শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অক্ষুন্ন রাখতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধান সমুন্নত সংগ্রামী আইনজীবি পরিষদের উদ্যোগে আজ বিকাল ৩ ঘটিকায় ঢাকা আইনজীবি সমিতি ভবন মিলনায়তনে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অপরিবর্তীত রাখার অপরিহার্য্যতা শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় সভায় বক্তারা ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে দ্বীন ইসলামকে দেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, এদেশ বিশ্বের ২য় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠি মুসলমান। এদেশের মুসলমানরা স্বভাবগতভাবেই ধর্মপ্রাণ ও ধর্মভীরু। যে দেশে ১০লাখ মসজিদ রয়েছে। যেদেশে প্রতি জুমুয়ার জামাতে কোটি কোটি লোকের সমাগম হয়। সেদেশে সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের ধর্ম হিসেবে রাষ্ট্রধর্ম হবে ‘ইসলাম’ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ বর্তমানে বিশ্বের ৫৮টিরও অধিক দেশে সংখাগরিষ্টদের ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয়েছে। যেমন, খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দেশগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনা, স্পেন, পর্তুগাল, ডেনমার্ক, নরওয়ে, ব্রিটেনসহ ২৬টি দেশে ক্যাথলিক ও প্রোটেষ্ট্যান্ট মতবাদ তাদের রাষ্ট্রধর্ম। একমাত্র গ্রীসে অর্থডক্স মতবাদ তাদের রাষ্ট্রধর্ম। আবার ভুটান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাসহ ৫টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম বৌদ্ধ। কিছুদিন পূর্বেও নেপালের রাষ্ট্রধর্ম ছিল সনাতন বা হিন্দু। অন্যদিকে মুসলিম বিশ্বে ২৭টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম হলো ইসলাম। তাই বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ হওয়াও স্বাভাবিক এবং রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ‘ইসলাম’ বহাল থাকাও স্বাভাবিক।
বক্তারা বলেন, যারা বলে, রাষ্ট্রের কোন ধর্ম নেই, ধর্ম হলো ব্যক্তির, এছাড়া রাষ্ট্রে একাধিক ধর্মাবলম্বিরা রয়েছে ফলে কোন নির্দিষ্ট ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না। যদি তাই হয়, তাহলে একইভাবে রাষ্ট্রেরও কোন ভাষা থাকতে পারে না। কারন রাষ্ট্র কখনো কথা বলে না। কথা বলে ব্যক্তি। অথচ এদেশে চাকমা-মারমা-সাওতাল- বিহারীসহ বহু ভাষী লোক রয়েছে। তাই রাষ্ট্র ভাষা বাংলা কি বাদ দেয়া হবে? যদি না দেয়া হয় তাহলে রাস্ট্রধর্ম হিসেবেও ‘ইসলাম’ বাদ দেয়া যেতে পারে না।
বক্তারা বলেন, পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিল সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। যে সংখ্যালঘুদের নেতা ও প্রতিনিধি। তার নেতৃত্বেই সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী হয়েছে এবং পাশ হয়েছে। সেই পঞ্চদশ সংশোধনীতেও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রয়েছে। সংখ্যালঘুদের নেতা ও প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ‘ইসলাম’ স্বীকার করে নেয়ার পর এটা নিয়ে সংখ্যালঘুদের আর বিতর্কের কোন অবকাশ নেই।

বক্তারা বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে শুধু ইসলামকেই রাষ্ট্রধর্ম করা হয়নি বরং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ধর্মকেও ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তাহলে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে শুধু ইসলাম ধর্ম বাদ দেয়ার জন্য মামলা করা আবার অন্যান্য ধর্ম নিয়ে চুপ থাকার রহস্য কি?
বক্তারা বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনী পাশের সময় মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে দুইজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর রাষ্ট্রধর্মের বিরোধীতাও মেনে নেননি (যারা রাষ্ট্রধর্ম প্রবর্তনের সময় তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী ছিলেন)  এবং যেটা পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে একটি মীমাংসিত বিষয় সেখানে নতুন করে রাষ্ট্রধর্ম ইস্যু তোলা কি করে গ্রহণযোগ্য হতে পারে?
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় ৮টি দলিলের একটি দলিলেও সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে বাংলাদেশের মৌলিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। যেমন, ১৯৫২ সালে ঢাকার আরমানিটোলা ময়দানে অনুষ্ঠিত গণতান্ত্রিক মহাসম্মেলনে গৃহীত খসড়া সাংবিধানিক প্রস্তাবসমূহে, ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে ঘোষিত ২১ দফা কর্মসূচীতে, ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৬ দফা কর্মসূচীতে, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের ১১ দফা কর্মসূচীতে, ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে, ১৯৭১ সালের ২৩ জানুয়ারি সাবেক রেসকোর্স ময়দানে অনুষ্ঠিত লাখ লাখ লোকের জনসভায় সেই সময়কার জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণকে পাঠ করানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শপথবাক্যে, মুজিব ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর মধ্যে ১৯৭১ সালে ১৪ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক পেশকৃত পাকিস্তানের খসড়া সংবিধানে এবং ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে অর্থাৎ বাংলাদেশের জাতীয় ৮টি দলিলের একটি দলিলেও সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে বাংলাদেশের মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। তারপরও বাহাত্তরের সংবিধানে সেগুলো ঢুকানোর কারণে যদি পঞ্চদশ সংশোধনীতেও সেগুলো বহাল রাখা যায় তাহলে ৮ম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ ঢুকানোর কারণে সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা কেন? ৮ম সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ‘ইসলাম’ বহাল থাকা যদি অবৈধ হয় তাহলে ৭২’এর সংবিধান এবং পঞ্চদশ সংশোধনীতে সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ বহাল রাখা কি হবে?
পূরণ করেছে। একইভাবে ‘কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ হবে না” এটাও সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু এটা এখনো আইনে পরিণত হয়নি এবং জনগণের সেই প্রত্যাশাও এখনো পূরণ হয়নি। যা দুঃখজনক।
বক্তারা আরো বলেন, দেশের ৯৮ ভাগ মুসলমান সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাকের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখেই পাঁচ ওয়াক্ত নামায় পড়ে, রোগ-শোক বা বিপদে আপতিত হলে মহান আল্লাহ পাককে ডাকে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে দু’ঈদ পালন করে। এসবের পাশাপাশি সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস-এর অভিব্যক্তি স্বরূপই দেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান প্রতিটি কাজ শুরুর আগে বিসমিল্লাহ বলে। কাজেই বিসমিল্লাহ বলার অর্থই হলো সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস সেটা ব্যক্ত করা। তাছাড়া মুসলমান যদি তার কথা বলার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে তাহলে শেষ কী দিয়ে করে? শেষ করে ইনশাআল্লাহ বলে। যার অর্থ হলো সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধুর ‘এদেশের মানুষকে স্বাধীন করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ’- এ বক্তব্য দেয়ার কারণেই এদেশ স্বাধীন হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অন্তর্ভুক্ত করার অর্থ হল- রাষ্ট্রযন্ত্রে ইসলামের প্রাধান্য প্রতিফলিত করা। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে কী করে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মালিক উনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস উঠানো যেতে পারে! আর উঠালে পঞ্চদশ সংশোধনী কী করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হয়েছে বলা যেতে পারে?
বক্তারা আরো বলেন, অর্পিত সম্পত্তি মূলতঃ ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময়ের শত্রু সম্পত্তি আইন থেকে এসেছে। পাক-ভারত যুদ্ধের সময় যারা দেশ ত্যাগ ভারতের পক্ষাবলম্বন করেছিল তাদের সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ গন্য করা হয়। এ যুদ্ধের সময় ভারত কর্তৃক ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে ঘোষিত মুসলমানদের সম্পত্তি এখনো ভারতীয় মুসলমানদের ফেরত দেয়া হয়নি। বর্তমানে শুধু মুম্বাইতে ১৬০০০ শত্রু সম্পত্তি হিসেবে গণ্য মুসলমানদের সম্পত্তি রয়েছে। যা ফেরত পেতে ৫৫০টি মামলা হলেও মুসলমানদেরকে তাদের ভূমি ফেরত দেয়া হয়নি। তাহলে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় পাকিস্তান কর্তৃক ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে ঘোষিত সম্পত্তি ‘অর্পিত সম্পত্তি’র মোড়কে বাংলাদেশের হিন্দুরা কিভাবে পেতে পারে? তাছাড়া যুদ্ধকালীন সময়ে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া বা দেশ ছেড়ে যাওয়া নাগরিকরা সম্পত্তির দাবিদার হতে পারেনা। যারা দেশপ্রেম বাদ দিয়ে শত্রু দেশে আশ্রয় নেয় এবং স্বদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তারা কিভাবে ভুমি ফেরত পেতে পারে? তাই ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য সম্পত্তিকে ‘অর্পিত সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য করা ঠিক হবেনা । এটা এখন সরকারী সম্পত্তি। সরকারকে তা রক্ষা করতে হবে।
বক্তারা বলেন, আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইল, মিশরের সিনাই উপত্যকা, সিরিয়ার গোলান উপত্যকা, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও গাজা, ও কানিত্রা শহরটি দখল অনেক জায়গা দখল করলেও যুদ্ধ শেষে ইসরাইল কোন জায়গা ফেরত দেয়নি। বরং তা ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে গন্য করে। ২য় বিশ্বযুদ্ধে বিবাদমান পক্ষদ্বয়ও এক পক্ষ অন্য পক্ষের ফেলে যাওয়া বা দখল করা সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে গন্য করে। অনুরুপ পাক-ভারত যুদ্ধের সময় যারা পূর্ব পাকিস্থান থেকে এসব সম্পত্তি ফেলে গিয়েছিল তাদের সম্পত্তিও ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে এটা সরকারী সম্পদ। যা তারা দাবি করতে পারেনা। তাই অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল করে শত্রু সম্পত্তি আইন পুণর্বহাল করে দেশের লাখ লাখ একর রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করা জরুরী। অনুরুপ দেবোত্তর সম্পত্তির নামে মুসলমানদের সম্পত্তি হিন্দুদের হাতে তুলে দিলে তা মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য বলে গণ্য হবে। এ বিষয়টিও বিবেচনায় আনতে হবে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য পেশ করেন, সাবেক বিচারপতি জনাব মোহাম্মদ আব্দুস সালাম (সভাপতি-সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন), প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন, আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, সম্পাদক- মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসান এবং সভাপতি, আর্ন্তজাতিক সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন কমিটি ও প্রধান উপদেষ্টা-বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ, বিশেষ অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম এমপি, প্রফেসর ডক্টর আলহাজ্ব এম, এম, আনোয়ার হোসেন বিশিষ্ট আইনজীবী-বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, প্রিন্সিপাল-বঙ্গবন্ধু ল কলেজ, ফার্মাসিস্ট আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান, স্পেশালিস্ট- ব্যুরো ভ্যারিটাস (বাংলাদেশ), বাংলাদেশ প্রতিনিধি- ইসলামিক ক্রিসেন্ট অবজারভেশন প্রজেক্ট (ওঈঙচ), মুনসাইটিং কমিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড প্রমুখ।
সভায় আরো আলোচনা করেন, আহবায়ক এডভোকেট হাসান শহীদ কামরুজ্জামান দুর্বার, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, ডক্টর মুহম্মদ ইউনুছ আলী আকন্দ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট,  সদস্য সচিব এডভোকেট এস. এম শফিকুল ইসলাম কাজল- বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, সভাপতি-বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশন, হাফিয মাওলানা আবদুস সাত্তার, সহ-সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ, এডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন সুমন, সাংবাদিক মুহম্মদ আরিফুর রহমান প্রমুখ।

কাপাসিয়ায় প্রবীনদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরামর্শ সভা

শাকিল হাসান : গাজীপুরের কাপাসিয়ায়  ক্রিয়েটিভ মিডিয়া সেন্টারের সহযোগিতায় স¦াস্থ্য অধিদপ্তরের উপজেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর আয়োজনে ২২ মার্চ সকালে কাপাসিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে প্রবীনদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শীর্ষক সচেতনতামুলক প্রচারনা বিষয়ক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দৈনিক সমকালের কাপাসিয়া প্রতিনিধি সঞ্জীব কুমার দাসের সভাপতিত্বে এবং দৈনিক আমাদের অর্থনীতির কাপাসিয়া প্রতিনিধি বেলায়েত হোসেন শামীমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: মাসুদ রেজা কবির, মেডিকেল অফিসার ডা: মো: সামসুল হুদা। উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যায়যায়দিনের উপজেলা সংবাদদাতা শাকিল হাসান, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিনিধি শেখ শফিউদ্দিন জিন্নাহ, দৈনিক আমাদের সময়য়ের জাকির হোসেন কামাল, দৈনিক সংবাদের সমির বনিক, দৈনিক আজকের জনতার হাজী সাইফুল ইসলাম, দৈনিক সকালের খবরের তপন বিশ্বাস, দৈনিক মানব কন্ঠের মঞ্জুরুল হক, গাজীপুর দর্পনের স্টাফ রিপোর্টার আবদুল কাইয়ুম, বিজ্ঞাপন চ্যানেল সম্পাদক মো: সাইফুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

পূবাইল আদর্শ কলেজে যুব সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার : মঙ্গলবার বাঁচতে শেখার আয়োজনে এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় পুবাইল আদর্শ কলেজ গাজীপুর এ মর্যাদায় গড়ি সমতা প্রচারাভিযান বিষয়ক যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাঁচতে শেখার  প্রজেক্ট অফিসার মৌলুদা পারভীন এর সভাপতিত্বে উক্ত যুব সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পুবাইল আদর্শ কলেজ গাজীপুর এর সম্মানিত অধ্যক্ষ জনাব মো: কইয়ুম খান এছাড়া বিশেষ অতিথি  হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো: আবুল হাসনাত, উপধ্যক্ষ, সাবিনা হক, বিভাগীয় প্রধান ইসলামের ইতিহাস। পুবাইল আদর্শ কলেজ গাজীপুর। এছাড়া বাঁচতে শেখার ফাইজুল ইসলাম, সহকারী হিসাব রক্ষক ডলি বাড়ৈ, মো: নজরুল ইসলাম প্রজেক্ট ফেসিলিটেটর উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যুবকদের নিজ পরিবার থেকে শুরু করে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অংঙ্গনে তাদের ভূমিকা কি এসকল কাজে তারা কিভাবে অবদান রাখতে পারে সেই সকল বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করা হয়। এবং এই বিষয়ে বক্তারা বলেন মাঠ পর্যায়ের সকল শ্রেনীর নারী পুরুষের অধিকার রক্ষায় বিশেষ করে নারীর মানবাধিকার সুরক্ষায় মর্যাদায় গড়ি সমতা বিষয়ক জেন্ডার ভিত্তিক  বিষয় গুলো সর্ব সাধারনের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য জোর দাবী জানান।

কালিয়াকৈরে এক পরিবারকে উচ্ছেদ ও নির্যাতনের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার : গত মঙ্গলবার গাজীপুর রাজবাড়ী সড়কে গাজীপুর জেলাধীন কালিয়াকৈর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বিশ্বনাথ শীল ও তার স্ত্রী চম্পা রাণী শীলকে বসতভিটা হতে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে শারীরিক নির্যাতন করায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি সুশীল কোচ এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা জজ কোর্ট এর আইনজীবী অ্যাড. আসাদুল্লাহ বাদল, গাজীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ আদিবাসী জোট কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রুবেল মন্ডল, আদিবাসী জোট নেতা রূপচান বর্মন, ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামলী লীগ সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম (আজিজ), যুবলীগ সভাপতি মো: ইব্রাহিম সিকদার প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গাজীপুর জেলা আদিবাসী জোট নেতা পাভেল সরকার। বক্তারা অনতিবিলম্বে বিশ্বনাথ শীলের দায়েরকৃত এজাহারটি নথিভূক্ত এবং আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানান। পরে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাড. নির্মল মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক ঠাকুর দাস মন্ডল ও আদিবাসী নেতা দীনেশ কিশোর বর্মন এর নেতৃত্বে গাজীপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুউপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহোদয়ের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। 
উক্ত মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং স্থানীয় এলাকার প্রায় দুইশতাধিক নেতৃবৃন্দ ও জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন।

গাজীপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের র‌্যালী ও আলোচনা

স্টাফ রিপোর্টার :  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরে বর্ণাঢ্য র‌্যালী , পুরষ্কার বিতরন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনে র‌্যালীত্তোর আলোচনা সভায় প্রধান মেহমান হিসাবে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: মাহমুদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আলোচক ছিলেন সাংবাদিক মুহা: বেলাল হোসেন, গাজীপুর আনছার ভি.ডি.পি‘র সাবেক উপ-পরিচালক মো: দেলোয়ার হোসেন, এস.ডি.পি’র নির্বাহীর পরিচালক আফসানা ইয়াসমিন, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা প্রমূখ।
সভায় বক্তাগণ শিশুদের ধর্ম নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ বিকাশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নেয়া সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আলোচনা শেষে ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরিফ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশণ গাজীপুরের উদ্যোগে সারা জেলায়  সভা ও র‌্যালীতে জেলার প্রায় সকল মসজিদ ভিত্তিক মক্তব সমূহে অধ্যয়নরত কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক ও সূধী সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন।

ব্যাংক কর্মকর্তা হত্যার বিচার দাবীতে বিক্ষোভ মানববন্ধন

ফজলুল হক বাদল : গাজীপুরে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন হত্যাকান্ডে জড়িতদের শা
ন্তি দাবিতে মঙ্গলবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।
নিহত গিয়াস উদ্দিন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের শরীফপুর সোন্ডা এলাকার মৃত সিরাজ উদ্দিন খানের ছেলে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে গিয়াস উদ্দিন শহরের বরুদা এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। তিনি সোনালী ব্যাংকের মুখ্য আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন। 
গত ১৮ মার্চ রাত ১১টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরুদার বাড়িতে ব্যাংক কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিনকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫০), ছেলে শাহরিয়ার মানিক (৩০) ও শ্যালিকা পারভিন আক্তারকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

গাজীপুরের অনন্ত গ্রুপের ওয়াশিং কারখানায় এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ-৩

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর  মহানগরীতে অনন্ত  গ্রুপের একটি ওয়াশিং কারখানায় এসি মেরামতের সময় বিস্ফোরিত হয়ে তিনজন দগ্ধ হয়েছে। এরা হলেন, রফিকুল ইসলাম (৩৫), তানভির আহমেদ রুমন (২৬) ও আব্দুর রউফ (৩০)। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 
কারখানার সিনিয়র অ্যাডমিন অফিসার নুরুন্নবী জানান, জয়দেবপুরের তারগাছা এলাকায় অনন্ত গ্রুপের ওয়াশিং কারখানায় এসি মেরামত করতে আসেন ইলেক্ট্রমার্ট কো¤পানির রফিকুল ও তানভির নামের দুজন ইঞ্জিনিয়ার। তাদের সাথে কারখানার সিনিয়র ইলেট্রিশিয়ান রউফও ছিলেন। মেরামতকালে হঠাৎ বিকট শব্দে  এসিটি বিস্ফোরিত হয়। আগুনের কুলিতে তারা তিনজনই দগ্ধ হন। পরে তাদের কো¤পানির গাড়িতে করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে আসা হয়। তাদের দুই হাত, গলার নিচে ও মুখ মন্ডল পুড়ে গেছে। তিন জনেরই শরীরের প্রায় ২০ শতাংশ করে পুড়ে গেছে। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।