শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

গাজীপুর গোয়েন্দা বিভাগে তিন তারকা সমাচার-২

স্টাফ রিপোর্টার : গত ২১মে বৃহস্পতিবার গাজীপুর গোয়েন্দা বিভাগের ওরা তিন তারকা শীর্ষক একটি সংবাদ প্রথম পাতায় বেশ গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়। সংবাদটি গাজীপুরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সাধুবাদ জানানোসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে এ প্রতিবেদককে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। গাজীপুর গোয়েন্দা বিভাগের তিন তারকা এস.আই.মোস্তাফিজ, এস.আই আলিম ও এস.আই মামুন। এই তিন তারকা শুধু গাজীপুর গোয়েন্দা বিভাগকেই নয় পুরো পুলিশ প্রশাসনকেই কলুষিত করেছে। গাজীপুর পুলিশ সুপার মহোদয়কে গাজীপুরের জনগণ অত্যান্ত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছিলেন। পুলিশ সুপার হারুন অর-রশিদ আমাদের গর্ব। তিনি মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত গাজীপুর গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সফল হননি এটা বলা যাবে না। তিনি তাঁর পরিকল্পনা অনেকাংশে সফল করে ফেলেছিলেন। কিন্তু কতিপয় দুুষ্ট প্রকৃতির কর্মকর্তা তাঁর সফলতার মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন উল্লেখিত তিন তারকা। যারা মাদক ব্যবসায়ী ধরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আবার তাদের ছেঁড়ে দেন। এতে করে মাদক নির্র্মূল তো দূরের কথা বরং মাদক বিক্রেতারা উৎসায়িত হচ্ছে। মাদকের করাল গ্রাসে আজ আমাদের যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে পতিত। যত্রতত্র মাদকের বেঁচাকেনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। মাদক নির্মূলে যাদের ওপর নির্ভর করবো তাঁরাই যদি ঘুষের বিনিময়ে মাদক বিক্রেতাদের সহযোগীতা করে তবে আমাদের বলতেই হয় সর্ষের মধ্যে ভূত। ভূত তাড়াতে যে সর্ষে আনা হলো সেই সর্ষেতেই যদি ভূত থাকে তবে ভূত যাবে কি করে। বাস্তবতা হচ্ছে এস.আই মোস্তাফিজ এ জেলায় পূর্বে দীর্ঘদিন চাকুরী করেছেন। সেই সুবাধে মাদকের নারী-নক্ষত্র সব তাঁর চেনা জানা। এখন ডিবি’র ভয় দেখিয়ে ষোলকলা পূর্ন্য করছেন তিনি। গাজীপুরের মরকুন, কেরানীর টেক, গোপালপুর মরকুন, মাজুখান, মিলগেইট, পুবাইলসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক স্পট থেকে ওই তিন তারকা মোটা দাগের মাসোহারা আদায় করে থাকেন। দেলোয়ার হোসেন দেলু, খালেক, সাহেদা, জাহাঙ্গীর, পারুলী। এরা প্রত্যেকেই বড় মাদক ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে কেউ ফেন্সীডিলের পাইকারী বিক্রেতা আবার কেউ ইয়াবার বড় ব্যবসায়ী। একটি সূত্র জানায়, কুখ্যাত এই মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ওই তিন তারকা মাসে ১০/১২ লাখ টাকা মাসোহারা পেয়ে থাকেন। তাছাড়া পূবাইল এলাকার হোসনা ও নিপা ওই তিন তারকাকে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাদকের ব্যবসা করে আসছে। কাশিমপুর এলাকার রাইস মিল (সারাপাড়া) এলাকার জাহানারার ছেলের বউ বিশিষ্ট গাজা ব্যবসায়ীকে গত ২২মে ৫ কেজি গাজাসহ এস.আই মোস্তাফিজ আটক করে। পরবর্তীতে ৫০ হাজার টাকা আপোষ রফা করে তাকে ছেঁড়ে দেন এস.আই মোস্তাফিজ। মানুষ এখন মনে করছে পুলিশ সুপার যদি এ সব অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।

কালীগঞ্জে পিকাপভর্র্তি গরুসহ আন্তঃজেলা চোরের সদস্য আটক

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের নরুন এলাকায় পিকাবভর্তি ৫টি গরুসহ আন্তঃজেলা চোরের সদস্য ও চালককে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে গরু চুরি হওয়ার খবর পাওয়া যায়।  
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোরে কালীগঞ্জ উপজেলার নরুন বাজার এলাকায় একটি পিকাব গাড়ী  (যশোর মেট্টো ড ১১-০৩৬২) রেখে আন্তঃজেলা চোরের সদস্য নরুন (বুন্দাবাড়ী) গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে মাসুদ (৩৫) সহ কয়েকজন লোক বিভিন্ন দিক থেকে ৫টি গরু জড়ো করে। গরুগুলো পিকাব ভ্যানে উঠানোর সময় নরুন বাজারের নৈশ্য প্রহরীদের তাদেরকে চোর বলে সন্দেহ হয়। এ সময় তারা রাস্তায় গাছ ফেলে পিকাব ভ্যানটি আটক করে।  এদিকে গ্রামে গরু চোর ঢুকেছে শুনে গরুর মালিকরা তাদের গোঁয়াল ঘরে খুঁজ নেয়। পরে গরু চুরি হওয়ায় তারা খুঁজতে খুঁজতে নরুন বাজার এসে পিকাব ভ্যানভর্তি ৫টি গরুসহ চালক মামুন (২৫) ও আন্তঃজেলা গরু চোর মাসুদকে আটক করেন। এ সময় দু’জনকে আটক করেলও বাকী চোরেরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। চালক মামুন রায়পুরা জেলার লক্ষ্মীপুর উপজেলার কাচ্চাচর গ্রামের আমির আলী সরদারের ছেলে। আটককৃতদেরকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর শুনে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান এবং কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. আজাহার হোসেন ঘটনাস্থলে যান। পরে দুই থানার কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে চোর মাসুদ ও পিকাব ভ্যানসহ চালক মামুনকে কাপাসিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। চুরি হওয়া ৫টি গরু ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা গরুর মালিকদের কাছে হস্থান্তর করেন। গরুর মালিকরা হচ্ছে- কালীগঞ্জ উপজেলার নুরুন গ্রামের কফিল উদ্দিন ও পাশ্ববর্তী কাপাসিয়ার জোরেরটেকের জামান ও খোরশেদ এবং পাপলা চামুরখি গ্রামের ফজলুল হক।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চুরি যাওয়া ৫টি গরু মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কাপাসিয়ায় বিদ্যুৎ পৃষ্ঠে যুবলীগ নেতার মৃত্যু

স্টাফ রির্পোরটা : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের আলহাজ্ব শফিকুল রহমান (সফি)র ছেলে আহম্মদ আলী রনি গতকাল দুপুরে তার গৃহে বিদ্যুৎতের তার সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎতের তারে জরিয়ে পরে। আশংঙ্কা জনক অবস্থায় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রনি টোক ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জানায় গতকাল দুপুরে তার বাড়িতে বিদ্যুতের তার বিচ্ছিন্ন থাকায় সে নিজেই লাইনটি সংযোগ দিতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জরিয়ে পরে। রনির দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

টঙ্গীতে মাদকের ভয়ংকর ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছেনা স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা

মাদক ব্যবসা প্রতিবাদ করায় যুবক লাঞ্জিত

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গীতে মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক ব্যবসায় প্রতিবাদ করায় মাদকসেবীদের হাতে লাঞ্জিত হয়ে এলাকা ছাড়তে হয়েছে এক যুবককে। জানা যায়,  টঙ্গী এলাকা মাদক ব্যবসায়ী আল-আমিন অরফে ফেন্সি আল আমিন, সাহিদা, তাজুল ইসলাম (ইনটেক), রাজিয়া অরফে ফেন্সি রাজিয়া, রফিক অরফে ফেন্সি রফিক, বাদশা, সুমন, ছালাম অরফে সামু, কামরুল হাসান, টিটু , মিরাশ পাড়া এলাকার বিপ্লব, গাজা ব্যবসায়ী লিটন, ফেন্সি রুবেল, ইয়াবা বিপ্লব, সুমন, ইসমাইল, আলেরটেক এলাকার আল আমিন, নদীবন্দর কালা বিল্লাল, দক্ষিন পাড়া এলাকার খেউরার পোলা, ব্যাংকের মাঠের ময়না, সুজন, ইদ্রিস, কেরানিরটেকের দেলোয়ার, রনি অরফে বেস্তি রনি, শাহিন অরফে কাউয়া শাহিন, পিলু এরা দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এমন কোন এলাকা বা বস্তি নাই যে, যেখানে কোন মাদক বিক্রি না হচ্ছে। এসব বস্তির অলিতে গলিতে সর্বত্রই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডেল, মদ, গাজা, হিরোইন, পেথেডিন ইনজেকশিনসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা টঙ্গী থানা এলাকাকে যেন মাদকের হাটে পরিনত করছে, দেখার কি কেউ নেই এমনই জনসাধারনের? টঙ্গী প্রতিটিই বস্তি এখন মাদকের সর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত, টঙ্গীতে ছোট বড় সব মিলে ১৯টি বস্তি রয়েছে। এসব বস্তির প্রায় ৮০ ভাগ লোকই কোন কোন অবৈধ ব্যবসা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। এসব বস্তির বাসীর অপকর্মের ফলে টঙ্গীর সুশিল সমাজ অনেক জায়গায় বিব্রত ও লজ্জাবোধ করে আসছেন। পাশাপাশি আশেপাশের থানার লোকজন মনে  করেন বস্তি বাসীর মতই টঙ্গী বাসী। এজন্য বস্তির ৮০ ভাগ লোকদের  জন্য টঙ্গী বাসী কলঙ্গিত। টঙ্গী থানার মাদকের হাট হিসেবে পরিচিত ভয়ঙ্গকর বস্তিগুলো হচ্ছে টঙ্গী বাজার এলাকার গোহাটা বস্তি, হাজী মাজার বস্তি, এরশাদ নগর বাস্তুহারা বস্তি, নতুন বাজার এলাকার ব্যাংকের মাঠ বস্তি, আমতলি এলাকার কেরানীরটেক বস্তি, রেলওয়ে বস্তি, মাছিমপুর এলাকার জিন্নাতের পিছনের বস্তি, নিশাতনগর এলাকার পিছনের বস্তি, চুড়ি ফ্যাক্টরির বস্তি, তেতুলতলা বস্তি, সিপাই পাড়া বস্তি, নামা বাজার বস্তি, কলাবাগান বস্তি, বেক্সিমকোর পিছনের বস্তি, টঙ্গী মেডিকেলের পিছনের বস্তি, পরানমন্ডলের টেক কাঠালদিয়া বস্তি, আউচপাড়া এলাকার মোল্লা বাজার বালুর মাঠ বস্তি, নোয়াগাও এলাকার বাহার আলীর টেক বস্তি, নেকার বাড়ী বস্তি, বেলতলা বস্তি, সান্ডারপাড়া বস্তি, সাতইশ এলাকার নাজিম ফ্যাশনের পিছনের বস্তি, গুটিয়া বস্তি, ইন্টান্যাশনাল মেডিকেলের পিছনের বস্তি, খৈরতুলের ব্যাংকপাড়া বস্তিসহ নাম না জানা আরও অনেক বস্তি ও এর অলি গলি মাদকের মোকাম হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় একটি সচেতন মহল জানান সরকার দলীয় এক শ্রেনীর প্রভাবশালী কিছু নেতাদের ছত্র ছায়ায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় কিছু অসাধু অফিসারের সহযোগিতায় দেদার্চে চালিয়ে যাচ্ছে ফেনসিডেল, হেরোইন, মদ, গাজা, ইয়াবা, পেথোডিনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসা। আর এ মাদক দ্রব্য রিক্সা চালক থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা হাবুডুবু খাচ্ছে মাদকের এই ভয়ংকর নীল নেশায় জড়িয়ে পড়ে। এতে করে মাদকের মরণ থাবায় ছাত্র ছাত্রী ও বেকার যুব সমাজ ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে। তা অভিভাবক এবং সচেতন মহলকে উদ্বীগ্ন করে তুলছে । এমনকি সমাজের গরবী – ধনী, নি¤œ আয়ের পেশা জীবীরাও দিন দিন মাদকের আসক্ত হয়ে পড়ছেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে দেশের বিভিন্ন  রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অবৈধভাবে ঢুকছে এই ফেনসিডেল, হেরোইন, মদ, গাজা, ইয়াবা, পেথোডিনসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শতাধিক ব্যক্তিতে নিয়ন্ত্রন করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ, তৃনমূল পর্যায়ের ব্যক্তিরা। ইদানিং এসব অবৈধ মাদক বিক্রেতারা নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাসহ থানা পুলিশ, জিআরপি পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসহারা (মাসিক ঘুষ) নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। মাঝে মধ্যে টঙ্গী থানা পুলিশ ও জিআরপি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছোট ছোট দুএকটি মাদকের চালান আটক করলেও মূল হোতারা থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। আবার অনেক মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও আইনের ফাক ফোকরে বেরিয়ে এসে তারা পুনরায় এই অবৈধ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। এতে করে আইনের কঠোর প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন এ অবৈধ মাদক ব্যবসা মহামারি আকার ধারন করছে।  এতে এলাকা নিরীহ যুবক, স্কুল-কলেজগামী ছাত্র ও অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। তাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম চঞ্চল মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবাদ করে আসছে। মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মোবাইল ফোনে তাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলার স্বীকার হয়ে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইতিপূর্বে টঙ্গী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর সহযোগীতায় টঙ্গী এলাকার মিরাশপাড়া, টঙ্গী বাজার, মধুমিতা, আরিচপুর, বউবাজার, হাজীর  মাজার বস্তি, টঙ্গী নতুন বাজার, ব্যাংকের মাঠ বস্তি, মেঘনা রোড এলাকার প্রায় ৩০/৪০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের পুলিশের সহযোগিতায় আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীরা আদালত থেকে জামিনে এসে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ তাকে অভিনন্দন জানালেও মাদকসেবীদের ভয়ে সে দিশেহারা হয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। টঙ্গী বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে। টঙ্গী বিভিন্ন এলাকার সমাজের সমাজপ্রতিদের সহযোগীতায় বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা  টঙ্গী বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

গাজীপুর গোয়েন্দা বিভাগে ওরা তিন তারকা !

স্টাফ রিপোর্টার :  শুধু চলচ্চিত্র জগতেই তারকা সৃষ্টি হয় না। অন্যান্য ক্ষেত্রেও তারকার সৃষ্টি হতে পারে। যেমনটি দেখা যায় গাজীপুর গোয়েন্দা বিভাগে। এস.আই মুস্তাফিজ, এস.আই আলিম ও এস.আই মামুন। ওরা তিনজন গাজীপুুর গোয়েন্দা বিভাগের তিন তারকা। ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তা ইতোমধ্যে তাদের কর্মকান্ডে ভালো নাম করে ফেলেছেন। বিশেষ করে মাদক নির্মুলের পরিবর্তে মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করার নানা তথ্য সংবাদ মাধ্যমগুলোতে আসতে শুরু করেছে। গাজীপুরের সুযোগ্য পুলিশ সুপার মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছেন। এ ব্যাপারে তাঁর আন্তরিকতার কোনো ফাঁক ফোঁকড় সাংবাদিকদের নিকট ধরা পড়ে নাই। সুযোগ্য পুলিশ সুপারের কারণে গাজীপুর এখনও মাদকে সয়লাব হতে পারেনি। কিন্তু এস.আই মোস্তাফিজ, আলিম ও মামুনদের মতো অফিসার যদি আরও দু-চার জন এ জেলায় থাকেন তবে সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয় মাদক নির্মূলে কতটা সফল হবেন তা নিয়ে যতেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে। ব্যাপক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গত ১ মাসে এস.আই মোস্তাফিজের নেতৃত্বে ওই তিন তারকারা মরকুন এলাকার মৃত আমিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন দেলুর নিকট থেকে ৪ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে। গোয়েন্দা পুলিশ তাকে একবার ইয়ারাসহ আটক করলেও মোটা অংকের টাকার আপোস রফার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। কেরানীর টেক মৃত: ইসমাইলের ছেলে ইয়ারা ব্যবসায়ী খালেক ৩ লাখ টাকা, গোপালপুরের তাজুলের স্ত্রী সাহেদা ২ লাখ টাকা, মাজুখান এলাকার জাহাঙ্গীর ৩ লাখ টাকা, মিলগেইট এলাকার পারুলী ৭০ হাজার টাকা, পূবাইল এলাকার বেদনের স্ত্রী হোসনা ১ লাখ টাকা ও নিপা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ওই তিন তারকাকে দিয়ে ইয়াবা, ফেন্সী, গাজার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। একটি সূত্র জানায়, এস আই মোস্তাফিজ মাদক ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ সব বিষয়ে পুলিশ সুপার কিছুই জানেন না বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন। ওই তিন তারকাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি গাজীপুরবাসীর।

গাজীপুরে জনপ্রতিনিধিদের সাথে অবহিতকরণ সভা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাউথ এশিয়া ওয়াশ রেজাল্ট প্রোগ্রামের উদ্যোগে ডাব্লিউ এসইউপি বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ডিএফআইডি’র অর্থায়নে থানা শিক্ষা অফিসার ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে অবহিতকরণ মতবিনিময় সভা গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে (ইউ.এস) উন্নয়ন সংঘের জেলা হাইজিং অফিসারের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর সদর থানা শিক্ষা অফিসার কামরুল হাসান, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা সরকার, উন্নয়ন সংঘের প্রজেক্ট কো-অডিনেটর আফজাল হোসেন দেওয়ান, ভাওয়াল ঘর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সালাহ্ উদ্দিন সরকার, এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুর রহমান, প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান, থানা সহকারী শিক্ষা অফিসার সন্দা রানী সরকার, উম্মে কুলছুম ফেরদৌসি, নূর নাহার বেগম, ইকবাল উদ্দিন, সুমাইয়া আক্তার, মরজিনা পারভিন, লুতফুন নেছা, শিল্পী নাগ, ফারজানা আক্তার প্রমুখ।

গাজীপুরে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার ঃ আটক ১২৫

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে ছয় দিনের অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য উদ্ধার ও  মাদক বিক্রয় ও সেবনের অভিযোগে ১২৫ আটক করা হয়েছে।  এসবের মধ্যে রয়েছে ৬৭ হাজার ২৪৩ লিটার দেশি মদ, ১৩ কেজি গাঁজা, ৮৮৩টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬১৯ বোতল ফেনসিডিল, ৬৭৭ ক্যান বিয়ার ও ২৩ গ্রাম হেরোইন।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বিশেষ এই অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ  জানান, মাদকসহ আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজকর্মের বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে এবং থাকবে।

টঙ্গীতে মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকসহ গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গী মডেল থানার বেশ কয়েক জন এএসআই ও পুলিশের গাড়ী চালক কনষ্টেবলদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন টঙ্গীতে কর্মরত থাকার সুবাদে সরকারী ডিউটির বাইরের সাদা পোষাকে মটর বাইকযোগে পুলিশ র্সোসদের সাথে নিয়ে টঙ্গীর আমতলী, কেরানীরঠেক, কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ, মরকুন, মরকুন ঠেকপাড়া, টিএন্ডটি, টঙ্গী ভরান মাজার বস্তি, মেঘনা রোড বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কখনো মাদকদ্রব্যসহ আবার কখনো মাদক ছাড়াই হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে থানায় না নিয়ে এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানোসহ ঘটনাস্থলে বসে স্থানীয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, টঙ্গী মডেল থানায় এএসআই ফখরুল অতি চতুরতার সাথে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ডিউটি শেষে সাদা পোষাকে এবং থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিনা অনুমতিতে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে মোটা অংকের টাকা আদায়সহ মাদক উদ্ধারের নামে হোন্ডারোহীদের তল্লাশীসহ হয়রানী ও টাকার বিনিময়ে দফা রফা করার বিভিন্ন অভিযোগে তাকে ক্লোজ করা হয়। আরো জানা যায়, এএসআই ফখরুল সম্প্রতি গাজীপুরা এলাকায় সিনিয়র একজন এসআইয়ের নেমপ্লেড ব্যাবহার করে নিজেকে এসআই পরিচয় দিয়ে এক যুবককে গাঁজাসহ আটকের পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এবং মরকুন এলাকা থেকে অপর একজনকে আটকের পর ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। এব্যাপারে এএসআই ফখরুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। 
এদিকে থানার অপর এএসআই ফয়েজ গাজীপুর জেলায় বিগত দিনে দীর্ঘদিন চাকুরি করার সুবাদে টঙ্গী শীর্ষ এক পুলিশ সোর্স মোল্লা আবুলের সাথে পরিচয় আর সেই সুত্রে সোর্স মোল্লা আবুলের সহযোগীতায় এএসআই ফয়েজ টঙ্গীর বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের কাছ থেকে নিয়মিত বকরা আদায়সহ গত ১৯ মে বিকেলে উত্তরা থেকে টঙ্গী ভরান মাজার বস্তিতে গাঁজা সেবন করতে আসা এক যুবকে পথিক পাম্পের সামনে থেকে ১ পুইরা গাঁজাসহ আটক করে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করে। টাকা দিতে না পারায় ঐ ছেলে ৫২ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন আটকে রেখে ১০ হাজার টাকা আনতে বলে, পরে টাকা নিয়ে এলে মোবাইল ফেরৎ দেন। এছাড়াও এএসআই ফয়েজ টঙ্গীর আমতলী, কেরানীরঠেক, কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ, মরকুন, মরকুন ঠেকপাড়া, টিএন্ডটি,  টঙ্গী ভরান মাজার বস্তি, মেঘনা রোড বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সপ্তাহ ও মাসিক ভিত্তিক উৎকোচ আদায় করে থাকেন বলেও একাধিক সুত্রে জানা গেছে। এব্যাপারে এএসআই ফয়েজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং এধরনের কোন ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন বলে দাবী করেন।
অন্যদিকে টঙ্গী মডেল থানার এএসআই লালন ফকির গত গত ১৬ মে রাতে স্পেশাল ডবল টু ডিউটি ও এএসআই মাহবুব স্পেশাল টু ডিউটিতে থাকা অবস্থায় শিলমুল এলাকা থেকে ঐ এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী পুটকি কাটা বাবুকে ২ বস্তা ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ প্রায় ৫০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ফেন্সিডিলসহ ছেড়ে দেয়। পরে এনিয়ে টঙ্গী মডেল থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের মধ্যে জানা-জানি হলেও দুই এএসআইয়ের কেউ তা স্বীকার করছে না। একটি বিশেষ সূত্র জানায় পুলিশ সোর্স শাহীন ও কুতুবের মাধ্যমে এএসআই লালন ফকির ঐ ফেন্সিডিল গুলো ধরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। এছাড়াও এএসআই লালন ফকিরের নেতৃত্বে টঙ্গী মডেল থানার গাড়ী চালক কনষ্টেবল বাকী, মামুন ও বদরুলসহ অজ্ঞাত নামা আরো জ্জ জন ৩ টি মোটর বাইক যোগে টঙ্গীর দেওড়া, আউচপাড়া, শিংবাড়ী, তিলারগাতী, সাতাইশ, গাজীপুরা, দত্তপাড়া, মরকুন, শিলমুন, পাগাড়, পাগাড় ফকির মার্কেট, আরিচপুর, টঙ্গী মাজার এলাকায় সাদা পোষাকে ঘুরে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীসহ অপরাধীদের ধরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য গত ১৮ মে রাত ৯ টায় উক্ত টিমের টিম লিডার হিসেবে পরিচিত এএসআই লালন ফকিরের নেতৃত্বে উপরোক্ত ব্যক্তিরা পাগাড় এলাকা থেকে ৪ জনকে ৪০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ৩ জনকে ৩৪ ধারায় ও বাকি ১ জনকে ৪০ পিচ দিয়ে মাদক মামলা রজু করত আদালতে প্রেরণ করা হয় বলে একটি বিশেষ সুত্র জানায়। এব্যাপারে লালন ফকিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি আমি এসবের সাথে জড়িত নই বলে দাবী করেন এবং এ প্রতিনিধিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে এধরনের কোন অভিযোগ বা তথ্য প্রমান পেলে আমি চাকুরি ছেড়ে চলে যাবো।
জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হারুন-উর-রশিদ এ জেলায় যোগদানের পর থেকে জেলায় মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিমূলে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে জেলায় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন এবং আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে জেলাব্যাপী পুলিশী বিশেষ অভিযান পরিচালনাসহ কমিনিউটি পুলিশ গঠনের মতো মহৎ কাজটি হাতে নেয়ার পর জেলা অতিঃ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, টঙ্গী মডেল থানার সিনিঃ এএসপি (সাকেল) মোঃ গোলাম সবুর, বর্তমান অফির্সাস ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী, অফির্সাস তদন্ত মোঃ আমিনূল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার এসআই মোঃ হাসানূজ্জামানের বলিষ্ট নেতৃত্বে মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্তণে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী থেকে সেবনকারীরা যখন আতংকে দিন কাটাচ্ছে, জেলা পুলিশ সুপার বা থানার র্উদ্ধতন কর্মকর্তাদের ভয়ে টঙ্গীতে মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ী বা সেবনকারী এবং বিভিন্ন অপরাধীদের টঙ্গীতে আনা-গোনা বা মাদকদ্রব্য ব্যাবসা যখন অনেকাংশে শিথিল তখন এধরনের অর্থলোভী টঙ্গী মডেল থানার কয়েকজন এএসআইসহ উপরোক্ত গাড়ী চালক কনষ্টেবলগনের কারনে স্থানীয় পুলিশ প্রসাশনের ভাবমুর্ত্তিকে প্রশ্ন বিদ্ধ করছে বলেই টঙ্গী ও গাজীপুরবাসী মনে করছে।
এব্যাপারে টঙ্গী মডেল থানার অফির্সাস ইনচার্জ মোহাম্মদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব বিষয়ে কিছু জানে না বলে জানান। তবে এধরনের কোন ঘটনা কেউ ঘটিয়ে থাকলে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গাজীপুর মহানগর জাতীয় শ্রমিকলীগের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

মোঃ ইমন খান : গাজীপুর মহানগর জাতীয় শ্রমিকলীগের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন হওয়ার পর এক আলোচনা সভা ও পরিচিতি সভার আয়োজন করেন। উক্ত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন- গাজীপুর মহানগর জাতীয় শ্রমিকলীগের আহবায়ক- আলহাজ্ব মোঃ আঃ মজিদ বিএসসি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর ২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, সভাপতি- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। উক্ত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- নতুন কমিটির ১ নং যুগ্ম আহবায়ক- মোঃ কবির আহম্মেদ মন্ডল, যুগ্ম আহবায়ক- মোঃ ইব্রাহীম খলিল, মোঃ মজিবর রহমান, মোঃ আঃ জলিল, মোঃ মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, মোঃ মেহেদী হাসান সুমন, গাজীপুর জেলা শ্রমিকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি- মোঃ মতিউর রহমান মতি, সহ-সভাপতি মমিন উদ্দিন সহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা কর্মী।

টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা ॥ আনন্দ মিছিল

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি : টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে মেহেদি হাসান কানন মোল্লাকে সভাপতি, মশিউর রহমান সরকার বাবুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের উদ্যোগে গতকাল বুধবার বাদ আছর গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেলকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি টঙ্গী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে টঙ্গী নতুন বাজার আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে গিয়ে আলোচনায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নবনির্বাচিত কমিটির সহ-সভাপতি জুয়েল রানা, আশরাফুল আলম, মোঃ সাত্তার হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, এহসানুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, মোঃ রাসেল বেপারী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রেজাউল করিম, হুমায়ুন কবির বাপ্পি, মোক্তার হোসেন প্রমুখ।

টঙ্গীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টার : টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করার পর পূর্ব শত্র“তার জের ধরে ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের নয়ন ও জুয়েলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে জুয়েল নয়নকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে রক্তাক্ত করে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে রিকসায় তুলে নিঝুম এলাকায় নিয়ে যায়।
জানা যায়, পূর্ব শত্র“তার জের ধরে স্থানীয় দেওড়া এলাকার ৫৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী নয়ন ও এরশাদনগর এলাকার ৪৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী জুয়েলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। থানা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির উদ্যোগে টঙ্গী কলেজ গেইট এলাকা থেকে হবে মিছিলের খবর পেয়ে নয়ন টঙ্গী কলেজ গেইট এলাকায় একা আসন। পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা জুয়েল নয়নকে একা পেয়ে তার লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে নয়নের ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি দিয়ে রক্তাক্ত করে নয়নকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে টেনে হেচরে রিকশায় তুলে বনমালা দীঘির পাড় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মুক্তার হোসেনের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ নেতা নিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এব্যাপারে নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান কানন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সরকার বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, তাদের আভ্যন্তরীক ব্যাপার। এখানে ছাত্রলীগের কোন ব্যাপার না। এব্যাপারে আমরা দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

কালিয়াকৈরে ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট বুধবার ঘোষনা করা হয়েছে।  ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের হলরুমে আয়োজিত বাজেট ঘোষনা অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ,ন,ম খলিলুর রহমান ইব্রাহীম এর সভাপতিত্বে পরিষদের সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন ১কোটি ৫২ লক্ষ ১০ হাজার ২শত ৫৪ টাকার  বাজেট ঘোষনা করেন। বাজেট অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা আ’লীগ নেতা ও বোয়ালী এনএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ । অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইউপি সদস্য মোঃ আলাল উদ্দিন , ইউপি সদস্য মোঃ সুরুজ মিয়া , এ্যাডভোকেট মোঃ মজিবর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।

কালিয়াকৈরে দুর্দশাময় ২০গজ রাস্তা দুর্ভোগে এলাকাবাসী

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর ও ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যবর্তী ধুলিগড়া এলাকার বাঙ্গলাবাজারে মাত্র ২০গজ রাস্তা কর্দমাক্ত হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে হাজার হাজার জনগণ।
স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়,বাঙ্গলা বাজার এলাকায় মাত্র ২০গজ রাস্তায় গর্ত ও কাদা পানি মিলে একাকার হওয়ায় সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সাতকুড়া, বাঘবেড়চালা, ধুলীগড়া, তেলিনা ও ভাল্লুকবেড় চালা সহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের ছাত্রছাত্রী সহ হাজার হাজার জনতা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে চাপাইর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আব্দুল মান্নান জানান, রাস্তাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এলাকাটি ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের আওতাধীন হওয়াতে আমরা কাজ করতে পারিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাজারের সভাপতি ডা,--বলেন আমরা বাজার তথা এলাকর পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে বার বার ধর্না দিয়েও রাস্তাটি মেরামত করাতে পারছিনা। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করীম রাসেল এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং রাস্তা মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় উদ্বোধন ও বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস পালন

সাংবাদিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে


স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগীয় অফিস উদ্বোধন ও বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস পালন অনুষ্ঠানে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুহম্মদ আলতাফ হোসেন বলেন- সাংবাদিকরা জাতীর বিবেক। তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরকারকে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আজকে সাংবাদিকরা অনেকেই নানা হামলা-মামলার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের সহযোগিতায় সরকারের পাশাপাশি আমাদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিং মহাসড়কের ভোগড়াস্থ চৌধূরী সিটি টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য কালে তিনি আরো বলেন- আজকে সাংবাদিক নামের ধান্দাবাজ এ পেশার সুনাম ক্ষুন্ন করে চলেছে। তারা মোটর সাইকেলসহ প্রাইভেটকারে সাংবাদিক স্টিকার লাগিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা করে চাঁদাবাজি করে। সরকারকে এ বিষয়গুলোও কঠোর হস্তে দমন করা জরুরু।
গাজীপুর জেলা সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি লায়ন মোঃ আব্দুল মজিদ খানের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন- দৈনিক মুক্ত বলাকা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আলমগীর হোসেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন- সাংবাদিক সংস্থা দীর্ঘ ৩৩ বছর যাবৎ সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে আসছে। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়, প্রশিক্ষণ এবং সাংবাদিকতাকে একটি সুস্থ্য ধারার ফ্রেমে সাজিয়ে রাখতে সংগঠটি অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, গাজীপুর জেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা এবং আজিজ চৌধূরী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সালাউদ্দিন চৌধুরী জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন।
তাছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ আবুল হোসেন, সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব এড. লুৎফুর রশীদ রানা, যুগ্ম মহাসচিব কাজী সিরাজুল ইসলাম, সাপ্তাহিক ঘটনার আড়ালে পত্রিকার সম্পাদক মোঃ জানে এ আলম, সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু হানিফ, ডেইলী ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি মোঃ হাজীনুর রহমান শাহীন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি এস.কে ইসলাম, গাজীপুর জেলা সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন বুলবুল, দৈনিক ভোরের সময় পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি মোঃ চাঁন মিয়া মুন্সী, ডেইলী সানের গাজীপুর প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ মাজেদসহ সাংবাদিক মোঃ জসিম উদ্দিন ও জিহাদ হোসেন।
তাছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মোসাঃ শিমু আক্তারসহ সাংবাদিক ইমন খান, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন, সাংবাদিক ইব্রাহীম খান, সাংবাদিক মোঃ রফিকুল ইসলাম রুবেল, আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে দোয় পরিচালনা করেন- স্থানীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ক্কারী মোঃ ওবায়দুল্লাহ।

কাপাসিয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দুস্থদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সহায়তায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গরিব অসহায় দুস্থদের মাঝে ১৬ মে শনিবার সকালে ১১০ বান্ডেল ঢেউটিন বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ অফিসের উদ্যোগে পরিষদ চত্বরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঢেউ টিন বিতরণ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সাবেক এমপি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. রেজাউর রহমান লস্কর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তা জাকির হোসেন সরকার প্রমূখ। উল্লেখ, সম্প্রতি কাল বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গরিব অসহায়দের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের তৎপরতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় প্রথম কিস্তিতে ১১০ বান্ডেল ঢেউ টিন বরাদ্দ দিয়েছে। 

কালিয়াকৈরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শওকত  হোসেন (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার কামারিয়া গ্রামে একটি পোল্ট্রি ফার্মে রোববার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত শওকত কামারিয়া গ্রামের  মোঃ আতর আলীর  ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মরিয়ম বেগম জানান, ৭-৮ মাস ধরে মোঃ ইদ্রিস বেপারীর পোল্টি ফার্মে কাজ করতেন। রোবাবার সকালে ওই বাড়িতে পোল্টী খামারের নিচে কাজ করার সময় অসর্তকতা বসত বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে সে মারা যায়। পরে নিহতের লাশ পারিবারিক ভাবে দাফন করা হয়।

কালিয়াকৈরে শালিশে চোর না পেয়ে চোরের বাবার জরিমানা

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার গোসাত্রা এলাকায় মোটর সাইকেল চোর কে গ্রাম্য শালিশে না পেয়ে চোরের বাবাকে জড়িমানা করল স্থানীয় মাতাব্বরেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার মোঃ নাজিম উদ্দিনের মোটর সাইকেল চুরি নিয়ে এলাকায় জনগনের মধ্যে তুলপার শুরু হয়। স্থানীয় বিচক্ষণ মাতাব্বরেরা বিভিন্ন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে চোরদের ঠিকানা। পরে রোবাবার স্থানীয় শালিশে চোরদের অভিবাবকসহ উপস্থিত করা হয়। শালিশে অনুপস্থিত চোর সোলাইমানের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় সকল দায় ভার। পরে অনুপস্থিত চোর সোলাইমানের পিতা ফজল মিয়াকে ৬০ হাজার টাকা জড়িমানা করে শালিশের মাতাব্বররা।
ডা. নাজিম উদ্দিন জানান, শানবার রাত সারে ৯টার দিকে ওই এলাকার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তাকে রোগি পরিচয়ে মঠোফোনে ওই এলাকার কিসমত আলীর বাড়ীতে যেতে বলে। সে ওখানে গিয়ে একটি মোটর সাইকেলে ওই এলাকার আঃ লতিফের ছেলে রাকিব (৩০),  ফজলের ছেলে সোলাইমান ও অজ্ঞাত পরিচয়ে একজনকে দেখতে পায়। সেখানে মোটরসাইকেল রেখে ডাক্তার কিসমতের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে তাকে ওই বাড়ির কেউ ডাকেনি। সে বারবার ওই নাম্বারে ফোন করলেও আর রিসিভ করেনা। পরে সে ৫ মিনিটের মধ্যে ফিরে এসে দেখে তার মোটরসাইকেলটি ও ওই ছেলে গুলো নেই। পরে তিনি রোবাবার সকালে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

কালীগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় আহত-২

বাদীকে হত্যার হুমকি

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রবাসীর বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলায় দুইজন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। ৯ দিনেও মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাদীকে হত্যার হুমকি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে উপজেলার চৌড়া দর্গা এলাকার সৌদী আরব প্রবাসী ইকবাল শিকদারের সাথে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আহাম্মদ শিকদার ও আবু সাইদ শিকদার বাড়ীতে প্রবেশ করে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করিতে থাকে। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রী মোসাঃ রাবেয়া বেগম(২৬) ও তার মা মোসাঃ শিরিনা আক্তার (৪৬) তাদের প্রতিবাদ করলে আবু সাইদ শিকদার শিরিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাটিতে ফেলে গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রী রাবেয়া বেগম তাকে উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকেও আহত করে তাদের গলা থেকে স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কালীগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। স্থানীয়রা জানায়, আবু সাইদ ও আহাম্মদ শিকদার খারাপ প্রকৃতির লোক। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মধ্যে বিরোধ চলছে। তাদের পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মো. শরীফ হোসেন জানান, সন্ত্রাসীরা আমার মা ও বোনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলঅ করে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় তারা বেচে যায়। তার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের আটক করেনি। থানায় মামলাও নেয়নি। প্রতিনিয়ত তারা আমাকে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।

গাজীপুরের মনিপুরে আলমাছ কাজ্বীর মাদ্রাসায় ছাত্রকে বেধুম প্রহার ঃ শিক্ষক বহিস্কার


স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সদর উপজেলা ভাওয়াল গড় ইউনিয়নে মনিপুর গ্রামে “হাজ্বি আলমাছ কাজ¦ী কারিমিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা” মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি অল্প সময়ের মধ্যেই দশ জনের সহযোগীতায় বিশেষ করে পাশে ইউটা গ্রোপের অনুদানের কথা অসিকার করার মতো নয়। সেখান থেকে প্রতিমাসে বেতন হলেই সুপার ফাইজারের মাধ্যমে টাকা কালেকশন করে সহযোগীতা করে আসছে। এছাড়া প্রত্যেক ফসল উৎপাদন মওসুমে গ্রামে গ্রামে শিক্ষক ও এতিম ছাত্রদের দিয়ে ধান, কাঁঠাল ও বাঁশ পর্যন্ত কালেকশন করাচ্ছে। এমন কি প্রতি বছর ২/৩টি ইসলামী ওয়াজ মাহফিল দিয়ে হাজার হাজার টাকা আয় করছে। এছাড়াও মাদ্রাসার সোনার এতিম ছেলেদের কাছ থেকে বেতন হিসেবে নিচ্ছে ৩৫০ টাকা। লোক মুখে শুনেছি, বাহিরের কোন মাদ্রাসার ছাত্র অথবা শিক্ষক বা কোন মাদ্রাসার সওয়ালকারী আশেপাশে আসলে তাকে অপমান অপদস্ত করে। এই মাদ্রসার কমিটি ও শিক্ষকগণ মাদ্রাসার জন্য এত কঠুর পরিশ্রম করেছেন যা বর্ণণাতীত। কোন কোন কেজি স্কুলের বেতন যখন ১০০ টাকা তখন  “আলমাছ কাজী কারিমাতুল কারীম মাদ্রাসার ছাত্রদের বেতন ৩০০ টাকা  বর্তমান বেতন ৩৫০ টাকা। অথচ এতিম খানার নামে ছাত্রদের দিয়ে চলছে আলমাছ কাজির মাদ্রাসার ব্যবসা।
সূত্রে জানা যায় যে ছাত্ররা রাতদিন পড়ার মধ্যে থেকে কোরআন শরীফকে মুখস্ত করে তাদের দিয়ে বিভিন্ন ভাবে টাকা কালেকশন করে মাদ্রাসার উন্নয়ন করে আসছে। কিন্তু আজ সেই ছাত্র মোঃ এমদাদুল (১১) মারবেল খেলার অপরাধে গত ২৮ শে এপ্রিল রোজ সমঙ্গলবার সকাল ৮ ঘটিকায় অত্র মাদ্রসার শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক তাকে বেধম প্রহার করে অজ্ঞান করে ফেলে। এমনকি কাউকে বললে আগামীকাল আরও বেত্রাঘাত করা হবে বলে তাকে শাসায়। বেত্রাঘাতের পর এমদাদুলকে কোন শিক্ষক বা কমিটির কেউ চিকিৎসা দেয়াতো দুরের কথা, কোন ছাত্রকে  এ বিষয়ে মুখ খুলতে দেয়নি শিশু নির্যযাতন কারী  শিক্ষক মোজাম্মেল হক। এদিকে ওস্তাদের পিটুনীর ব্যথা সহ্য করতে পারছিলনা ছেলেটি। ব্যথায় যন্ত্রনায় জ¦রে কাতরাচ্ছিল। বড় ভাই মোঃ জাহিদুল ইসলাম তার অবস্থা দেখে গায়ে হাত বুলালে বড় ভাইকে বলে- ভাইয়া তোমার হাতটা সরাও, আমার কিছুই হয়নি। বড় ভাই দেখতে পায় তার হাতে বেত্রাঘাতের চিহ্ন। তার গায়ের কাপড় খোলার পর সারা শরীরে ২০/৩০ টি বেতের আঘাত দেখতে পেয়ে  বড় ভাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং জড়িয়ে ধরে ছোট ভাইকে। জিজ্ঞেস করে কে তোকে মারছে? অনেকক্ষণ কান্নার পর ছোট ভাই এমদাদুল হক বলে- আমি বসে আছি, আমার বন্ধুরা সেখানে ওরা মারবেল খেলতেছিল। আমার দিকে একটি মারবেল ছুড়ে মারলে এমনি হুজুরে তা দেখে ফেলে। পরে আমাকে হাতে, পিঠে ও পাছায় খুব জোড়ে পিটিয়ে সারা শরীর জখম করে। আরও বলেন বাসায় কারো কাছে যদি বলিস তাহলে কাল আবার পেটাব। আমি হজুরের ভয়ে তুমাকে বলিনি ভাইয়া। বড় ভাই বিষয়টি জানার পর খুব মর্মাহত হন এবং কমিটির কাছে বিচার দাবী করেন। আরও জনা যায় এরকম প্রহার করে অনেকের হাত পর্যন্ত ভেঙ্গে দিয়েছে যারা পিটির ভয়ে পি/মাতাকে কিছুই বলেনি। পড়ালেখা বন্ধ করে হয়তো মা-বাবার গালী খাচ্ছে অথবা কোথাও সিএনজি /লেগুনা গাড়ির হেলপার গিরি করতেছে। তাদের জীবন হচ্ছে ধবংস। এরকম অমানষিক নির্যাতনের ফলে ছাত্রদের ব্রেনে আঘাত পাচ্ছে। ফলে আশানুরুপ ফল পাচ্ছেনা পিতা-মাতা বা গার্জেন। বিষয়টি জানা জানি হলে এলাকার সচেতন ব্যক্তিবর্গগণ  ক্ষিপ্ত হয়ে র্নিযাতিত ছাত্রদের অভিভাবকসহ মাদ্রাসার আঙ্গিনায় তারা অবস্থান গ্রহণ করে। বাধ্য হয়ে শিক্ষককে গত ২৯ শে এপ্রিল মাদ্রাসার কমিটি ও জনসাধারণকে সান্তনা মূলক আশ্বাস দিয়ে শিক্ষক মোজাম্মেল হককে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করেন।
“হাজ্বি আলমাছ কাজ¦ী কারিমিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা” কারীম মাদ্রাসা” ছাত্রদের সহিত এই রকম অমানবিক, পাশবিক, মানুষিক প্রেশার, লোম হর্ষক ও সরকারী নিয়ম বহির্ভূত এ রকম ঘটনা চালিয়ে আসছে মাদ্রাসার শুরু লগ্ন থেকেই। এই শিক্ষক (মােঃ মোজাম্মেল হক) আয়শা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসা নামে আরও একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল। জনগনের মনে প্রশ্ন ? সেপুরুষ হয়ে মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হয় কি ভাবে? বিস্তারিত আসছে পরর্বতী চলমান পাতায়। 

গাজীপুরের মনিপুর বাজার থেকে সন্ত্রাসী গ্রেফতার

শওকত হোসাইন : গাজীপুর সদর উপজেলা, ভাওয়াল গড় ইউনিয়নে মনিপুর বাজারে নিখিল চন্দ্র ঘোস এর দোকানের উপরের চালের টিন খোলে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে এক সন্ত্রসী। ঘটনা সূত্রে জানা যায়-গত ৪ই মে রোজ সোমবার ডিউটিরত বাজার পাহারাদার জানান রাত তখন প্রায় ৩টা ৩০ মিনিট। হঠাৎ শব্দ শুনতে পাই। শব্দ শুনে আস্তে আস্তে সামনের দিকে আগাইতে থাকি যাতে কেউ আমাকে না দেখে। নিখিল চন্দ্র ঘোসের দোকানের দিকে শব্দ আন্দাজ করলাম। উপর থেকে লাফ দিয়ে ভিতরে নামার শব্দ পেলাম। বাহিরের শার্টার বন্ধছিল। আমরা বাঁশি ফুক দিতে থাকি সকলে জড়ো হলে বেচারা সন্ত্রাসী আর পালানোর রাস্তা পাচ্ছিলনা। পরে তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। হোতা পাড়া পুলিশ ফাঁড়ীর এ টি এ.এস.আই হারুনুর রশিদ জানান- আমি ডিউটি অবস্থায় ছিলাম। এই সন্ত্রসী মোঃ শামীম শেক(২১), পিতা -আবু তহের শেক, সাং- বলই গুনিয়া, থানা - মুড়ল গঞ্জ, জেলা : বাগের হাট তাকে আমরা শ্রী নিখিল চন্দ্র ঘোষ এর দোকানে টিনের চাল কেটে দোকানের ভিতরে ডুকলে তৎখনাত হাতে নাতে ধরি। এলাকাবাসি জানান- যদি এ টি এ.এস.আই হারুনুর রশিদ এর মত দায়িত্ব পালন কারী একজন পুলিশ কর্মকর্তার মত সকল পুলিশ কর্মকর্তাগণ কাজ করত, তাহলে বাংলাদেশ হতো একটি সন্ত্রাস মুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ।
ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীকে ধরে গ্রেফতার করার জন্য মনিপুর এলাকার জনগণ এ টি এ. এস .আই হারুনুর রশিদকে ধন্যবাদ জানান।

কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ জাহানকে প্রত্যাহার

কালীগঞ্জ (গাজীপুর ) প্রতিনিধি : জেলার কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ জাহানকে মঙ্গলবার বিকেলে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ তাকে প্রত্যাহার করে গাজীপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহ জাহান কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর এলাকার খেটে খাওয়া নিরীহ লোকজনদের নানাভাবে গ্রেফতার বাণিজ্য ও হয়রানি করে আসছেন। এ ব্যাপারে গ্রামবাসি সোমবার গাজীপুর পুলিশ সুপারের কাছে গণস্বাক্ষর  সম্মিলিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবং গত মঙ্গলবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। ওই এসআই এর  খবরটি গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদের নজরে আসলে তিনি মঙ্গলবার রাতে কাপাসিয়া থানার এসআই মো. শাহজাহানকে প্রত্যাহার করে গাজীপুর পুলিশ লাইনে নিয়ে যায় ।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ (এসআই) মো. শাহজাহান প্রত্যাহার হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন, প্রত্যাহারের নির্দেশ পাওয়ার পর তাকে তাৎক্ষণিক গাজীপুর পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাপাসিয়া থানার এসআই মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের খেটে খাওয়া নিরীহ লোকজনদের নানাভাবে গ্রেফতারের ভয়ভীতি ও গুলি করে ঝাড়জা করে দিবে এ ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোটা অঙ্কের অর্থ উৎকোচ নেয়ার ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার (ওসি) আহসান উল্লাহ এর সাথে কথা বললে প্রতিবেদককে জানান, ওই এসআই অর্থ নেয়ার অভিযোগ প্রমানিত হলে দশ গুণ টাকা ফেরত দিব।   গ্রামবাসীদের হয়রানি বন্ধ করতে গত রোববার কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের কয়েক হাজার গ্রামবাসী  এসআই এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন । বিক্ষোভ শেষে গ্রামবাসি এক আলোচনা সভায়  মিলিত হয়, সভায় ভুক্তভোগীরা বলেন পুলিশ হলো দেশের একটি স্বনামধন্য বাহিনী । দেশের স্বনাম রর্ক্ষাতে তারা কঠোর পরিশ্রম করেন , কিন্তু কিছু অফিসারদের জন্য জাতীর কলংক হচ্ছে । তাদের আইনের আওতাভুক্ত করার জন্য পুলিশের মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন গ্রামবাসি ।

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল

কালীগঞ্জ (গাজীপুর ) প্রতিনিধি : জেলার কালীগঞ্জে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে ।
গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা চত্বর শহীদ ময়েজ উদ্দিন  অডিটোরিয়ামে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে ।
 উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ এর সভাপতিত্বে বক্ত্যব রাখেন- জেলা আ’লীগ সিনিয়র সহ সভাপতি কেবিএম মফিজুর রহমান খান, উপজেলা আ’লী সম্পাদক আব্দুল গনি ভূইয়া, যুগ্ম সম্পাদক এ বি এম তারিকুল ইসলাম, পরিমল চন্দ্র ঘোষ,  নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামান , সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার মহিলালীগ সভাপতি জুয়েনা আহম্মেদ প্রমূখ ।

কালিয়াকৈরে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম গতিশীলকরণে ২দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কেয়ার বাংলাদেশ আইএমআইএইচবি প্রকল্পের সহযোগীতায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উদ্যোগে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম গতিশীল করণে মনিটরিং ও সুপারভিশন বিষয়ক ২দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার তপন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত সমাপনি প্রশিক্ষণে  বক্তব্য রাখেন,  কেয়ার বাংলাদেশের সিনিয়র টেকনিক্যাল ম্যানেজার ও প্রশিক্ষক এস.এম রেজাউল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মীর সাজেদুর রহমান খোকন, ডাঃ রেহেনা পারভিন , কেয়ার প্রতিনিধি মোঃ আরিফ হোসেন,   গাজী মোঃ বশীর , আয়শা শারমিন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম গতিশীল করণে মনিটরিং ও সুপারভিশন বৃদ্ধির আহবান জানান।

কালিয়াকৈরে ভ্রাম্যমান আদালতে খাবার হোটেলের জড়িমানা

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় চার টি খাবার হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার টাকা জড়িমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
জানা যায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মোহাম্মদ সাইফুল কবীরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত চন্দ্রা এলাকার পলাশ হোটেলকে ২হাজার, সকাল সন্ধা হোটেলকে ৫ হাজার, মামা ভাগিনা হোটেলকে ২হাজার ও টাঙ্গাইল সুইটমিটকে ১হাজার টাকা জড়িমানা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সেনেটারী ইনেসপেক্টর উৎপলা রানী দাস ও পুলিশ প্রশাসন।

কালিয়াকৈরে মায়ের প্রহারে নেশাগ্রস্থ ছেলের মৃত্যুর অভিযোগ

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বেলাবহ এলাকায় মঙ্গলবার মায়ের প্রহারে এক নেশাগ্রস্থ ছেলের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তি ওই এলাকার তমছের খান দাগার ছেলে মনির খান (২৭)।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মনির নেশাগ্রস্থ অবস্থায় সোমবার রাতে তার স্ত্রী নূর নাহার কে মারধর করে। এসময় তার মা মরিয়ম বেগম বাধা প্রদান করে। সে তখন ক্ষীপ্ত হয়ে মা কে মারতে গেলে নিহতের স্ত্রী, মা ও বোন জামাতা সুমন আলী তাকে বেধম মারধর করে। সোমবার সারারাত সে বেহুস হয়ে পরে থাকে। পরের দিন সন্ধ্যার দিকে মনিরের অবস্থা আরো খারাপ হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক রাজীব খান ওই দিন রাত ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে প্রেরণ করেন।
রাজীব খান বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

তামাকজনিত রোগে এদেশে বছরে ৫৭ হাজার মানুষ মারা যায়

গাজীপুর জেলা টাস্কফোর্সের সভায় সিভিল সার্জন

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে বুধবার ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন -২০০৫ এর জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডাঃ আলী হায়দার খান। সভায় কমিটির গত ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ও.সি (ডিবি) মোঃ আমীর হোসেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ শাহাদত হোসেন, কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের আঃ মতিন বিশ্বাস, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হাফিজা আইরিন, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল ইসলাম, সাংবাদিক কাজী মোসাদ্দেক হোসেন ও সৈয়দ লিটন প্রমুখ।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ হায়দার আলী খান জানান, দেশে তামাকজাত দ্রব্য থেকে বছরে সরকারের রাজস্ব আসে ২-৩ হাজার কোটি টাকা। অথচ তামাক ও ধুমপানজনিত কারনে সৃষ্ঠ রোগে চিকিৎসার জন্য সরকারকে ব্যয় করতে হয় ১১ হাজার কোটি টাকা। তামাকজনিত রোগে এদেশে বছরে ৫৭ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ৪-৫ হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বরন করেন।
জনগুরুত্বপূর্ণ টাস্কফোর্সের সভায় জেলা প্রশাসকসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, জেলা তথ্য অফিস, বিআরটিএ, সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, মেডিকেল এসোসিয়েশন এর প্রতিনিধি, তামাক বিরোধী জোট ও জেলা চেম্বার অব কমার্স এর মত গুরুত্বপূর্ণ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের সদস্যগণ অনুপস্থিত থাকায় উপস্থিত সদস্যরা হতাশা ব্যক্ত করেন।

প্রিয় নেতা, প্রিয় ব্যক্তিত্ব সবার প্রিয় শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাষ্টার এমপি


॥ এম.এ. ফরিদ ॥
মহান আল্লাহ এমন কিছু মানুষকে পৃথিবীতে পাঠান যারা জীবিত থাকতে মানুষের কাছে যেমন প্রিয়, মৃত্যুর পরও সমানভাবে বেঁচে থাকে সাধারন মানুষের মনের মণিকোঠায়। যারা আমাদের সমাজে চিরস্মরণীয় হয়ে উজ্জল নক্ষত্রের ন্যায় জ্বল জ্বল করে জলতে থাকেন। এমনি একজন স্মরণীয় ও পুজনীয় ব্যক্তি আমার প্রিয় নেতা ও প্রিয় ব্যক্তিত্ব শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাষ্টার এমপি। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। মনে হতে পারে তিনি যোজন যোজন মাইল দুরত্বে অবস্থান করছেন কিন্তু আমার মনে হয় তিনি আমাদের খুব কাছেই আছেন। তিনি মারা যান নাই, তিনি শহীদ হয়েছেন। আর যারা শহীদ হন তাঁরা কখনও মরে না। শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাষ্টার একজন জনপ্রিয় সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর সঙ্গে খুববেশি যে আমার সখ্যতা ছিল তা নয়। কিন্তু কিছু মানুষের অল্প সান্নিধ্য পেলেই মনে হয় কত পুরনো সে সম্পর্ক। মনে হবে তিনি কতইনা আপন। স্যারের সঙ্গে ৪/৫ বার মিশতে পেরেছি। আর কথা মাত্র বলেছি ২/৩ বার। সব মিলিয়ে কথা হয়েছে আমার এ জীবনে সময়ের হিসেবে যদি বলতে হয় তবে ৬০ মিনিটের মতো। প্রেম অন্তর থেকে আসে। এটা আর্টিভিশিয়াল কোনো বিষয় নয় যে, আপনি জোর করে প্রেমের ভাবকে উত্থাপন করতে পারবেন। আমি হলফ করে বলতে পারি আহ্সান উল্লাহ স্যারের সঙ্গে যদি কেউ একবার কথা বলে থাকেন তবে তিনি তাঁর প্রেমে পড়ে যাবেন। অর্থাৎ তাকে মন থেকে অবশ্যই ভালোবাসবেন। বিষয়টি সম্পূর্ণ স্বর্গীয়। যার ব্যাখ্যা করার মতো ভাষা আমার জানা নেই। আজ ৭ মে, স্যারের শাহাদৎ বার্ষিকী। স্যারের স্মৃতিকথা মনে পড়ায় ‘দু’ কলম লেখার কিঞ্চিৎ পরিমান সাহস বলেন আর স্পর্ধা বলেন দেখালাম। আমার মনে পড়ে তিনি কখনও আমাদের সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্য চাইতেন না। তাই স্যার বেশ কয়েকবার আমাদের নিয়ে বসেছিলেন ঐক্যবদ্ধ করার জন্য। তারিখ মনে  নাই, তবে এটুকু মনে আছে আমার শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই কাজী আলিমুদ্দীন বুদ্দীন যখন রেড ক্রিসেন্ট এর সভাপতি ছিলেন তখন তাঁর অফিসে আহ্সান উল্লাহ স্যারসহ সকল সাংবাদিকদের নিয়ে আমরা বসেছিলাম। স্যারের কথার ফাঁকে আমাদের এক সাংবাদিক ভাই (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) কি যেন বলার চেষ্টা করেছিলেন। তখন স্যার ধমক দিয়ে তাকে বসিয়ে দেন। তিনি আদর করে, অধিকার খাঁটিয়ে সবাইকে এভাবেই কথা বলতেন। স্যার রাগ করলেও মনে হতো আমাদের আদর করছেন। স্যারের সাথে শেষ দেখা সেই বুদ্দীন ভাইয়ের গাজীপুর ক্লাবে। সময়, তারিখ, বছর মনে নেই। তবে এটুকু মনে আছে, গাজীপুর পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষে আমরা সেদিন অনেকেই সেখানে গিয়েছিলাম। গাজীপুরের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাষ্টার সেদিন নির্বাচন বিষয়ে সাংবাদিকদের মতবিনিময় করার জন্য আমাদের ডেকেছিলেন । গাজীপুর পৌরসভার নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন গাজীপুরের আর এক প্রিয় নেতা, পৌর পিতা গণমানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল আলহাজ্ব আকম মোজাম্মেল হক। তাঁর নির্বাচনে সেদিন স্যার যেভাবে পরিশ্রম করেছিলেন তা যারা সেদিন দেখেছেন তাঁরাই বলতে পারবেন। সেই সময়ে যখন আমরা ফিরে আসছিলাম তখন তিনি সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করলেন তোমরা যে কালকে নির্বাচনের জন্য সংবাদ সংগ্রহে বের হবে কি নিয়ে যাবে। তখন সবাই বললো, গাড়ি নিয়ে আমরা বের হবো। তখন তিনি অনেককে মজা করে বললেন আমার কাছে তো তেমন কোনো টাকা নেই, থাকলে তেলের টাকাটা তোদের দিতাম। এমন সরল কথা কেউ আজ আর বলে না। সদা হাস্যজ্জ্যল স্যারের মুখখানী আজও চোখের সামনে ভেসে উঠে। অন্যায়ের সঙ্গে তিনি কখনও আপোষ করেন নি। মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছেন। তাকে শত্রুরা সব সময় ভয় পেত। কারণ তিনি যে অন্যায়কে আশ্রয় প্রশ্রয় দিতেন না। এ জন্য ২০০৪ সালের ৭মে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা তাকে তাঁর নিজ বাড়ির সামনে গুলিকরে হত্যা করে। বিএনপি-জামায়াত জোট মনে করেছিল শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাষ্টারকে হত্যা করলেই বুঝি তাঁরা তাদের সকল অপকর্ম নির্বিঘেœ করতে পারবে। তাঁরা গাজীপুরকে নেতৃত্ব শূন্য করতে পারবে। গাজীপুরের মানুষের মন থেকে শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাষ্টারের নাম চিরতরে মুছে যাবে। আসলে ওরা বুঝতে পারে নাই। জীবিত আহ্সান উল্লাহ মাষ্টারের চেয়ে মৃত আহ্সান উল্লাহ মাষ্টার আরো বেশি শক্তিশালী। শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাষ্টার এমপির শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে তাই একটি কথাই বলতে চাই, আমরা যারা বেঁচে আছি তাঁরা যেন, স্যারের আদর্শকে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকি। আমরা যেন তাঁর আদর্শকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি। স্যারের শাহাদৎ বার্ষিকীর দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

গাজীপুরে বাল্যবিবাহ ও নারি নির্যাতন প্রতিরোধে কর্মশালা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে বুধবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব (মেজনিন) কর্মসূচীর আওতায় বাল্যবিয়ে ও নারী নির্যাতন বিষয়ক কর্মশালা  অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: নূরুল ইসলাম। এসময় তিনি  বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন, নৈতিকতা ও দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাল্যবিয়ে বা অপরিণত বয়সে বিয়ে অত্যন্ত ভয়াবহ একটি সমস্যা যা জেন্ডারসমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮টির মধ্যে ৬টি অর্জনের ক্ষেত্রেই বাল্যবিয়ে একটি অন্যতম বাধা। বাল্যবিয়ের কারনে ছেলে- মেয়ে উভয় শিশুরই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় এবং এর পরিণতিতে শুধু শিশু বা অল্পবয়সী নারী নয় বরং ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরো পরিবার। বাল্যবিবাহের প্রথম শিকার হয় শিশু, দ্বিতীয় শিকার নারী এবং তৃতীয় শিকার সমাজ। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আইন, নৈতিকতা ও দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে নিকাহ্ রেজিস্ট্রার ও কাজীদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিষ্ট মীর সামসুল আলমের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিষ্ট সাঈদা নেওয়াজ পর্ণা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেন, জেলা রেজিস্ট্রার জিয়াউল হক, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা জাহান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. শফিকুর রহমান তালুকদার, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা নিকাহ রেজিস্টার সমিতির সভাপতি কাজী মো. শরীফ হোসেন, আল-হেরা জামে মসজিদের ইমাম মুফতি নিজামউদ্দীন, জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি প্রণব কুমার রায়, মেজনিন কর্মসূচির ঝর্ণা দাস, সাঈদা সোগরা ও মো: খালেকুজ্জামান প্রমূখ।
বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার ভয়াবহ, যা সমগ্র পৃথিবীতে চতুর্থ ও এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের ‘ইমপ্রুভিং চিলড্রেনস লাইভস, ট্রান্সফরমিং দ্য ফিউচার’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ি বাংলাদেশে প্রতি তিনটি বিয়ের দু’টিতেই কনের বিয়ের বয়স থাকে ১৮ বছর বা প্রাপ্তবয়সের নিচে। প্রতি পাঁচজন মেয়ের একজনের বিয়ে হয় ১৫ বছরের আগে যা প্রায় ১৮%। দেশের ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরীদের ২৯% বর্তমানে বিবাহিত। বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ গরিব পরিবারের মধ্যে বাল্যবিবাহ হয়, ধনীদের মধ্যে যা ৫৩ শতাংশ।
বাল্যবিয়ে নারীর স্বাস্থ্য, ক্ষমতায়ন, সিদ্ধান্ত  গ্রহণ, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষত অপরিণত গর্ভধারণ, প্রজনন স্বাস্থ্য, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি, ক্যান্সার ঝুঁকি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ এই ক্ষতিকর সামাজিক প্রথা। যে কিশোরীকে পরিপূর্ণতা আসার আগেই বাল্যবিবাহের শিকার হতে হয়, তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিরাট হুমকির সম্মুখীন হয়। বাল্যবিয়ের শিকার কিশোরীদের শতকরা ২০ ভাগ ১৫ বছর বয়সের আগেই মা হয়। বাল্যবিয়ের কারণে শতকরা ৪৫ টি কম ওজন ও খর্বাকৃতির শিশুর জন্ম হচ্ছে। সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অপরিণত মায়েদের শতকরা ৫ জন মৃত্যুঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে গাজীপুর জেলার ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সারাদেশে ১৩টি জেলার ৪০৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক, স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও কমিউনিটির সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ করে ব্র্যাকের উদ্যোগে মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব (মেজনিন) কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।  কর্মশালায় সরকারী কর্মকর্তা, কাজী, ইমাম, শিক্ষক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ প্রায় ৭০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন

শ্রীপুরে মে দিবস উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ আলোচনা ও নাট্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুররের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাতির বাজারে কবি নজরুল মডেল হাই স্কুল মাঠে গত ১ মে বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে অহসায় হতদরিদ্রদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ আলোচনা ও নাট্যানুষ্ঠান- নিচু তলার মানুষ মঞ্চস্থ হয়েছে।
নব অভিযান খেলাঘর আসরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- তেলিহাটি ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহবায়ক ও নব অভিযান খেলাঘর আসরের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম জজ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল জলিল বিএ। অনুষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন করেন- তেলিহাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুস সাত্তার আবুল।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচন ও বিশেষ আলোচক ছিলেন যথাক্রমে পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দাতা সদস্য ফরিদ আহম্মেদ সরকার ও শিল্পপতি মোঃ হুমায়ুন সরকার এবং সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মোঃ সফিকুর রহমান সফিক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ভালুকা পৌর মেয়র ডা. মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম, গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাইন উদ্দিন, শ্রীপুর উপজেলা কৃষকলীগ সদস্য সচিব আইনুল হাসানসহ সুলতানা পারভীন, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, সিরাজ উদ্দিন, ফয়জুর রহমান ফয়েজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য এস.এম কাজল রানা।

স্মরণ: শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের পবিত্র স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি

আহসান উল্লাহ মাস্টার
॥ মোঃ মুজিবুর রহমান ॥       

মেহনতি মানুষ অতীতে কাজ করেছে, বর্তমানে করছে এবং অনাগত দিনগুলোতেও কাজ করবে। এঁরা কাজ করে চিরকাল।   সমাজকে অগ্রগতির ধারার মাধ্যমে চালু রেখেছে তাঁরাই । বির্নিমাণ করে সমাজকে ।  মেহনত করে বলেই তারা মেহনতি মানুষ। এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সভ্যতাকে মেহনতি মানুষই । আর সেই মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে কিংবদন্তীর মতো আমৃত্যু নেতৃত্ব দিয়েছেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার। বিনম্র চরিত্রের এই অসামান্য সংগ্রামী রাজনীতিক  কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। দেশপ্রেম ছিল প্রশ্নাতীত, দৃষ্টি ছিল মহান, আত্মবিশ্বাস ছিল অটুট আর হৃদয় ছিল সংবেদনশীল। উদারতার দিক থেকে তেমনি উদার।   মেহনতি  মানুষের কাছের নেতা জননেতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার সমাজ নিয়ে ভাবতেন। সেই ভাবনার একটা বড় অংশজুড়ে ছিল বাংলাদেশের মেহনতি মানুষ। এই মেহনতি মানুষ মাটি কাটে, ইট-পাথর ভাঙ্গে, দাঁড় টানে, খেতে খামারে, কলকারখানায় কাজ করে। মেহনতি মানুষের  অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর দুর্দমনীয় সাহস ও ভূমিকার কথা সকলের অন্তর ছুঁয়ে আছে। তাঁর স্মুতি সব মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় প্রজ্বলিত মশাল হয়ে জ্বলছে। আজ ৭ মে ২০১৫ , বৃহস্পতিবার, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের একাদশ শাহাদৎ বার্ষিকী। ১১ বছর আগে শ্রমজীবী ও পেশাজীবী মানুষের নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার ঘাতকচক্রের ব্রাশফায়ারে শহীদ হন। তাঁর জন্ম গাজীপুরের সাবেক পূবাইল ইউনিয়নের হায়দরাবাদ গ্রামে। জন্ম তারিখ ৯ নভেম্বর ১৯৫০ সাল। ছাত্রজীবনে তিনি সোচ্চার ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায়, সত্য প্রতিষ্ঠায় এবং সব আন্দোলনে। রেসকোর্স ময়দানে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বললেনÑ “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”, আহসান উল্লাহ মাস্টারের মতো হাজারো কর্মী তাঁদের নেতা বঙ্গবন্ধুর উপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখে এগিয়ে গেলেন অবিসংবাদিত নেতার দেখানো পথে, ঐক্যবদ্ধ হলো বাঙালি জাতি। আহসান উল্লাহ মাস্টার জীবন বাজি রেখে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য অবতীর্ণ হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ব্যক্তি-সত্তার মধ্যে একজন সমাজদরদী মহান মানুষের চরিত্র খুঁজে পাওয়া যায়। শিক্ষকতা জীবনের প্রথম দিকে তরুণ আহসান উল্লাহ মাস্টার শুধু যে শ্রম বিষয়ক ও শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, তা নয় তাঁকে আমজনতার দরদী নেতার ভূমিকা পালন করতেও দেখা গেছে। শ্রমিকদের অভাব অভিযোগ নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেনদরবার করা এবং তাদের স্বার্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টায় কোনদিনই তাঁকে পিছ পা হতে দেখা যায় নি। ধীরে ধীরে মেহনতি মানুষ তাদের এই দরদী নেতার এমন অন্ধ-অনুসারী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল যে, তাঁর আহ্বানে দু-তিন ঘন্টার মধ্যে হাজার হাজার লোকের সমাবেশ হওয়ার বিচিত্র দৃশ্য অবাক-বিস্ময়ে ঢাকা-টঙ্গী-গাজীপুরের সবাই     বার বার প্রত্যক্ষ করেছে। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার তাঁর অন্তরের দরদ দিয়ে আমজনতার ভাল-মন্দ খোঁজ খবর নিতেন ও তাঁদের নিয়ে ভাবতেন বলেই তাঁর কথায় মানুষ সাড়া না দিয়ে পারতেন না। আর এভাবেই তিনি শ্রমিক ও জনতার দরদী নেতা রূপে স্বীকৃতি লাভ করেছিলেন। সমাজের সকল স্তরের মানুষের সঙ্গেই সমভাবে তিনি মিশতে পারতেন। গরীব-দুঃখীদেরই একজন হয়ে সাধারণ মানুষের সমাজেও তিনি অকৃত্রিমভাবে মেলামেশা করতে পারতেন। বিপন্ন অভাবগ্রস্থ মানুষের জন্য তাঁর অন্তরে সঞ্চিত ছিল সীমাহীন সহানুভূতি ও দরদ; এই জন্যই দেখা গেছে যে, গরীব-দুঃখীদের সহযোগিতার বেলায় তিনি অকৃত্রিম বন্ধু। শ্রম বিষয়ক আন্দোলনে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলে, সেই মামলার আইনী লড়াইয়ের জন্য আইনজীবী নিয়োগ ও মামলা পরিচালনার জন্য তহবিল গঠনসহ বহুবিধ কর্মযজ্ঞের সাথে শহীদ আহসান উল্লাাহ মাস্টার পরিচিত হয়েছেন। ঢাকা-টঙ্গী-গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানের নির্যাতিত ও ভোগান্তির শিকার শ্রমিকদের জন্য মামলা বিষয়ক আইনী লড়াইয়ের জন্য ছুটে যেতেন  তিনি নিজে। অসাধারণ বন্ধুপ্রীতি ও অনুগত জনের প্রতি গভীর সৌহার্দ ও অকৃত্রিম ভালবাসা ছিল শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের অন্যতম গুণ। যাকে একবার তিনি বন্ধু বলে গ্রহণ করেছেন, তার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে তিনি সর্বক্ষণ প্রস্তুত ছিলেন।  মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য দেশের আপামর জনসাধারণের মধ্যে রাজনৈতিক চিন্তাধারার জীবন জোয়ার সৃষ্টি এবং সেই সঙ্গে তাকে সুসংহত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার পথে তিনি ছিলেন- একজন মাঠের দক্ষ কর্মী । তিনি ছিলেন একজন দেশভক্ত প্রেমিক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণ ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সঞ্চয় শুধু মানুষের ভালবাসা। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে আপোষ করেননি যে ব্যক্তিটি, যিনি মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো একজন মানুষ ও রাজনীতিবিদ। সেই ব্যক্তি প্রাণ হারালেন ঘাতকচক্রের হাতে। সেবার দ্বারা ও মহৎ কর্মের মাধ্যমে আলোর প্রদীপ হাতে নিয়ে যে মানুষটি অবদান রেখেছিলেন সংগ্রাম-আন্দোলনে, সে মানুষটি আজ চিরনিদ্রায় শায়িত। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার প্রমাণ করেছেন মানুষকে ভালবাসলে, তাদের জন্য কাজ করলে ও জীবন উৎসর্গ করলে মানুষ ভালবাসায় তার প্রতিদান দেয়।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচনে যতবার প্রার্থী হয়েছেন আমাদের জনগণের নেতা শহীদ আহসান উল্লাাহ মাস্টার একটিবারের জন্য হারেননি। জিতেছেন বিপুল ভোটে। জয় করে নিয়েছেন গণ-মানুষের হৃদয় ও অকৃত্রিম ভালবাসা। ১৯৯২ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার উপজেলা পদ্ধতি বিলোপ করে দেয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যানদের নিয়ে আহসান উল্লাহ মাস্টার দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এজন্য তিনি জেল, জুলুম এবং নির্যাতন থেকে রেহাই পাননি। উপজেলা বিলোপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁরই মামলার ফলে আদালত স্থানিক পর্যায়ের প্রশাসনিক স্তর বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দির্দেশনা দিয়েছিল। এ নির্দেশনা আজ দেশে প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের বাস্তব ফল হিসেবে বিরাজ করছে। শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়ন, পেশাগত ও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা এবং প্রবাসী শ্রমিকদের হয়রানী বন্ধ করার দাবী নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন প্রতিনিয়ত। দেশে যখন ত্রাস ও গ্রাসের রাজনীতির বলয় তৈরি হয়েছে তখনই শহীদ আহসান উল্লাাহ মাস্টারকে দেখা গিয়েছে টঙ্গীর রাজপথে এবং ঢাকার রাজপথে। তিনি ১৯৮৩ সাল, ১৯৮৪ সাল, ১৯৮৭ সাল, ১৯৮৮ সাল ও ১৯৯০ সাল, ১৯৯৫ সাল, ১৯৯৬ সালের রাজনৈতিক পটভূমিতে শ্রমজীবী নেতা হিসেবে যে ভূমিকা রেখেছিলেন তা গর্ব করার মতো।
২০০১ সালে শ্রমিক-কর্মচারীদের নিকট রাষ্ট্রায়ত্ত ০৯টি বস্ত্র শিল্পের মালিকানা হস্তান্তরের মাধ্যমে মিলগুলো বেসরকারীকরণে  যে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনে যাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম বাস্তবে কাজে লেগেছে, তিনি হচ্ছেন শ্রমিকদের পরীক্ষিত নেতা আহসান উল্লাাহ মাস্টার এমপি। শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকারের প্রশ্নে কোনদিন আপোষ করেননি। শ্রমিক অসন্তোষ যেখানে দেখা দিয়েছে, সেখানেই নিজে ছুটে গিয়েছেন। শ্রমিক অসন্তোষের সময় খেয়াল রেখেছেন শ্রমিক কেউ অসন্তোষকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নিজের ফয়দা হাসিল না করতে পারে।  তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের আইনি অধিকার নিশ্চিত করা, নারী শ্রমিক স্বার্থ সম্বলিত দাবী বাস্তবায়ন ও বাস্তবতার সঙ্গে সংগতি রেখে মজুরি ও বেতন-ভাতা নির্ধারণ করার জন্য দেশের নীতিনির্ধারণী মহলের সচেতনতা বৃদ্ধি করার কাজে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। গত শতকের আশির দশকে গঠিত শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের(স্কপ) লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার জন্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। তিনি আই এল ও কনভেনশন ‘৮৭ ও ‘৯৮ এর ভিত্তিতে শ্রম আইন সংশোধনের দাবি করেছেন। 
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার মানদ-ে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার আন্তর্জাতিক মর্যাদাসম্পন্ন  একজন শ্রমজীবী নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন দশের মধ্যে একক। তাঁকে মানুষ ভক্তি করতো, তিনিও মানুষকে ভক্তি করতেন। স্বাতন্ত্র্যে ও বৈশিষ্ট্যে আর দশজন থেকে তাঁকে পৃথক করা যায় এবং তিনি দীপ্যমান হয়ে উঠেন জ্যোতির্ময় সূর্যের মতো। সকলের প্রিয় শহীদ আহসান উল্লাাহ মাস্টার ছিলেন সর্বস্তরের মানুষের গভীর শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় সিক্ত অপ্রতিদ্বন্দ্বি সংগ্রামী মানুষ। দেশ ও মানুষের জন্য তিনি কাজ করেছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন। শহীদ আহসান উল্লাাহ মাস্টার বহুমুখী প্রতিভা ও যোগ্যতার অধিকারী ছিলেন। এ রকম ব্যক্তিকে বাংলার মাটিতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ২০০৪ সালের ৭ মে, শুক্রবার। দেশ হারায় স্রংগ্রামী মানুষকে, যিনি ছিলেন সহস্র তরুণের আদর্শ, যিনি ছিলেন জনকল্যাণমুখী চিন্তাধারার একজন রাজনীতিবিদ ও একজন মানুষ গড়ার কারিগর। বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাাহ মাস্টার একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সময় মরেননি; যুদ্ধ করেন দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সেই পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে হত্যা করতে পারেনি। তাঁকে হত্যা করে স্বাধীন দেশের মাটিতে ঘাতকচক্র। অন্যদিকে তিনি যে অসুস্থ রাজনীতি ও অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, সেই অসুস্থ রাজনীতির দূরীকরণ ও অপশক্তিকে সমাজ থেকে থেকে নির্মূল করা যায়নি। এদিকে তাঁর জ্যেষ্ঠ ছেলে  মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি  প্রতিষ্ঠা করেছেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ফাউন্ডেশন। তাঁদের বাবার আদর্শ ও লক্ষ্য প্রতিষ্ঠা এবং সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কিছু কার যায় কি-না Ñ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এ ফাউন্ডেশন বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক। সমাজকে বড় করে দেখতে হলে মানুষকে বড় করে দেখতে হবে আর সেই মানুষই বড় সম্মান করে আহসান উল্লাহকে তাঁর নামের সাথে একটি বিশেষণ জুড়ে দিয়েছিল ‘মাস্টার’ । এমনকি এখন  তা তাঁর নামের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে ’আহসান উল্লাহ মাস্টার।’ তাঁর পেশাপরিচয়  ও শিক্ষকতার আদর্শই তাঁর সমগ্র জীবনাচরণের  অঙ্কুর ও শেকড়কে ধারণ করেছিল। তাঁর সকল মানবিক গুণ, ধ্যান-পবিত্রতা, কর্তব্য-পরায়ণতা, দৃষ্টিভঙ্গির উদারতা, সাহসিকতা ও ন্যায়ের পাশে দাঁড়ানোর সমুদয় সত্যনিষ্ঠায় যর্থাথই হয়ে উঠেছিল তাঁর পরিচয় এবং সম্মানসূচক বিশেষণ। আজকের দিনে জানাতে চাই  সেই সম্মানসূচক বিশেষণে অধিকারী নির্মল সৎ ,  শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, মেহনতি  মানুষের  কাছের  নেতার  রক্তের ধারা বৃথা যাবে না।
আমরা  খুব  কাছ  থেকে দেখেছি, বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্বহৃদয় ও মস্তিষ্কের অসংখ্য গুণরাজীতে সমুজ্জ্বল  শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার লোভ ও লালসার ঊর্ধ্বে থেকে  মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সংগ্রামী মনন ও আন্তরিক কর্মনিষ্ঠা ইতিহাসের উজ্জ্বলতায় বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জীবন সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের অবদান কখনো বিস্মৃতির গর্ভে তলিয়ে যাবে না। তিনি বেঁচে থাকবেন তাঁর কর্মে ও আদর্শে সমুজ্জ্বল হয়ে । শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের  একাদশ শাহাদৎ বার্ষিকীতে তাঁর পবিত্র স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ।
 লেখক:
কলেজ শিক্ষক,  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক  গবেষক এবং আর্কাইভস ৭১- এর প্রতিষ্ঠাতা


জিসিসি’র মেয়র পদ থেকে এম. এ. মান্নানকে অপসারণে বাধা নেই

॥ এম.এ. ফরিদ ॥

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র এম.এ. মান্নানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। গাজীপুরবাসী অনেক আশা-ভরসা নিয়ে এম.এ. মান্নানকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছিল। মানুষ মনে করেছিল, তিনি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে অন্তত্যপক্ষে দলীয় রাজনীতির প্রভাব থেকে জিসিসিকে প্রভাবমুক্ত রাখবেন। সিটি কর্পোরেশনে বসে তিনি দলীয় কোনো রাজনীতি করবেন না। দলমত নির্বিশেষে সবাই তাঁর নিকট সমানভাবে সেবা পাবে। কিন্তু আমরা কি দেখতে পেলাম। আমরা যে আশা-ভরসা নিয়ে তাকে নির্বাচিত করলাম তিনি তাঁর উল্টোটা করে আমাদের হতভম্ব করে দিলেন। আমরা আশাহত হয়ে বিষন্ন বদনে চেয়ে থাকলাম। নির্বাচিত হয়েই তিনি নিজেকে খোলস থেকে বের করে আনলেন। সিটি কর্পোরেশন অফিসে বসে দলীয় রাজনীতি শুরু করে দিলেন। মাসে যে দু-একবার তিনি অফিসে আসতেন সে সময়ে দলীয় চামুচদারা পরিবেষ্টিত অবস্থায় আমরা তাকে দেখতাম। আমার বা আপনার কথা শোনার সময় কোথায় তাঁর। তিনি যে নব্য সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং নতুন এ সিটিকে যে ঢেলে সাঁজাতে হবে নির্বাচিত হওয়ার পর সবকিছু বেমালুম ভুলে বসলেন আমাদের পরম পুজনীয় শ্রদ্ধেয় স্যার। যদিও নামের আগে অধ্যাপক পদটি তিনি ব্যবহার করে থাকেন। তবে কবে কোথায় অধ্যাপনা করেছেন তাঁর কোনো ছিটে ফোঁটা প্রমান আমরা খুঁজে পাইনি। বড় দুঃখ হয় যখন তাঁর অফিসে ডাল ব্যবসায়ীর ছবি সম্বলিত ফেষ্টুন দেখি। আদুরে বোনের জামাই বিখ্যাত ডাল ব্যবসায়ী মেয়রের অবর্তমানে মেয়রের ভূমিকা পালন করে থাকেন। জীবনে তিনি যা করেছেন তা বোধকরি গাজীপুরের সবাই অবগত আছেন। পুরানা কাষন্দি ঘেটে ঝাঁঝালো পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই না। মেয়র নির্বাচিত হয়ে তিনি দলীয় কর্মকান্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেললেও পারতেন। কারণ মেয়র পদটি মানুষের সেবা করবার জন্য, শাসন-শোষন করার জন্য নয়। গত ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে কি এমন ঘটনা ঘটলো যে, তিনি হরতাল ডেকে বসলেন। আর হরতাল ডেকে তিনি তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সাংবাদিকদের বহনকারী গাড়িতেইবা কেন ভাংচুর চালালেন। এটা কি কোনো সভ্য জগতের মানুষের কাজ। সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তাছাড়া আমরা কি কারও শত্রু। আমরা কি কোনো দলের পারপাস সার্ভ করি। তবে কেন এত গাড়ি থাকতে বেঁছে বেঁছে আমাদের গাড়িতে হামলা করা হলো। আমাদের গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে আমরা গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে ওই দিন বিকেলে শহরের ১৯ চত্ত্বর মুক্ত মঞ্চে এক প্রতিবাদ সভা করি। সভায় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার অনেক সাংবাদিক বন্ধুগণ উপস্থিত ছিলেন। আমরা সবাই হতবাক হয়ে গেলাম। সাংবাদিক বহনকারী গাড়িতে হামলা করা হলো অথচ বিএনপি দলীয় কোনো দায়িত্বশীল নেতাকে সেদিন দুঃখ প্রকাশ করতে দেখলাম না। তাদের ভাবখানা এমন ছিল যে, কিছুই হয় নি। কারণ যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করতে পারে তাদের দ্বারা সবই সম্ভব। ভালো কিছু আশা করাটা অরন্যের রোদন ছাড়া আর কিছুই নয়। গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা ( নং-১০৪, তাং- ২৭/১২/১৪) দায়ের করি। সে মামলার হুকুমের প্রধান আসামী করা হয় এম.এ. মান্নানকে। এ মামলাটির চার্জশিট সম্প্রতি হয়ে গেছে। আগামী ১২ মে চার্জশিটের শুনানীর জন্য বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিায়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দিন ধার্য্য করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনো মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হয়ে যায় তবে সেই মেয়রকে সরকার বরখাস্ত করতে পারেন। সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে আশা করি। কারণ বর্তমান সরকার কোনো অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেয় না। তাছাড়া মেয়র এম.এ. মান্নানের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় বিশেষ আইনে (মামলা নং- ২৩, তাং- ০৫/০২/১৫) (মামলা নং-৫২, তাং- ০৯/১১/০৪) মামলা রয়েছে। বর্তমানে যেহুতু বিভিন্ন অপরাধে তিনি হাজতবাস করছেন তাই আমি মনেকরি বরখাস্ত করলে কোনো গুনাহ হবে না বরং ছোয়াব পাওয়া যাবে। হতভাগ্য মানুষগুলো ও ০৫ বছরের শিশুকে জঘন্য এই ব্যক্তিটির নির্দেশে পুঁড়ে মারা হয়েছে তাদের আতœারা শান্তি পাবে। পুঁড়ে মরে যাওয়া পরিবারগুলোর সদস্যরা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। কারণ একজন খারাপ ব্যক্তির শাস্তি নিশ্চিত করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। তাই বর্তমান সরকার প্রধানের নিকট এই নগন্ন, উপেক্ষিত, অবহেলিত পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে মিনতি জানাতে চাই, সরকার যেন জঘন্য প্রকৃতির ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো থেকে সরিয়ে দেয়।

মুক্ত বলাকা’র সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতির জন্ম বার্ষিকী উদ্যাপন

স্টাফ রিপোর্টার : দৈনিক মুক্ত বলাকা’র সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি এইচ এম শওকত ওসমান সরকারের ৩৮তম জন্ম বার্ষিকী গতকাল মঙ্গলবার সন্ধায় মুক্ত বলাকা কার্যালয়ে উদ্যাপিত হয়েছে। জন্ম বার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে মুক্ত বলাকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিতি হিসেবে আলোচনা করেন- বলাকার অন্যমত উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোঃ লোকমান হোসেন।
তা ছাড়া আরো যারা আলোচনা করেন, তারা হলেন- মুক্ত বলাকার নির্বাহী সম্পাদক এম এ ফরিদ, বাঁচতে শেখা’র প্রজেক্ট অফিসার মৌলুদা পারভীন, সচিত্র পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ বায়েজিদ হোসেন, সাপ্তাহিক সমতল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়ন আঃ মজিদ, মুক্ত বলাকার চীফ রিপোর্টার শিমু আক্তার প্রমুখ।
জন্মদিন উদ্যাপন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাপ্তাহিক বাংলা ভূমি’র সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার, প্রধান সম্পাদক সৈয়দ মোকসেদুল আলম লিটনসহ সাংবাদিক আমজাদ হোসেন, সাংবাদিক আবিদ হাসান বুলবুল, সাংবাদিক মানিক সরকার, সাংবাদিক আব্দুল আলী, সাংবাদিক বশির আহম্মেদ, সাংবাদিক শওকত আলম ও সাংবাদিক রেজাউল করিম মোল্লা।
অনুষ্ঠানে কেক কাটার পূর্বে এইচ এম শওকত ওসমান সরকার বলেন- আমি যেন আপনাদের মাঝে এমনি ভাবে সকল সময় হাস্যোৎজ্জল ভাবে চলাফেরা করতে পারি, সে জন্য আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন এবং তিনি উপস্থিত সকলের জন্য শুভ কামনা জানান।

গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ কে সংবর্ধনা

স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে জেলা ও দায়রা জজ আবুল খায়ের মোঃ এনামুল হককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
আইনজীবী সমিতি ভবনের ৮ নং হলরুমে আয়োজিত ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ দেওয়ান ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এড. আজমত উল্লাহ খানসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল গাজীপুরের বিচারক সৈয়দ জাহেদ মনসুর, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত মোঃ ফজলে এলাহি ভুঁইয়া, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালত খালেদা ইয়াসমিন, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আস্সামস জগলুল হোসেন, এড. হারিছ উদ্দিন আহম্মেদ, এড. মোঃ আমজাদ হোসেন ফারুক ও এড. জাকির উদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- এড. মোঃ মনির হোসেন।

সব বদলায়, মানুষ বদলায়, বদলায় না শুধু সাংবাদিকদের আচরণ


॥ এম.এ. ফরিদ ॥

অনেক কিছুই বদলায়। আমাদের গাজীপুর আগের মতো নেই। বদলেছে পুরো গাজীপুর। বদলে গেছে গাজীপুরবাসীর জীবনযাত্রার মান। নগরায়ন বলতে যা বুঝায় তা অনেক আগেই হয়ে গেছে। যারা ১৫/২০ বছর আগে গাজীপুরকে দেখেছিলেন তাঁরা এখন গাজীপুরে আসলে ভড়কে যাবেন। আহামরি কোনো উন্নয়ন না হলেও যেটুকু হয়েছে তা কোনো অংশেই কম নয়। শিক্ষা-দিক্ষা, শিল্প কলকারখানা, রাস্তা ঘাটসহ সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে গেছে আমাদের ছবির মতো গাজীপুর। বদলেছে এখানকার মানুষগুলো। বদলায়নি এমন কিছু খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমার জানা মতে সব বদলায়। কিন্তু যেটি বদলায়নি সেটি হলো সাংবাদিকদের আচরণ। আমরা যারা এ পেশার সঙ্গে সম্পৃত্ত কেবল তাঁরা ছাড়া গাজীপুরের সব কিছু বদলে গেছে। অত্যান্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়টি হলো, আমরা যারা সাংবাদিকতার মতো এমন মহান পেশার সঙ্গে জড়িত তাঁরা যে কেন বদলায় না তা আমার বোধগম্য হয় না। পৃথিবী বদলে যাচ্ছে, বাংলাদেশ বদলে গেছে, বদলে গেছে আমাদের টাইগার খেলোয়াররা। সবাই যেখানে বদলে যাচ্ছে তা হলে আমরা কেন বদলাতে পারছি না। আমরাই পারি আমাদের অতীত তীক্ততাকে ভুলে গিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে। আমরা সমাজের দর্পণ। মানুষ আমাদের ভালোবাসে। অনেক ক্ষেত্রেই জাতির নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এখনও গণমাধ্যমকেই বলা হয়ে থাকে। বস্তু নিষ্ট এবং তথ্য সমৃদ্ধ সংবাদ পরিবেশন করে আমরা জাতির নিকট অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ তুলে ধরি। এতে করে আমরা দেশের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছি। আমরা যারা সংবাদ পত্রের সঙ্গে জড়িত তাঁরা সমাজের অনেক অসংগতিকে মানুষের সামনে তুলে ধরি। ফলে আমাদের সমাজ, দেশ ও দেশের জনগণ উপকৃত হয়ে থাকে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। আমরা যারা সমাজকে, দেশকে ও দেশের মানুষকে বদলে দিতে সহযোগীতা করছি তাঁরা কেন বদলাতে পারবো না। অবশ্যই আমরাও বদলে যেতে পারি। বদলে যাওয়ার জন্য শুধু দরকার সুন্দর মনমানসিকতার। আমরা যদি আমাদের একজন সহকর্মীর বিপদে-আপদে সমবেদনা জানাই এবং তাঁর পাশে থাকি তবে দেখবেন সেও একদিন আপনার পাশে থাকবে। আমাদের একজন সহকর্মীর ব্যাপারে অযথাই যেন কোনো বাজে মন্তব্য না করি তবে আপনাকে দেখে দেখবেন অন্য আর এক সাংবাদিক ভাই শিখছে। আমরা যদি আমাদের আচরণকে বদলে ফেলি তবে অন্যান্য পেশার লোকজনও তাদের বদলে ফেলবে। কাউকে আঘাত করে অথবা কারও মনে কষ্ট না দিয়ে এমনকি কোনো সাংবাদিক বন্ধুকে ছোট না করে যদি ভালোবাসা দিয়ে তাকে কাছে টেনে নেই তবে সে যত খারাপ লোক হোক না কেন দেখবেন সে বদলাবেই। কে বড় সাংবাদিক, কে ছোট সাংবাদিক, কে বড় পত্রিকায় কাজ করে, কে সরকার দলীয় আর কে বিরোধী দলীয় এসব না দেখে আমাদের একটি পরিচয় থাকবে আমরা সবাই সংবাদকর্মী। আমাদের মতো পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ। একমাত্র আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ফলেই গাজীপুরকে দুর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব। আমাদের নানা পথ ও নানা মতের সুযোগ নিয়ে দুর্নীতিবাজরা গাজীপুরে লুটপাট চালাচ্ছে। গাজীপুরে দুর্বৃত্তয়ানের পরিধিও বেড়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ দিনের অনৈক্য আমাদের ডুবিয়ে দিচ্ছে। আপনি হয়তো নিজেকে বড় মনেকরে আর একজনকে খাটো করার নানা অপকৌশল আটছেন। কিন্তু আপনাকেও কেউ না কেউ খাটো করার পায়তারা করছে। কি লাভ নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করে। একসাথে থাকার মধ্যে আনন্দ রয়েছে।  একসাথে থাকার ফল ভালো হয়। চেষ্টা করে দেখুন না এক হয়ে থাকা যায় কি না। আমার তো মনে হয় অসম্ভব বলে কিছু নেই। তাই আবারও সিনিয়র, মাঝারি, জুনিয়র সকল পর্যায়ের সাংবাদিকদের অনুরোধ জানাবো নিজেদের বদলে ফেলুন এবং অন্যকেও বদলাতে সহযোগীতা করুণ।

গাজীপুর মহানগরের ছয়দানা মালেকেরবাড়ী শরীফপুর রাস্তার বেহাল দশা

স্টাপ রিপোর্টার : শরীফপুর মালেকের বাড়ী গত ২ বছর যাবৎ এই রাস্তায় চলাচলের অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়েছে। অত্র এলাকায় কমপক্ষে ২০/২৫ টা গার্মেন্টস শিল্প রয়েছে বলে ঘটনা স্থলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাই অত্র গার্মেন্টস এর কমপক্ষে দৈনিক ২০ হাজার শ্রমিক যাতায়াত করছে এই রাস্তাটি দিয়ে এবং দৈনিক কমপক্ষে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের কর্মরত মানুষ প্রায় ২ হাজার বিভিন্ন ধরনের গাড়ী নিয়ে যাতায়ত করছে। এহেন পরিস্থিতিতে অত্র এলাকা বাসীর জোড়দাবী অনতীবিলম্বে উর্ধোতম কর্মকর্তার মাধ্যমে এই রাস্তাটির সংস্কার না হলে অত্র এলাকাবাসীর ভোগান্তীর শেষ নেই। তাছাড়া অচিরেই গার্মেন্ট্স শিল্পের ধস নেমে আসবে। এব্যাপারে ৩৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জনাব মাহাফুজুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে গনমাধ্যম কর্মীদের জানান আমি অত্র ৩৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হওয়ার পর গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে আমি একটা দরখাস্ত করি শরীফপুর রাস্তা নির্মানের ব্যাপারে অদ্যবাদী এই রাস্তার কোন র্নিমানের অনুমোদন পাইনি এবং দিচ্ছে না। সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে জিজ্ঞাসা করলেই তিনি বলেন, রাস্তার সংস্কার কাজের কোন বাজেট নেই। বিশেষ সূত্রে জানতে পারা যায় যে, বাংলাদেশের প্রত্যেক এলাকায় নতুন পুরতান রাস্তার নির্মান াকাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে। তাই গাজীপুরের শরীফপুরবাসীদের দাবী আমাদের এই রাস্তাটির কেন বরাদদ্দ পাচ্ছে না গাজীপুর ভারপ্রাপ্ত মেয়র এর সংস্করন ব্যাপারে প্রকৌশল অধিদপ্তরে সুপীরিশ করে এই অবহেলিত রাস্তার সংস্করনের শীঘ্রই যাতে সু- ব্যবস্থা হয়, জোর  সুপারীশ করতে আকুল আবেদন জানাচ্ছে শরীফপুরবাসী।

কাপাসিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জারমানা

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়ার স্থানীয় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলণের অভিযোগে ড্রেজার আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত বালি ব্যবসায়ী মাহমুদুল হাসান মুকুলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। ২ মে শনিবার বিকালে উপজেলা নির্বার্হী অফিসার আনিসুর রহমান অভিযান চালিয়ে ১ টি ড্রেজার, ২ টি বলগেট ও ২ লেবার আটক করে থানায় সোর্পদ করে। পরে রাতেই ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করেন।
জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবত একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় সিন্ডিকেট তৈরী করে   শীতলক্ষ্যা নদীর উপর নির্মিত ‘ফকির মজনু শাহ্’ সেতুর আশপাশ থেকে এবং নির্দিষ্ট মৌজা ব্যতিত অবৈধ জায়গা থেকে অব্যাহত ভাবে নিয়মিত বালি উত্তোলণ করে আসছে। ফলে বছরে ৪ কোটি টাকারও বেশী সরকারী রাজস্ব আদায়যোগ্য ‘ফকির মজনু শাহ্’ সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।  এলাকাবাসির অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিপূর্বেও ২/১ টি ড্রেজার আটক করলে নামমাত্র জরিমানা দিয়ে নিয়মিত মামলা থেকে রেহাই পান এবং নানা অযুহাতে ছাড়া পেয়ে পুনরায় বালি উত্তোলণ শুরু করে। 
এ ব্যাপারে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগে ড্রেজার আটক করে জরিমানা করার কথা স্বীকার এবং অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলণের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন।

কালিয়াকৈরে গরু চোর আটক

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরের জামালপুর এলাকা থেকে রোববার ভোররাতে হাসমত আলী (২৫) নামক এক গরু চোর কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। হাসমত আলী উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের ঠাটাঙ্গা গ্রামের মোঃ অহিদুল ইসলামের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্র জানায়, রোববার ভোর রাতে একদল চোর ঠাটাঙ্গা গ্রাম থেকে ২টি গরু চুরি করে মধ্যপাড়া ইউনয়ন পরিষদের সামনে দিয়ে যাবার সময় এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে । এসময় হাসমত আলীকে আটক করা হলেও অন্য চোরেরা পালিয়ে যায়। আটককৃত হাসমত আলীকে গনধোলায় দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মৌচাক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (এসআই)সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কালীগঞ্জে ইয়াবা ডিলার রফিক আটক

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে ইয়াবা ডিলার নামে খ্যাত মো. রফিকুল ইসলাম রফিক (৪৫) কে ইয়াবাসহ আটক করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কালীগঞ্জ বাজারের খেয়াঘাট এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ওই এলাকায় ইয়াবা ডিলার নামে খ্যাত মো. রফিকুল ইসলাম রফিককে ঘুরতে দেখে তার দেহ তল্লাশি করে ৮১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে আটক করে। এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। রফিক পৌর এলাকা ভাদার্ত্তী গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে পুলিশকে আহত করে হাত কড়া নিয়ে পালিয়ে যাওয়া, জোড়া খুন ও মাদকদ্রব্যসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ অনেক দিন ধরে খুঁজছিল। সে সমগ্র উপজেলায় ইয়াবার ডিলার হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া ২০১০ সালে তাকে গ্রেফতারের সময় তৎকালীন এসআই মো. আবুল বাশারকে আহত করে হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলার রয়েছে।

মহান মে দিবসের পরিচিতি

“মে   দিবসের পটভূমিতে পোশাক শিল্পের অগ্রগতিতে বাংলাদেশ” ১লা মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। তাছাড়া এই দিনটি মহান মে দিবস নামেও পরিচিত। এই দিনটি সমগ্র বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন।   আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে পৃথিবীর বিভিন্নদেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক   সংগঠনসমূহ রাজপথে সংগঠিতভাবে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে   থাকে। বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহনের মাধ্যমে বিশ্বের নিপীড়িত শোষিত শ্রমিকরা   তাদের দাবি-অধিকার মালিক শ্রেনীর নিকট তুলে ধরে। শ্রমিক দিবস আমাদের স্মরন  করিয়ে দেয় শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার এবং মালিক  শ্রমিক সম্পর্ক, দায়িত্ব ও  কর্তব্যের কথা। পুরাতন সভ্যতা থেকে শুরু করে যুগ থেকে যুগান্তরে আধুনিক  সভ্যতার নির্মাণে  শ্রমিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শ্রমিকদের ঘামের প্রতিটি  ফোঁটায় নির্মাণ  হয়েছে সভ্যতার এক একটি দেয়াল। ১লা মে সারাবিশ্বে যে  আন্তর্জাতিক শ্রমিক  দিবস পালিত হয় তাও অর্জিত হয়েছে শ্রমিকদের বুকের তাজা  রক্ত বিসর্জনের মধ্য  দিয়ে। এই দিনটি ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে  মার্কেটের শহীদ  শ্রমিকদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালিত হয়। সেদিন দৈনিক আট  ঘন্টা কাজের  দাবিতে শ্রমিকরা হে মার্কেটের সামনে জমায়েত হয়েছিল। তাদেরকে  ঘিরে থাকা  পুলিশের প্রতি এক অজ্ঞাতনামার বোমা নিক্ষেপের পর পুলিশ  শ্রমিকদের ওপর  গুলিবর্ষণ শুরু করে। ফলে প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক নিহত হয়।  দাবি আদায়ে  শ্রমিকদের সেই আত্মত্যাগকে স্মরণ করতেই ১লা মে বিশ্ব শ্রমিক  দিবস পালন করা  হয়। সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও এই দিনটি যথাযথ গুরুত্ব ও  মর্যাদার সাথে পালন  করা হয়। এই দিনে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন  বিভিন্ন কর্মসূচি  গ্রহনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। স্বাধীন বাংলার  স্থপতি, স্বাধীনতার ঘোষক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর  রহমান তার  জীবদ্দশায় খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ তথা শ্রমিকদের দাবি আদায়ের  জন্য কাজ  করে গেছেন। পশ্চিম পাকিস্তানের শোষকদের কাছ থেকে শ্রমিকদের  ন্যায্য অধিকার  আদায়ের ব্যাপারে তিনি ছিলেন সর্বদা সোচ্চার। ১৯৭১ সালের ২৬  শে মার্চ  জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ছাত্র,  শিক্ষক,  পেশাজীবী, সাধারণ জনতার সাথে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ভাইয়েরা সেই দিন  ঝাঁপিয়ে  পড়েছিল দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে। তাই স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে   শ্রমিকদের আত্মত্যাগ ভুলবার নয়। বর্তমান সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরতœ   জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বদা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন শ্রমিকদের অধিকার   প্রতিষ্ঠায়, শ্রমিকদের ভাগ্যোন্নয়নে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের   জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর জননেত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের   ভাগ্যোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।  উদাহরনস্বরূপঃ ১। শ্রমজীবী  মানুষের অভিজ্ঞতা ও কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগানোর জন্য শ্রম আইন  সংশোধন করে  শ্রমিকদের অবসর গ্রহনের বয়স ৫৭ থেকে ৬০ বছরে উন্নীত। ২। শ্রম আইন ও  শ্রমনীতি প্রণয়ন, শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি  প্রণয়ন। ৩।  বিজেএমসির ২৭ টি পাটকলের মধ্যে ২৩ টি পাটকল চালুর মাধ্যমে বেকার  শ্রমিকদের  কর্মসংস্থান সৃষ্টি। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে পোশাক  শিল্প। রপ্তানির  মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার শতকরা ৮৫ ভাগই আসে পোশাক  শিল্প থেকে। এই  পোশাক শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে ৫০ লক্ষ শ্রমিক  জড়িত যার ৩০ লক্ষ  শ্রমিকই নারী। ২০০৯ সালের জানুয়ারীতে দ্বিতীয় মেয়াদে  ক্ষমতা গ্রহনের পর  জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার রুগ্ন- মৃত প্রায় পোশাক  শিল্পকে করেছেন  উজ্জীবিত। পাশাপাশি দেশি বিদেশি অপশক্তির হাত থেকে পোশাক  শিল্পকে রক্ষায়  অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। আর পোশাক শিল্পের ৫০ লক্ষ  শ্রমিকের ভবিষ্যত  নির্মানে জননেত্রী শেখ হাসিনা করে যাচ্ছেন নিরলস পরিশ্রম  আর নিরন্তর  চেষ্টা। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর জননেত্রী শেখ হাসিনা  পোশাকশিল্পের  শ্রমিকদের নূণ্যতম মজুরী ৫৩০০ টাকা নির্ধারন করেন। জননেত্রীর  এই  যুগান্তকারী পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে পোশাক শিল্পের মালিক, পোশাক   শ্রমিক, অর্থনীতিবিদ তথা বাংলাদেশের সাধারণ জনগন। তাছাড়া পোশাক শিল্পে ৩০   লক্ষ নারীর নিরাপদ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন,   নারীর কর্মক্ষেত্র ইত্যাদি। সরকারের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা ও হস্তক্ষেপের ফলে   বিগত কয়েক বছর যাবত বাংলাদেশ পোশাক শিল্প রপ্তানিতে এক নম্বর স্থান দখল করে   আছে। পোশাক শিল্পে এরূপ অর্জনের কারনে বিদেশি বড়, নামি-দামি পোশাক ক্রেতা   প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে আরও পোশাক কেনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে,  যা  আমাদের অর্থনীতির জন্য বড় একটি আশীবার্দ। এর ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি  যেমন  হবে তেমনি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে। জাতীয়  রপ্তানি উন্নয়নব্যুরোর তথ্যানুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে  অর্থাৎ  ২০১৩ সালের জুলাই মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পোশাক  শিল্পের  পণ্যের রপ্তানির মাধ্যমে আয় হয়েছে ১৬১৪ কোটি মার্কিন ডলার। এর  মধ্যে উভেন  পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৮২২ কোটি ৮৩ লক্ষ ডলার এবং নিট পোশাক  রপ্তানি  থেকে  এসেছে ৭৯১ কোটি ডলার যা আমাদের জন্য খুশির খবর হলেও  সাম্প্রতিক  সময়ের কিছু ঘটনা অর্থাৎ রানা প্লাজা ধস, তাজরীন ফ্যাশনে  অগ্নিকান্ড,  স্মার্ট গামের্ন্টেসে অগ্নিকান্ড আমাদের পোশাক শিল্পের  উন্নয়নের জন্য  হুমকিস্বরূপ। এসব ঘটনা বিশ্বের নামি-দামি ক্রেতা  প্রতিষ্ঠানের কাছে আবারও  শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।  এতদসত্ত্বেও আমার প্রাণের  নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রানা প্লাজা ধসে আহত ও  নিহত শ্রমিকদের জন্য  নিজস্ব তহবিল থেকে ২৩ কোটি ৫৫ লক্ষ ৭২০ টাকা সাহায্য  প্রদান করেন। তাই  আমাদের পোশাক শিল্পের উন্নয়নকে সচল রাখতে কিছু বিষয়াবলির  উপর গুরুত্বারোপ  করা প্রয়োজন। যেমনঃ  ১। দেশি-বিদেশি অপশক্তির ক্ষেত্রে সজাগ দৃষ্টি রাখা।  ২। যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে শ্রমিক সংগঠন গঠনের লাইসেন্স প্রদান করা যাতে   করে কেউ বা কোন সংগঠন শ্রমিকের দাবি আদায়ের নামে আমাদের অগ্রসরমান পোশাক   শিল্পকে ধ্বংস করতে না পারে। ৩। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি ও নিরাপত্তার  ক্ষেত্রে আরো বেশি গুরুত্বারোপ  করা। ৪। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের ক্ষেত্রে  আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
লেখকঃ ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হোসেন পলিন বি.এস.সি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিএ (জাবি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগ।