শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

টঙ্গীতে সরকারী হাসপাতাল দালালদের কাছে জিম্মি

হয়রানীর শিকার সাধারাণ রোগীরা


স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : শিল্প নগরী টঙ্গীর সরকারী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এখন স্থানীয় এবং বহিরাগত দালালাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এই হাসপাতালে আসা একাধিক নিরিহ রোগীরা দালাল চক্রের হাতে পড়ে ভূল চিকিৎসায় প্রান হারাচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব প্রকাশ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো সরকারী হাসপাতাল এলাকা। এই দালারচক্রের হাতে প্রতারিত হচ্ছে না এমন রোগির সংখ্যা কমই আছে।
জানা যায় প্রায় ১০জন চিহ্নিত দালাল দিয়ে রাত দিন দুই ভাগে একটি সিন্ডিকেট তৈরী করা হয়েছে। আর এই দালাল সিন্ডিকেটের মুলহোতা ঢাকা উত্তরার সেক্টর ৯ এ অবস্থিত রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাবেক সচিব আমিনুল হকসহ হাসপাতালের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অবঃ মেজর বা এক সময়ে সংবাদপত্রের কর্মী।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, টঙ্গী ও এর আশেপাশের সাধারণ মানুষ ভিবিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা নিতে উক্ত সরকারী হাসপাতালে ছুটে আসে। এই হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ না থাকায় অধিকাংশ রোগিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ বা অনান্য সরকারী হাসপাতালে স্থানাান্তর কর হয়। এসময় টঙ্গী সরকারী হাসপাতালের ভিতরে থাকা দালার চক্র রোগিদের উন্নত চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে উত্তরা রিজেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তিন চার দিন চিকিৎসা শেষে লক্ষাধিক টাকার বিল রোগির স্বজনদের হাতে ধরিয়ে দেয়। এনিয়ে একাধিক ভুক্ত ভোগীরা টঙ্গী থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও থানা পুলিশ রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের ভয়ে মামলা না নিয়ে মিমাংসা করে দেয়। গত শুক্রবার টঙ্গী সেবা শশ্রুদ্ধা হাপাতালে চিকিৎসারত রাবেয়া বেগম (৫০) এর স্বামী রসুল আলীকে দালালরা ভালো চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর এক ঘন্টা পর রাবেয়ার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহতের স্বামী থানায় অভিযোগ দিলে টঙ্গী থানার এসআই নজমুল হুদা ঘটনার সাথে জড়িত দালাল শফিকুল ইসলাম জীবন (৩০) মেহেদী হাসান (২৫) হুমায়ুন মিয়া (৪৫) কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা দিয়ে টঙ্গী থানায় মামলা না নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ বাদীকে মামলা না করার কন্য অনুরোধ জানালে, অভিযোগকারী নিরাশ হয়ে বাড়ী ফিরে গেলেও এসআই নজমুল হুদা টঙ্গী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি)র আসামী ছাড়ার নির্দেশ অমান্য করে নিজে বাদী হয়ে অপরাধী ৪ দালালের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে প্রেরন করে। টঙ্গী আরিচপুরের বাসিন্দা সালমা বেগম (৩০) স্বামী মো: কাইয়ুম ও মিরাশপাড়ার সুমিনা (২৪) স্বামী ডেভিড অভিযোগ করে বলেন, পেটের ব্যাথার চিকিৎসার জন্য তারা প্রথমে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে আসেন এসময় জরুরী বিভাগে দাড়ীয়ে থাকা রিজেন্ট হাসপাতালের দুই দালাল মিন্টু ও তার ভাই মিনহাজ এই রোগের উন্নত চিকিৎসা আছে বলে আমাদের টঙ্গী হাসপাতাল থেকে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আংশিক চিকিৎসা করে ৭০ হাজার টাকা বিল করে এবং আমাকে হাসপাতালে আটক রেখে আমার স্বামীকে টাকা নিয়ে আসতে বলে। পরে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের সহযোগিতায় ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ীতে আসি। এব্যাপারে রিজেন্ট হাসপাতালের ম্যানেজার মিজানুর রহমান (এক সময়ে সংবাদ পত্রের কর্মী) জানান, আমাদের কিছু লোক টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে আছে। তবে আমাদেও কোন লোক কোন রোগী/রোগীনিকে জোরপূর্বক নিয়ে আসে না আর প্রাইভেট হাসপাতালে বিল একটু বেশী হবেই। টঙ্গী সরকারী হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মো: মাহাবুবুর রহমান চেীধুরী জানান, আমি এই দালালদের গ্রেফতার করার জন্য টঙ্গী থানা পুলিশকে ২৫টি চিঠি দিয়েছি পুলিশ ব্যাবস্থা না নিলে আমাদের কিছু করার নেই। টঙ্গী থানা ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোর মালিকরা অধিক ক্ষমতাসীন। দালালদের আটক করলে আমাদের উপর থেকে চাপ আসে তাই ঝামেলায় জড়াতে চাই না।