শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ

শ্রীপুরের অপারেশনে ব্যার্থ হয়ে 
স্বজনসহ রোগীকে গলাধাক্কা

আতাউর রহমান সোহেল, শ্রীপুর : গাজীপুরের উপজেলা শ্রীপুরে এক ডেলিভারী রোগীর অপারেশনে ব্যার্থ হয়ে তার স্বজনসহ জোরপূবর্ক ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ক্লিনিকের মূল গেটে তালা লাগিয়ে কর্তৃপক্ষ পালিয়েছে। এ সময় ঐ হাসপাতালের ভিতরে জরূরী বিভাগে ২টি বেটে দুজন রোগী ছিল বলে জানাযায় ।
গত ২/৮/১৭ ইং রোজ বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মাওনা চৌরাস্তা কদম আলী ফকির সুপার মার্কেটে নিউ পদ্মা এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। ডেলিভারী অপারেশনের ওই রোগীর নাম রুমা আক্তার (২২)। সে মাওনা মধ্যপাড়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী।
আব্দুস ছাত্তার জানান, ৩১/৭/১৭ইং সোমবার বিকেল ৩টায় তার স্ত্রীকে মাওনা চৌরাস্তা শাপলা মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করেন। তার স্ত্রীর পেটের সন্তান মৃত হওয়ায় পরদিন ১/৮/১৭ মঙ্গলবার বিকেল এরদিকে চিকিৎসকেরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রেফারড করেন। শাপলা মেডিকেল সেন্টার থেকে বের হওয়ার পরই পাশের নিউ পদ্মা এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাহাব উদ্দিন ও আরো কয়েজন ব্যাক্তি নিরাপদ চিকিৎসার কথা বলে ১৬ হাজার টাকার চুক্তিতে তার স্ত্রীকে তাদের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানে ভর্তি রেখে বুধবার বিকেলে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা: সেলিনা আক্তার লিপি অপারেশন শুরু করেন। চিকিৎসক তার স্ত্রীর প্র¯্রাবের রাস্তাসহ গোপনাঙ্গের আশপাশে কাটাছেঁড়া করে মৃত বাচ্চা টেনে হিঁচড়ে বের করার চেষ্টা করেন। এটি ছিল রোমার প্রথম মা হওয়ার ঘটনা ছিল।
বুধবার রাত সারে নয়টার দিকে অপারেশনে ব্যার্থ হয়ে দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়ে জোরপূর্বক গলাধাক্কা দিয়ে হাসপাতালের বাইরে স্বজনদের সহ বের করে দেন। পরে সেন্টারের মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেন। এসময় ভেতওে জরূরী বিভাগে দুজন রোগী ভর্তি ছিল। একটি অ্যাম্ব্যুলেন্স ডাকার সময় দেয়নি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষ। পরে রোগীকে নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সেন্টার থেকে নেমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাত সাড়ে ১১টায় সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, খবর শুনে রাত ১১টার দিকে শ্রীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, ঘটনা শুনে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ম্যানেজমেন্টের কাউকে পাওয়া যায়নি। মূল গেটে তালা লাগানো ছিল। একজন রোগী ভর্তি, কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কয়েকজন স্টাফ পাওয়া গেছে। ম্যানেজমেন্টের লোকজন তাদের মুঠোফোন বন্ধ রেখে পালিয়ে গেছে।
নিউ পদ্মা এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তব্যরত ডা. নাভিদ তানজিম জানান, রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হসেন্টার থেকে বরে হতে সাহায্য করা হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।