শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

ইংলিশ বিতর্ক ও উপস্থাপনা প্রতিযোগীতায় চেম্পিয়ান গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজ

স্টাফ রিপোটার্স: টেলেন্টহাট এর আয়োজনে ইংলিশ বিতর্ক ও উপস্থাপনা প্রতিযোগীতায় - ২০১৫ গত কাল গাজীপুরের সোনারতরি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতায় গাজীপুর জেলার বিভিন্ন কলেজ অংশগ্রহন করে। ফাইনাল রাউন্ডে আংশ গ্্রহনের গৌরব অর্জন করে ‘গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কলেজ’ এবং ‘গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজ’। ফাইনাল রাইন্ডে গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজ জেলা চেম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে ইংলিশ বিতর্ক ও উপস্থাপনা প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করে একাদশ শ্রেনির ছাত্র সোহেল রানা (বিজ্ঞান বিভাগ) মো: সাজ্জাত হোসাইন (বিজ্ঞান বিভাগ) এবং জুলেখা আক্তার জুই (ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ)। অনুষ্ঠানে ‘গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড কলেজ’, ‘গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজ’ এবং টেলেন্টহাট এর প্্রভাষক, কর্মকতা ও কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।

আত্মঘাতী সংঘাত যেন আর না হয় : বিজিবিকে প্রধান মন্ত্রী

বিজিবি দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা .
মনির শিকদার : 
বিজিবি বিদ্রোহের মতো আত্মঘাতী সংঘাতের পুনরাবৃত্তি এড়াতে ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যদেও ও সতর্ক  থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পিলখানা বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার কওে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই বাহিনী কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। তিনি আশা করেন, বিজিবির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে কখনো এ ধরনের আত্মঘাতী  সংঘাত যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্য বিজিবির সদস্যদেও ও সদাসতকর্ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আজ রোববার বিজিবি দিবস উপলক্ষে পিলখানায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বিজিবিকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ যাতে বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে চলতে পারে, সেভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
বক্তব্যেও শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন ইপিআরের দুঃসাহসী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। সে সময় নিহতদে ও প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডকে ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত কওে শেখ হাসিনা বলেন,  তাঁকে সেই ন্যক্কারজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছিল। সবার সহযোগিতায় সেদিনের সেই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছিল। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। তিনি বলেন, সেই বিদ্রোহে জড়িত বিজিবির উচ্ছৃঙ্খল সদস্যদের শাস্তি   দেওয়া হয়েছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার করে বিজিবিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাহিনী কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ রকম আত্মঘাতী সংঘাত যেন না হয়, সে জন্য বিজিবির সদস্যদের সদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সীমান্তে দায়িত্ব পালনে বিজিবি আগের চেয়ে অনেক বেশি সফলতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার কমেছে। ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে বন্ধুত্বপূণর্ সম্পর্ক হয়েছে।
 বিজিবিকে আধুনিক করতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,  প্রথমবারের মতো ১০০ নারী সদস্যকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিজিবিতে আর ও সদস্য নিয়োগ, বেতন-ভাতা বাড়ানো, ভিডিও কনফারেন্স, বিওপি, সোলার প্যানেল,  বিএসএফ ও বিজিবির সম্পর্ক উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ,  বিশেষ কওে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বিনিময় সহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে, মর্যাদার সঙ্গে চলবে। সেভাবেই সরকার কাজ কওে যাচ্ছে। তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, বিজয় অর্জনকারী জাত কারও কাছে মাথানত করবে না। ২০২১ সালে দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। ২০৪১ সালেবাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।

স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও জামায়াতের রাজনীতি করার অধিকার কতটা যুক্তি সঙ্গত

কি অদ্ভুত আমরা! কি অদ্ভুত আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র!

॥ এম.এ ফরিদ ॥
স্বাধীনতার ৪৪ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো পরাজিত শক্তি আমাদের পিছু ছাড়েনি। ত্রিশ লাখ শহিদের রক্ত ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানীর বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ি যুদ্ধের মাধ্যমে ৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিকাল ৪.৩১ মিনিটে হানাদার বাহিনী আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে ঘাতকরা বাধ্য হয় মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ৪৪টি বছর। অনেক আশা-ভরসা নিয়ে বাঙ্গালী জাতী পশ্চিমা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিল। দীর্ঘ ৪৪ বছর পরও বাঙ্গালী জাতী মুক্তি পেয়েছে কি না তা নিয়ে এখনও হিসেব কষতে হচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার মধ্য দিয়ে এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় সামরিক শাসকরা অধিষ্ঠিত হয়। জেনারেল জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে এদেশে সামরিক শাসনের গোড়াপত্তন শুরু করে। জেনারেল জিয়া ক্ষমতা গ্রহনের পর রাজাকারদের পূনর্বাসন করার মধ্য দিয়ে এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিলেন। জেনারেল জিয়া রাজাকারদের শুধু পূনর্বাসনই করেননি, তিনি রাজাকারের দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে এদেশে রাজনীতি করার পূর্ণ স্বাধীণতা দিয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রটি রাজনীতি করার সুযোগ পেয়ে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দিত। এর পরবর্তীতে বেগম জিয়া ও সাবেক সামরীক শাসক জেনারেল এরশাদও রাজাকারদের পূনর্বাসন কাজে নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছিলেন। একটা সময়ে বিএনপির সহযোগীতায় কুখ্যাত রাজাকাররা মন্ত্রিত্ব লাভ করে এবং পবিত্র জাতীয় পতাকাকে তাদের গাড়ীতে ব্যবহার করার মাধ্যমে লাখ শহিদের আত্মার সঙ্গে তামাশা করে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে রাজাকার, আল বদর, আল শামস্দের বিচারের ব্যবস্থা করেন। সরকার, যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগ রয়েছে তাদের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আদালত গঠন করেন। ইতোমধ্যে জামায়াতের প্রথম সারির নেতাদের বিরুদ্ধে মহামান্য ট্রাইব্যুনাল সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করেছেন এবং জামায়াত যে একটি সন্ত্রাসী দল সে বিষয়েও মহামান্য আদালত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। জামায়াত একটি সন্ত্রাসী দল এ বিষয়ে কারো কোন দ্বিমত থাকার কথা নয়। তাহলে কেন এখনো যুদ্ধাপরাধীর দল জামায়াতের বিচার করা হচ্ছে না। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জামাতের কর্মকান্ড সম্পর্কে কি আমরা তাহলে ভুলে যেতে বসেছি। জাতীর জনকের সু-যোগ্য কণ্যা দেশ রতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যদি জামায়াতের বিচারের ব্যবস্থা না করতেন তাহলে আর কোন সরকার এদের বিচার করবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। লাখো শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা নিয়ে বলতে চাই এদেশে জামায়াতের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। ওরা হয়তো এখন রাজনৈতিক ভাবে কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে কিন্তু সময় সুযোগ বুঝে আবার ওরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে না এমনটা ভাবা বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়। গত ১৬ই ডিসেম্বরে চট্রগ্রাম কলেজে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে আসার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে এমনটিই আভাস দিল জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির। কত বড় ধৃষ্টতা সম্পন্ন কাজ করেছে ওই ছাত্র শিবিরের কর্মীরা। এত বড় সাহস ওরা কি করে পেল। এদের পিছনে কোন অদৃশ্য শক্তি রয়েছে কি না সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা জরুরী বলে মনে করেন এদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি গুলো। হানাদার পাকিস্থানীদের দোসর হিসেবে খ্যাত এই রাজাকারের বাচ্ছাদের কারনেই স্বাধীনতার যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হয়েছিল। ওদের কারনেই এত রক্ত, এত ইজ্জত আমাদের খোয়াতে হয়েছিল। আজকে আমরা অনেক পরিপক্ক। আজ আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমরা ওই সকল নরপিশাচদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। মাঠে-ময়দানে যেখানেই ওদের পাওয়া যাক না কেন আমরা ওদের গণধোলাই এবং দিগম্বর করে ছেড়ে দিব। সরকারের কাছে একটাই প্রত্যাশা নরপিশাচদের বিচারের পাশাপাশি সন্ত্রাসী দল হিসেবে জামায়াতের বিচারও করতে হবে। আইন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এদেশে জামাতের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। সরকার যদি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে ব্যর্থ হয় তবে আমরা নতুন প্রজন্মের একজন  যোদ্ধা হিসেবে আমরাই ওদের এদেশে নিষিদ্ধ ঘোষনা করব এবং তলপি-তলপা সহ পাকিস্থানে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হব। জয় বাংলা। 

গাজীপুরে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রোববার বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলো- নির্মাণ শ্রমিক  বিল্লাল হোসেন (৩০) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মর্জিনা আক্তার (২৫)। 
নিহত বিল্লাল রংপুর জেলার কতোয়ালী থানার ভালুয়াপাড়া গ্রামের নাজির হোসেনের ছেলে। মর্জিনার ঠিকানা জানা যায়নি। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিক কাদনী বেগম, তার ভাই মজনু মিয়া, নিহত বিল্লালের প্রথম স্ত্রী আসমা বেগম ও তার ভাবি আনিছা বেগমকে থানায় আনা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানা সূত্র জানায়, বিল্লাল প্রথম স্ত্রী আসমা খাতুনের অনুমতি না নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর মর্জিনা আক্তারকে বিয়ে করে। বিল্লাল তার প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় বাদশা মিয়ার ভাড়া বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে থাকতো। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। 
রোববার বিকেলে বাড়ির লোকজন বিল্লালের শোবার ঘরের ধর্নার সঙ্গে গলায় মাফলার প্যাচানো অবস্থায় স্বামী এবং ওড়না প্যাচানো অবস্থায় স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে লোকজন তাদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ রোববার রাত পৌণে ৮টার দিকে ওই দুইজনের লাশ উদ্ধার করে। 
নিহত বিল্লালের প্রথম স্ত্রী আসমা খাতুন জানান, আমি বাপের বাড়ি বেড়াতে গেলে স্বামী তার অনুমতি ছাড়াই গত ১৭ ডিসেম্বর মর্জিনা আক্তারকে বিয়ে করে বাদশা মিয়ার বাড়িতে উঠেন। তার দাবি তারা দুইজনেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

শ্রীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত

সুশীল চন্দ্র পাল : গাজীপুরের শ্রীপুরস্থ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ২নং সিএন্ডবি বাজারে রাস্তা পাড় হতে গিয়ে রুবেল (৮) নামের এক শিশু মৃত্যু বরণ করেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত রুবেল সিলেটের দুয়ারাবাজার উপজেলার আছির নগর এলাকার কবিরখালি গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। 
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পারাপার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি কাভার্ড ভ্যান শিশুটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। 
এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। অবরোধে মহাসড়কের উভয় পাশে দুই কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলে  যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলালুল ইসলাম জানান, ঢাকাগামী কাভার্ড ভ্যান চাপায় শিশু নিহতের ঘটনায় স্থানীয় জনতা ঘাতক কাভার্ড ভ্যান ও চালককে আটক করেছে।
আটককৃত চালক নোয়াখালীর শ্যামবাগ উপজেলার মনির আহমেদের ছেলে সাখাওয়াত হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।

শ্রীপর পৌরসভায় জাপার মেয়র প্রার্থী নেই

কামাল হোসেন বাবুল : গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রার্থী চুড়ান্ত হলেও মেয়র পদে প্রার্থী নেই জাতীয়
পার্টির। ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শ্রীপুর পৌর নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ হলেও জাতীয় পার্টি মেয়র পদে কোন মনোনয়ন পত্র জমা দেননি।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নুরুল ইসলাম জানান- কেন্দ্র থেকে কয়েকদিন আগে জাতীয় পার্টির মেয়র পদে প্রার্থীর তালিকা চাওয়া হয়েছিলো। আমি আগামীতে সংসদ নির্বাচন করবো। তাই পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হবো না। আমাদের শ্রীপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. আফতাব উদ্দিন শারীরিকভাবে অসুস্থ ও আর্থিক সংকটের কারণে মেয়র পদে প্রার্থী হবেন না বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, শ্রীপুর পৌর নির্বাচনে জাতীয় পার্টিতে কোনো প্রার্থী না থাকায় সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দলীয় প্রার্থী না থাকায় তৃণমূলে রয়েছে ধোঁয়াশা।