শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

গাজীপুরের কোনাবাড়ি ও কাশিমপুরে ভূয়া ক্লিনিক

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর এলাকায় বেশ কিছু লাইসেন্স বিহীন ভূয়া ক্লিনিকের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। 
এসব ভূয়া ক্লিনিকের মধ্যে রয়েছে, কোনাবাড়ি কাশিমপুর রোডে অবস্থিত কোনাবাড়ি ডিজিটাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, আধুনিক জেনারেল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, সেন্ট্রারেল হসপিতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, যমুনা পোশাক কারখানা সংলগ্ন হক মেডিক্যাল সেন্টার, আমবাগ মা মেডিক্যাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, কাশিমপুরে অবস্থিত কাশিমপুর ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। এসব ক্লিনিকে নেই কোনো লাইসেন্স। তার পরেও লাইসেন্স বিহীন র্দীঘ দিন ধরে অবাধে চলে আসছে এসব ক্লিনিক।
প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে এসব চিকিৎসকেরা কোন বিষয় বিশেষজ্ঞ তার কোনো হদিস নেই। এক রোগের ওপর ডিগ্রি বা প্রশিক্ষণ থাকলেও তারা সর্বরোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসা সেবা ভুল বা সঠিক না হওয়ায় অনেক রোগীর অকাল মৃত্যুও ঘটছে।ওই সব ক্লিনিকে নেই কোনো মানস্মত চিকিৎসা সেবা এমনকি বেশির ভাগ চিকিৎসকের বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সনদ ভূয়া। এ সকল ক্লিনিকের মালিকেরা চিকিৎসার নামে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন করছেন রোগীদের সাথে প্রতারণা।
কোনাবাড়ি ডিজিটাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টি সেন্টারে গত ৭ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলার বিশ^ম্ভবপুর থানার ধনপুর গ্রামের মোঃ শহিদুলের স্ত্রী রুমা আক্তার (২৮) কে ভুল চিকিৎসা দিলে প্রথমে জ্ঞান হারায় পরে তার চোখ অন্ধ হয়ে যায় এবং দিন শেষে রাত ৮ টার দিকে তিনি মারা যান। রুমা আক্তার কোনাবাড়ি তিতাস সুয়েটার কারখানার মহিলা শ্রমিক ছিলেন।
ভূক্তভোগী শামীম জানান, আমার স্ত্রীকে নিয়ে কোনাবাড়ি ডিজিটাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চিকিৎসা সেবার জন্যে গেলে, ওই রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হলে আমি বিপদে পড়ে যাই তিনি আরো বলেন, ভুল চিকিৎসায় একজন মানুষের অকাল মৃত্যু হলো তার পরেও ওই ক্লিনিক এখন পর্যন্ত চলে কি করে? 
একটি সূত্র বলছেন, গাজীপুরের সিভিল সার্জন আলী হায়দার খান কে মাসে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে এসব লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিক চলছে। এব্যাপারে সিভিল সার্জন আলী হায়দার খানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। কোনাবাড়ি আধুনিক জেনারেল হসপিতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ওই ক্লিনিকের মালিক লেলিন এবং সেলিম রোগীদের জন্যে তারা নিজেরই ঔষধ লিখেন।