শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

ফুটপাত থেকে থানার সেকেন্ড অফিসারের মাসিক আয় লক্ষাধিক টাকা

টঙ্গী থানার এসআই, এএসআইদের ফুটপাত ও গ্রেফতার বানিজ্য
টঙ্গী প্রতিনিধি মৃণাল চৌধুরী : টঙ্গী মডেল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) এবং উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই)সহ সরকারী বিধি মোতাবেক থানার সেকেন্ড অফিসার নামক কোন পদ-পদবী না থাকলেও ক্যাশিয়ার (কোষাধক্ষ্য) খ্যাত একজন সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) বিভিন্ন অজুহাতে থানা বা এসপি অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এ পদে থানার একটি আলাদা কক্ষে বসে বিভিন্ন দেন-দরবার এবং প্রত্যেহ ডিউটি বন্টন, থানার অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজকর্ম পর্যবেক্ষন এবং মাসের প্রথম সপ্তাহে থানার কর্মকর্তা কর্মচারীদের নামে সরকারী কোষাগার থেকে আসা মাসিক বেতন-ভাতার টাকা বন্টন কাজ করার সুবাধে থানা এলাকার বিভিন্ন ফুটপাত, জুয়ার আস্তানা ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাজ থেকে থানা পরিচালনার নামে নিজের পকেট ভারী করতে মোটা অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এরই ধারাবাহিকতায় টঙ্গী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ হাসানুজামান প্রতিদিন টঙ্গীর বিভিন্ন ফুটপাতসহ সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থান থেকে তার আপন সহোদর ভাই মোঃ জামানকে দিয়ে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষাধিক টাকা আদায় ও উত্তোলনসহ থানার বিভিন্ন সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) এবং উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই)দের বিভিন্ন ভাবে বকরা বা উৎকোচের আয়কৃত টাকার ভাগ নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। সেই সাথে থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) এবং উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই)গন থানার সেকেন্ড অফিসারের সহযোগীতায় বিভিন্ন ভুক্তভূগী সাধারণ মানুষের দায়ের করা সাধারণ ডায়রী, অভিযোগ ও মামলার তদন্তের নামে মোটা অংকের টাকা আদায় অন্যথায় বাদী বিবাদীকে হয়রানী কিংবা বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, চোরাই তামার তার উদ্ধারের পর সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে উদ্ধার স্থানে বসে দেন দরবারের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেয়া বা মালামাল বিক্রি করে দেয়ার মত অভিযোগ থেকেও পিছিয়ে কতিপয় এসআই ও এএসআইগন।
একটি বিশেষ সূত্রে জানা যায়, টঙ্গীর সাতাইশ থেকে গুটিয়া, গাজীপুরা বাসষ্টেশন থেকে টঙ্গী বাজার, টঙ্গীর ষ্টেশন রোড থেকে নিমতলী ব্রিজ এবং কলেজ গেউট থেকে বনমালা, চেরাগআলী বাসষ্টেশন থেকে মুদাফা,  পাগাড় ফকির মার্কেট এবং জামাই বাজার ও বউ বাজার এলাকার রেল লাইন ও রাস্তার দু-পাশে ফুটপাতে বসে বিভিন্ন হকার মাছ, মাংস, তরী-তরকারী, মুরগী, চানাচুর, বাদাম, শীতবস্ত্র, বিভিন্ন রং-বেরংয়ের জামা-কাপড় বিক্রি করে থাকে। টঙ্গী মডেল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) এবং সেকেন্ড অফিসার মোঃ হাসানুজামান জয়দেবপুর সদর থানা থেকে উক্ত থানায় বদলী হয়ে আসার পর এসব হকারদের কাছ থেকে তার আপন ভাই জামানকে পাঠিয়ে স্থানীয় এরশাদনগর এলাকার মোঃ জাকিরের মাধ্যমে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা, হোসেন মার্কেট এলাকার মোঃ কামালের মাধ্যমে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা, কলেজ গেইট ও চেরাগআলী এলাকার মোঃ সবুজের মাধ্যমে সপ্তাহে ১২ হাজার টাকা, টঙ্গী বাজারের মোঃ জসিমের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা, টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের চোরাই জুতার মার্কেটের সভাপতি মোঃ হাবিবের মাধ্যমে ১ হাজার টাকাসহ টঙ্গীর ষ্টেশন রোড থেকে প্রতিদিন পরিবহন (টেম্পু ও লেগুনা)  ও কাঁচা বাজার থেকে  থেকে ১৫ শত টাকা, মুদাফা ও সাতাইশ রোডের শফি নেতার মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা ছাড়াও বউ ও জামাই বাজার এবং টিএন্ডটি এলাকা থেকে বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে তার ভাইকে দিয়ে এসব ফুটপাত ছাড়াও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী, ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী ও গোপালপুর, আমতলী (কেরানীরঠেক), মধুমিতা, দত্তপাড়া, আরিচপুর, ফকির মার্কেট, পাগাড়, কাজীপাড়া, টঙ্গী বাজার, এলাকার বিভিন্ন জুয়ার আস্তানাসহ জুটের গোডাউন থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে মোটা টাকা আদায় করে। ফলে উক্ত নাম পদবী সর্বস্ব সেকেন্ড অফিসারের মাসিক আয় কয়েক লক্ষ টাকা। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) এবং উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) দের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রত্যেক কাজের বিনিময়ে উৎকোচের একাংশ এবং ডিউটি বন্টনে স্বজন-প্রীতির মাধ্যমে উক্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও বকরা আদায় করে থাকেন। যে কারনে সেকেন্ড অফিসারের চাহিদা মেটাতে অন্যান্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন ভুক্তভূগী সাধারণ মানুষের দায়ের করা সাধারণ ডায়রী, অভিযোগ ও মামলার তদন্তের নামে মোটা অংকের টাকা আদায় অন্যথায় বাদী বিবাদীকে হয়রানী এবং মাদকসহ মাদক ব্যবসায়ী বা যে কোন অপরাধীকে আটকের পর থানায় হাজির না করে বা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে শুধু সেকেন্ড অফিসার মোঃ হাসানুজামানকে জানিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়ে থাকেন। উল্লেখ্যঃ গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর আমতলির কেরানীরটেক বস্তি এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কুদ্দুস ওরফে ল্যাংটা কুদ্দুসের আসরে হানা দিয়ে ৪ মাদক ব্যবসীকে আটক করা হলেও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে টঙ্গী থানার এসআই শাহাদাৎ হোসেন, পিএসআই মো. এনামুল হকসহ একদল পুলিশ। এসব অফিসারদ্বয় কেরানীরটেক বস্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানা (৪০) ও ভুছকি রহিমাকে (৩৫) আটক করে এবং দু’জনকে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর কুদ্দুসের মাদকের আস্তানায় ঢুকে কুদ্দুস ওরফে ল্যাংটা কুদ্দুস ও নজরুল মিয়াকে আটক করে হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে মারধর করে। এসময় আটককৃতদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে আটককৃতের স্বজনরা পুলিশ সদস্যদের নগদ ৩ হাজার এবং বাকী টাকা দুদিন পর বাকী আরো ১০ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে মুক্তি পায়।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী মডেল থানার শিক্ষানবিস এসআই (পিএসআই) মো. এনামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কাউকে ধরতে বস্তিতে যাইনি। এক স্যারের সাথে নতুনবাজারে গিয়েছিলাম। স্যার আমাকে থানায় এনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এসব অভিযোগ মোটেও সঠিক নয়। আমার সাথে আর কে ছিল তাদের নাম আমি জানি না।’
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এসআই শাহাদাৎ হোসেন ও পিএসআই এনামুল হকের সন্ধ্যার পরে কোন ডিউটি ছিল না। তারা ওইখানে কেন গিয়েছিল তা আমার জানা  নেই।’ ফুটপাত থেকে টাকা উঠানোর ব্যপারে জিগ্গেস করা হলে তিনি বলেন, যদি দেয় সমস্যা কি ? তদন্ত করে দেখেন, যদি টাকা পাই সমস্যা নাই। তথ্য প্রমানে যদি কিছু পান বা পেয়ে থাকেন তবে দিবেন বা লিখবেন সমস্যা নেই। ভাই ব্রাদারের বিরুদ্ধে লিখবেন, লিখেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এখন ইজতেমা ছাড়া কোন কথা নাই, ইজতেমা সর্ম্পকে জানাতে এবং জানতে পারেন। উপরোক্ত বিষয় গুলো আমার জানা নাই, আমি বিষয়টি দেখছি।
ঙ্গী থানার এসআই, এএসআইদের ফুটপাত ও গ্রেফতার বানিজ্য
ফুটপাত থেকে থানার সেকেন্ড অফিসারের মাসিক আয় লক্ষাধিক টাকা
টঙ্গী প্রতিনিধি মৃণাল চৌধুরী : টঙ্গী মডেল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) এবং উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই)সহ সরকারী বিধি মোতাবেক থানার সেকেন্ড অফিসার নামক কোন পদ-পদবী না থাকলেও ক্যাশিয়ার (কোষাধক্ষ্য) খ্যাত একজন সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) বিভিন্ন অজুহাতে থানা বা এসপি অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এ পদে থানার একটি আলাদা কক্ষে বসে বিভিন্ন দেন-দরবার এবং প্রত্যেহ ডিউটি বন্টন, থানার অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাজকর্ম পর্যবেক্ষন এবং মাসের প্রথম সপ্তাহে থানার কর্মকর্তা কর্মচারীদের নামে সরকারী কোষাগার থেকে আসা মাসিক বেতন-ভাতার টাকা বন্টন কাজ করার সুবাধে থানা এলাকার বিভিন্ন ফুটপাত, জুয়ার আস্তানা ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাজ থেকে থানা পরিচালনার নামে নিজের পকেট ভারী করতে মোটা অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এরই ধারাবাহিকতায় টঙ্গী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ হাসানুজামান প্রতিদিন টঙ্গীর বিভিন্ন ফুটপাতসহ সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থান থেকে তার আপন সহোদর ভাই মোঃ জামানকে দিয়ে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষাধিক টাকা আদায় ও উত্তোলনসহ থানার বিভিন্ন সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) এবং উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই)দের বিভিন্ন ভাবে বকরা বা উৎকোচের আয়কৃত টাকার ভাগ নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। সেই সাথে থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) এবং উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই)গন থানার সেকেন্ড অফিসারের সহযোগীতায় বিভিন্ন ভুক্তভূগী সাধারণ মানুষের দায়ের করা সাধারণ ডায়রী, অভিযোগ ও মামলার তদন্তের নামে মোটা অংকের টাকা আদায় অন্যথায় বাদী বিবাদীকে হয়রানী কিংবা বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, চোরাই তামার তার উদ্ধারের পর সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে উদ্ধার স্থানে বসে দেন দরবারের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দেয়া বা মালামাল বিক্রি করে দেয়ার মত অভিযোগ থেকেও পিছিয়ে কতিপয় এসআই ও এএসআইগন।
একটি বিশেষ সূত্রে জানা যায়, টঙ্গীর সাতাইশ থেকে গুটিয়া, গাজীপুরা বাসষ্টেশন থেকে টঙ্গী বাজার, টঙ্গীর ষ্টেশন রোড থেকে নিমতলী ব্রিজ এবং কলেজ গেউট থেকে বনমালা, চেরাগআলী বাসষ্টেশন থেকে মুদাফা,  পাগাড় ফকির মার্কেট এবং জামাই বাজার ও বউ বাজার এলাকার রেল লাইন ও রাস্তার দু-পাশে ফুটপাতে বসে বিভিন্ন হকার মাছ, মাংস, তরী-তরকারী, মুরগী, চানাচুর, বাদাম, শীতবস্ত্র, বিভিন্ন রং-বেরংয়ের জামা-কাপড় বিক্রি করে থাকে। টঙ্গী মডেল থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) এবং সেকেন্ড অফিসার মোঃ হাসানুজামান জয়দেবপুর সদর থানা থেকে উক্ত থানায় বদলী হয়ে আসার পর এসব হকারদের কাছ থেকে তার আপন ভাই জামানকে পাঠিয়ে স্থানীয় এরশাদনগর এলাকার মোঃ জাকিরের মাধ্যমে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা, হোসেন মার্কেট এলাকার মোঃ কামালের মাধ্যমে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা, কলেজ গেইট ও চেরাগআলী এলাকার মোঃ সবুজের মাধ্যমে সপ্তাহে ১২ হাজার টাকা, টঙ্গী বাজারের মোঃ জসিমের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা, টঙ্গী রেলওয়ে জংশনের চোরাই জুতার মার্কেটের সভাপতি মোঃ হাবিবের মাধ্যমে ১ হাজার টাকাসহ টঙ্গীর ষ্টেশন রোড থেকে প্রতিদিন পরিবহন (টেম্পু ও লেগুনা)  ও কাঁচা বাজার থেকে  থেকে ১৫ শত টাকা, মুদাফা ও সাতাইশ রোডের শফি নেতার মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা ছাড়াও বউ ও জামাই বাজার এবং টিএন্ডটি এলাকা থেকে বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে তার ভাইকে দিয়ে এসব ফুটপাত ছাড়াও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী, ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী ও গোপালপুর, আমতলী (কেরানীরঠেক), মধুমিতা, দত্তপাড়া, আরিচপুর, ফকির মার্কেট, পাগাড়, কাজীপাড়া, টঙ্গী বাজার, এলাকার বিভিন্ন জুয়ার আস্তানাসহ জুটের গোডাউন থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে মোটা টাকা আদায় করে। ফলে উক্ত নাম পদবী সর্বস্ব সেকেন্ড অফিসারের মাসিক আয় কয়েক লক্ষ টাকা। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) এবং উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) দের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রত্যেক কাজের বিনিময়ে উৎকোচের একাংশ এবং ডিউটি বন্টনে স্বজন-প্রীতির মাধ্যমে উক্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও বকরা আদায় করে থাকেন। যে কারনে সেকেন্ড অফিসারের চাহিদা মেটাতে অন্যান্য কর্মকর্তারা বিভিন্ন ভুক্তভূগী সাধারণ মানুষের দায়ের করা সাধারণ ডায়রী, অভিযোগ ও মামলার তদন্তের নামে মোটা অংকের টাকা আদায় অন্যথায় বাদী বিবাদীকে হয়রানী এবং মাদকসহ মাদক ব্যবসায়ী বা যে কোন অপরাধীকে আটকের পর থানায় হাজির না করে বা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে শুধু সেকেন্ড অফিসার মোঃ হাসানুজামানকে জানিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়ে থাকেন। উল্লেখ্যঃ গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর আমতলির কেরানীরটেক বস্তি এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কুদ্দুস ওরফে ল্যাংটা কুদ্দুসের আসরে হানা দিয়ে ৪ মাদক ব্যবসীকে আটক করা হলেও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে টঙ্গী থানার এসআই শাহাদাৎ হোসেন, পিএসআই মো. এনামুল হকসহ একদল পুলিশ। এসব অফিসারদ্বয় কেরানীরটেক বস্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদক সম্রাজ্ঞী রোকসানা (৪০) ও ভুছকি রহিমাকে (৩৫) আটক করে এবং দু’জনকে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর কুদ্দুসের মাদকের আস্তানায় ঢুকে কুদ্দুস ওরফে ল্যাংটা কুদ্দুস ও নজরুল মিয়াকে আটক করে হ্যান্ডক্যাপ পড়িয়ে মারধর করে। এসময় আটককৃতদের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে আটককৃতের স্বজনরা পুলিশ সদস্যদের নগদ ৩ হাজার এবং বাকী টাকা দুদিন পর বাকী আরো ১০ হাজার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে মুক্তি পায়।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী মডেল থানার শিক্ষানবিস এসআই (পিএসআই) মো. এনামুল হক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কাউকে ধরতে বস্তিতে যাইনি। এক স্যারের সাথে নতুনবাজারে গিয়েছিলাম। স্যার আমাকে থানায় এনে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এসব অভিযোগ মোটেও সঠিক নয়। আমার সাথে আর কে ছিল তাদের নাম আমি জানি না।’
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এসআই শাহাদাৎ হোসেন ও পিএসআই এনামুল হকের সন্ধ্যার পরে কোন ডিউটি ছিল না। তারা ওইখানে কেন গিয়েছিল তা আমার জানা  নেই।’ ফুটপাত থেকে টাকা উঠানোর ব্যপারে জিগ্গেস করা হলে তিনি বলেন, যদি দেয় সমস্যা কি ? তদন্ত করে দেখেন, যদি টাকা পাই সমস্যা নাই। তথ্য প্রমানে যদি কিছু পান বা পেয়ে থাকেন তবে দিবেন বা লিখবেন সমস্যা নেই। ভাই ব্রাদারের বিরুদ্ধে লিখবেন, লিখেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এখন ইজতেমা ছাড়া কোন কথা নাই, ইজতেমা সর্ম্পকে জানাতে এবং জানতে পারেন। উপরোক্ত বিষয় গুলো আমার জানা নাই, আমি বিষয়টি দেখছি।