শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

কালিয়াকৈরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধ :
শনিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক  কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, লিয়াম মাহমুদকে আহ্বায়ক, শাকিল হুসাইন, শাহিদুল ইসলাম, রাকিব হুসাইন মৃধা, ফাজলে রাব্বি তন্ময় ও সজল দেওয়ানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ, সাইদুর রহমান সোহেল, মিলন আহম্মেদ,  সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

কালীগঞ্জে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী খুন, ঘাতক আটক

পরকীয়া প্রেমের জের

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বালীগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার বিকেলে থানায় মামলা। ঘাতক স্বামী আটক। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্ঠায় হত্যাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালাচ্ছে একটি মহল।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলার বীর হাটাব গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে মো. মাহফুজ হোসেন (৩০) কালীগঞ্জ উপজেলার বালীগাঁও গ্রামের মিলন মিয়ার মেয়ে মুক্তা বেগমকে (২৮) এক যুগ আগে ভালবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে মাহফুজ শ্বশুর বাড়ীতে বসবাস করতো। বর্তমানে তাদের সংসারে মিম (১১) নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিগত ৩ বছর যাবৎ একটি পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে স্বামী মাহফুজ স্ত্রী মুক্তাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতো। তারই ধারাবাহিতকায় গত শুক্রবার রাত ১১টায় শারীরিক নির্যাতন করে। পরে বিষয়টি পারিবারিকভাবে মিমাংশা হয়। কিন্তু শনিবার ভোর রাতে মাহফুজ মুক্তাকে সুপরিকল্পতভাবে হত্যা করে। পরে হত্যাকে ভিন্নক্ষাতে প্রবাহিত করা জন্য মুক্তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে এবং পরে এটাকে মাহফুজ আত্মহত্যা বলে প্রচার করে।
এ ব্যাপারে নিহেতর বড় ভাই মো. আলামিন মিয়া বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১৫)। ঘটনার পর পরই হত্যার সাথে জড়িত ঘাতক খুনি স্বামী মাহফুজকে পুলিশ আটক করেন।
থানার এসআই ফরিদ উদ্দিন প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে জানান, লাশের উভয় হাত, বাম পা, ডান পাঁজর ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর জেলার শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো, মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

টঙ্গীতে সন্ত্রাসী ফালানের সহযোগী রহীম গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : বৃহস্পতিবার দুপুরে টঙ্গীর কো-অপারেটিভ ব্যাংকের মাঠ বস্তি এলাকা থেকে টঙ্গীর কুখ্যাত খুনি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী গাঢু জামালের সেকেন্ড ইন কমান্ড ইকবাল হোসেন ওরফে খুনি ফালানের সহযোগী ৩ টি হত্যা মামলার পলাতক আসামী আঃ রহীম (২৭)কে টঙ্গী মডেল থানার এসআই মোস্তাফিজসহ একদল পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানা যায়, গতকাল দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টঙ্গী মডেল থানার এসআই এসআই মোস্তাফিজসহ একদল পুলিশ টঙ্গীর কো-অপারেটিভ ব্যাংকের মাঠ বস্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। টঙ্গী মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে। বিষয়টি টঙ্গী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী ও এস আই মোস্তাফিজ নিশ্চিত করেছেন।

কাপাসিয়ায় ব্যাংক ডাকতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার-৩

কাপাসিয়া ব্যুরো চীফ : গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক খিরাটী বাজার শাখায় ডাকাতির ঘটনায় ২৫ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ২ জন এবং বুধবার সন্ধ্যায় একজনকে সন্দেহ ভাজন হিসাবে গ্রেফতার করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে পাশর্^বর্তী মনোহরদী উপজেলার চাঁন মিয়ার পুত্র রুবেল মৃধা (২৮), খিরাটী বড়বাড়ি গ্রামের কফিল উদ্দিনের পুত্র সোহরাব (২৬) এবং একই গ্রামের আঃ কবিরের পুত্র মোঃ লতিফ (৩৫)।
পুলিশ জানায়, রুবেল ব্যাংক ভবনের নিচ তালায় অবস্থিত ইস্পাহানী চা কোম্পানী ডিপোর ভ্যান চালক ছিল। গত ৩/৪ দিন পূর্বে সে কোম্পানীর চাকুরি ছেড়ে চলে যায়। উল্লেখ, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার খিরাটী বাজারে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। একই ভবনে অবস্থিত সাবেক এমপি মোঃ ছানাউল্লাহ’র বাড়ি ও বেসরকারী ইস্পাহানী চা কোম্পানীর বিক্রয় ডিপো অফিসে ডাকাতি সংঘটিত হয়। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, ডাকাতিতে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

কাপাসিয়ায় ফের এক রাতে ৩ গ্রামের ১০ বাড়িতে গণডাকাতি নগদ টাকাসহ ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট, আহত- ৮

কাপাসিয়া ব্যুরো চীফ : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের কেন্দুয়াব, উলুসারা ও টোক নগর গ্রামে এক রাতে ১০ বাড়িতে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গবদ্ধ মূখোশধারী ডাকাতরা গ্রামের নিরিহ কৃষকের বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল সেট ও মূল্যবান জিনিসপত্র সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিলে মহিলাসহ ৮ গৃহকর্তাকে এলোপাথারী পিটিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত করেছে। গুরুতর আহত হালিমাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার কেন্দুয়াব গ্রামে ২৪ জুন বুধবার গভীর রাতে ২০/২৫ জনের মূখোশধারী ডাকাত দলটি হাজী গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় ডাকাত দল ঘরের দরজা ভেঙ্গে বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে নগদ ১ লাখ টাকা, ৩ টি মোবাইল সেট ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। ডাকাতের অস্ত্রের আঘাতে গৃহকর্তাসহ তার পুত্র সালাউদ্দিন ও অপর পুত্রবধূ প্রবাসী ইয়াকুব হোসেনের স্ত্রী হালিমা খাতুন (৪৫)  মারাত্বক ভাবে আহত হয়। পরে একই গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের পুত্র কৃষক আব্দুল কাদেরের (৫০) বাড়িতে একই কায়দায় প্রবেশ করে নগদ ১ হাজার টাকা সহ একটি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। আরেক ভাই ওসমান আলীর (৪৫) বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ ২ হাজার টাকা ও ২ টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়। তার আরেক ছোট ভাই মকবুল হোসেনের (৪০) বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ ১ হাজার টাকা ও ১ টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
এদিকে টোক ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন জানান, উলুসারা গ্রামের রমজান আলীর ৩ পুত্র শাজাহান ও চাঁন মিয়া ওরফে চানু ও সুলতানের বাড়িতে হানা দিয়ে নগদ ৩ হাজার টাকা, মোবাইল সেট ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। টোক নগর গ্রামের প্রবাসী আলফাজ উদ্দিনের বাড়িতে হানা দিয়ে ডাকাতরা ৪ ভরি স্বার্ণালংকার, ১ টি রঙ্গিন টেলিভিশন, ২ টি মোবাইল সেট ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। একই গ্রামের বাবু’র পুত্র প্রবাসী মোকলেছের বাড়িতে হানা দিয়ে ডাকাতরা নগদ ২০ হাজার টাকা. ২ টি মোবাইল সেট ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। একই গ্রামের সেকান্দার আলীর পুত্র আজিজুলের বাড়িতে হানা দিয়ে ডাকাতরা ৮ হাজার টাকা, ৩ টি মোবাইল সেট ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনার ব্যাপারে টোক বাজার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই সবুজ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেছেন।  উল্লেখ, সম্প্রতি কাপাসিয়ার সর্বত্র চুরি, ডাকাতি সহ নানা অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। গত সোমবার গভীর রাতে তারাগঞ্জ বাজারে, মঙ্গলবার রাতে কৃষি ব্যাংকের খিরাটি শাখায় এবং বুধবার গভীর রাতে এক ইউনিয়নের ৩ গ্রামের ১০ বাড়িতে গণডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

গাজীপুরে ক্লিনিক ও মিষ্টির দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ঃ ১ লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুরের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ রেবেকা সুলতানা বৃহস্পতিবার শহরের শিববাড়ী এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ওই এলাকার ‘হলি ল্যাব মেডিকেল সেন্টার’ কে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫২ ধারা অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকার ‘টাঙ্গাইল সুইট মিটস’ এর কারখানায় প্রচুর পরিমাণ খাওয়ার অযোগ্য মিষ্টি থাকায় কারখানা মালিককে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৩ ধারা অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং প্রায় ৫০-৬০ কেজি মিষ্টি ধ্বংশ করা হয়। এ সময় প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডাঃ আতিকুর রহমান এবং জেলা মর্কেটিং অফিসার মুহাম্মদ আবদুছ ছালাম। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেন জানান, জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচা
লিত হবে।

নৌ চলাচল বন্ধ! প্রশাসন নীরব!! কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ব্যাপক চাঁদাবাজীর অভিযোগ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদীতে ব্যাপক চাঁদাবাজীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই ঘন্টা নৌ চলাচল বন্ধ। প্রশাসনের নীরব ভূমিকা।
জানা যায়, উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ের কালীগঞ্জ বাজার গুদারা ঘাট, ভাদার্ত্তী, সোমবাজার, সোম বঙ্গবন্ধু বাজার ও প্রজেক্ট এলাকায় নদী পথে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে নৌকা, ট্রলার ও জাহাজ যাওয়ার সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা নৌকা নিয়ে তাদের গতিরোধ করে। তারা নৌযান থামাকে না চাইলে অশালীন ভাষায় গালমন্দ ও ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে নৌযানের গতিরোধ করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক মালামাল নিয়ে যায়।
গতকাল রবিবার সকালে বাজার গুদারা ঘাটে থাকা একটি নৌকা জোর পূর্বক নিয়ে চাঁদাবাজী করতে নামে। তাতে রাজী না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা নৌকার মালিককে মারধোর করে। এবং সকল নৌকা মালিকগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে অনিদিষ্ট কালের জন্য নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেন। প্রায় ৩ঘন্টা বন্ধ থাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পার্শ্বে শত শত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, শ্রমিক, দিন মজুর, চাকুরীজীবি ও সাধারণ মানুষ আটকা পরে। পরে ইজারাদার মো. ইসমাইল হোসেন সন্ত্রাসীদের সাথে কথা বলে নৌকা মালিকদের হয়রানী ও চাঁদা বাজী বন্ধের আশ্বাস দিলে নৌকা মালিকগণ লোকজন পাড়াপাড় শুরু করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নৌকার মালিক জানান, সন্ত্রাসী আশিক, খোফা শাহিন, স্বজল, নাঈম, হƒদয়, নেয়ামুল, ছানাউল্লাহ, বাবুল ও বজলু জোর পূর্বক আমাদের নৌকা নিয়ে গভীর রাত্র থেকে শীতলক্ষা নদীতে মালামাল ভর্তি নৌকা থামিয়ে চলে ব্যাপক চাঁদাবাজী করে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে থাকলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। নদী পথে চাঁদাবাজী বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করছে নৌকা মালিকগণ।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে প্রতিবেদক বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কি নৌকা নিয়ে নদীতে বসে থাকব? আপনারা চাঁদাবাজদের ধরে ধানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ লাম আজাদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

ছিন্তাই কারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের কাইঞ্জানুল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আব্বাছ আলীর উপর অতর্কিত হামলা করেন  একই গ্রামের মোঃ সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম রানা
সূত্রে যানাযায়,গত ১৮/৬/২০১৫ ইং বৃহঃপতি বার বেলা ১১টার সময় কাইঞ্জানুলস্থ আফতাব কোম্পানির মালামাল নামানোর সময় লড়ীর ড্রাইভারদের কাইঞ্জানুল মক্কা মসজিদ সংলগ্ন হাবিব হিজরির বাগান বাড়িতে উক্ত শফিকুল ইসলাম রানা ও তার সহযোগি ২/৪ জন লড়ীর ড্রাইভারদের জোড় পূর্বক আটক করে এলোপাথারি মারধোর করে ১৬০০০টাকাসহ ৪টি মোবাইল সেট নিয়া নেয়।
এলাকাবাসি জানান, উক্তঘটনার প্রতিবাদে গত ১৯/৬/২০১৫ ইং শুক্রবার বেলা অনুমান ১১:৪৫ ঘটিকার সময় এরাকার বিশিষ্ট ব্যকিত্বর্গের মাধ্যমে গ্রাম্য বিচার শালিসের আয়োজন করা হয়। এ সময় মোঃ শফিকুল ইসলাম রানা ও তার সহযোগী শামসুল হক, শাহাজ উদ্দিন, এমদাদুল হক। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ আব্বাছ আলী ও তার ভাতিজা মোঃ আনোয়ার হোসেন এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে।
আরো জানা যায়, মোঃ শফিকুল ইসলাম রানা কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের একজন সদস্য। তিনি সুনামধন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এর নাম ভাঙ্গিয়ে চাদাবাজি সহ বিভিন্ন অন্যায় কাজে লিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান সে ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন কিন্তু এখন তাকে আমরা আর কোনো সাংগঠনিক কাজে পাইনা। এ বিষয়ে সাবেক বৃহত্তর  মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নসাধারণ সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম শফি’র সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি উক্ত বিষয় সম্পর্কে শুনেছি। তিনি শফিকুল ইসলাম রানাকে উল্লেখ করে আরো বলেন তার চলাফেরায় একটু এলোমেলো আছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ্ব মোঃ আব্বাছ আলী এর বিচার দাবী করে জয়দেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।  

কালীগঞ্জে সহকর্মীকে উত্ত্যক্ত করায় যুবক শ্রীঘরে

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে একটি কারখানায় পুরুষ কর্মী দারা ওই কারখানার এক মহিলা কর্মীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ওই নারী কর্মীর অভিযোগ এবং ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখে উত্ত্যক্তকারী পুরুষ কর্মীকে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় পৌরসভার মূলগাঁও এলাকার প্রাণ-আরএফএল ইন্ড্রাস্টিয়াল পার্কে এ ঘটনা ঘটে।
 কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হোসেন জানান, ওই কারখার পুরুষ সহকর্মী মমিনুল ইসলাম (২৭) একই কারখানার এক মহিলা কর্মী (২২) কে উত্ত্যক্তের ঘটনায় প্রথমে ওই নারী কর্মী কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে। কর্তৃপক্ষ তার অভিযোগ ও কারখানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মমিনুলকে উত্ত্যক্তকারী হিসেবে চিহ্নিত করে। বিষয়টি কারখানা কর্তৃপক্ষ কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামানকে অবগত করে। পরে তিনি তার পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দন্ডবিধি ৫০৯ ধারা মোতাবেক উত্ত্যক্তকারী ওই যুবকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। সে নওগাঁ সদর উপজেলার মো. নাজিম উদ্দিনের ছেলে।

ছাত্রলীগ নেতাকে হুমকির প্রতিবাদে গাজীপুরে মানবন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমকে আসারুল্লাহ্ বাংলা টিম-১৩ কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানব বন্ধন করছেন- গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগ। এতে মহানগর ছাত্রলীগের  সভাপতি মোঃ মাসুদ রানা এরশাদ এর নেতৃত্বে, মানব  বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২১ শে জুন দুপুরে গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগ অফিস কার্যালয় এর সামনে মানব বন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- মোঃ মঈনুল হোসেন মোল্লা (মঈন), মোঃ হামিদুল ইসলাম (হামিদ), মোঃ জুয়েল রানা, মোঃ রবিন হোসেন, মোঃ রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগ, আরও উপস্থিত ছিলেন- মোঃ তুহিন রহমান ফাহিম, সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি, মোঃ মেহেদী হাসান কানন মোল্লা, সভাপতি, টঙ্গী থানা ছাত্রলীগ, মোঃ কাজী সাকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মোঃ ইমরান সরকার বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ স্বপন মন্ডল, সহ-সম্পাদক, মহানগর ছাত্রলীগ, মোঃ মারিফ দর্জি, সাধারণ সম্পাদক, সাজেদুল ইসলাম সাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক, কাজী আজিমুদ্দিন কলেজ, শাখা ছাত্রলীগ, মহানগর ছাত্রলীগ সদস্য, তামিম আল মারুফ শ্রাবণ, ভাওয়াল কলেজ ছাত্র নেতা-মোঃ সবুজ । মানব  বন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের , ডুয়েট ছাত্রলীগ, ভাওয়াল কলেজ ছাত্রলীগ, কাজী আজিমুদ্দিন কলেজ ছাত্রলীগ, টঙ্গী থানা ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন ওয়ার্ড ভিত্তিক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

কালীগঞ্জে ছিনতাইকারী রুবেল গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার : কালীগঞ্জউপজেলার জামারপুর ইউনিয়নের নারগানা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে রুবেলকে  গত শুক্রকাল বার সন্ধায় জামালপুর বাজার থেকে ছিনতাই প্রস্তুত কালে পুলিশের এস আই আব্দুল আজিজের নেতৃতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। স্থানীয সূত্রে জানা যায় রুবেলের বিরুব্দে এলাকায় একাদিক মটর সাইকেল বাইসাইকেল ছিনতাই ও সর্ব প্রকার মাধক বেছা কেনার  অভিযোগ রইয়েছে। নারগানার বাজার গোদারা ঘাট দিয়ে, রাতের আঁধারে সকল প্রকার মধক রুবেলের হাত হইয়ে জামালপুর,সাওরাইদ,মুক্তারপুর,দোলন বাজার,বাহাদুশাদী,এসব এলাকা নিরবিগ্নে পাছার হয়।এলাকা বাসীরা বলেন আলাউদ্দিনের ছেলে রুবেল গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার হিন্দু সমাজ ও সাধারন মানুষের মাঝে শান্তির প্রদিপ এবং সস্তি ফিরে এসেছে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার এস আই আব্দল আজিজের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘঠনার সত্যতা শিকার করে তিনি বলেন রুবেল এক জন কুখ্যাৎ ছিনতাইকারী তার বিরূব্ধে থানায় একদিক ছিনতাইয়ের অভিযোগ রইয়েছে।

গাজীপুর সড়ক ও জনপদ ঠিকাদারদের অবরোধ কর্মসূচী

মোঃ ইমন খান : রক্ষনাবেক্ষণ খাতসহ ঠিকাদারদের সকল পাওনা বিল পরিশোধ কর, রক্ষনাবেক্ষণ খাতে বিল পরিশোধের উপর পি.পি.আর বহির্ভূত মন্ত্রণালয় থেকে অরোপিত কালো শর্ত বাতিল কর, সকল খাতের দরপত্র ৫০% ই-জিপি এবং ৫০% ও টি এম/ এল টি এম পদ্ধতিতে আহবান কর। এই স্লোগান গুলো ছিল গাজীপুর সড়ক ও জনপদ ঠিকাদারদের অবরোধ কমসূচীর অংশ। গত ২১ শে জুন, সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে গাজীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ এর প্রধান ফটকে ঠিকাদারদের অবরোধ কর্মসূচী। গাজীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার শেখ অফিস বন্ধ করে চলে যাচ্ছেন। তার কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান- অবরোধ কর্মসূচীর কারণে আমাদের সকল সেকশনের কাজ বন্ধ। গাজীপুর সড়ক ও জনপদ ঠিকাদারদের বকেয়া দাবী আদায়ে  তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, তারা বলেন- যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবী আদায় না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা অবরোধ কর্মসূচী চালিয়ে যাব। অবরোধ কর্মসূচীর নেতৃত্বে ছিলেন- আলহাজ্ব মোঃ ফাইজুদ্দিন, আলহাজ্ব আঃ মজিদ বিএসসি, মোঃ আফজাল হোসেন সরকার রিপন, মোঃ মফিজ উদ্দিন, মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ মজিবুর রহমান, মোঃ সামসুল আলম, মোঃ তাজউদ্দিন প্রমুখ।

কালীগঞ্জে জমিকে দখলকে কেন্দ্র করে গুরুতর আহত-১

স্টাফ রিপোর্টার : কালীগঞ্জ উপজেলার  ভরগাঁও গ্রামে গত শুক্র বার সন্ধায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে পতি পক্ষের  হামলায়এক জন গুরুতর আহত  খবর পাওয়া যায়। খোজ নিয়ে জানাযায় উপজেলার ভরগাঁও গ্রামে পতিপক্ষ মোঃ লুৎফুর রহমান(৩৫) পিতা মোঃ আদম আলী গং এর লোকেরা মোঃ মেজবাউদ্দিনের ছেলে আবদুর রহমানকে লোহার রর্ড দিয়ে এলোপাতারী ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।  আব্দুর রহমানের মাথায় ও চোখে গুরুতর জখম হওয়ায়। তাকে প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স-এ ভর্তি করা হয়। পরে আব্দুর রহমানের অবস্তা সংকটা পন্য হওয়ায় কর্তব্য রত ডাক্তার তাকে ঢাক মেডিক্যাল হাসপালে পাটিয়েছেন। এব্যাপারে আব্দুর রহমানের স্ত্রী কালীগঞ্জ থানায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে মুখিক ভাবে একটি অভিযোগ করেছেন।

শ্রীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগের ঠিকাদার সাংবাদিক

এম,এ কাশেম : গাজীপুরে শ্রীপুরে সাংবাদিকের সহায়তায় চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের কাজ ।শ্রীপুরে উপজেলার জৈনা বাজার এলাকার সড়কের দুই পাশের মহল্লা জুড়ে চলছে প্রতিযোগিতামুলকভাবে অবৈধ গ্যাস এর সংযোগ।তেলিহাতি ,ধনুয়া ,ইউনিয়নের ১০/১৫ গ্রামে নিম্ন মানের পাইপ দিয়া প্রায় ৫০ হাজার ফুট গ্যাস লাইন স্হাপনের কাজ করে যাচ্ছেন জৈনক শ্রীপুরের ভোরের সময়ের সাংবাদিক পরিচয়দানকারী সিদ্দিক,নবরাজ এর শ্রীপুর প্রতিনিধি এমদাদ আহমদ ও সাংবাদিক বিপ্লব সহ একাদিক সাংবাদিকের ইশারায় ও তিতাসের যোগসাজেশ এসব হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেন।সরেজমিনে গিয়া দেখা যায় ভিন্ন্ চিত্র  তেলিহাতি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দিনের সুযোগ্য সন্তান মাসুম মিয়া এলাকায় বীর দর্পে রাতের অন্ধকারে শত শত বাড়ি গ্যাস সংযোগ অব্যহত রাখেন এবং হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা  ,মাসুম মিয়া জানান আমি একা কাজ করি  না আপনাদের মত কিছু বাদিকের নিয়া কাজ করি,আমরা প্রতি রাইজারের জন্য গ্রাহকের সাথে কণ্ঠাক করি ৬০ হাজার টাকা হিসাবে এবং সাংবাদিকদের কে প্রতি রাইজার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দিয়া থাকি। কিন্তু সাংবাদিকেরা তিতাসের অনুমোদিত পাইপ না দিয়া অনুনত পাইপ দেওয়ার কারনে দুর্ঘটনার হবে বলে আশা করা হচ্ছে ,কারন নিম্ন মানের পাইপের কারনে দুর্ঘটনার ঝুকি আছে বলে জানান ।আমাদের এলাকায় প্রায় এক হাজার বাড়িতে গ্যাস লাইনে বিশ,ত্রিশ হাজার ফুট নিম্ন মানের পাইপ স্হাপনের কাজ করেন সাংবাদিকেরা পাইপ গুলো নিম্ন মানের হওয়া সবাই আতঙ্কের  আছেন কারন গ্যাসের যে পরিমাণ গতিবেগ তাহা এসব নিম্ন মানের পাইপের কারনে গ্রাহকদের মাঝে বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কা বিরাজ করছেন । নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান আবদার পাড়া ,ঢালি পাড়া ,আব্দুল আউয়াল ডিগ্রী কলেজের মোড়,সিয়াল্ল্যা পারাসহ একাধিক মহল্লায় নবরাজের শ্রীপুরের প্রতিনিধির এমদাদ নিজেই এই এলাকার তিতাসের ঠিকাদার  হিসাবে পরিচয় দিয়া গ্যাস সংযোগ দেন ।এ ব্যপারে সাংবাদিকেরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এমদাদের পালিত কিছু সন্ত্রাসীরা ভোরের সময় শ্রীপুর প্রতিনিধি এনামুল হক কে হুমকি অব্যহত রাখেন এবং পরবর্তীতে তার নামে মিথ্যা মামলা রেকড করেন ।বাকি সব এলাকায় সাংবাদিক বিপ্লব,সিদ্দিক,সাগর নামে তিন সাংবাদিক ধনুয়া ইউনিয়নের ,নগর পাড়া,হাওলা পারা,তরমুজ পারা,মাদ্রাসা এলাকা,বরছালা,আনসার রোড নতুন বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় নিম্ন মানের পাইপ ব্যবহার করে প্রায় এক লক্ষ ফুট মত গাসের পাইপে স্হাপন করে ২০০০ হাজার বাসা  বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদান করেন । কিন্তু  তিতাসের ভুমিকা ছিল রহস্য জনক ,এ ব্যপারে তিতাসের ভালুকা অফিসের প্রধান কর্তাব্যক্তির  সাথে আলাপকালে মসিউর রাহমান জানান কিছু সাংবাদিক ও রাজিৈন্তক নেতারা এসব অব্ধৈ গ্যাস সংযোগে সাথে সরাসরি জড়িত, আমরা শ্রীপুরের উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বিষয়টি অবগত করছি,তিনি আমদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্তা করে দিবেন বলে আশ্বাস প্রদান  করেন ।এবং  উপরের মহলের নির্দেশ পেলে আমরা ব্যবস্হা নিব এবং আবাসিক অবৈধ গ্যাস লাইনের বিরুদ্ধে  অভিযান অব্যহত আছেন বলে জানান। অন্য দিকে শ্রীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সাদেকুর রাহমান জানান আমাকে অব্ধৈ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে কেউ অবগত করেনি যদি তিতাস গ্যাস এর কেউ আমকে অবগত করেন তাহলে আমি সরকারী সম্পদ রক্ষার জন্য চেষ্টা করব তিনি আর ও জানান আমি বিষয়টি শ্রীপুরে থানার অফিসার ইনচাজ কে অবহিত  করবেন বলে জানান  । গ্রাহক পক্ষ দাবি করেন তারা সাংবাদিকদের নিকট টাকা নিয়া গ্যাস সংযোগে সাহায্য করে যাচ্ছেন ,তিতাস অফিসের ৪-৫ কিলোমিটারের কাছাকাছি দিনে রাত্রে প্রকাশ্য অবৈধ গ্যাস সংযোগের কাজ করে গেলেও  তিতাসের নীরবতায় প্রমান করেন তারাই অবৈধ গ্যাস সংযোগের কাজে সরাসরি জড়িত ।এভাবেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ আব্যহত থাকলে শিল্প কারখানা বন্ধের উপক্রম হবে বলে শিল্প মালিকেরা জানান। গাজীপুরের শ্রীপুরে বর্তমানে শতাধিক কারখানা আছেন এসব কারখানায় প্রতিদিন যে পরিমান গ্যাস দরকার সেই পরিমান শিল্প লাইনে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান  কারন গ্যাস উৎপাদন কম থাকার কারনে কারখানা গুলেতে গ্যাস সঙ্কট দেখা দিয়েছেন। এভাবেই আবাসিক সংযোগ বৃদ্ধির  কারনে এক সময় শিল্প লাইনে গাসের সংকট দেখা দিবে বলে একাধিক শিল্প কারখানার মালিকেরা জানান

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরে লেগুনা-কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সালনা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ  দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।  তার নাম মনিরুল ইসলাম (৩০)। তিনি সালনা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। আহতরা হলেন-গাজীপুর সদর উপজেলার বাগলবাড়ি এলাকার জিয়াউর রহমান (৩৫), ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রীরকুমারখালি এলাকার মো. মামুন (৩০) ও লেগুনাচালক গাজীপুর শ্রীপুরে ভাওয়াল রাজাবাড়ি এলাকার রুবেল (২০)। তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ ও আহত সূত্রে জানা গেছে, জয়দেবপুর চৌরাস্তাগামী একটি লেগুনার চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সালনা এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ড ভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে পাঁচ লেগুনা যাত্রী আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। নাওজোড়  হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাহার আলাম খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকায় একটি ট্রাকের চাকা খুলে ওই মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।কোনাবাড়ি  হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. আবু দাউদ জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কোনাবাড়ি এলাকায় একটি ট্রাকের চাকা খুলে যায়। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে রেকার এনে ট্রাকটি সরিয়ে নিলে প্রায় আধাঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গাজীপুরে গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত

 মোঃ ইমন খান : গাজীপুর, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তেলিপাড়া এলাকায় চলন্ত বাসের ধাক্কায় গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে। গত ১৫ই জুন আনুমানিক সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে এই মর্মান্তিক র্দূঘটনা ঘটে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে নিহত ডলি বেগম, গাজীপুর চান্দনা চান্দনা চৌরাস্তায় বটম গ্যালারী গার্মেন্টস লিঃ এর সুয়িং অপারেটর, তার কার্ড নং- ১০৩৬৬ এবং ৬ষ্ট তলায় ৫নং লাইনে কাজ করেন- তার বয়স প্রায় ২৬ বছর। তার গ্রামের বাড়ী পটুয়াখালী গলাচিপা থানায়। সে গত ৩রা জানুয়ারী ১৫ইং সালে এই গার্মেন্টসে যোগদানের মাধ্যমে “বটম গ্যালারী প্রাঃ লিঃ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন” এর সদস্য হন। তার মৃত্যুতে বটম গ্যালারী গার্মেন্টস ও বটম গ্যালারী প্রাঃ লিঃ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন গভীর শোক প্রকাশ করেন। তার মৃত্যুতে আগামী ১৯ শে জুন বাদ যোহুর বটম গ্যালারী প্রাঃ লিঃ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এর উদ্দ্যেগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বটম গ্যালারী প্রাঃ লিঃ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এর সভাপতি- মোঃ কবির আহমেদ মন্ডল বলেন- নিহত ডলির মৃত্যুতে আমরা শোকাহত, মর্মাহত তার বিদীহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি ও তার শোক সক্রান্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি এবং আমাদের বটম গ্যালারী প্রাঃ লিঃ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে যত রকমের সাহায্য সহযোগিতা আছে তা আমরা করে যাব।  তিনি আরও বলেন- পরিবহন ড্রাইভাররা যদি সতর্কতার সহিত গাড়ী চালান, তাহলে এমন মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটবে না, আর অকালে ডলির মতো কেউ প্রাণ হারাবে না।

কালিয়াকৈরে অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন


কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সুত্রাপুর-কাঠালতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে অবৈধ গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
টাঙ্গাইল জোনাল অফিস ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলার সুত্রাপুর বোর্ডঘর এলাকা থেকে শুরু করে কাঠালতলী এলাকায় তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে তিতাস গ্যাসের টাঙ্গাইল জোনের সহকারী আঞ্চলিক পরিচালক বরুন সাহার নেতৃত্বে কর্মকর্তা,কর্মচারীরা অভিযান চালিয়ে শতাধিক চুলার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ক্ষোভের সাথে বলেন, গ্যাস অফিসের লোকদের সহযোগীতায় কতো অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়েছে তার হিসাব কে দিবে ?  এই অফিসারদের সাথে যোগাযোগ করে বর্তমানেও সুত্রাপুর সাহা পাড়া এলাকায় অবৈধ সংযোগের কাজ চলছে।

কালিয়াকৈরে কলেজ ছাত্র ধর্ষন করেছে প্রতিবন্ধীসহ ৩ শিশুকে !

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কুশলনাথ এলাকায় এক লম্পট কলেজ ছাত্র কর্তৃক প্রতিবন্ধীসহ ৩ শিশু একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে শিশুদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।
বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণের শিকার শিশুদের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী ও একজন স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী এবং অপরজন একই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য ৩ শিশুর পরিবারকে থানায় যেতে দেয়া হচ্ছেনা বলে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা দাবী করেছেন।
এলাকাবাসী ও ধর্ষিতা শিশুরা জানিয়েছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কুশলনাথ গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের লম্পট পুত্র নাইম হোসেন (১৯) ওই ৩ শিশুকে মোবাইলে গান দেখানোর কথা বলে কাছে ডেকে নেয়। পরে তাদেরকে মোবাইলে অশ্লিল ছবি দেখিয়ে উৎসাহ দিয়ে ও চকলেট খাবারের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে, ঘটনাটি কাউকে বললে শিশুদের বাবা মাকে জানিয়ে দিবে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশের সবার কাছে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। এভাবে পর্যায়ক্রমে এক মাস যাবৎ ধষর্ণ করে আসছে শিশুদের। ধর্ষণের ফলে গত বৃহস্পতিবার ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রীটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী শিশুর মা দাবী করেছেন, স্থানীয় মাতাব্বরা বিচারের দায়িত্ব নিয়েছেন। দরিদ্র ও অসহায়তার কারণে তারা এখন সঠিক বিচার পাবে কি না এনিয়ে দ্বিধা দ্বন্ধে রয়েছেন।  
এ ব্যাপারে ধর্ষক নাইমের বড়বোন নাজমিন আক্তার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, “৩ জনই ছোট্ট শিশু, বিভিন্ন সময় মোবাইলে গেম খেলেছে দেখেছি। নাইম  গাজীপুরের ভাওয়াল মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র। তার দ্বারা এধরণের কাজ অসম্ভব”।
স্থানীয় মাতাব্বর মোঃ আব্বাস আলী সিকদার জানান, বিষয়টি লজ্জাকর ও দুঃখজনক।
স্থানীয় কুশনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বিউটি আক্তার জানান, ওরা অবুঝ শিশু ওদের ৩ জনকে পৃথকভাবে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করায় প্রত্যেকেই ধর্ষিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
কালিয়াকৈর থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার যানজট ঃ দূর্ভোগে যাত্রীরা

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহা সড়কে কালিয়াকৈর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৪টা থেকে শুরু হওয়া দুপুর দেড়টা পর্যন্ত যানজটে আটকে থাকা শত শত যানবাহনের হাজারো যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। ।
হাইওয়ে পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবহন সুত্র জানায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর এলাকায় মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে মালবাহী একটি ট্রাকের চাকা পাংচার হয়ে রাস্তার থেমে গেলে উভয় পার্শ্বে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ট্রাকটি সড়িয়ে নিলে মহাসড়কে থেমে থেমে যানচলাচল শুরু হয়। এদিকে সকালে বাইমাইল নামক এলাকায় আবর্জনাবাহী গাড়ী মহাসড়কে এলোপাথারী ভাবে রাখার কারণে ওই এলাকায় পুনরায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তার উভয় পাশে কালিয়াকৈর উপজেলার হিজলতলী ব্রীজ থেকে  গাজীপুর মহানগরের চৌরাস্তা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় শত শত যানবাহন আটকে পরে। এতে সাধারণ যাত্রী সহ বিশেষ করে নারী ও শিশুরা চরম দূর্ভোগের শিকার হন। চন্দ্রা এলাকার মোটর পার্টস ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, ভোর ৪টা সময় কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড হতে চন্দ্রা আসার পথে  দীর্ঘ যানযটে পরে বাধ্য হয়ে সিএনজি ভাড়া নিয়ে মাত্র ৪কিলোমিটার রাস্তায় চন্দ্রা পৌছাতে দেড়ঘন্টা সময় লেগেছে। কোনাবাড়ি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু দাউদ বলেন, ৫দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারনে রাস্তার দু পাশের মাটি সড়ে যাওয়ায় ভারী যানবাহন সাইডে নামতে পারেনা। অপর দিকে আর্বজনাবাহী গাড়িগুলো বাইমাইল এলাকায় যানজট সৃষ্টি করে। আজও তাই হয়েছে আমরা চেষ্টা করে দুপুরের দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক করেছি। এরমধ্যে দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকা যাত্রীদের সমস্যা হয়েছে স্বিকার করে বলেন, যানজট নিরশন কল্পে আমাদের সদস্যরা সার্বিক চেষ্টা করছে।

কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন

কাইয়ূম সভাপতি, সৈকত সাধারণ সম্পাদক 

কাপাসিয়া ব্যুরো চীফ : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজীব ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক হিমেল খান স্বাক্ষরিত ১ বছর মেয়াদী কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি অনুমোদন প্রদান করেন। আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি এমপি’র পরামর্শক্রমে কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ১৫ জুন সোমবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের এক কর্মী সভা করেন। পরে ছাত্রলীগকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত করে কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি অনুমোদন করেন।
কমিটির নেতৃবৃন্দরা হলেন, সভাপতি- মোঃ আব্দুল কাইয়ূম ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি- কাউছার আলম রবিন, মোঃ মাহমুদুল হাসান মামুন, রুমান দাস, সহল বিন সাদিত পিয়ার, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হক সৈকত, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান সোহাগ, শুভ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফ হোসেন, আল-আমীন হোসেন অনিক সহ ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বাংলাভিশন ফাউন্ডেশন শান্তি পদক পেলেন কাপাসিয়ার দুই কৃতি সন্তান

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : বাংলা ভিশন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ১৪ জুন রোববার বিকালে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৫-১৬ ও জনগনের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও পদক প্রদান করা হয়েছে। কাপাসিয়ার রায়েদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই’কে সমাজ সেবায় ও গাজীপুর ক্যাডেট একাডেমির নির্বাহী পরিচালক ও নারী নেত্রী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী উম্মে কুলসুম শিল্পী’কে শিক্ষা ও সমাজ সেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘বাংলাভিশন শান্তি পদক’ প্রদান করা হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি হলরোমে অনুষ্ঠিত চলতি বাজেট আলোচনা ও বিভিন্ন অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে কে কে গ্রুপের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন বাবু’র সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এমপি।  বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের মহিলা আসনের এমপি আলহাজ্ব খোরশেদ আরা হক, পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহা-পরিচালক এম এ মতিন, আশা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আহসান হাবিব, নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবুল হাসেম, বাংলাভিশন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হাসান ইমরান, গাজীপুর ক্যাডেট একাডেমির নির্বাহী পরিচালক ও নারী নেত্রী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী উম্মে কুলসুম শিল্পী প্রমূখ। বাংলাদেশের  বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য ৭ জনকে বাংলাভিশন ফাউন্ডেশন শান্তি পদক প্রদান করা হয়েছে।

কালীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতে ১০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে ভেজাল বিরোধী অভিযানে ১০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে কালীগঞ্জ বাজারে এ অভিযান চালায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের নাজির মলয় কুমার বর্মন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে থানার এস আই মো. ফরিদ উদ্দিনের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৩৮ ও ৫৩ ধারা, পণ্যের পাটজাত দ্রব্য বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ এর ৪ এবং দন্ডবিধি ২৭০ ধারা মোতাবেক পৌর এলাকার হোটেল, বেকারী, ফার্মেসী, মুদি ও মিষ্টির দোকানে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থীত-৩, বিএনপি সমর্থীত-১ বিজয়ী

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদ নির্বাচন ১৫ জুন সোমবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ টি পদের বিপরীতে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন।   সকাল ৮টা থেকে ২ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহন হয়।
কাপাসিয়া উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদের ৩৩ জন নারী সদস্য  (মেম্বার) ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সংরক্ষিত ৪টি পদের জন্য ৮জন সদস্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। সংরক্ষিত- ১ আসন তরগাঁও, রায়েদ ও সিংহশ্রী এলাকায় প্রতিদ্বন্দিতা করে বালতি প্রতীকে শামসুন্নাহার বিজয়ী হন। সংরক্ষিত-২ আসন বারিষাব ও টোক এলাকায় হরিণ প্রতীকে নাজনীন নাহার বিজয়ী হয়েছেন। সংরক্ষিত-৩ আসন কড়িহাতা, সন্মানিয়া ও ঘাগটিয়া এলাকায় টেবিল প্রতীকে ফরিদা ইয়াসমীন বিজয়ী হয়েছেন। সংরক্ষিত-৪ আসন কাপাসিয়া, দূর্গাপুর ও চাদঁপুর এলাকায় মোরগ প্রতীকে কানিজ ফাতেমা রুহিতা বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এটিএম তৌহিদুজ্জামান। এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও তৎপরতা লক্ষ করা গেছে। সকাল থেকেই নিজ নিজ প্রার্থীদের পক্ষে বিপুল সংখ্যক সমর্থক প্রচারনায় ব্যস্ত ছিলেন।   নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় সমর্থীত ফরিদা ইয়াসমীন, শামসুন্নাহার ও কানিজ ফাতেমা রুহিতা এবং বিএনপি দলীয় সমর্থীত নাজনীন নাহার বিজয়ী হয়েছেন।

বিচার মানি তালগাছ আমার গাজীপুরের ভোগড়ায় হারেজের প্রতারণা

লিমা ইসলাম : গাজীপুর জেলার ভোগড়া এলাকার মৃত মোঃ খলিল উল্লার পুত্র অসহায় সফিজদ্দিন গংদের ৯০ নং ভোগড়া মৌজার, ৩৫ শতাংশ ভুমি আত্বসাৎ করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন। বিগত ২৩/৩/১৫ইং তারিখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ হেড কোয়ার্টার ও গাজীপুর পুলিশ সুপার বরাবর, লিখিত অভিযোগ দেন অসহায় সফিজদ্দিন। গাজীপুরের পুলিশ সুপার অভিযোগটি হস্তান্তর করেন সহকারী এসপি, মোহাম্মদ সুলাইমান সাহেবকে, তিনি দায়িত্ব ভার দেন, এস আই দেলোয়ার কে তিনি উভয় পক্ষকে গত ২০/৪/১৫ ইং তারিখে হাজির করেন । মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র মোঃ হারেজ গং এর পক্ষে আসেন, সাবেক মেম্বার মন্তাজউদ্দিন সহ আরো অনেকে। হারেজ এর পক্ষে সাবেক মেম্বার মন্তাজ উদ্দিন, গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে শেষ করার আবেদন জানান এবং উভয় পক্ষের উপ¯ি’িততে, এস আই দেলোয়ার আপোষ নিষ্পত্তির জন্য দিয়ে দেন গ্রামে। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে পর পর দুই বার বসলেও কোন সুড়াহা হয়নি। পরে বিষয়টি সহকারী এসপি নিজে উভয় পক্ষকে আবারও সময় দেন এবং বিবাদীকে বলেন নিষ্পত্তি না পর্যন্ত সম্পুর্ন কাজ বন্ধ রাখার জন্য। গত ১১/৬/১৫ইং তারিখে লিখিতভাবে আপোষ মিমাংসার জন্য বসেন উভয় পক্ষ। ৩টি দাগের ভোগড়া মৌজার দুটি দাগের মিমাংসা হয়।  শালিস করেন এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা। অসহায় সফিজউদ্দিন এর পক্ষে ছিলেন আইনজীবি এড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, এড. মোঃ বি.এম.নাজিবুল হক শাহিন, সহকারী আইনজীবি মোঃ হাবিব, সাংবাদিক রুবেল সরকার, মাহাবুবুর রহমান আকাশ, মোকশেদা ইসলাম লিমা। চালাক চতুর হারেজ গং এর পক্ষে ছিলেন এড. শরফউদ্দিন, এড. আজহারুল ইসলাম কাজল, মোঃ ইসমাইল, মনির হোসেন, সাবেক মেম্বার মন্তাজ আলী সহ আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেম্বার আতাউর রহমান, হাজ্বী রফিজ উদ্দিন। দীর্ঘদিন যাবৎ তিন দাগের দুই মৌজার জমি নিয়া বিরোধ চলছিল। গ্রাম্য শালিসে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ভোগড়া মৌজার ৪২০ দাগের ৭০ শতাংশ ৪২৪ দাগে.৫৩ শতাংশ, ৪৪ দাগে.৮২ শতাংশ, এই জমির মিমাংসা করা হয়। আদেপাশা মৌজার একটি দাগের ৮২ শতাংশ মিমাংসার বাকি আছে। ভোগড়া মৌজার ৪২০ দাগের ৭০ শতাংশ, জমির ফয়সালা করা হয়। সফিজউদ্দিন গংদের  ৩৫ শতাংশ জমি। হারেজ গং এর ৩৫ শতাংশ জমি। ১১-৬-১৫ ইং তারিখ বিকাল ৪.ঘটিকা হইতে-রাত ৯.০০ ঘটিকার সময়, উভয়পক্ষের মধ্যে মিমাংসা করা হয়। গত ১৩-৬-১৫ ইং তারিখ রোজ শনিবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় ৩৫ শতাংশ জমি সফিজউদ্দিনকে সার্ভেয়ার এর মাধ্যমে মাপ ঝোক করে দখল বুঝাইয়া দিবেন। ঘটনা চক্রে শনিবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় সার্ভেয়ার ঘটনাস্থলে আসলে ভূমিলোভী হারেজ ও আজিজ গং অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে সার্ভেয়ারদের তারিয়ে দেন, এবং মারমূখী হন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেম্বার মোঃ আতাউল্লাহ, হাজ্বী রফিকউদ্দিন,মোঃ ইসমাইল এবং এলাকাবাসী। এক পর্য্যায়ে সফিজদ্দিন গংরা তাদের নিজ বাড়িতে চলে আসেন এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা চলে যান। যদিও উভয় পক্ষের একটি আপোষ মিমাংসার কাগজে স্বাক্ষর হয়। জমি বুঝাইয়া দেওয়ার কথা থাকলেও জমি বুঝিয়ে দেননি। এ ছাড়াও কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বেপোরোয়া হারেজ গংরা একের পর এক ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন অসহায় সফিজ উদ্দিন গং। গত ১৪-০৬-১৫ ইং তারিখে হারেজ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৪২০ দাগের ৭০ শতাংশ ভূমির মিমাংসার কথা থাকলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন কোন প্রকার ভূমি মাপ দেওয়া হবে না জমি আমার আমি সব জমির মালিক। যদি পারেন তবে আপনারা মাপ দিয়ে নিয়ে নেন। আমি পারলে ঠেকামো। পরে হারেজের কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনার ও ভাই আজিজ এর নামে জয়দেবপুর থানায় মামলা আছে, যার নং ১১১,তারিখ ২৩/১/১৫ এবং মামলা নং-৮৫, তারিখ ১৭/২/১৫ইং তিনি বলেন আমি লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে শক্তি কিনে নিয়েছি তাই আমার কোন ভয় নাই। আমি কাওকে ভয় করিনা। আপনার নামে গাড়ী পোড়া মামলা আছে, আপনাকে যে কোন সময় গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। তিনি বলেন আমাকে পুলিশ ধরবেনা, আমি প্রতিদিন এসপি অফিসে যাই। আমার সাথে আপনারা কোন রকম বাড়াবাড়ি করবেন না। এই ভাবে হারেজ হুমকী দিয়ে ফোন কেটে দেন। বর্তমানে সফিজদ্দিন সপরিবার নিয়ে অনিরাপত্তায় ভোগছেন। সফিজদ্দিনের আকুল আবেদন পুলিশ সুপারের কাছে যেন এ অত্যাচার থেকে মুক্তি পান।

ন্যায্য দাবী আদায়ে প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে গাজীপুর এক্সট্রা মোহরার এসোসিয়েশনের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ি রোডে জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার (নকল নবীশ) এসোসিয়েশন গাজীপুর জেলা শাখা মানববন্ধন করেছে। বিভিন্ন দাবী আদায়ের লক্ষে গাজীপুর জেলা রেজিষ্টার অফিসের সামনে এক্সট্রা মোহরার এসোসিশেন এ মানববন্ধন করেছে।
মানববন্ধনে গাজীপুর জেলার সভপতি মো: মোছাব্বীর উদ্দিন আহমেদ কিরণ ও সাধারন সম্পাদক আহম্মদ আলীসহ নকল নবীশদের অনেকে বত্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তারা বলেন- অভিলম্বে তাদের চাকুরী স্থায়ীকরণ করতে হবে। এক বছরের বকেয়া পারিশ্রমিক ঈদুল ফিতরের পূর্বে পরিশোধ করতে হবে এবং অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে বিভিন্ন জেলা রেজিষ্টার অফিসের নিন্মমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটরকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সহকারী পদে বদলী করা চলবেনা। ইতিমধ্যে যাদের বদলী করা হয়েছে, তাদেরকে নিজস্থানে র্ফিরিয়ে আনতে হবে। এ বিষয়ে তারা মহাপরিদর্শক নিবন্ধন মহোদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করেন। মানববন্ধন অনুষ্ঠানে জেলার সকল এক্সট্রা মোহরার (নকল নবিশ) অংশ গ্রহণ করেন ।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আরো বলেন- যখনই দলিল রেজিষ্টি হয়, তখনই সাথে সাথে আমাদের পাওনা কেটে রাখা হয়। তা হলে, কেন- আমরা আমাদের পাওনা পরিশোধ করতে তারা গড়িমসি করবে ?
তারা তাদের দাবী আদায় না হলে, পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচী ঘোষণারও হুমকী দিয়েছেন।

উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্র তৈরি করতে বেসরকারী উদ্যোগ বাড়াতে হবে ---- অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ  বলেছেন, সরকারের একার পক্ষে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্র তৈরি করা অসম্ভব। তাই ব্যবসায়িক চিন্তা বাদ দিয়ে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্র তৈরিতে বেসরকারী উদ্যোগ বাড়াতে হবে। সরকার এজন্য যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা তৈরি করেছে।
তিনি সোমবার দুপুরে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর ইউরো অ্যানজেল মিলনায়তনে স্টেট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে “উচ্চ শিক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: প্রেক্ষাপট গাজীপুর” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য কালে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, গাজীপুর এম ই এইচ আরিফ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম ই এইচ আরিফ।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যের বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ,স্টেট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ডাঃ এ এম শামীম, অধ্যাপক ড. একরাম উদ্দৌলা, সাংবাদিক আইয়ুব রানা প্রমুখ।  সেমিনারে জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী,সাংবাদিক ও শিক্ষকবৃন্ধ অংশগ্রহণ করেন। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।      

একবার না পারিলে দেখ শতবার

কাজী মোসাদ্দেক হোসেন : ভারতের শিবচরণ যাদব। বয়স ৮১ বছর। তিনি রাজস্থান শিক্ষা বোর্ডে অধীন ৪৬ বার পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দশম শ্রেণী পাস করতে পারেন নাই। হিন্দুস্তানের নাগরিক হয়ে তিনি হিন্দি বিষয়ে গত পরীক্ষায় ৩ ও আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজীতে পেয়েছিলেন ০ । প্রতিজ্ঞা করেছিলেন পাস না করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন না - তাই বিয়ের প্রশ্নই আসে না। আবারও তিনি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আমরা ষাট এর দশকে অষ্টম শ্রেণীতে আদু ভাইয়ের গল্প পড়েছি। তিনি বেশ কয়েকবার পরীক্ষা দিয়ে নবম শ্রেণীতে ঊত্তীর্ণ হতে পেরেছিলেন, তবে ফলাফল ঘোষণার আগেই তিনি পরপারে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তাই তার সমাধিতে লেখা ছিল - ‘হেয়ার স্লিপ আদু মিয়া হু ওয়াজ প্রমোটেড ফ্রম ক্লাস এইট টু ক্লাস নাইন’।
শিক্ষার কোন বয়স নেই। আমাদের দেশেও এধরনের খবর মাঝে মাঝে ছাপা হয়। সত্তর বয়সে এসএসসি বা আশি বছর বয়সে ডিগ্রি পাসের নজির আছে অনেক। পরীক্ষার আগে পরে বা চলাকালীন কোন দুর্ঘনা বা কোন অনিবার্য কারনে ফলাফল আশানুরূপ না হলে অনেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে লেখাপড়া বন্ধ করে দেন। একবার অকৃতকার্য হলেই হাল ছেড়ে দেন অনেকেই। আত্মবিশ্বাসের অভাব ও লক্ষ্যমাত্রা না থাকায় এমনটা হয়ে থাকে। প্রতিভাবান অনেকেই আছেন যারা একটি বিষয়ে পড়ালেখা করেই ক্ষ্যান্ত দেন। ইচ্ছা করলে তারা প্রাইভেট বিদ্যালয় বা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মত দূরশিক্ষণ মাধ্যমে লেখা পড়া করে নিজেকে অধিক সক্ষম ও উপার্জণক্ষম করে গড়ে তুলতে পারেন। স্বচ্ছলতা আনতে পারেন পরিবারে, বদলে দিতে পারেন সমাজ। অনূকরণীয় হতে পারেন অন্যদের কাছে।
আজকের আধুনিক বিশ্বে বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তির চরম ঊৎকর্ষতার সোনালী যুগে শিক্ষার আগ্রহ, বড় হওয়ার স্বপ্ন ও সমাজের বৃহৎ জনগোষ্ঠির কল্যাণ চাইলে বিদ্যা শিক্ষার পথে কোন বাধা আজ আর বাধা নয়। প্রয়াত আদু ভাই বা জীবন্ত যাদব বাবুদের অকৃতকার্যের হতাশা বা পাছে লোকে কিছু বলে- কোন কিছুই তাদের লক্ষ্য ও চেষ্টা থেকে সরাতে পারে নাই। কথা একটাই- একবার না পারিলে দেখ শতবার।

মোবারক হো মাহে রমযান

চন্দ্র সূর্যের আগমন নির্গমনে এবং দিবা রাত্রির আবর্তন বিবর্তনে কালের চাকা ঘুরতে ঘুরতে বছর শেষে রহমত  বরকত ও মাগফিরাতের পয়গাম নিয়ে আবারো আমাদের দোরগোরায়  এসে উপস্থিত মাহে রমযান। বিশ্বের  মুসলিম উম্মাহ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে এই  মোবারক মাসকে বরণ করে নিতে,  প্র¯ুÍÍত  তারা ইবাদতের মৌসুমকে কাজে লাগাতে , বিশেষতঃ  যারা আল্লাহর পেয়ারা এবং তার প্রেমে মাতোয়ারা, তারা তো  সাধনার ময়দানে কোমর বেধেঁ অবতীর্ণ হতে  দিবা Ñ নিশি প্রহর গুনছে।  তাই আমরাও শান্তির  বার্তা বাহক  এই  মোবারক মাসকে স্বতঃস্ফুর্ত চিত্তে বরণ করে বলছি, স্বাগতম  হে মাহে রমযান। আহ্লান সাহলান  , হে মাহে রমযান।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যমানায় বেহেশতী সওগাত নিয়ে এই  মোবারক মাস যখনই হাজির হত তখনই মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়াসাল্লাম এর  তাৎপর্য ফযীলত ও গুরুত্ব বর্ণনা র্পূবক সাহাবায়ে কেরামকে উৎসাহিত করতেন, সাহাবী হযরত উবাদা উবনে সামিত ( রাযিঃ)  থেকে বর্ণিত  হাদীসে হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ঃ-  মাহে রমযান তোমদের দ্বারে সমুপস্থিত । এটি বরকতের মাস। এ মাসে আল্লাহ তা’তায়ালা  তোমাদেরকে তাঁর  রহমতের কোলে তুলে নেন।  গুনাসমূহ ক্ষমা করে দেন , দোয়া কবুল করেন। ইবাদত ও সাধনায় তোমাদের  পারস্পরিক  প্রতিয়োগিতা লক্ষ করেন এবং ফেরেশতাদের মজলিশে তিনি  তোমাদের নিয়ে গর্ব করেন। অতএব তোমরা নিজেদের পক্ষ থেকে আল্লাহর দরবারে ভাল ভাল ্আমল পেশ কর। কারণ  ঐ ব্যক্তি বড়ই দুর্ভগা , যে এই মাসে  আল্লাহর বহমত ও দয়া থেকে বঞ্চিত হয়। এই হাদীস ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বহু গ্রন্থ প্রণেতা হযরত মাওলানা মঞ্জুর নো’মানী (রহঃ)  বলেছেন যে, রমযান সম্পর্কে ভাষণ দানকালে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে যে কথাটা বেশ করেছেন , তা হল (ইয়াগশাকুমুল্লাহু ফীহি )  প্রকৃত অর্থ এই বার্কের মধ্যে দয়াময় খোদার যে পরিমাণ দয়ার ধারনা নবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  আরবীতে দিয়েছেন , সেটিকে নিজস্ব ভাষায় সম্প্রসরণকরা বা রুপায়িত করা আদৌ সম্ভব নয়। যত কিছু দিয়েই আমি এর অনুবাদ  করতে চাইবো কিন্তু এটাই সত্য যে , এর হক আদায় হবে না। অবশেষে প্রীয় নবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র যবান নিঃসৃত -  বাক্যটির আমি এই ভাবার্থই আবিষ্কার করেছি যে , মাহে রমযানে আল্লাহ তায়ালা রোযাদার বান্দাকে তাঁর রহমতের কোলে তুলে নেন। রোযাদার ভাইদের  কত সৌভাগ্য যে , রহমতের পর্দা তাদেরকে মাসব্যাপী ঘিরে রাখে। চরম আশ্চর্যের বিষয়ই বটে যে , দাতা যত বড় মহান , দাতার দেওয়া এবং ক্ষমতাও তত বিশাল। হাদীসে অবশিষ্ট অংশগুলো সহজেই বোদগম্য তাই সেগুলোর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দেওয়ার তেমন কোন প্রয়োজন নেই ।
হযরত আবু হুরায়রা ( রাযিঃ ) থেকে বর্ণিত অপর এক হাদীসে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান ঃ- রমযান মাসে আমার উম্মতকে এমন পাঁচটি বিশেষ পুরষ্কার দান করা হয়েছে যা পূর্ববর্তী কোন নবীর উম্মতকে দেওয়া হয়নি।
১। রোযাদার ব্যক্তির মুখের গন্ধ আল্লাহ তায়ালার নিকট মেশকের সুগন্ধি অপেক্ষা অধিক প্রিয়।
২। রোযাদার  ব্যক্তির  জন্য  ফেরেশতাগণ ইফতার পর্যন্ত  মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকেন।
৩। এমাসের  প্রতিদিন আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় রোযাদার বান্দাদের জন্য বেহেশতকে সুÑ সজ্জিত করেন এবং তাকে সম্বোধন করে বলেন যে আমার নেকবান্দারা অচিরেই দুনিয়ার যাবতীয় কষ্ট থেকে মুক্ত হয়ে তোমার কাছে আসছে।
৪। এ মাসে শয়তানদেরকে  বন্দীশালায় আবদ্ধ করা হয় ফলে, তাঁরা  তাদের  লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনা। ৫। এ মাসের শেষ রাত্রিতে রোযাদার ব্যক্তিকে  ক্ষমা করে দেওয়া হয় । প্রশ্ন করা হল যে আল্লহর রাসূল ! এটা কি কদরের রাতে হবে? প্রতি উত্তরে তিনি বললেন  না। বরং শেষ রাত্রিতেই দেওয়া হবে, কেননা  শ্রমিককে তাঁর  পারিশ্রমিক তখনই দেওয়া হয় যখন সে তাঁর  কাজ শেষ করে। এত বড় পুরস্কার ঘোষিত হয়েছে যে মাসের  শানে সেটাই হচ্ছে মাহে রমযান। যা উপস্থিত অতি নিকটে।
হযরত সাহাল ইবনে সাদ ( রাযিঃ ) থেকে বর্ণিত অন্য একখানা হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ঃ- জান্নাতে  ইয়ান নামক একটি বিশেষ দরজা রয়েছে যা দিয়ে শুধু রোযাদাররাই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
অন্য আরেকটি বর্ণনায় পাওয়া যায় যে , ২৯  শে শা’ বান মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  মাহে রমযানের ফযীলতের কথা তুলে ধরে এবং  রমযানকে স্বগতম জানিয়ে নি¤েœাক্ত একটি ভাষণ দিয়েছিলেন , যাতে মাহে রমযানের কয়েকটি  দিক সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছেঃ – হে লোক সকল ! একটি বরকতময় মাস তোমাদের দ্বারে সমুপস্থিত।
১। এই মাসে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাত রয়েছে , যে রাতের এবাদত হাজার মাসের  এবাদতের চেয়েও উত্তম।
২। আল্লাহ পাক এ মাসের  রোযা ফরয করেছেন। এই  মাসের রাতে বন্দেগী করা অতি সওয়াবের কাজ।
৩। এমাসে কোন লোক যদি কোনও নফল এবাদত করে , তবে তাঁর সওয়াব বা শুভ পরিণতি হবে অন্র
 মাসের  ফরয়ের সমতুল্য । আর এ মাসরে একটি ফরয়ের সওয়াব অন্যান্য মাসরে সত্তরটি
 ফরযের সমতুল্য।
৪। এই মাস ধৈর্য্যরে , আর ধৈর্য্যরে প্রতিদান হল বেহেশত।
৫। এই মাসে  পরস্পরের মধ্যে  সদ্ব্যবহার করার ও সকলের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশের ।
৬। এই মাসের মুমিনের রিযিক বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়।
৭। যে ব্যক্তি কোনও রোযাদারকে ইফতার করাবে তার  গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে । এবং  তাঁকে  দোযখ থেকে নাযাত  দেওয়া হবে ।  এতে ইফতারকারী রোযাদারের সওয়াবের কোনকমতি হয় না। উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম আরয করলেন ঃ ইয়া রাসূল্লাল্লাহ!  সকলে রোযাদারকে ইফতার করাবার সামর্থ রাখে না , প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এরশাদ করলেন ঃ শুধু একটি খেজুর বা একটু দুধ বা পানি দ্বারা ইফতার করানোই যথেষ্ট হবে। ৮। এই মাহে রমযানের প্রথম দশদিন রহমতের , দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের , তৃতীয় দশদিন দোযখ থেকে মুক্তি লাভের। ৯। যে ব্যক্তি তাঁর  অধিনস্ত লোকদের প্রতি সদয় ব্যবহার করে তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। এই হাদীসটি সিয়াম সাধনা ও মাহে রমযানের সকল ক্ষেত্রে একটি মৌলিক দিক নির্দেশনা সম্বলিত। কুরআন নাজিলের মাস হল রমযান ঃ বিশ্ব  মানবের মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ  আলÑ কোনআন নাযিল হয়েছে এই পবিত্র মাসেই । এ মাসের সঙ্গে রয়েছে কোরআনের নিবিড় সর্ম্পক। কেননা হযরত জিব্রাইল (আ ঃ )  হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে  প্রতি রমযানে সম্পূর্ণ কুরআন তেলাওয়াত করে শোনাতেন। অপর এক বর্ণনায় রয়েছে ঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মাসে জিব্রাইল (আঃ ) কে সমগ্র কুরআন তেলাওয়াত করে শুনাতেন। শুধু তাই নয় , অন্যান্য আসমানী কিতাগুলোরও রমযানের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। যেমন রয়েছে কোরআনের ঃ ১।  রমযানের প্রথম কিংবা তৃতীয় দিনে নাযিল হয় হযরত ইব্রাহীম ( আ ঃ )  এর প্রতি তাঁর  সহীফা। ২। হযরত দাউদ ( আ ঃ )  এর প্রতি যাবূর কিতাব অবর্তীণ হয় এমাসেরই রাব কিংবা আঠার তারিখে। ৩। হযরত মুসা ( আ ঃ ) প্রতি তাওরাত নাযিল হয় এ মাসের ছয় তারিখে। ৪। এ মাসেরই বার কিংবা তের তারিখে ঈসা (আ ঃ) এর  প্রতি ইঞ্জিল  কিতাব নাযিল হয়। এজন্যই বিশেষভাবে এই মাহতœপূর্ণ মাসে কুরআনকে বিশুদ্ধভাবে তেলাওয়াত করার জন্য কঠোর অনুশীলনের মনোযোগী হতে হবে। কুরআনের মর্মর্থ উপলদ্ধির জন্য প্রয়াসী হতে হবে। (আদাবে যিন্দেগী পৃষ্ঠা : ১১৭ ) মাহে রমযানের করণীয় কাজগুলো ঃ রমযানুল মুবারকে সিয়াম সাধনরত অবস্থায় কতগুলো বিষয় রয়েছে করনীয় এবং কতগুলো বিষয় বয়েছে বর্জনীয় । করণীয় কর্তব্যগুলো নি¤œরুপ ঃ- ১। সিয়াম সাধনার নিয়ত করা । ২। সেহরী খেয়ে রোযা রাখার চেষ্টা করা। ৩। বিলম্ব না করে ইফতার করা ৪। বিশরাকাত তারবীহ্র নামাজ আদায় করা। ৫ । যথাসাধ্য বেশী বেশী দান করা । ৬। প্রচুর পরিমাণে কালেমা , ইসতিগফার ও দুরুদ পাঠকরা । ৭। বেশী বেশী দো’আ  করা । ৮। বেশী বেশী উমরী কাযা নামাজ আদায় করা। ৯। সমাজ কল্যাণ ও মানবতার সেবা তথা খেদমতে খালকে আতœনিয়োগ করা । ১০। হাত , পা , মুখ , চোখ কান ও  অন্তরকে পাপকর্ম থেকে সংযত রাখা। ১১। আল্লাহর কাছে জান্নাত কামনা করা এবং দোযখের আগুন থেকে পানাহার চাওয়া। মাহে রমযানের বর্জনীয় কাজগুলো ঃ ১। মিথ্যা , গীবত ও পরচর্চা সম্পপূরুপে পরিত্যাগ করা। ২। মানুষকে কষ্ট দেয়াসহ সর্বপ্রকার অকল্যাণ চিন্তা পরিহার করা। ৩। হারাম আহর্য থেকে দূরে থাকা। ৪। গান – বাজনাসহ যাবতীয় পাপকাজ থেকে বিরত থাকা কেননা হাদীস শরীফের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে যে ঃ- অনেক রোযাদার এমন আছে , যাদের অনাহারের কষ্ট ছাড়া সিয়ামে কিছুই লাভ হয়না। আর আনেক মুসুল্লী এমন আছে, যাদের নিশি জাগরণের  কষ্ট ছাড়া নামাজে আর কিছুই লাভ হয়না । কাজেই সিয়ামের মূলকথাই হলো তাকওয়া । আর তক্ওয়ার অর্থই হলো গুনাহ থেকে বেচেঁ থাকার চেষ্ট করা। আর তা পুরোপুরি অর্জন করতে পারলেই সিয়াম সাধনা স্বার্থক বলে বিবেচিত হবে। আল্লাহর আমাদরে  সকলকে  মাগফেরাত ও জাহান্নামরে আযাব থেকে নিস্কৃতি লাভ করে রহমতের  বারিধারায় ¯িœগ্ধ হওয়ার তাওফীক দান করুন।
লেখক পরিচিতি : হঃ মাওঃ মুফতি মুছা কালিমুল্লাহ খতিব, বাইতুল আকসা জামে মসজিদ
প্রিন্সিপাল , আতাউল্লাহ দারুল উলূম মাদ্রাসা , টঙ্গী

কালিয়াকৈরে বৃষ্টির পানি আটকে তিন শতাধিক বাড়ী প্লাবিত

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৩দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টির পানি আটকে প্রায় তিন শতাধিক বাড়ী প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে ওই সকল এলাকার শত শত মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আন্ধারমানিক, সফিপুর, হরিণহাটি, বিশ্বাসপাড়া, রাখালিয়াচালা এলাকার বাড়ীগুলোতে বৃষ্টির পানি আটকে হাটু পানি হয়েছে। চলতি বছরের এই প্রথম প্রবল বৃষ্টির পানিতে মালেক চৌধুরী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সফিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়  মাঠে জলাবদ্ধতা পানিতে স্কুলটি শ্রেণি কক্ষে দুই ফুট পানি হয়। ফলে সকালেই শিক্ষার্থীদের স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় বলে স্কুল প্রধান জানান।
সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ, বারান্দায় ও ক্লাশ রুমে পানি ঢুকে পরে।  বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে চলমান ড্রেনে পানি নিস্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকার কারণে ওই দুইটি বিদ্যালয়ের মাঠে
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, উপজেলার সফিপুর বাজার ও আশপাশের বাসাবাড়ীর পানি নিস্কাশনের ড্রেন স্কুলের পাশ দিয়ে নির্মান করা হয়েছে। কিন্ত বর্তমানে স্কুলের পাশ দিয়ে নির্মান করা পানি নিস্কাসনের ড্রেনের বেশির ভাগ স্থানে ভেঙে ডেবে  গেছে। ফলে ওই ড্রেন দিয়ে ঠিকমত পানি নিস্কাশিত হতে না পেরে তা স্কুলের মাঠে প্রবেশ করছে। সফিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা খানম বলেন, বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে সফিপুর বাজার সহ আশপাশের পানি নিস্কাসনের জন্য তৈরি করা ড্রেনের উপর দিয়ে বিভিন্ন শিল্প কারখানার বড় বড় লড়ি ও মাটির ট্রাক চলাচল করার ফলে ড্রেনের বেশির ভাগ স্থানে ভেঙে গেছে। ফলে ড্রেন দিয়ে টিকমত পানি যেতে না পেরে তা বিদ্যালয়ের মাঠে প্রবেশ করার ফলে  পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়ের পানি নিস্কাসনের সমস্যাটি দীর্ঘদিনের।
এদিকে আন্ধার মানিক গ্রামের বাবুল মিয়া জানান, শাহাবুদ্দিন স্পিনিং মিল কর্তৃপক্ষ কারখানার আশপাশের জমি ক্রয় করতে না পেরে পানি নিস্কাশনের   ড্রেনের মুখটি বন্ধ করে  দিয়েছে। ফলে এলাকার কম পক্ষে ৫০টি বাড়ীতে  কোমড় পানি জমে রয়েছে। ড্রেনের বাধের মুখ খুলে না দিলে এ বাড়ীর পানি স্থায়ী জলাবদ্ধতার রুপ নিবে।
হরিণ হাটি গ্রামের আলমগীর হোসেন জানান, পৌর এলাকার একটি নির্মাণাধীন ড্রেনের কাজ  শেষ  না হওয়ায় ড্রেনটি দিয়ে পানি নামানোর মুখ বন্ধ রয়েছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই শত শত বাড়ীতে পানি উঠে যায়।
ওই এলাকার বাসিন্দা বাবুল মিয়া জানান, ওই এলাকায় শাহাবুদ্দিন কারখানার কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তারা ড্রেনের ব্যবস্থা করেনি। লোকজনের  ঘরবাড়ীর পানি বের হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতার কারনে পানি যেতে না পেরে ঘরবাড়ীতে পানি উঠে পরেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা তৈয়ব আলী বলেন, শুধু বৃষ্টির কারনে নয় সারা বছর পানি জমে থাকে। পানি যাবার কোন ব্যবস্থা নেই। ড্রেন নিমৃানের আবেদন জানানো হয়েছে। অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা হয়নি। দ্রুত পানি স্কিাশনের ব্যবস্থা ও ড্রেন নির্মানের দাবী জানাচ্ছি।
প্যানেল মেয়র সামছুল আলম জানান, শিল্পশহর খ্যাত কালিয়াকৈরের পৌর এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ী নির্মাণ করার কারণে এ জলাবদ্ধতার সাময়িক সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কোটি টাকার ব্যয়ে নির্মাণাধীন ড্রেনের কাজ শেষ হলে এ দুর্ভোগ থাকবে না।

জিসিসি’র টঙ্গীর ভূমি অফিসে জীবন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

মোঃ আমির আলী, টঙ্গী : দেশের বৃহত্তম শিল্পনগরী ও জনগুরুত্ববহুল এলাকা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (জিসিসি’র) টঙ্গী ভূমি অফিসের জরাজীর্ণ ভবনে জীবন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিনষ্ট হচ্ছে মূল্যবান দলিলপত্র।
সরেজমিন ঘুরে এসে জানা যায়, তৎকালীন সময়ে জমিদারদের কাচারী ঘরে টঙ্গীর ভূমি মালিকদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করা হত। পরবর্তীতে ১৯৮৯সনে ৫২শতাংশ জমির উপর নির্মিত হয় টঙ্গী ভূমি অফিসের ১তলা ভবনটি। দীর্ঘ দুই যুগ পর ভবনটি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানা যায়। বেশ কিছুদিন যাবত এ ভবনটিতে দেখা দিয়েছে নানামুখী সমস্যা। ভবনটির অধিকাংশ স্থানে দেখা দিয়েছে ফাঁটল, ছাঁদের তলা ফুটো হয়ে অঝরে পানি পড়ছে অফিস কক্ষে। এতে করে বিনষ্ট হচ্ছে এলাকার ভূমি মালিকদের অমূল্য সম্পদ জমির দলিলপত্র। শ্বেত শ্বেতে ফ্লোরে অধিকাংশ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডেমেজ হয়ে পড়ছে।
ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মাহ্ আলম জানান, এ দূরাবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য  ভূমি অফিসের ছাঁদের ওপর বাঁশের ফ্রেম ধারা পলিথিন আটকিয়ে কোনমতে রক্ষা করা হচ্ছে মূল্যবান দলিলপত্র। একাধিক স্থানে প্লাস্টার খসে পড়ে রড বেরিয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় ঝুকিপূর্ণ ভবনটিতে জীবন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। এসকল কারণে এ অফিসে সংরক্ষিত মূল্যবান সরকারি রেকর্ড রেজিষ্টার ভিজে যাওয়ার পাশাপাশি উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নষ্ট হয়ে জনগণের কাঙ্খিত সেবা দানের বিঘœ ঘটছে। তাছাড়া ছাঁদ ও দেয়ালের প্লাষ্টার খসে পড়ায় যে কোন মুহুর্তে ভবনটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। ইতিপূর্বে এ বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
তিনি আরো জানান, টঙ্গীর ভূমি অফিস থেকে বাৎসরিক রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ৪কোটি টাকা। টঙ্গী দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প শহর। এখানে রয়েছে ছোট-বড়, মাঝারি প্রায় ৫শতাধিক শিল্প-কারখানা। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন স্কুল কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়। টঙ্গীর ভূমি অফিসের আওতায় ২৮টি মৌজায়, মোট জমির পরিমাণ ১০৯২৭ একর। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাহ্ আলম জানান, ইতোমধ্যে সরকারিভাবে এই ভূমি অফিস ভবনের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দ ও অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু জনস্বার্থে এই ভবনটির নির্মাণ কাজ জরুরী হয়ে পড়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।

কালীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীর পুকুরে ডুবে মৃত্যু

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে স্কুল ছাত্রীর পুকুরে ডুবে নির্মম ভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে । জানাযায়, গতকাল রবিবার দুপুরের স্কুল থেকে বাড়ীতে এসে বাড়ীর সংলগ্ন পুকুরে চাউলের ডাম ধুইতে যায় । ডাম ধুইতে গিয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসায় আনুমানিক ৩০মিনিট পর তাকে খোজাখুজি করেতে থাকে । অনেক খোজাখোজি করে ও কোথাও  না পেয়ে পুকুরে খোজতে যায় পরিবারের লোকজন । সেখানে পানিতে চাউলের ডাম ভাসতে দেখে তাদের সন্দেহ হলে । স্থানীয় লোকজন পুকুরের নেমে ওই স্কুল ছাত্রীকে পানিতে ডুবে থাকাবস্থায় উদ্ধার করে । ওই ছাত্রীকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় । হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা: তাকে মৃত বলে জানান । জানাযায়, উপজেলার কাউলিতা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. ফরিদ দেওয়ান এর স্কুল পড়–য়া মেয়ে মোসা ঃ ছিনতিয়া (১৩) সে জাঙ্গালীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ।