শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

গাজীপুুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর মহানগরীর পূর্ব ভূরুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার টিআইবি-সনাকের আয়োজনে মা সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সনাকের সহ-সভাপতি অধ্যাপক এম এ বারি’র সভাপতিত্বে মা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এসএমসি’র সভাপতি ও বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  মো. হাবিবুর রহমান, সনাকের শিক্ষা বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও সনাক সদস্য অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক, প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম, স্বজন সদস্য মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন সরকার, এসএসএমসি’র অন্যান্য সদস্য বৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ ও ইয়েস সদ্যবৃন্দ।
স্বজন সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. হাতেম আলী এর উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক মা সমাবেশের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন এবং মায়েদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন। স্কুলের বিরাজমান সমস্যা ও সমাধানের জন্য ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে সুপারিশ উত্থাপন পূর্বক উন্মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত মায়েরা শ্রেণিকক্ষের সংকট, শিক্ষক সংকট, খেলার মাঠের সংকটের কথা উল্লেখ করেন। প্রধান শিক্ষক মনোয়ারা বেগম বলেন, বিদ্যালয়ের ফলাফল বরাবরই ভাল তবে বিদ্যালয়ে বাউন্ডারী দেয়াল নাই, শিশু শ্রেণিতে শিক্ষকের অভাবসমূহ সমাধানে সনাকের সহযোগিতা কামনা করেন।

সড়ক র্দুঘটনা প্রতিরোধকল্পে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সাথে কাপাসিয়ায় মতবিনিময়

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সম্প্রতি সড়ক র্দুঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং প্রতিরোধকল্পে ২৮ জুলাই মঙ্গলবার সরকারী ডাকবাংলোতে পরিবহন মালিক শ্রমিক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি মতবিনিময় করেছেন।
উপজেলার কাপাসিয়া-টোক-কিশোরগঞ্জ, কাপাসিয়া- ঢাকা, কাপাসিয়া- মনোহরদী ও কাপাসিয়া-রানীগঞ্জ সড়ক সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হারে র্দুঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতংক বিরাজ করছে। ইতি মধ্যে চালকদের অসর্তকতার জন্য র্দুঘটনার শিকার হয়ে অসংখ্য মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় এনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য সিমিন হোসেন রিমির সাথে স্থানীয় প্রশাসন, পরিবহন মালিক শ্রমিক ও সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সাথে র্দীঘ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ র্দুঘটনা রোধকল্পে করনীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিষদ আলোচনা ও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পরিবহন শ্রমিকদের যথাযথ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা, মাদক সেবীদের পরিবহনের কোন চাকুরী না দেয়া, সড়কের বিপদ জনক মোড় গুলো চিহ্নিত করা এবং সড়কের পাশে ঝোপ-ঝাড় পরিস্কার করা, প্রয়োজনীয় স্থানে গতিরোধক তৈরী করা সহ নানা পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এমপির পরামর্শে প্রশাসনের সহযোগিতায় ছোট বড় সকল পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয়ে সার্বক্ষনিক তদারকি কমিটি করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সকলের প্রতি তিনি আহবান জানান। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. রেজাউর রহমান লস্কর মিঠু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান উল্লাহ, আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা আব্দুল কবির মাষ্টার, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন আকন্দ, স্থানীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, শ্রমিকলীগ নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পরিবহন নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় বিষয়ে কলেজ শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ধারণ ও লালনের লক্ষ্যে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ শীর্ষক সবার জন্য আবশ্যিক বিষয়ে কলেজ শিক্ষকদের একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রতি ব্যাচে ১২০ জন করে প্রাথমিক পর্যায়ে ২টি ব্যাচে মোট ২৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে (কলেজ শিক্ষক) প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ২৮ জুলাই থেকে উক্ত বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের ১ম ব্যাচ-এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে এবং ১০ আগস্ট ২০১৫ থেকে শুরু হবে ২য় ব্যাচের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। অনুরুপভাবে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে একই বিষয়ের উপর আরো দু’টি ব্যাচের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সম্মুখসমরে নেতৃত্বদানকারী বীর সৈনিক, ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক, গবেষক ও প্রথিতযশা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন,  সাবেক ডেপুটি স্পীকার কর্ণেল(অবঃ) শওকত আলী এম.পি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা জনাব এইচ. টি. ইমাম, সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল কে. এম. সফিউল্লাহ, এমিরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. শামসুজ্জামান খান, ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জনাব শাহরিয়ার কবির, সাবেক রাষ্ট্রদূত জনাব মোহাম্মদ জমির, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি জনাব মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এর ট্রাস্টি জনাব মফিদুল হক, বাংলাদেশ ব্যাংক এর গভর্ণর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, ইতিহাসবিদ ও গবেষক  অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ কর্ণেল(অবঃ) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতিক), অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মাহবুবুল মোকাদ্দেম(আকাশ), অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানউজ্জামান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর(একাডেমিক) প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর, ট্রেজারার অধ্যাপক নোমান উর রশিদ   প্রমুখ।

কাপাসিয়ায় নদীতে গোসল করতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

কাপাসিয়া ব্যুরো চীফ : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দস্যু নারায়নপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে ২৫ জুলাই শনিবার দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে আখিয়ার জামান মিছিল (১৪) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে লাশ উদ্ধার করে। সে পার্শ্ববর্তী মনোহরদী উপজেলার মোল্লাহ তারিকুজ্জামানের জৈষ্ঠ্য পুত্র। সে স্থানীয় হাতিরদিয়া সাদ্ত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র। তার দাদা প্রাক্তন সচিব মোল্লাহ্ ওয়াহেদুজ্জামান এবং নানা দস্যু নারায়নপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও কৃষকলীগ নেতা জসিম উদ্দিন সরকার। গতকাল সকালে সে তার নানার বাড়ি বেড়াতে এসে পাড়ার কিশোরদের সাথে ক্রিকেট খেলার পর নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। সে সাতাঁর জানতো না বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারে শোকের মাতম চলছে।

গাজীপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

গাজীপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশের একাংশ। 
স্টাফ রিপোর্টার :  গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান ও কেন্দ্রিয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানের মুক্তির দাবীতে মহানগর ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। রবিবার দুপুরে মিছিলটি শহরের রাজবাড়ি রোডস্থ কেবির মার্কেট এলাকা থেকে শুরু করে শিববাড়ি গিয়ে শেষ হয়। পরে ওই স্থানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মাহমুদ হাসান রাজু। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাজী অজিম উদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রিপন,রোহানুজ্জামান শুক্কুর, জনি সরকার, সাইফুল ইসলাম শামীম, রানা নাছের শিবলী, ফুয়াদ হাসান, জাকারিয়া হামিদ জুম্মান, আবু ইউসুফ,মো. হাসান, মাসুদ রানা, মামুনশেখ, নজরুল ইসলাম, শান্ত, আল আমিন প্রমুখ।

কাপাসিয়ায় কৃষকলীগ নেতা জসিম উদ্দিনের ইন্তেকাল

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম  এর্টোনী জেনারেল মরহুম ফকির সাহাব উদ্দিন আহমদ এর ঘনিষ্ট সহচর বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী কাপাসিয়ার ঘাগটিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন (৭৮) দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৫ জুলাই শনিবার সকালে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি অইন্নাইলাহির রাজিউন)। বাদ আছর নামাজে জানাযা শেষে ঘাগটিয়া গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ২ পুত্র সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।  তার নামাজে জানাযায় শরিক হয়ে শোক ও শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন, বিচারপতি শাহ্ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাড. রেজাউর রহমান লস্কর মিঠু, জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আমানত হোসেন খান, কৃষকলীগ সভাপতি আইন উদ্দিন, মিজানুর রহমান প্রধান, শাহীনুর আলম সেলিম, ওয়াজ উদ্দিন মোল্লা, ওয়াহাব বন্দুকসী, আতিকুল ইসলাম রিংকু, মনির হোসেন, শিক্ষক নেতা মনিরুজ্জামান মনির, কামাল হোসেন বাচ্চু, তোফায়েল আলম প্রমূখ।  

স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

আজ টঙ্গীতে আলোচনা সভা

টঙ্গী প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আজ সোমবার বিকালে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সংগঠনের গাজীপুর জেলার আহ্বায়ক মোঃ মতিউর রহমান মতির সভাপতিত্বে এবং গাজীপুর জেলার সদস্য  আব্দুর রশিদ ভ’ঁইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। এদিকে এক বিবৃতিতে গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি সংগঠনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী পরিবারের সকল নেতাকর্মীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

কাপাসিয়ায় অর্থ আত্মসাৎ ও অযোগ্যতার অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা

কাপাসিয়া (টোক) সংবাদদাতা : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক সরজুবালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল কবিরের কক্ষে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ (আঃ) ছালাম (চানু)। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (আঃ) ছালাম জানায়, কয়েক মাস আগে নিয়োগকৃত প্রধান শিক্ষক দুলাল কবীর রশিদ ছাড়া ছাত্রীদের বেতন আদায়, কোচিং, প্রশংসাপত্র, সরকারী অনুদানের টাকা, অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন ফী সহ সকল হিসাবপত্র কমিটির কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার বলা হলেও তিনি হিসাব বুঝিয়ে না দিয়ে তালবাহানা শুরু করছে। এতে বিদ্যালয়ের অফিশিয়াল কর্মকান্ডে বিঘœ ঘটছে। মিটিং ডাকা হলে উপস্থিত না থেকে বাসায় সময় কাটান, এই পরিবেশে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি খুন্ন হচ্ছে। অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন , প্রধান শিক্ষক সব কিছুতেই অযোগ্য, তিনি তার ইচ্ছেমতো বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। এতে লেখাপড়ার চরম ক্ষতি হচ্ছে। আমরা অভিভাবক হিসাবে প্রধান শিক্ষকের এধরনের কর্মকান্ডকে ঘৃণা করি আমাদের যোগ্য ধক্ষ এবং ভদ্র শিক্ষকের দরকার। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক দুলাল কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রমজান মাসে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও অফিশিয়াল কর্মকান্ড চলাকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি (আঃ) ছালাম (চানু) রহস্যজনক কারণে আমার কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। তবে সভাপতি জানায়, শিক্ষকদের ভাগ বাটুয়ারা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক অবনতি হয়েছে। গতকাল হঠাৎ বিদ্যালয়ে স্থানিয় নেতা কর্মির উপস্থিতে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় বেশচাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয় । সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ের শরীরীরচর্চা শিক্ষিকা ছাবিনা বেগম এবং প্রধান শিক্ষক অফিস চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক জানায়, ছাবিনা বেগম আমার কাছ থেকে ছুটি না নিয়ে মোবাইল ফোনে কোন কিছু না জানিয়ে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত এবং মানসিক কিছু সমস্যাও রয়েছে তার প্রধান শিক্ষক দাবি করেন।      

কালিয়াকৈরে সেই ঘাতক স্বামী গ্রেপ্তার, স্ত্রীকে হত্যার স¦ীকারোক্তি

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভান্নারা এলাকায় স্ত্রী মাজেদা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় শনিবার রাতে ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর পরকিয়া করার কারণে তাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে গ্রেপ্তারকৃত স্বামী নুরুল ইসলাম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে ।
গ্রেপ্তারকৃত নূরুল ইসলাম কালিয়াকৈর উপজেলার ভান্নারা এলাকার সামসুল ব্যাপারীর ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈরের ভান্নারা পশ্চিমপাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রি নুরুল ইসলাম শুক্রবার রাতে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় নিহতের বাবা আব্বাস তালুকদার বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পেক্ষিতে পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে গোপনে সংবাদ পেয়ে শনিবার রাতে মানিকগঞ্জের ঘিওর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে গ্রেপ্তারকৃত স্বামী নুরুল ইসলাম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, স্ত্রী মাজেদা বেগম দীর্ঘদিন ধরে এলাকার এক যুবকের সঙ্গে অবৈধ মেলা মেশা করে আসছিল। বার বার  নিষেধ করা হলেও থামেনি তার পরকিয়া সম্পর্ক। ওই পরকিয়া সম্পর্কের জের ধরে তাকে ঘরে থাকা বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার সকালে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত নুরুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক(এসআই) সাইফুল আলম জানান, পরকিয়ার জের ধরে স্ত্রীকে খুন করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে নুরুল ইসলাম।

কালীগঞ্জে ডাকাতকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত সরদাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিল গ্রামবাসি ।
গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলা জামালপুর ইউনিয়নের নারগানা এলাকায়  আন্তঃজেলা ডাকাত সরদার মালেক ভাংগী এলাকায় প্রবেশ করে ।
সে এলাকায় এসেছে এ সংবাদ পেয়ে গ্রামবাসি জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলমকে জানায়, পরে চেয়ারম্যান খাইরুল আলম ও দফেদার শহিদুল্লার নেতৃত্বে কয়েক গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে ওই ডাকাত সরদারকে উত্তর নারগানার ডা,হাবিজউদ্দিন এর জঙ্গল থেকে আটক করে। পরে ক্ষিপ্ত জনতা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে।
জানাযায়, ওই শীর্ষ ডাকাত সরদার উপজেলার দক্ষিন নারগানার মৃত সেরাজুল ভাংগীর ছেলে ।
গ্রামবাসি  জানাযায়, সেরাজুল ভাংগীর ছেলে মালেক সে দেশের শীর্ষ ডাকাত । তার অত্যাচারে কয়েক থানার মানুষ অতিষ্ট। সে ডাকাতি , খুন,জমি দখল, নারী ধর্ষণ এরকম বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত । বিভিন্ন থানায় রয়েছে তার নামে একাধিক মামলা। তাকে পুলিশে দিয়ে আমারা স্ব¯িত পেয়েছি।

মহিলা ও কলেজ ছাত্রসহ নিহত- ২, আহত -২

কাপাসিয়ায় বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রবাসী ছেলের পাঠানো টাকা আনতে গিয়ে গাজীপুর থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মা রাশিদা বেগম (৪০) ও প্রতিবেশী কলেজ ছাত্র আরিফের (২৬) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা-কাপাসিয়া সড়কের সূর্য্যনারায়নপুর দ্বীন ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন জঙ্গল বাড়ি মোড়ে ২৬ জুলাই রবিবার দুপুরে ঢাকা গামী অনন্যা পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪- ৪৫৬৭) একটি বেপরোয়া যাত্রিবাহী বাস সিএনজিকে (গাজীপুর-ট-১১-৭৬৩২) চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই ২ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত ২ জনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘাতক বাসটি আটক করেছে। ঘটনার পর আধা ঘন্টা ওই সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। বাসের সকল যাত্রি অক্ষত রয়েছে এবং ঘাতক বাস চালক পালিয়ে গেছে।
জানা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে গাজীপুর থেকে সিএনজি যোগে ৩ যাত্রি কাপাসিয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দ্রুত গতির বেপরোয়া যাত্রিবাহী বাসটির সাথে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে হাইলজোর গ্রামের মোশারফ হোসেনের পুত্র ও আমরাইদ কারিগরি কলেজের ছাত্র আরিফ (২৬) ও মৃত ইউনুছ আলীর স্ত্রী রাশিদা বেগম (৪০)। গুরুতর আহত হয়েছে নিহত রাশিদার পুত্র  হাইলজোর কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মোমেন (২০) ও সিএনজি চালক কালডাইয়া গ্রামের আব্দুল আউয়ালের পুত্র কবির হোসেন (২৫)। কাপাসিয়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই দুলাল মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেছেন। উল্লেখ, সম্প্রতি কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন সড়কে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২১ জুলাই মঙ্গলবার সকালে কাপাসিয়া-টোক সড়কে উজানভাটি পরিবহনের একটি যাত্রিবাহী বাস নজরুল ইসলাম (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিপদ জনক মোড় গুলোই দুর্ঘটনার কারন বলে প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসি জানান।

কালীগঞ্জে মেহের আফরোজ চুমকী

স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গ ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসুন !
কালীগঞ্জ থেকে হেলাল উদ্দিন খান : গাজীপুরের কালিগঞ্জে ১৫ আগস্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে প্রাক-প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে বিএনপি নেত্রীর কথিত জন্মদিন পালন জাতীয় ঐক্যের প্রধান অন্তরায়।
গতকাল শনিবার সকালে কালীগঞ্জ বাজার বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে প্রাক-প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম,পি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ, মো. কামাল উদ্দিন দেওয়ান, মো. ইসমাইল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক এবিএম তারিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আহমেদুল কবির, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম দেওয়ান, পৌর যুবলীগ সভাপতি মো. বাদল হোসেন ভূইয়া প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে আরো বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গ ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসুন। জাতি আপনাকে তখন মূল্যায়ন করতে পারে। এই দিনে নকল জন্ম দিন পালন না করে জাতীয় শোক দিবসে অংশ নিন। জাতি আপনার ইতিবাচক ও উদার মানসিকতাকে স্বাগত জানাবে।

কালিয়াকৈরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, স্বামী পলাতক

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভান্নারা পশ্চিমপাড়া এলাকায় শুক্রবার রাতে নাসরিন আক্তার(২৮) নামে এক গৃহবধুকে ধাড়ালে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। হত্যার পর বিছানার মধ্যে লাশ ফেলে রেখে স্বামী পালিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে জেগে নিহতের দুই ছেলে মায়ের লাশ দেখে এলাকাবাসীকে খবর দেয়। এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে শনিবার সাড়ে ১১ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত নাসরিন উপজেলার ভান্নারা পশ্চিম পাড়া এলাকার রাজমিস্ত্রী নুরু বেপারীর ¯ত্রী।
কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক ফাড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক(এসআই) মোঃ সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামী পলাতক রয়েছে। কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি।
 নিহতের শ্বশুর মোঃ শামছু বেপারী জানায়, ঈদের আগে  নাসরিনের সাথে নুরুর ঝগড়া হলে  বাপের বাড়ী চলে যায়। দুই দিন আগে বাড়ীতে আসে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুইজনে মধ্যে আবারও ঝগড়া হলে নাসরিন বাপের বাড়ী চলে যেতে চায়। পড়ে দুই ছেলেকে নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থায় ধাড়ালো বটি দিয়ে কুপিয়ে নাসরিনকে হত্যা করে নুরু রাতে পালিয়ে যায়।
নিহতের গলা ও পাথায় ৫/৬ টি কুপের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল বটিটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কালিয়াকৈরে বিদ্যুত সংযোগ প্রদান মেলা অনুষ্ঠিত

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আজ সকাল থেকে দিনব্যাপী বিদ্যুত সংযোগ প্রদান মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালিয়াকৈর উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুত মেলায় গ্রহকদের সচেতনতা বৃদ্ধি কল্পে ডিজিটাল মিটার, প্রিপেইড মিটার,  ট্রান্সফরমার, সার্ভিস ড্রপ সহ আনুশাঙ্গিক সরঞ্জামাদি প্রদর্শন করা হয়। এ সময় সাধারণ গ্রাহকদের উপস্থিতিতে মেলা প্রাঙ্গন মুখোরিত হয়ে উঠে। পরে বিদ্যুত গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১াএর জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম বলেন, সরকারের ডিজিটার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বৈদ্যুতি আলো আমরা ঘরে ঘরে পৌছে দিতে বদ্ধ পরিকর। তিনি আরো বলেন আমাদের মাননীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে দুণীতি মুক্ত পল্লী বিদ্যুত বিভাগ প্রতিষ্ঠায়, দালাল ও দুর্ণীতিবাজদের প্রতিরোধ করে প্রকৃত গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করা হবে। গ্রাহকদেও উদ্ধেশ্যে তিনি আরো বলেন আমাদের পর্যন্ত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি মজুদ আছে, আপনারা নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করার ৭দিনের মধ্যেই সংযোগ পেয়ে যাবেন। এর মধ্যে কোন প্রকার হয়রানী হবার সুযোগ নেই। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কালিয়াকৈর জোনাল অফিসের ডিজিএম সাইফুল ইসলাম, চন্দ্রা জোনাল অফিসের ডিজিএন আবু সাইদ, এজিএম মামুনুর রশীদ মন্ডল, আমিনুল ইসলাম আবু, মিনারুল ইসলাম, প্রকৌশলী  হাবিবুর রহমান, ফজলুল হক প্রমুখ।

বাবা-মায়ের আদর বঞ্চিত ওদের ঈদ উৎসব

গাজীপুরের শিশু পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার : কারো মা নেই, কারো বাবা নেই। আবার কারো মা বাবা দুজনই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। মা বাবা ও পরিবার পরিজন নেই, তবুও ঈদের আনন্দে মেতে ঊঠেছিল তারা অন্যসব শিশুদের মতই। হাতে মেহেদীর রং আর আল্পনা, পায়ে নতুন জুতো, গায়ে নতুন জামা পরে মেতে উঠেছিল আনন্দ উৎসবে। এ উৎসব আয়োজনে ঈদের আগের দিনই সবাই মিলে
ঘর সাজিয়েছে, ঈদের বিশেষ খাবার তৈরী ও ডেকোরেশন করেছে। হাতে রংতুলি নিয়ে ঘরের মেঝে আর বারান্দায় আল্পনার আঁচর কেটে মনের মাধুরী মিশিয়ে নানা চিত্র এঁকেছিল সহপাঠিদের সাথে হৈহুল্লুরে মেতেছিল তারা। মা বাবার শূণ্যতা যেন তাদের এই আনন্দে কোন রেখাপাত করেনি। সব দু:খবোধ ভুলে উদযাপন করেছে ঈদ আনন্দ উৎসব।
গাজীপুর মহানগরীর ভানুয়া এলাকার সরকারী শিশু পরিবারের ১০০ এতীম মেয়েদের ঈদ কেটেছে আপনজনের বাইরে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালনায় এখানে এসব এতীম শিশুরা লেখাপড়া করছে । মা বাবা ছাড়া এতীম এসব শিশুরা কেমন ঈদ কেটেছে তা জানতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এ চিত্র ।
২০০৬ সালে গাজীপুর মহানগরীর ভানুয়া এলাকায় পৌনে ২ একর জায়গায় গড়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠানটি। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের তত্বাবধানে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয় । একশ এতীম মেয়েদের লেখাপড়া ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি। একটি ভর্তি কমিটির মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে এখানে ভর্তি করানো হয় প্রকৃত এতীম মেয়েদের।  জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে রয়েছে একটি ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং কমিটি। স্থানীয় সংসদ সদস্যের একজন প্রতিনিধি,মেয়রের প্রতিনিধি, ডিসির প্রতিনিধি, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি রয়েছে এ কমিটিতে। ৬ থেকে ৯ বছরের প্রকৃত এতীম মেয়েরা এখানে ভর্তি হতে পারে। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত আবাসিক এ প্রতিষ্ঠানে তাদেরকে রেখে  লেখাপড়া করানো ও পরবর্তীতে  চাকুরীর ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। গাজীপুরের বিওএফ স্কুল,ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল, টাকশাল হাই স্কুল ,ভিডিপি হাই স্কুল এবং সরকারী শিশু পরিবার স্কুলে লেখাপড়া করে এসব মেয়েরা । এদের মধ্যে এবার ৬ জন মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী । জেএসসি পরীক্ষায়  ৫জন ছাত্রী পেয়েছিল এ প্লাস।
লেখাপড়ার পাশাপাশি  তাদেরকে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় । এ সব প্রশিক্ষনের মধ্যে রয়েছে এ্যামব্রয়ডারী ও সেলাই প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ভেজিটেবল এন্ড গার্ডেনিং প্রশিক্ষণ।
 সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও রয়েছে এদের সাফল্য। জাতীয় পর্যায়ের সকল অনুষ্ঠানে  অংশগ্রহণ করে এরা নিয়ে আসে পুরস্কার ।
এখানে মোট ১৯ জন কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে এসব মেয়েদের তত্বাবধানের জন্য । তারা সার্বক্ষনিকভাবে এদেরকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে সুনাগরিক হিসেবে।
প্রতিষ্ঠানটির উপ-তত্বাবধায়ক ইফফাতারা মনিরা নাছরিন চৌধুরী জানান, মা বাবার আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত এসব এতীম মেয়েরা  যাতে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এজন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি । লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা যেন চাকুরী করতে পারে, সেজন্যও  আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে । তিনি বলেন, আমাদের মেয়েদেরকে গাজীপুরের ভাল স্কুলগুলিতে ভর্তি করিয়ে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করছি। তাদের যাবতীয় খরচ বহন করছে সমাজ সেবা অধিদপ্তর । তিনি আরো জানান, অত্যন্ত সুশৃংখল ও নিয়মানুবর্বিতার মধ্য দিয়ে লেখাপড়া করার কারনে তারা মেধার স্বাক্ষর রাখছে । তবে আমরা যদি খন্ডকালিন শিক্ষক রাখার ব্যবস্থা করতে পারতাম এবং তাদেরকে আরো স্পেশাল কেয়ার করতে পারতাম, তাহলে তারা আরো বেশী ভাল রেজাল্ট করতে পারতো ।
তিনি জানান, মা বাবা না থাকলেও মা বাবার আদর স্নেহেই বেড়ে উঠছে তারা। নানা সামাজিক উৎসবে মেতে উঠে আনন্দে। এবারের ঈদে তারা মেতেছিল আনন্দে। আতজবাজী ফোটানো,সুন্দর করে ঘর সাজানো, নতুন পোষাকে নিজেদেরকে সাজানো আর খাবার ডেকোরেশনের প্রতিযোগিতায় নেমেছিল তারা । আর এ প্রতিযোগিতায় যারা জিতেছে, তাদেরকে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার । ঈদের আগের দিন তাদেরকে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় নতুন জামা, জুতো ও নানান ধরনের কসমেটিকস। ঈদের দিন পরিবেশন করা হয় বিশেষ খাবার ।
গাজীপুর জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মাহবুবুল আলম জানান, সরকারী এই শিশু পরিবারের এতীম শিশুদের দায়িত্ব নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তাদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে । মা বাবাহীন এসব মেয়ে শিশুরা পিতৃমাতৃ¯েœহে এখানে সুশিক্ষা নিয়ে বড় হচ্ছে। পরিবারের যবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে তাদেরকে । তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারকে আরো জোড়ালো ভ’মিকা রাখতে হবে।
১ম শ্রেণীর ছাত্রী সাবিনা, বাসা গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় । বাবা নেই , মা আছে। এখানে আছে এক বছর ধরে। ঈদের সময় তার খারাপ লেগেছে কিনা জানতে চাইলে সে জানায়, কোন খারাপ লাগেনি। সবার সাথে আনন্দ করেছি। ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী রাবেয়া আক্তারসহ অন্যান্য মেয়েরাও জানায় একই অভিমত । সবার কথা , আমাদের মা বাবা না থাকলেও মা বাবার স্নেহেই আমরা বড় হচ্ছি। আমরা চাই , ভবিষ্যতে মানুষের মত মানুষ হতে , সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে এবং সমাজকে কিছু দিতে ।
মা বাবার আদর স্নেহ থেকে বঞ্চিত এসব শিশুরা  আপনজন ছাড়াই  অপত্য স্নেহ আর ভালবাসায় বেড়ে উঠছে  মনোরম পরিবেশ আর নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় । ফুলের মত নিষ্পাপ যে শিশুর কোন অবলম্বন ছিল না, তারাই এখন নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার আশায় তারা পথ চলছে।


টঙ্গীতে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিকের আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গীর মরকুন মধ্যপাড়া এলাকার খোরশেদ আলমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মতিউর রহমান ছোটন (২৫) নামের এক যুবক প্রেমে ব্যর্থ হয়ে গত বুধবার রাত সাড়ে ৯ টায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ছোটন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার দড়িপাড়া গ্রামের মোঃ রায়হানুলের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, টঙ্গীর ঢাকা টোবাকো কোম্পানী লিমিটেড এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছোটনের সাথে তার থানা এলাকার চম্পা নামে এক যুবতীর দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল। ঈদের ছুটিতে ছোটন গ্রামের বাড়িতে যায়। ঈদের পর তার প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ায় সে মনের কষ্ট ও ক্ষোভে গত বুধবার টঙ্গীতে ফিরে আসে। এরই জের ধরে ওই রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছোটন তার ভাড়া বাসার দরজা বন্ধ করে ইদুর মারার কীটনাশক খেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে এলাকাবাসী থানা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই মোঃ আতাউর রহমানসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছোটনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এঘটনায় টঙ্গী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টঙ্গী মডেল থানার এসআই মোঃ আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জয়দেবপুরে জমিজমা বিরোধকে সাজালেন যৌন হয়রানীতে

বিশেষ প্রতিবেদক : জমিজমা বিরোধকে সাজালেন যৌন হয়রানী মামলায়, ফাঁসালেন এক যুবককে। অভিযোগের বলে আটক করে থানা হাজতে ৪৬ ঘন্টা রেখে করলেন নির্যাতন। এমনটিই ঘটল জয়দেবপুর থানায়। গত ১৪ জুলাই জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে কথিত অভিযোগে জয়দেবপুর থানার এস.আই এনামুল যুবক আব্দুল মাজিদকে শহরের থানা কাউন্সিল নামক স্থান থেকে আটক করে। আব্দুল মাজিদকে আটকের পর এস.আই এনামুল জানতে পারেন, আটককৃত যুবককে যে অভিযোগে আটক করা হয়েছে তা সত্য নয়। সে অভিযোগের অপরাধটি করেননি। তাই আব্দুল মাজিদকে ছেড়ে দিতে দুপক্ষে মধ্যে আপোস করে ছেড়ে দিতে উদ্যোগ নেন। কিন্তু একটি দুষ্টচক্র অর্থের লোভে আব্দুল মাজিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগটির পেছনে তদবিরের মাধ্যমে আটকের ২৪ ঘন্টা পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আব্দুল মাজিদকে পুলিশ আটক করে মাত্র একটি অভিযোগের বলে। ১৪ জুলাই বেলা ২টার সময়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয় ১৫ জুলাই বিকেলে। এ থেকে বোঝা যায়, অপরাধের চাইতে মালের ধান্দাটাই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আব্দুল মাজিদের ক্ষেত্রে। ১৫ জুলাই সকালে সাংবাদিকরা থানায় ডিউটি অফিসারের রুমে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দেখা যায়, তখনও আব্দুল মাজিদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হয়নি। পরে ওই দিনই বিকেলে জানানো হয়, আব্দুল মাজিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। অপরদিকে আব্দুল মাজিদকে গ্রেফতার করলেন ১৪ জুলাই এস.আই এনামুল, ১৫ জুলাই মামলার আইও হলেন এস.আই আল-মামুন। জানা যায়, আব্দুল মাজিদের মা হালিমা গত ১১ জুলাই মামলার বাদীর স্বামী-দেবরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় জিডি করেছিলেন। যার জিডি নং ৭৮২। সেই জিডির পরই আব্দুল মাজিদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগে যায়, স্থানীয় সন্ত্রাসী, মাদক বিক্রেতা ও ভুয়া মানবাধিকার চক্র। কোন রকম সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে যৌন হয়রানীর নাটক সাজিয়ে আব্দুল মাজিদকে ধরিয়ে দিলেন পুলিশের হাতে, তার পিতা-মাতার কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের জন্য। আব্দুল মাজিদের বাড়ি গাজীপুর শহরের চতর নয়াপাড়া এলাকা ঘুরে জানা যায়, ধৃত আব্দুল মাজিদ নিয়মিত এলাকায় থাকে না। দীর্ঘদিন পরে ওই দিনই মায়ের সাথে দেখা করতে বাড়িতে যায় সে। বাড়ি থেকে ফেরার পথে কুচক্রী মহলটি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। আব্দুল মাজিদ বখাটে বা মাদকাসক্ত হলে এলাকায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যেত। শুধুমাত্র আব্দুল মাজিদের বাড়ির পাশের লোকদের কাছেই সে দুষ্ট। স্থানীয় সাইফুল ইসলাম ও নূরুল হকসহ অন্যান্যরা এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান।

শ্রীপুরে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি চায় ২০ নিরীহ কৃষক ও সংখ্যালঘু পরিবার

ভূয়া নামজারী ও জাল দলিল দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বদনীভাঙ্গা গ্রামে স্থানীয় একটি ভূমিদস্যু চক্র হিন্দু-মুসলিমসহ ২০নিরীহ কৃষক পরিবারের বসতভিটা জবর দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুল ও বানোয়াট তথ্য নির্ভর ভুয়া নামজারী ও জমাভাগ, একাধিক জাল দলিল দ্বারা চক্রটি নিরীহ কৃষকদের হয়রানী করছে দিনের পর দিন। চাষাবাদ ও বসত ভিটার জমিটুকু ভূমিখেকোদের দখলে চলে গেলে নিরীহ কৃষক পরিবারগুলো তাদের সন্তানাদি ও পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসা ছাড়া যাওয়ার আর কোন জায়গা থাকেনা। এ ব্যাপারে হয়রানীর শিকার বদনীভাঙ্গা গ্রামের শামস উদ্দিন বেপারীর পুত্র হারুন-অর-রশিদ বাদী হয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা প্রশাসকের নিকট দায়েরকৃত অভিযোগ ও অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা গেছে শ্রীপুর উপজেলার সিংদিঘী গ্রামের আঃ বারী সরকারের পুত্র বাবুল সরকার ও তার সহযোগী বদনীভাঙ্গা গ্রামের সাহেব আলীর পুত্র মাইজুল ইসলাম এবং কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের আহাদ আলীর পুত্র আঃ ছামাদ স্থানীয় ভুমিদস্যু, দাঙ্গাবাজ, হারমাইদ এবং কলহপ্রিয় লোক। ভুয়া নামজারী ও জাল দলিল বানিয়ে অন্যের জমি জবর দখলে পারদর্শী ওরা। ফলে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্খা সর্বক্ষণ। শুধু মুসলিম সম্পত্তি নয় অসংখ্য সংখ্যালঘু পরিবারও মুক্তি চায় ওই কুখ্যাত ভুমিদস্যু চক্রের কবল থেকে। এরা নিঃশ্ব ও সর্বশান্ত করে পথে বসিয়ে দেয় সহজ, সরল ও সাধারণ মানুষকে। সমাজের দুর্বল মানুষেরা বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার না পেয়ে কষ্টের বুকে পাথর চাপা দিয়ে তখন মৃত্যুর প্রহর গুণে। তাদের মতো নিরীহ মুসলিম ও সংখ্যালঘু ২০টি কৃষক পরিবার ওই ভুমিদস্যুদের নির্মম শিকার। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের  ৫নং মাওনা মৌজাস্থিত এস.এ ১৭১৩ ও আর.এস ৯৭৬ নং খতিয়ানের এস.এ ৪০৫৭/৫৮, ৩৯৭৯নং দাগে এবং আর.এস ১৩৩১৮/১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩ ও ১৩৩৮১নং দাগে মোট ২.৬০ একর জমির রেকর্ডীয় মালিক কালিচরণ বর্মণের পরবর্তী ওয়ালি ওয়ারিশগণ বৈধ মালিকানার দাবীদার পশুরাম ও মেঘলালের নিকট থেকে জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে ১৯৮৭ সালে ৫৯২৩নং ও ৫৯২৫নং রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে ক্রয় সূত্রে মালিক হয় ২০টি পরিবারের কয়েকজন। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে ওই ভাতৃদ্বয় সম্পত্তির বাকী অংশ অন্যান্যদের কাছেও বিক্রয় করে। সেখানে অধিকাংশ সংঘ্যালঘু পরিবারগুলো বাবা, দাদা (পূর্বস্বরী) পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া শতাধিক বছর ধরে এ জমিতে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে রয়েছে। হিন্দু-মুসলিম ২০/৩০টি পরিবার বসত বাড়ি নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ওই ভুমিদস্যু চক্রের নজরে পড়ে। ক্ষুদ্র জমির মালিকদের ভূ-খন্ডটি গ্রাস করতে চক্রের সদস্যরা বুনতে থাকে ষড়যন্ত্রের জাল। একই নামের হিন্দু ব্যক্তিদের ভুয়া মালিক সাজিয়ে একের পর এক ৩টি জাল দলিল বানিয়ে এসব দলিল মূলে ভুল ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় ভূমি অফিসে নিজস্ব কেরামতিতে ৪৫৬২/১১-১২ নং নথির নামজারী ও জমাভাগ করে যা তদন্ত করলে সম্পূর্ণ ভুয়া প্রমাণিত হবে। ভুয়া খারিজ মূলে হাতকরা কারখানার দালালরা  প্রায় ২০টি অসহায় কৃষক ও সংখ্যালঘু পরিবারের জমি হাজ্বী মুজিবুর রহমান এসএস ষ্টীল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ মালিকের নিকট বিক্রি করে দেয়। কারখানার মালিককে দখল বুঝিয়ে দিতে জমিতে গেলে টের পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বাধা প্রদান করলে ভূমিদস্যুরা বার বার জবর দখলের চেষ্টা চালায়। চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নানা প্রকার ভয়-ভীতি, হুমকি ও মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রক্রিয়া শুরু করলে নিরীহ হিন্দু-মুসলিম কৃষকদের মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলার নির্মম শিকার হতে হয়েছে যা পরবর্তীতে আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আদালতে মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলে নানা অপকৌশল অবলম্বনে জমি জবর দখলে মরিয়া হয়ে উঠে ভূমিখেকোরা। অপরদিকে ভুয়া খারিজ বলবৎ রাখতে তৎপর হয়ে উঠে ওরা। এ ব্যাপারে ভোগ দখলে থাকা বৈধ মালিকানা দাবী করে শ্যামল চন্দ্র বর্মণ ও হযরত আলী বাদী হয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্রীপুর বরাবর ০৫/১১/২০১৪ ইং তারিখে ১৯৫০ সনের প্রজাস্বত্ব আইনের ১৫০ ধারা মোতাবেক ভূমিদস্যু চক্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে করা ৪৫৬২/১১-১২নং নথির ভুয়া নামজারী ও জমাভাগ বাতিলের আবেদন করেন। কিন্তু ভূমিদস্যু চক্রের সদস্যরা ভুল ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে ভুয়া খারিজ টেকানোর চেষ্টা করছে বিধায় তারিখ বদলের হয়রানীর শিকার  হচ্ছে দিনের পর দিন।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে বদনীভাঙ্গা গ্রামের ভূমি হয়রানীর শিকার পিতা মৃত বসুদেব বর্মণের পুত্র ওমা কান্ত চন্দ্র বর্মণ (৯০) জানান, যে আধা বিঘা জমিতে চাষবাস করে সংসার চালাতাম, সে জমিটুকু ভূমিদস্যু চক্রের দখলে চলে যাওয়ায় খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।
ভূমিদস্যুর চক্রের ভয়ে মুখ খুলতে অনিচ্ছা থাকা সত্বেও নিজেকে নিরাপদ ও আড়াল রাখার শর্তে সুনীল চন্দ্র বর্মণের পুত্র মনিন্দ্র চন্দ্র বর্মণ (৪৫) জানান, চাষাবাদের ১ বিঘা জমি ভূমিদস্যু চক্রের দখলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কোন প্রকার প্রতিবাদ করতে গেলেই মামলা মোকদ্দমার হয়রানীতে পড়তে হবে বলে কিছুই করতে পারছি না।
বদনীভাঙ্গা গ্রামের নিল কান্তি বর্মণের পুত্র নিতাই কান্তি বর্মণ (৫৫) জানান, বৃটিশ আমল থেকে যে জমি চাষবাস করে খাচ্ছি সে জমিতে কোত্থেকে যে কি এসে সব তছনছ করে দিল কিছুই বুঝতে পারলাম না। মনে হয় দেশে কোন বিচার নাই, যদি বিচার থাকতো তাহলে যত শক্তিশালী ব্যক্তিই থাকুক এমন শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে থাকা জমি জবর দখলে নিতে পারতো না। তবে এরা এতই বিপদজনক যে, এদের বিরুদ্ধে কিছু লিখতে গেলে সাংবাদিকসহ মামলায় ঢুকিয়ে দেয়।
একই গ্রামের হযরত আলী (৪৫) জানান, এই জমির রেকর্ডীয় মালিক কালিচরণ বর্মণের বৈধ ওয়ালি ওয়ারিশানদের নিকট থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে প্রায় ৩০ বছর যাবৎ শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে আছি। কিন্তু ওই ভূমিদস্যুরা আমার ভোগ দখলীয় সম্পত্তির ভুয়া মালিক সাজিয়ে ৩টি জাল দলিল করে এবং ভুয়া খারিজের মাধ্যমে কারখানা মালিকের কাছে জমি বিক্রয় করে জবর দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। শুধু তাই নয় কারখানা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে এবং প্রতিনিয়ত নানা প্রকার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
ভুয়া নামজারী, দলিল ও জবর দখল সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বাবুল সরকার মোবাইল ফোনে জানান, হযরত আলীদের দাবী সঠিক না, তারা খাস জমির ভোগ দখলে ছিল। ৪৫৬২/১১-১২নং নথিটি বাতিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ্যাসিল্যান্ড অফিসে শুনানি চলছে। কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক তা কাগজপত্র না দেখে বলতে পারবেনা। তবে সঠিক প্রতিবেদন বানাতে চাইলে তিনি সাক্ষাতের প্রস্তাব দেন।
বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ভুল ও বানোয়াট তথ্য নির্ভর ভুয়া নামজারী ও জমাভাগ ৪৫৬২/১১-১২ নং নথিটি বাতিল ও ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ২০টি নিরীহ কৃষক ও সংখ্যালঘু পরিবার হয়রানী থেকে মুক্তি ও শেষ সম্বল ভূ-খন্ডটুকু রক্ষা করতে সরকারের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

টঙ্গীতে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর আওয়ামীলীগে যোগদান

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি : টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর মদিনা পাড়া এলাকার বিএনপি নেতা শামসুল হকের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী দলের শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামীলীগে যোগদান অনুষ্ঠান গত সোমবার পূর্ব আরিচপুর মদিনা পাড়া বাড়িওয়ালা কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আব্দুল আলীম মোল্লার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, টঙ্গী আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের সভাপতি একে এম গিয়াস উদ্দিন, নিউ অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান বিকম, নতুন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন বাবু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম গাজী, মোয়াজ্জেম হোসেন, মোঃ হোসেন আলী, মোঃ সালাহ্ উদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন, মোঃ মনির উদ্দিন, সবুজ মিয়া, মোঃ হেলাল উদ্দিন, আমজাদ হোসেন, হাজী মোঃ আলমগীর হোসেন, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
যোগদান অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী দলের মোঃ শামসুল হক বলেন, টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর মদিনা পাড়া অধিবাসী দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনৈতিক সাথে জড়িত ছিলাম। কিন্তু এ কথা বলার দিধা নেই যে, বর্তমান বিএনপি রাজনীতি পথভ্রষ্ট। তাদের কোন আদর্শের বালাই নেই।  বিশেষ করে কিছুদিন পূর্বে পর্যন্ত বিগত প্রায় ৩ মাস হরতাল অবরোধের নামে ভাংচুর, জ্বালাও পোড়া, মানুষ পুড়িয়ে মারাসহ ধ্বংসাত্মক রাজনীতি যে স্টাইল বিএনপি শুরু করেছে তা হলে দেশের আপামর জনগণের সাথে আমরাও বিরক্ত হয়ে পড়েছি। তদুপরি স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াত শিবিরসহ মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠির উপর নির্ভরশীল। বিএনপির এই অপরাজনীতির সহিত আর কোন মতেই আমরা জড়িত থাকতে পারি না। পক্ষান্তরে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির উন্নয়ন মুখী গতিশীল সরকার চাইছে কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সহ উৎপাদনে গতিশীল একটি স্থতিশীল উন্নত রাষ্ট্রে আমাদের দেশকে পরিণত করতে । এমতাবস্থায় আমারাও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হইয়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগদান করিতেছি।

বেশির ভাগ সড়কের বেহাল দশা, চরম ভোগান্তিতে নাগরিক সমাজ ঃ কাউন্সিলরা খায় আর ঘুমায়

গাজীপুর সিটি’র ২য় বর্ষ পূরণ ঃ নাগরিক সেবার খবর নেই

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দ্বিতীয় বর্ষ পূরণ হলেও এখন পর্যন্ত এ নগরীর বেশির ভাগ রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। নান্দনিক শহর গড়ে তোলা তো দূরের কথা এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কোনো ছোঁয়াই লাগেনি। বেশির ভাগ সড়কের বেহাল দশা। খানাখন্দক আর ভাঙ্গাচোরা রাস্তাঘাট ও জলাবদ্ধতার প্রধান চিত্রই রয়ে গেছে সিটি কর্পোরেশন এলাকায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে সিটি কর্পোরেশন এলাকার নাগরিকরা। আর নির্বাচিত কাউন্সিলরদের হাম্বরা ভাব ছাড়া নাগরিক সেবার কোন চিত্রই চেখে পড়েনা। তারা গরিবের ট্যাক্স আদায় করে খায় আর ঘুমায়। রাস্তা-ঘাটে চলতে ফিরতে নাকাল হয় সাধারণ মানুষ।
নগরীর শিল্পসমৃদ্ধ টঙ্গী, গাছা, বোর্ডবাজার, জেলা সদর, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর এলাকার সড়কগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে, এসব সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষের হেঁটে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। অপরদিকে মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ সড়কগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্রও খুবই করুণ। যত্রতত্র খানাখন্দে ভরা। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় জনসাধারণের জনদুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।
সিটি কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হওয়ার পর গত দু’বছরে জনগণের কাঁধে শুধু ট্যাক্সের বোঝাই চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ সুবিধা এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ লাইন স্থাপনসহ কোনো প্রকার নাগরিক সেবা এখানে পাওয়া যাচ্ছে না।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দুই বছর পূর্ণ হলো গত ক’দিন হলো। নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক এমএ মান্নান প্রথম নগরপিতা হিসেবে নির্বাচিত হন। সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত ১৯ জন মহিলা কাউন্সিলরসহ ৭৬ জন কাউন্সিলর নিয়ে গঠিত দেশের সর্ব বৃহত্তম এই সিটি কর্পোরেশন। দুই বছর পার হওয়ার আগেই নির্বাচিত মেয়র বিভিন্ন ফৌজদারী মামলায় কারাবাস করছেন। তাছাড়া বিএনপি সমর্থিত একাধিক মহিলা ও পুরুষ কাউন্সিলগন নিজ নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে দল ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছেন। অথচ এখনো জনগণের কাছে দেয়া কোনো প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারছেন না এসব  জন প্রতিনিধিরা।
নগরীর আঞ্চলিক সড়কগুলো বিভিন্ন ওয়ার্ডে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। অথচ বড় বড় গর্তে ভরা বেহাল এসব সড়ক বর্ষাকালে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা চেনার উপায় থাকে না। হাঁটুপানি জমে মাঝে মাঝে খালের মতো অবস্থা হয়ে যায়। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পরও এসব রাস্তার কোনো উন্নতি ঘটেনি। বিদ্ধস্ত সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী করে রাখার চেষ্টাও করে না সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলের রাস্তাঘাটগুলো তুলনামূলকভাবে ভালো থাকার কথা। কেননা, প্রতি বছর সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব দেন এখানকার শিল্প-কলকারখানার মালিকরা। কিন্তু তারপরও গাজীপুর সিটিতে ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকরা সে সুবিধা পাচ্ছেন না। বিসিক শিল্প এলাকায় বিদেশী ক্রেতারা ভাঙাচুরা রাস্তা দিয়ে কারখানায় প্রবেশ করতে চান না। এতে করে অনেক সময় কারখানা ভিজিট করতে না পেরে অর্ডার পর্যন্ত বাতিল করে দেন তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনাবাড়ী বিসিক এলাকার ব্যবসায়ী আমাদের এ প্রতিনিধিকে বলেন, রাস্তা খারাপ থাকার কারণে প্রতি মাসে যানবাহন অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা খরচ দিতে হয়। এছাড়া এ মাসে বৃষ্টির কারনে রাস্তা খুবই খারাপ থাকায় বিভিন্ন দেশের বায়াররা কারখানা ভিজিটে আসতে না পারায় কোটি কোটি টাকার অর্ডার বাতিল হয়ে যায়। সিটি করপোরেশন এসব যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে নজরদারী না করায় এভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন রফতানিমুখী শিল্পকারখানার মালিকরা।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে,  টঙ্গীর প্রত্যন্ত গ্রাম গুশুলিয়ার এক বাসিন্দা জহির উদ্দিন জানান, আগে বাড়ির জন্য ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা কর দিতাম। বর্তমানে ১৬ হাজার টাকার নোটিশ দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। এভাবে বর্ধিত হারে কর পরিশোধ করতে মাইকিং করা হয়েছে। তবে চাহিদা মাফিক ঘুষ দিলে করের পরিমাণ কমিয়েও দেয়া হচ্ছে। ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে মেয়রকে অবহিত করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
আন্দারোল গ্রামের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন জানালেন, পূর্বে টঙ্গী পৌরসভা থাকতে প্রতিবছর মাত্র দেড়হাজার টাকা ট্যাক্স দিতেন। এ বছর সিটি করপোরেশন থেকে ১৭ হাজার টাকা ট্যাক্স নির্ধারণ করে তাঁকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ, বড় বড় গর্তে ভরা বেহাল এসব সড়ক বর্ষাকালে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা চেনার উপায় থাকে না। হাঁটুপানি জমে মাঝে মাঝে খালের মতো অবস্থা হয়ে যায়। এলাকার নাগরিকরা এ দূর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যপারে বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা আলহাজ্ব মোঃ হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, আমাদের জনগনের কোন উন্নতি হয়নি শুধু ভোগান্তি বেড়েছে। নাগরিকদের প্রত্যাশার কিছুই পূরন হয়নি। আর প্রত্যাশা পুরন না হওয়ার পেছনে  কিছু কারনও রয়েছে। এর কারন কোন জবাবদিহিতা নেই। কার কাছে জবাব চাইবে ? কে জবাব দেবে ? জবাব নেয়ার বা দেয়ার কেউ নেই। জনগনের ট্যাক্স বাড়ছে, ভোগান্তি বাড়ছে, হয়রানী বাড়ছে।
অপরদিকে নির্বাচিত মেয়র জেলে থাকায় গত ৪ মাস আগে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দ্বায়িত্ব পান প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরন। তিনিও ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে এ প্রতিনিধিকে বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতি আমরা কিছুই করতে পারিনি। তবে আমার সাধ্য অনুযায়ী সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পরিবহন ও লোকবল সংকটের কারনে সিটি করপোরেশনের কাজ কর্ম ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ ব্যবস্থা বেহাল দশার কারনে জনগনের অসচেতনতাকেও দায়ী করলেন তিনি।
শিল্পজোন হিসাবে পরিচিত এই সিটি কর্পোরেশনটি দেশ ও বিদেশে ইতিমধ্যে ব্যপক পরিচিতি লাভ করেছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অবস্থান দেশের মধ্যাঞ্চলে। এখানকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের ঢেউ সারা দেশে সংক্রমণের মতো ছড়িয়ে যায়। এই অপরিকল্পিত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব হবে একটি আধুনিক ও বাস্তবসম্মত নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। সিটি কর্তৃপক্ষ সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারলে জনসাধারণ সুস্থ জীবন যাপনের সুযোগ পাবে । সুন্দর ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সুস্থ জাতির এর আর কোন বিকল্প নেই। নবগঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন হোক বর্তমান সরকার ও দেশের উন্নয়নের মডেল।

কালীগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতাকে লাঞ্চিতের প্রতিবাদ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন শুক্কুরকে পৌর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা লাঞ্ছিত করায় প্রতিবাদ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নের্তৃবৃন্দ। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ প্রতিবাদ সভা করেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বৃস্পতিবার পৌর এলাকার বাঘারপাড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী জামান ভূঁইয়ার বাড়ীতে পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মো. শাহআলম শেখ, সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান ঝিনুকের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ভাংচুর চালায়। আর এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় আওয়ামী লীগ নেতা শুক্কুর গত শনিবার রাতে দলীয় কার্যালয়ে সভা শেষে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে পরিকল্পিতভাবে ওই ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা কালীগঞ্জ বাজার এলাকার বটতলায় শুক্কুরকে লাঞ্ছিত করেন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক এবিএম তারিকুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আহমেদুল কবির, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম দেওয়ান, উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শফিউল কাদের নান্নু, পৌর যুবলীগ সভাপতি মো. বাদল হোসেন প্রমুখ। এ সময় মো. শাহ আলম শেখ ও তাওহীদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান পৌর ছাত্রলীগ কমিটির দলীয় সকল কর্মকান্ড স্থগিত করার ব্যাপারে দলীয় হাই কমান্ডের সহযোগীতা কামনা করেন। পরে দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে উপজেলা ছাত্রলীগ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই কমিটির কর্মকান্ড স্থগিত করা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমির হামজা ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন স্থগিত আদেশের সত্যতা স্বীকার করেছেন।