্থায়ী বাসিন্দা এবং এরশাদ নগর ১ নং ব্লকের ভাড়াটিয়া বাবুল মিয়ার ছেলে রবিন হোসেন (২২) কে এরশাদ নগর থেকে এবং হত্যাকান্ডের মূল নায়ক চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিন থানাস্থ ইসলামবাজ পাঠোয়ারী বাড়ীর স্থায়ী বাসিন্দা এবং টঙ্গীর খাঁপাড়া মোক্তারবাড়ী রোডস্থ মোঃ তাজুল ইসলামের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত মোঃ জুলহাস পাঠোয়ারীর ছেলে মোঃ সোহাগ পাঠোয়ারী ওরফে সোহাগ (২২) কে তাজুল ইসলামের বাড়ী থেকে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশ সোহাগের ঘর তল্লাশী কওে সোহাগের ঘওে খাটের উপর তুষকের নীচ থেকে জাহাঙ্গীরকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোঁরা উদ্ধার করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মোঃ সোহাগ পাঠোয়ারী ওরফে সোহাগকে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দী রেকর্ডের জন্য এবং অপর ৩ জনকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ঃ টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার বাসিন্দা পুলিশ র্সোস মোঃ নজির হত্যা মামলার পলাতক আসামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে গত বুধবার রাতে খাঁপাড়া রোডে উপরোক্ত গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি ছোঁরাকাঘাত কওে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ৩ দিনের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করায় টঙ্গী ও খাঁপাড়াবাসী স্থানীয় প্রশাসনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।