শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র মানেনা এসিল্যান্ড- সেবাপ্রার্থীরা চরম হয়রানীতে

গাজীপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিস

  মোঃ জহিরুল ইসলামঃ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অমান্য করে নামজারী ও জমাভাগ আবেদন নিষ্পত্তি করছেন। নানা অজুহাতে মাসের পর মাস হয়রানি করছেন আবেদনকারীদের। ফলে নামজারীতে দীর্ঘসূত্রীতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং চরম হয়রানীর শিকার হচেছ সেবাপ্রার্থীরা। ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। অফিসে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণীর এক কর্মচারী নেতা নামজারী জমাভাগ, মিস মোকদ্দমা, ডিসিআর প্রদানসহ যাবতীয় কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঐ নেতা উমেদা নামধারী দালালদের নিয়ে সিন্ডিকেট করে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি, ভূয়া নামজারীসহ ঘুষ বানিজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছেন অফিসটিকে।জানা যায়, অফিসটির অধীন সাতটি তহশিল রয়েছে। চলমান ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ঐ তহশিলগুলো থেকে প্রায় পনের হাজার নামজারী ও জমাভাগের আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রেরিত হলেও গত দশ মাসে মাত্র ৮ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে বিনীতা রানী যোগদানের পর আবেদনপত্র অনুমোদন ও বাতিলের সঠিক পরিসংখ্যান সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। একটি সূত্র মতে এসিল্যান্ড পদে বিনীতা রানী যোগদানের পর প্রায় ৭ হাজার আবেদন বর্তমানে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। যার অধিকাংশই কয়েক মাস পূর্বে নিষ্পত্তি হওয়ার আইনগত বাধ্যবাধকতা ছিল। প্রতিদিন শত শত আবেদনকারী তাদের মূল দলিল, পর্চা, ওয়ারিশ সনদপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে টেবিল থেকে টেবিলে ঘুরে ঘুরে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। অথচ ভূমি মন্ত্রণালয় দূর্নীতি ও জনহয়রানী রোধে বিগত ৫ এপ্রিল, ২০১৪ইং তারিখে ভূঃম/শা-৯(বিবিধ)/১৩/০৯-৩৮৫নং পরিপত্রে নামজারী ও জমাভাগ আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সিরিয়াল বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করে। পরিপত্র জারীর পর কোন কোন জেলায় ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দিলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা উপেক্ষিত হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয়ের নজরে এলে পুনরায় ভূঃম/শা-৯/নামজারী-৬৭/১০-৮২৫নং পরিপত্র জারী  করে। এ পরিপত্রে নামজারী ও জমাভাগ নিষ্পত্তি ক্রমানুসারে করতে হবে এবং কোন অবস্থায় সিরিয়াল ভঙ্গ করা ও আদেশটির ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না মর্মে নির্দেশ প্রদান করা হয়। অথচ সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিনীতা রানী যোগদানের পর থেকেই এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিরিয়াল বজায় রেখে বা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের নির্দেশনানুযায়ী নামজারী আবেদন নিষ্পত্তি করেননি বলে ভূক্তভোগীগণ জানিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত আবেদনপত্র অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন এলাকার নামজারী আবেদন ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। শালনা তহসীলের ২৫২/১৪-১৫নং নামজারীর আবেদনকারী আবুল কাশেম কাশি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন ৬০ কর্ম দিবসের মধ্যে কোন আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে এমন কোন নজির আছে বলে মনে হয় না। তিনি আরো জানান, এসিল্যান্ড তার ঐ আবেদনটি দীর্ঘদিন পর্যালোচনার পর সার্র্ভেয়ারকে স্কেচ ম্যাপ সহ দখল প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। সার্ভেয়ার সরেজমিনে তদন্ত করে দখল প্রতিবেদন দেয়ার পর তিনি এসএ রেকর্ড থেকে আরএস রেকর্ডে কিভাবে মালিকানা স্বত্ব পরিবর্তন হলো তার কাগজপত্র চান। আরএস রেকর্ড নিয়ে কোন প্রশ্ন করার এখতিয়ার এসিল্যান্ডের না থাকলেও আমি তাকে যাবতীয় কাগজপত্র সরবরাহ করি। কিন্তু তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নেতা শরীফের চাহিদা মাফিক ২ লক্ষ টাকা ঘুষ না দেয়ায় এসিল্যান্ড আবেদনটি বাতিল করেন। খ তপসিলভূক্ত অর্পিত সম্পত্তির এ আবেদনটি নিয়ে আমি প্রায় ৬ মাস এসিল্যান্ডসহ প্রত্যেকের ধারে ধারে ঘুরেছি। খ তপসিলভূক্ত অর্পিত সম্পত্তির নামজারী ও জমাভাগ আবেদনকারীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ভূক্তভোগী। মাসের পর মাস ধর্না দিতে হচ্ছে এসিল্যান্ডের কাছে। নানা অজুহাতে কালক্ষেপন করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত আবেদনপত্রে স্পষ্ট বলা রয়েছে নামজারী ও জমাভাগ হওয়ার পর জমি হস্তান্তর বা বিক্রয় হলে ক্রেতা নতুন করে নামজারীর আবেদন করলে (সরকারী স্বার্থ না থাকলে) পূর্বের কোন কাগজপত্র সংযোজনের প্রয়োজন নেই। কিন্ত এসিল্যান্ড বিনীতা রানী মন্ত্রণালয়ের আদেশ আমলে না নিয়ে ২০/২৫ বছরের মালিকানার ধারাবাহিকতার কাগজপত্র দেখতে চান। ব্যর্থ হলে আবেদনপত্র বাতিল করে দেন। যেমনটি হয়েছে বাসন তহশীলের ১৪-১৫ অর্থ বছরের ৫৯৯, ৫২৬নং আবেদনের ক্ষেত্রে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ অফিসের সাবেক কয়েকজন এসিল্যান্ড জানান, পূর্বের নামজারীকে অবমূল্যায়ণ করে সকল কাগজপত্র চাওয়া বিধিবর্হিভূত।

কাপাসিয়ায় জাতীয় আইন সহায়তা অবহিতকরণ সভা বৃহস্পতিবার

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : “সরকারী আইনী সহায়তা পাওয়ার উন্মুক্ত হলো দার, বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি সংযুক্ত হলো এবার ” শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে আইন সহায়তা অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
গ্রামীণ দরিদ্র ও অধিকার বঞ্চিত নারীদের আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বেসরকারী সংস্থা ‘বাচঁতে শেখা’র উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাচঁতে শেখার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. অঞ্জেলা গমেজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুর রহমান। সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সকলকে বাচঁতে শেখা কর্মসূচির পরিচালক অনুপ সাহা অনুরোধ জানিয়েছেন। উল্লেখ, ‘বাচঁতে শেখা’ প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষত নারীদের আইনী সচেতনতা বৃদ্ধি, স্থানীয় পর্যায়ে সালিশের মাধ্যমে পারিবারিক বিরোধ নিস্পত্তি, আইনী স্বেচ্ছাসেবক তৈরী ও প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পারিবারিক পর্যায়ে শান্তি আনয়নের লক্ষে কাজ করছে।

গাজীপুরে সরকারের সাফল্য বিষয়ক আলোচনা সভা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে বর্তমান সরকারের সাফল্য, অর্জন ও উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ে জনগণকে অবহিতকরণ এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে এক আলোচনা সভা গতকাল বুধবার গাজীপুর সদর উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বর্তমান সরকারের অর্জিত সাফল্য বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন, পরিবার পরিকল্পনা, নারী ও শিশু উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, আত্ম কর্মসংস্থান, যোগাযোগ-প্রযুক্তির উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
গাজীপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জেলা তথ্য অফিসার নাসিমা খাতুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনসুরুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফৌজিয়া আসমত, কৃষি কর্মকর্তা সারমিন আক্তার প্রমুখ।
আগে উপজেলা চত্ত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সরকারের সাফল্য, অর্জন ও উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ের উপর চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও সংগীত পরিবেশন করা হয়।

গাজীপুর আঞ্চলিক অফিসে ব্যাংক অফিসার জাহানারা জলির স্মরণ সভা

স্টাফ রিপোর্টার : অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতি ও কর্মচারী সংসদ (সিবিএ) গাজীপুর অঞ্চল এর যৌথউদ্যোগে ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার গাজীপুর অগ্রণী ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যলয়ে প্রয়াত জাহানারা জলি (অফিসার ক্যাশ) এর স্মরণে মিলাদ, দোয়া ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াত জাহানারা জলি অগ্রণী ব্যাংক কাপাসিয়া শাখায় কর্মরত ছিলেন । ১৯এপ্রিল ব্রেন ষ্ট্রোকে তিনি পরলোক গমন করেন। তার পিতা মোঃ জাহিদ আলমকে অগ্রণী ব্যংক অফিসার সমিতি, কর্মচারী সংসদ (সিবিএ) গাজীপুর অঞ্চল ও অগ্রণীব্যাংক গাজীপুর আঞ্চলিক অফিস এর পক্ষ থেকে ১,০০,০০০(এক লক্ষ টাকা) আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। উপ মহাব্যবস্থাপক অগ্রণী ব্যাংক গাজীপুর আঞ্চলিক কার্যালয় মোঃ নাজমুল হকের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন- (সিবিএ) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আকরাম হোসেন, কর্মচারী সংসদ (সিবিএ ) সভাপতি এস এম হেলাল উদ্দিন, অফিসার সমিতির সভাপতি আঃ হালিম,সাধারন সম্পাদক আব্দুস ছাত্তারকর্মচারী সমিতি (সিবি এ সাধারন সম্পাদক  মোঃ মোতাহার হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্চিব দাস,সহকারী ব্যবস্থাপক গাজীপুর শাখা  মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী ব্যবস্থাপক মাওনা শাখা আবুল কালাম আজাদ বঙ্গবন্ধু পরিষদ অগ্রনী ব্যাংক অঞ্চলিক শাখা  সভাপতি মোঃআব্দুল হাই সহ নেতৃবৃন্দ।   

কালিয়াকৈরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বলিয়াদী বকশীবাড়ী এলাকায় বুধবার সকালে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ওই এলাকার নাজিম উদ্দিন বকশীর বড় ছেলে মাসফির বকসী ( ২০) কে বাড়ির উত্তর পাশে একটি গাছে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এলাকার একাধিক লোকজন জানায়, মাসফির এলাকার কোন এক মাটির কন্টাকটরের অধীনে বেশ কিছুদিন ধরে হিসাব রক্ষকের কাজ করে আসছিল। এরই মধ্যে সোমবার মাটির ব্যবসা নিয়ে বাক বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। বুধবার ওই বাকবিতন্ডার ব্যপার নিয়ে গ্রাম্য শালিসে বসার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতেই তাকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে বাড়ীর উত্তর পাশে একটি পিটকেল গাছে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।
নিহতের বাবা নাজিম উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ওর মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে আমি বন্ধ পাই। পরে সকালবেলা আমার ভাবি ঝুলন্তাস্থায় তার লাশ দেখতে পায়।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সাইদুর জানায়, ময়না তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। তবে প্রাথমিক নিদর্শনে এটি ফাশির মৃত্যু বলে মনে হচ্ছেনা।

গাজীপুরে দুই ডাইং কারখানাকে ৫৭ লক্ষ টাকা জরিমানা

পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ক্ষতিসাধন

স্টাফ রিপোর্টার : পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ক্ষতিসাধনের অপরাধে গাজীপুরে বুধবার দুইটি ডাইং কারখানাকে ৫৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট উইং।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান- পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ এবং তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) নির্মাণ ব্যতিত অপরিশোধিত তরল বর্জ্য পার্শ্ববর্তী জলাশয়ে নির্গত করে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জলজ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিসাধন করার দায়ে কালিয়াকৈর উপজেলার “ডং বাং ডাইং লিমিটেড” কে ৪৪ লক্ষ টাকা এবং একই এলাকার ইন্টারস্টফ এ্যাপারেলস লিঃ নামক কারখানাটির সৃষ্ট কিছু তরল বর্জ্য পরিশোধন না করে বাইরে নির্গত করার দায়ে ওই কারখানাকে ১৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরো জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) মোঃ আলমগীর গত ১৮ এপ্রিল কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন ডাইং কারখানা আকষ্মিক পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি কিছু কারখানা পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ এবং ইটিপি নির্মাণ ব্যতিত তরল বর্জ্য বাইরে নির্গমনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। এ প্রেক্ষিতে বুধবার কারখানা দুটির মালিক/প্রতিনিধির তলব করে শুনানী গ্রহণ শেষে ৫৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন।

কালীগঞ্জে ভুমিকম্পনে মাদ্রাসা ভবন ঝুকিপূর্ন ঃ গাছের নীচে চলছে পাঠদান

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড় ও ভুমিকম্পনে ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে জাঙ্গালীয়া ছিদ্দিক মিয়া ফাজিল মাদ্রাসা। গাছের নীচে চলছে পাঠদান।
জানা যায়, উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ছিদ্দিক মিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ১৯৫২ সালে স্থাপিত হয়। দীর্ঘ দিন যাবৎ সরকারিভাবে কোনো ভবন নির্মাণ হয়নি। বক্তারপুর ইউনিয়নের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও দানবীর মো. মনিরুল হক খান ১৯৯০ সালে নিজস্ব অর্থায়নে একশত পাচ ফুট লম্বা একটি দ্বিতল মাদ্রাসা ভবণ তৈরি করে দেন। তাতে কোনো রকম পাঠদান কাজ চলছিল। গত ২৫এপ্রিল শনিবার কালবৈশাখী ঝড় ও পর পর তিন বার ভুমিকম্পনের ফলে মাদ্রাসা ভবণটি ঝুকিপূর্ন হয়ে পরে। যে কোনো সময় ভবণটি ধ্বসে বড়ধরনের দূঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবক, স্থানীয় নেতৃবর্গসহ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ভবণটি ঝুকিপূন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের  খোলা আকাশের নিচেই ও গাছের নীচে চলছে পাঠদান্। এ অবস্থায় ৫ম শ্রেণী থেকে ফাজিল শ্রেণী পষর্ন্ত ৮টি ক্লাশে প্রায় ২০০ জন  শিক্ষার্থীকে রোদ-বৃষ্টি ঝড় মাথায় নিয়ে প্রতিদিন ক্লাস করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশিদ দেওয়ান ও সহযোগী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম প্রতিবেদকে জানান, মাদ্রাসা ভবনটি দীর্ঘ দিন ধরে ঝড়াজীর্ন অবস্থায়। এ অবস্থায় একটু ঝড়-বৃষ্টি হলেই আমাদের চরম বিপাকে পড়ে ক্লাশ না নিয়ে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিতে হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, মাদ্রাসাটি সংস্কারসহ ভবন নির্মাণের জন্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে ভবনটি নির্মাণের জন্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা প্রশাসন মো. নুরুল ইসলাম জানান, আমরা ব্যাপারটা শুনেছি ও দেখেছি। জরুরী ভিত্তিতে টিন দিয়ে ঘড় তৈরী করে দিচ্ছি, যাতে করে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ করতে কোন অসুবিধা না হয়। অনতিবিলম্বে ভবণ নির্মানের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

রক্ষক যদি ভক্ষক হয়

গাজীপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বাণিজ্য


॥ এম.এ. ফরিদ ॥
রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে যায় তবে আমাদের মতো সাধারন মানুষ যাবে কোথায়। আমরা কার কাছে বিচার দিলে ওই ভক্ষকদের বিচার পাবো। ক্ষেতের ফসল রক্ষা করার জন্য আমরা বেড়া দিয়ে থাকি, এখন বেড়ায় যদি ক্ষেতের ফসল নষ্ট করে ফেলে তবে সে বেড়া রেখে আমাদের লাভ কি? অনেকে হয়তো ভাবছেন কেন আমি এতো ভনিতা করছি। কি বলতে চাইছি তা কেন বলছি না। আমি কথাগুলো প্রথমেই লিখতে পারতাম। লেখার প্রারম্ভে একটু খোঁচা না দিলে পাঠক মহল নড়েচড়ে বসে না। আমাদের দেশের প্রধান যে সমস্যাটি এখন আমাদের চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি হলো মাদক। মাদকের ভয়াবহতা আমাদের প্রতিটি সচেতন নাগরিককে ভাবিয়ে তুলেছে। দিন দিন এর প্রসার ও ব্যবহার বেড়েই চলেছে। আগে মাদক রাখঢাক ভাবে বেচাকেনা করা হলেও এখন প্রকাশ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। হাত বাড়ালেই এটি সংগ্রহ করা যায়। আমাদের গাজীপুরে এর বেচাকেনার ব্যাপকতা এত বেড়ে গেছে যে, এমন কোনো মহল্লা কিংবা পাড়া নেই যেখানে এটি পাওয়া যাবে না। সব মহল্লা ও পাড়াতে মাদক পাওয়া যায়। চাল, ডাল, তেলের মতো অনেক মুদি দোকানের ভেতরে এখন মাদক বিক্রয় করা হচ্ছে। আমরা যারা সন্তানের পিতা-মাতা হয়েছি, তাঁরা রয়েছি মহাসংকটে। কখন যে আমার ছেলেটি নেশায় আক্রান্ত হয়েছে তা বোঝার কোন উপায় নেই। আমরা যারা আশায় বুক বেধে থাকি তাঁরা অনেক আশা নিয়েই বর্তমান পুলিশ সুপারকে স্বাগত জানিয়ে ছিলাম। তাঁর অনেক সুনাম ও কীর্তি আমাদের জানা রয়েছে। তিনি আমাদের গাজীপুরকে মাদক মুক্ত করবেন এমন প্রত্যাশা ছিল আমার মতো অনেক চর্মযুক্ত মানবের। বিশাল শো-ডাউন করেছিল আমাদের মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়। আমার মতো নগন্য একজন ব্যক্তিরও ভাগ্য হয়েছিল সেই মাদক বিরোধী র‌্যালীতে অংশ নেয়ার। সফেদ সাদা গেঞ্জি পরে র‌্যালীতে অংশ নেয়ার সময় পুলিশ সুপার মহোদয়ের জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম, আল্লাহ তুমি আমাদের পুলিশ সুপারকে দীর্ঘজীবি করে দাও। এই গেঞ্জির মতো সাদা মন করে দাও। তিনি যেন গাজীপুরবাসীকে মাদকমুক্ত গাজীপুর উপহার দেন সে তৌফিক দান করো। তিনি অবশ্য এখনও অবিচল রয়েছেন তাঁর প্রতিজ্ঞা পালনে। কিন্তু তাঁর যে কর্মী বাহিনী রয়েছে হয়তো এদের মধ্যে দু-একজন রয়েছেন যারা অসৎ। এরা হয়তো মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে ফায়দা লুটছে, টাকা আয়ের মহোৎসবে মেতে উঠেছেন। পুলিশ সুপার মহোদয়কে অনুরোধ জানাবো এদের ব্যপারে চোখ, কান খোলা রেখে কাজ করার জন্য। আপনার মতো চৌকস অফিসারের সঙ্গে গাজীপুরবাসী রয়েছে। কোনো বাঁধা আপনার কর্মপন্থাকে বাঁধাগ্রস্থ করতে পারবে না। তবে দুঃখ হয় সরকারের আরেকটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে। যাদের নাম সরকার দিয়েছে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পুলিশের অনেক কাজ করতে হয়। বেশির ভাগ সময় দেশের শান্তি শৃংঙ্খলা বজায় রাখার কাজেই ব্যস্ত থাকে আমাদের পুলিশ বাহিনী। কিন্তু মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধীদপ্তরের যারা সদস্য রয়েছেন সরকার শুধু তাদের দায়িত্ব দিয়েছেন মাদকের প্রসার রোধে কাজ করার জন্য। শুধু প্রসার রোধেই নয় এ সংস্থাটির দায়িত্ব মাদক বিক্রেতাদের ধরে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা। বলতে পারেন মাদক নির্মুলেই যাদের প্রধান কাজ। কিন্তু সংস্থাটি মাদক নির্মুলের পরিবর্তে যা করছে তা শুনলে রীতিমতো আপনাকে শিউরে তুলবে। আমি যে তথ্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরবো তা বেশির ভাগ বিক্রেতাদের মুখের কথা। আমার নিজস্ব সোর্স এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সম্পৃত্তদের নিকট থেকে তথ্য পেয়ে এ লেখাটি সম্পন্ন করতে আমার সহজ হয়েছে। মাদক নির্মুলে আমরা যাদের ওপর নির্ভর করি তাঁরাই যদি মাসোহার গ্রহণ করার মাধ্যমে মাদক বিক্রেতাদের উৎসাহিত করে তবে পুলিশ, র‌্যাব কি করে শতভাগ সফল হবে। বিশ্বস্ত ও শতভাগ সাফল্য অর্জনে সক্ষম সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে প্রতিমাসে গাজীপুর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাসোহারা বাবদ আয় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা। যারা মোটা দাগে মাসোহারা দিয়ে মাদকের ব্যবসা করে আসছে তাঁর কিছু অংশ আজ তুলে ধরছি। জয়দেবপুর নিয়ামত সড়কের বাবুর মা ও তাঁর মেয়ে সাজু প্রতিমাসে ৮০ হাজার  টাকা, ইয়াবা ব্যবসায়ী স্বপন ৪০ হাজার টাকা, ফেন্সী ব্যবসায়ী জনি প্রতিমাসে ৪০ হাজার টাকা, নায়ের আলীর স্ত্রী ১০ হাজার টাকা, পূবাইল এলাকার জোসনা ৪০ হাজার টাকা, হোসনারা কলেজ গেইট এলাকার ৪০ হাজার টাকা, বাসেদ ২৮ হাজার টাকা, নিপা ৪০ হাজার টাকা, হারু সেনপাড়া ২০ হাজার টাকা, উলুখোলা করান বাজার এলাকার লিটন ১০ হাজার টাকা, মাঝুখান এলাকার জাহাঙ্গীর ৪০ হাজার টাকা, টঙ্গী হাজীর মাজার এলাকার কালী ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, দেওড়া এলাকার কুখ্যাত রাজিয়া ৪০ হাজার টাকা, মিলগেইট এলাকার আসিয়া পাগলী ২০ হাজার টাকা, ব্যাংক মাঠ এলাকার নার্গিস, দেলু, খালেক, বকুল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, কাশিমপুর সাড়াপাড়া এলাকার দেবু ও জাহানারা ৭০ হাজার টাকা, কুমার খাদা এলাকার ওবায়দুল ২০ হাজার টাকা, হাতিয়াব এলাকার  অনিল ১০ হাজার টাকা, ঠাকুর চালা মৌচাক ও কালামহর থেকে ৩০ হাজার টাকা, ফুলবাড়িয়া এলাকার খেতাচুরা এলাকার মোতালেব ৩০ হাজার টাকা, শ্রীপুর কাওরাইদ তপন ও রশিদের বউ ২০ হাজার টাকা, মাইঝপাড়া ও কুশাইদ থেকে ৩০ হাজার টাকা, বরমী বাজারের আসকরের ছেলে কবির ২০ হাজার টাকা, লালদী ও জৈনাতলা ৪০ হাজার টাকা প্রতি মাসে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গাজীপুর সার্কেলকে দিতে হয়। আমাদের এখন গভীরভাবে ভাবতে হবে। এই যদি হয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আসল চরিত্র তবে আমরা কি করে এদের ওপর নির্ভর করবো। কি বিভৎস, কি ভয়ানক অবস্থায় আমরা রয়েছি একবার ভেবে দেখেছেন কি? আমরা যদি সংবাদপত্রে নিউজ করি তবে তাদের ভাগ্য আরো সুপ্রসন্ন হয়। তাঁরা বলেন, সাংবাদিকরা নিউজ করছে ধামাচাপা দিতে হবে। তাই এবার টাকা বাড়াতে হবে। আজ আমরা আমাদের সন্তানদের নিয়ে কতটা অসহায় একটু ভেবে দেখুন। মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা করতে এখন আমাদের সন্তানদের ঘরে শৃংঙ্খল বন্দি করে রাখা ছাড়া আর কি কোনো উপায় আছে? অনেকে বলতে পারেন এসব দেখেও নাকি সাংবাদিকরা পত্রিকায় তা প্রকাশ করে না। আমি বলতে চাই অনেকে না জেনে এমন মন্তব্য করে থাকেন। আমাদের এক সাংবাদিক ভাই তাঁর পত্রিকায় মাদক নিয়ে বিস্তারিত কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। আমি যাকে ভাই বলেই জানি। কারণ সাংবাদিকতার শুরু থেকেই সে আমাকে ভাই বলেই ডাকতো। আপনারা অনেকেই তাকে চিনেন। বায়েজিদ ভাই। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত। তাঁর ছেলে জসিম। যাকে আমি ৭/৮ বছর বয়স থেকেই দেখছি। বাবার পত্রিকার কাজে সেই ছোটবেলা থেকেই সহযোগীতা করে আসছে। এখন সে অনেক বড় হয়েছে। আমরাই তাকে বিয়ে করিয়েছি। সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। পত্রিকার কম্পোজ, ম্যাকাপ ও মেইল পাঠানোর কাজগুলো আমিসহ আমার অনেক সহকর্মী তাকে দিয়েই করে থাকি। বাহিরের জগৎ সম্পর্কে অনেক কিছুই তাঁর অজানা ছিল। সব কিছুই ভালোভাবেই চলতে থাকে। গত বছরের ১০ আগষ্ট সন্ধ্যায় আমার সেই ভাতিজাটি আমার প্রাণ প্রিয় সংগঠন গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের নির্বাচনের ফরম তৈরী করে সামন্তপুরস্থ বাসায় চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমার নিকট থেকে বিদায় নেয়। আমি ও আমার সাংবাদিক বন্ধুরা মিলে ওই সময় মুন্সিপাড়াস্থ সাংবাদিক বায়েজিদ ভাইয়ের অফিসে বসে নির্বাচন বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। ভাতিজা জসিম চলে যাবার ১০ মিনিটের মধ্যে খবর পেলাম কাজীবাড়ি রোডে কেন্দ্রীয় কবরস্থানের কাছে জসিমকে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা কুঁপিয়েছে। ঘটনার সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা। ঘটনা শুনে হতভম্ব হয়ে যাই। আমার সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি জসিমকে যেভাবে কোঁপানো হয়েছে তা কোনো মানুষ মানুষকে করতে পারে না। বাবা সাংবাদিক। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ লেখায় ছেলেকে এভাবে কোঁপানো হয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে অবশেষে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে সে আমাদের মাঝে ফিরে আসে। এখনও সে অসুস্থ্য। বর্তমানে সে ছাপাখানার কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে। কিন্তু সম্প্রতি মাদক ব্যবসায়ীরা পুনরায় তাকে জীবন নাশের হুমকী দিয়েছে। এখন আমরা যারা অসহায়, আমরা যাবো কোথায়? কে আমাদের শান্তনার বাণী শুনাবে? তাহলে কি সাংবাদিকরা মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে না? আমার তো মনে হয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগীতার কারণেই মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সম্পর্কে আজকে যা তুলে ধরা হলো তা খুবই সংক্ষিপ্ত। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে সম্মানিত গাজীপুরবাসীকে ৪/৫ দিন অপেক্ষায় থাকতে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।

কালিয়াকৈরে কৃষকলীগের কর্মীসভা

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গতকাল বিকেলে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষকলীগের কর্মীসভা চন্দ্রা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে অনুষ্টিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক আবুল কাশেম। বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান লিটন, পৌর কৃষকলীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম সর্দার, হযরত আলী, লায়ন হাবিব, দেওয়ান আঃ রাজ্জাক, লোকমান সিকদার, আঃ গফুর, এনায়েত হোসেন, পুটন, হিমেল প্রমুখ।

কালিয়াকৈরে কারখানার ম্যানেজারকে হত্যার হুমকি ঃ থানায় জিডি


কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ভান্নারা এলাকার উর্মি নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার ক্যাশ মনেজার এনায়েত হোসেনকে হত্যার  হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  এঘটনায় ম্যানেজার এনায়েত হোসেন বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে আলামিন, জাহাঙ্গীর আলমের নাম উল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে।
 সাধারন ডায়েরী সুত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈরের ভান্নারা এলাকার উর্মি নিটওয়ার কারখানার ক্যাশ ম্যানেজার এনায়েত হোসেনের সাথে আলামিন ও জাহাঙ্গীর আলমের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে গত শনিবার বিকেলে আলামিন ও জাহাঙ্গীর আলম কয়েকজন বখাটে যুবক নিয়ে ওই কারখানার সামনে গিয়ে ম্যানেজার এনায়েত হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে সুযোগ বুঝে খুন জখমসহ হত্যা করার হুমকি দিয়ে চলে আসে। এঘটনায় সোমবার বিকেলে এনায়েত হোসেন বাদী হয়ে আলামিন ও জাহাঙ্গীর আলমের নাম উল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে।

কালিয়াকৈরে বনবিভাগের অভিযান ঃ কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার

কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধি : কালিয়াকৈর রেঞ্জের আওতাধীন রঘুনাথপুর বীট এলাকায় সরকারী বন বিভাগের বেদখল জমি মঙ্গলবার দুপুরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার করেছে।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, কালিয়াকৈর রেঞ্জর সোনাতলা বিট অফিস সংলগ্ন বন বিভাগের সৃজিত বাগানের ৩ শতাধিক গাছ কেটে ওই স্থানের মাটি কেটে আখ চাষ করেছে ওই এলাকার আব্দুল মোতালেব নামের জনৈক ব্যাক্তি। বিষয়টি জানতে পেরে বন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার অবৈধ দখলে থাকা বন বিভাগের ৩৫ শতাংশ জমি উদ্ধার করে প্রায় তিন শতাধিক আকাশ মনি গাছের চারা রোপন করে।
রঘুনাথপুর বন বিট কর্মকর্তা সালাউদ্দিন জানান, বন বিভাগের সৃজিত বাগান থেকে ১৯ এপ্রিল গোপনে গাছ কেটে মোতালেব আখ চাষ করে ছিল। ঘটনাটি জানার পর বিট অফিসের লোক জন নিয়ে অবৈধ দখল কারীকে উচ্ছেদ করে ওই জমিতে ৩ শত কাঠচারা লাগিয়ে পুনরায় বাগান করা হয়েছে। দখলকারীর বিরোদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
অভিযুক্ত আব্দুল মোতালেবের দাবী আমাদের নিজস্ব রের্কডীয় জমির মাটি কেটে আখ চাষ করা হয়েছে।

গাজীপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ঃ লাখ টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ও মির্জাপুর জেলা শহর এলাকায় কারখানা ও দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা ও আদায় করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া রহমান ওই আদালত পরিচালনা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় এলাকায় জেশন এগ্রোভেট কারখানায় উৎপাদিত পণ্যে খাদ্য তৈরীর উপাদান ও উৎপাদন তারিখ লেখা না থাকায় ২০ হাজার টাকা এবং টয়োফিড ও মর্ডান ফিড কারখানার লাইসেন্স না থাকায় মৎস ও পশু খাদ্য আইনে ৩৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ভাওয়াল মির্জাপুর বাজারের দোকানে চাল, ডালসহ বিভিন্ন সামগ্রী পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তায় রাখার অপরাধে তিনটি দোকানে ৭ হাজার টাকা, বানিয়ারচালার একটি দোকানে ৫ হাজার টাকা এবং জেলা শহরের ঝুমুর সিনেমা হলে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা ও আদায় করা হয়। এ ছাড়া সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায় অবৈধভাবে মেলা মেলা পরিচালনার অভিযোগে তা ভেঙ্গে দেয়া হয়। অভিযানকালে সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম ও পাট অধিদপ্তরের মূখ্য পরিদর্শক এনায়েত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুরে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানী দেয়ার বিষয়ে তদন্ত চলছে -----গাজীপুর পুলিশ সুপার

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হারুনর রশীদ বলেছেন, পুলিশের পোষাকে মন্দিরসহ সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা, লুটপাট ও  ভাংচূরের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের বিষয়ে তদন্ত চলছে। সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, মামলা মোকদ্দমার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘষের ঘটনায় বনগ্রাম এলাকায় একটি মন্দির ও ৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি হিন্দু সম্প্রদায়ের ও ৪টি মুসলমানের বাড়ি রয়েছে। এই হামলার সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে কয়েকটি পত্রিকা পুলিশকে জড়িয়ে একই ধরণের মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করে। তদন্ত করে হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংশ্লিষ্ঠতা পাওয়া যায়নি। ফলে ওই সব মিথ্যা সংবাদ পুলিশের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে গাজীপুরে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানী দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বিষয়টি আরো গভীরভাবে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে মিথ্যা ও উস্কানীমূলক সংবাদ দেয়ার অভিযোগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গতঃ ২০ এপ্রিল গাজীপুর মহানগরের বনগ্রাম এলাকায় দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কিছু লোক আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে একটি মন্দির ও কয়েকটি বাড়ি ভাংচূর হয়। এই ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় মামলা হয়। পুলিশ ওই মামলায় ৬জনকে আটক করে। পুলিশের পোষাকে সন্ত্রাসীরা ছিল বলে বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য দিয়ে কয়েকটি পত্রিকা সংবাদ পরিবেশন করে। ওই সকল সংবাদের ভিত্তিতে উচ্চ আদালত একটি রুল জারী করে। ঘটনা তদন্তে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে ও ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারী সাহায্য প্রদান করা হয়।

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পোশাক কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে, দগ্ধ হয়েছে ৭ জন

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় টেরি ফ্যাশন লিঃ নামের একটি তৈরী পোশাক কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন ৭ জন। তাদের মধ্যে দগ্ধ হয়ে ৩ জন ঢাকা মেডিকেলের  বান ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, আজ সকাল সোয়া ৬টায় কারখানার গ্যাসের কম্প্রেসার রুমে আগুনের সুত্রপাত হয়। আগুন পাশের একটি রুমে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরুর করে। প্রায়  ১ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। এ ঘটনায় কম্প্রেসার রুমের পাশের রুমে রাতে ঘুমিয়ে থাকা ৭ জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে ফজলু, রেহেনা ও ইয়াসিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

গাজীপুরে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর শহরের হাড়িনাল উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও বাঁচতে শেখার সহযোগিতায় গাজীপুর নাগরিক কমিটি এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেন প্রধান অতিথি ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালমা জাহান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাগরিক কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল হোসেন, সাংবাদিক মুকুল কুমার মল্লিক, বাঁচতে শেখার ওয়াদুদুর রহমান ও মাহবুবুর রহমান, এড. বসন্ত কুমার, প্রধান শিক্ষক আকতার হোসেন ও ওবায়দুর রহমান, বিবাহ নিবন্ধক ননী মাধব বিশ্বাস, পুরোহিত নিমাইচন্দ্র ভট্টাচার্য, নারায়ন কুমার দাস, মানিকচন্দ্র দে ও শিক্ষিকা কৃষ্ণা রাণী বণিক। অনুষ্ঠানে বক্তারা হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করে আইন প্রণয়ন ও প্রচলিত উত্তরাধিকার আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনের দাবী জানান


কাপাসিয়া বরুন উচ্চ বিদ্যালয় অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বরুন উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ২৬ এপ্রিল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাকজমকপূর্ণ ও উৎসব মূখর এ নির্বাচনে  ছয় জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। নির্বাচনে বিজয়ীরা হলেন, মোঃ তাজউদ্দিন আকন (চেয়ার), মোঃ ফজলুল হক কাজী (আম), এম এ জামান খান (আনারস), মোঃ নুরুল ইসলাম নুরু (ছাতা)। এছাড়া আরো দু’জন তাজউদ্দিন শেখ ও আবুল হোসেন বেপারী প্রতিদ্বন্দিতা করে হেরে যান। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ। ভোটার ছিলেন ৩৫৪ জন।  সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলে। নির্বাচন চলাকালিন সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজগর হোসেন খান, আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা ডাঃ আবু হানিফ, বরুন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাধন চন্দ্র দাস, ইউপি সদস্য তাজউদ্দীন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব খান, সদর ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি শাকিল হাসান মোড়ল, সাংবাদিক নুরুল আমীন সিকদার, সহকারী শিক্ষক আনোয়ারা বেগম, মতিউর রহমান, হারুন অর রশিদ প্রমূখ। 

গাজীপুরে সরকারের সাফল্য ও উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে বর্তমান সরকারের সাফল্য অর্জন ও উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ে জনগণকে অবহিতক
প্রেস ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের সামনে বর্তমান সরকারের সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা তথ্য অফিসার নাসিমা খাতুন। তিনি জানান, সরকারের সাফল্য অর্জন ও উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ে জনগণকে আরো ব্যাপক ভাবে সম্পৃক্তকরণের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল ১৫, রোজ: বুধবার, সকাল: ১০ টায় গাজীপুর সদর উপজেলা চত্তর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হবে এবং পরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী বুধবারের অনুষ্ঠানকে সফল করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।   
প্রেস ব্রিফিং-এ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ অংশ গ্রহণ করেন।

রণ এবং উন্নয়ন কার্য়ক্রমে সম্পৃক্তকরণের লক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং গতকাল সোমবার গাজীপুর প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঘরবাড়ি মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর

গাজীপুরে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের বনগ্রাম এলাকায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের হামলায় রক্ষা পায়নি শিশু ও নারীরাও। এসময় ভাঙচুর করা হয় কালী মন্দিরের বেশ কয়েকটি প্রতিমা। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন ওই গ্রামের  অধিবাসিরা। সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মো: নুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো: হারুন অর রশিদ ও ও.সি খন্দকার রেজাউল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট মোঃ হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর  এলাকার বনগ্রাম গ্রামের বেশির ভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী নৃগোষ্ঠী। রোববার রাতে এ গ্রামেই হামলা চালায় পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রসী রফিক ও তার দলবল। এসময় সন্ত্রাসীরা বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে তছনছ করে প্রতিটি ঘরের আসবাবপত্র। লুট করে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা পয়সাসহ বিভিন্ন মালামাল। সন্ত্রাসীদের হামলায় এসময় আহত হন নারী ও শিশুসহ অন্তত ৭জন। হামলাকারীরা হিন্দুদের কালীমন্দিরে হামলা করে বেশ কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করে। হামলা চলাকালে সন্ত্রাসীদের ভয়ে অনেক পরিবার আশ্রয় নেয় পাশ্ববর্তী বনজঙ্গলে। এ ঘটনায় এলাকায় বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। প্রশ্ন ওঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
এলাকাবাসির অভিযোগ, শীর্ষ সন্ত্রাসী রফিক ও তার দলবলের অত্যাচার ও নানা অপরাধের প্রতিবাদ করায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা ও লুটপাট চালালেও সোমবার দুপুরের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করছে এলাকার লোকজন।
এ ব্যাপারে বনগ্রাম গ্রামের পিযুষ বর্মন জানান, মাস খানেক আগে শীর্ষ সন্ত্রাসী রফিকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসি তাকে গ্রাম ছাড়া করে। এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ওই  সন্ত্রাসী ও তার দলের লোকজন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। এরই জেরে রোববার রাতে রফিকের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন লোক লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় গ্রামবাসির ওপর। এসময় সন্ত্রাসীরা অন্তত ২০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করে। হামলাকারীরা নারী পুরুষ যেখানে যাকে পেয়েছে তাকেই মারধর করতে থাকে। হামলায় কফিল, সুরেশ, রুমানাসহ অন্তত ৭জন আহত হন। একই গ্রামের সুনিল, সুকেন, মাজেদা খাতুন, বিমল, প্রহলাদ, লালমোহন, নিরঞ্জন, মঙ্গল, শ্যামলের বাড়িসহ অন্তত ৫০টি বাড়িতে হামলা করে ঘরের আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রি ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। লুট করা হয় নগদ টাকাসহ বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার। নিরঞ্জন ও সুধীরের বাড়িতে হামলা করে দু’টি অটো বাইক ভাঙচুর করা হয়। তবে ভাঙচুরের বিষয়টি পুলিশকে জানালেও  সোমবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গাজীপুর পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে ওই কর্মকর্তার দাবি, ওই গ্রামের বাসিন্দারা বাংলা মদ তৈরী ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে, আর শীর্ষ সন্ত্রাসী রফিকও মাদক কেনা বেচায় জড়িত। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মাদকসহ আসামী গ্রেফতারের পর টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

টঙ্গীতে দুই এ.এস.আইয়ের হোন্ডা অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গী মডেল থানার দুই এএসআই দীর্ঘদিন টঙ্গীতে কর্মরত থাকার সুবাদে সরকারী ডিউটির বাইরের সাদা পোষাকে মটর বাইকযোগে নামধারী মাদক ব্যবসায়ী পুলিশ র্সোসদের সাথে নিয়ে টঙ্গীর আমতলী, কেরানীরঠেক, কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ, মরকুন, মরকুন ঠেকপাড়া, টিএন্ডটি, টঙ্গী ভরান মাজার বস্তি, মেঘনা রোড বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সপ্তাহ ও মাসিক ভিত্তিক উৎকোচ আদায়সহ দাবীকৃত উৎকোচের টাকা দিতে মাদক ব্যবসায়ীরা অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষীপ্ত হয়ে দুই এএসআই কখনো মাদকদ্রব্যসহ আবার কখনো মাদক ছাড়াই হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে থানায় না নিয়ে এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানোসহ ঘটনাস্থলে বসে স্থানীয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, টঙ্গী মডেল থানায় দ্বিতীয় বারের মতো বদলী হয়ে আসা এএসআই সামছুল হক অতি চতুরতার সাথে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ডিউটি শেষে সাদা পোষাকে এবং থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিনা অনুমতিতে এএসআই ফয়েজ বা অন্যকোন এএসআইকে কিংবা যেকোন একজন কনষ্টেবলকে তার ব্যবহৃত মটর বাইক এর পেছনে বসিয়ে টঙ্গীর আমতলী, কেরানীরঠেক, কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ, মরকুন, মরকুন ঠেকপাড়া, টিএন্ডটি,  টঙ্গী ভরান মাজার বস্তি, মেঘনা রোড বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সপ্তাহ ও মাসিক ভিত্তিক উৎকোচ আদায় করে থাকেন। সম্প্রতি জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হারুন-উর-রশিদসহ জেলা প্রসাশন মাদক বেচা-কেনা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিমূলে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে জেলায় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন এবং আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে জেলাব্যাপী কমিনিউটি পুলিশ গঠনের মতো মহৎ কাজটি হাতে নেয়ার পর মাদক ব্যবসায়ী থেকে সেবনকারীরা আতংকে দিন কাটানোর প্রাক্কালে টঙ্গী মডেল থানার কয়েকজন পুরোনো এএসআইসহ উপরোক্ত দুই এএসআই মোঃ সামছুল হক ও এএসআই ফয়েজ টঙ্গীর মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত সপ্তাহ ও মাসিক ভিত্তিতে টাকা আদায় করেন। এছাড়াও মাদকসহ মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে কখনো থানায় নিয়ে মামলা না দিয়ে, আবার বেশীর ভাগ সময় থানায় না নিয়েই স্থানীয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর তদবিরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন, জেলা পুলিশ সুপার বা থানার র্উদ্ধতন কর্মকর্তাদের ভয়ে টঙ্গীতে মাদকদ্রব্য সেবনকারীদেও আনা-গোনা বা মাদকদ্রব্য ব্যাবসা যখন অনেকাংশে শিতিল তখন এধরনের অর্থলোভী পুলিশ সদস্যদের কারনে স্থানীয় পুলিশ প্রসাশনের ভাবমুর্ত্তিকে প্রশ্ন বিদ্ধ করছে বলেই টঙ্গী ও গাজীপুরবাসী মনে করছে।
উল্লেখ্য ঃ চলতি মাসের প্রথম সপ্তহে সাদা পোষাকে টঙ্গী মডেল থানার এএসআই ফয়েজ টঙ্গীর কেরানীরঠেক বস্তির মাদক ব্যবসায়ী সুমনকে ইয়াবা ও গাজাসহ ধরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার পর থানার উর্দ্ধতন কর্মর্তারাদের মধ্যে বিষয়টি জানা জানি হলেও কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় পুনরায় সাদা পোষাকে টঙ্গী মডেল থানার এএসআই সামছুল হকসহ এএসআই ফয়েজ মোটরবাইক (মটরসাইকেল) যোগে গত ১৩এপ্রিল ২০১৫ ইং আছরের নামাজের পর টঙ্গীর মরকুন পশ্চিমপাড়া ও তিস্তারগেইটের মাঝামাঝি রেলওয়ে বস্তি থেকে টঙ্গীর শীর্ষ ফেন্সিডিল ও ইয়াবা ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগমের সেলসম্যান এবং আদম আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৬২) কে ৩ বোতল ফেনিডিলসহ আটক করে থানায় না নিয়ে এবং থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে ঘটনাস্থলে প্রায় এক ঘন্টা বসে ধর কষাকষির এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে রোকেয়া বেগমকে ছেড়ে দেয়। এছাড়াও টঙ্গীর কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ বস্তির মাদক ব্যবসায়ী শাহজাহানকে  তোর নামে“ওয়ারেন্টে” আছে এই ভয় দেখিয়ে এএসআই সামছুল হক ধরে থানায় আনার পর কোন ওয়ারেন্ট না পেয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়।
এব্যাপারে জানতে এএসআই ফয়েজ ও এএসআই সামছুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়গুলো অস্বীকার করেন। কিন্তু যাদের আটক করে ছেড়ে দেয়া ও টাকা নেয়া হয়েছে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
এব্যাপারে জানতে টঙ্গী মডেল থানার অফির্সাস তদন্ত মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এসব ব্যাপারে কিছু জানি না, এধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে এবং প্রমান পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কালিয়াকৈরে ৯টি ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি গঠিত

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে সফল সম্মেলনের মাধ্যমে যুলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন যারা- আটাবহ ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন শাকিল মোল্লা ও সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম। ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান আলহাজ। চাপাইর ইউনিয়ন সভাপতি নাজমুল আলম, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। বোয়ালী ইউনিয়ন সভাপতি সামান্ত সরকার, সাধারণ সম্পাদক কাজী আলী হোসেন। মৌচাক ইউনিয়ন সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জসিম আহম্মেদ। শ্রীফলতলী ইউনিয়ন সভাপতি স্বপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা। সুত্রাপুর ইউনিয়ন সভাপতি মীর আশিকুর রহমান ডানো, সাধারণ সম্পাদক আয়ুব আলী। ঢালজোড়া ইউনিয়ন সভাপতি কৃষন সাহা, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান ও মধ্যপাড়া ইউনিয়ন সভাপতি সোলায়মান দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম। উপজেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় ইউনিয়ন কমিটি ঘোষনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাসেল, কেন্দ্রিয় যুবলীগের  প্রেসিডিয়াম সদস্য আমিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি,  জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আলতাব হোসেন, সাধারন সম্পাদক হাফিজউল্লাহ খোকা, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হিরু মিয়া ও যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম প্রমুখ।

গাজীপুরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে বিদ্যুতাহত হয়ে রাজ মিস্ত্রীর করুন মৃত্যু

থানা-পুলিশ ও প্রশাসন ম্যানেজ করে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফন

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর মহানগরের উত্তর বিলাশপুরে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ছাদে রড বাইন্ডিংয়ের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতাহত হয়ে এক রাজ মিস্ত্রীর করুন মৃত্যু হয়েছে মর্মে খবর পাওয়া গেছে। পরে লাশের ময়না তদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে তাকে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
প্রকাশ- মহানগরের উত্তর বিলাশপুরে জনৈক সামছুদ্দিন রোডের পার্শ্বে পল্লীবিদ্যুতের বৈদ্যুতিক লাইন ঘেষে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে দো-তলার ছাদ পর্যন্ত নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়। গতকাল বুধবার অনুমান বেলা ১১টার দিকে ওই ভবনে কাজ করতে গিয়ে রাজ মিস্ত্রী মোঃ ফরিদ মিয়া (২৫) বৈদ্যুতিক তারের সাথে রডের সংযোগ ঘটে এবং তাৎক্ষনিক তার দেহের অনেকাংশ পুড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে, কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ফরিদ মিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার কাদিরপুর গ্রামে। তার পিতার নাম আব্দুর রশীদ মিয়া। তার মা দীর্ঘ দিন যাবৎ উত্তর বিলাশপুরে থেকে পরের বাড়িতে কাজ-কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
খবর পাওয়া গেছে- ফরিদের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে নির্মানাধীন বাড়ির মালিক সামছুদ্দিন ওরফে সামছু মিয়া তরিঘরি করে থানা-পুলিশ ও প্রশাসন ম্যানেজ করে নিহতের মাতাকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বিনা ময়না তদন্তে হাসপাতাল থেকে ফরিদের মরদেহ নিয়ে যায় এবং লাশ কবরস্থ করে।
এলকাবাসী বলছেন- ফরিদের মৃত্যুর মাত্র কয়েক মাস আগে পাশ্ববর্তী মনির মিয়ার বাড়ি নির্মাণের সময়ও একই ধরনের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। তাদের অভিমত- সামছুদ্দিন ও মনির মিয়া উভয়ে মহানগরে বাড়ি-ঘর নির্মাণের আইন-কানুনকে বৃদ্ধঙ্গুলি প্রদর্শন করে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ করছেন। আর তাদের সেই অবৈধ কাজের বলি হচ্ছেন নিরিহ হতদরিদ্র রাজমিস্ত্রীরা।
এলাকাবাসি ও সচেতন মহলের দাবি- তাদের বিরুদ্ধে অনতি বিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

গাজীপুরে টোল আদায় নিয়ে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বোর্ডবাজারের সাইনবোর্ড বাজারে টোল আদায় নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ইজারাদারের লোকজন ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের টঙ্গী হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন শাহীন, আবুল হোসেন, ইজ্জত আলী, আমিন খান, ইসমাইল হোসেন, নুরুজ্জামান, সুভাস, মোর্শেদ আলী, সিদ্দিক আলী। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
সাইনবোর্ড এলাকার ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন খান জানান, ইজারাদার মোহাম্মদ আলী গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে সাইনবোর্ড বাজারটি চলতি বাংলা মাস থেকে এক বছরের জন্য ইজারা পেয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় ১৪/১৫ জন যুবক এসে বিভিন্ন দোকানির কাছে ইজারাদারের পক্ষে অতিরিক্ত টোল দাবি করে। কিন্তু দোকানিরা অতিরিক্ত টোল দিতে অস্বীকার করলে ওই লোকজন ব্যবসায়ীদের উপর  হামলা চালায় এবং কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা প্রতিহত করতে এগিয়ে আসলে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপরও হামলা চালায়। ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন খান দাবি করেন, এ ঘটনায় কাঁচামাল ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন (২৫) ও অজ্ঞাত এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী হাসপাতালে পাঠান।
টঙ্গী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেল ৫টার দিকে আহত শাহীন, আবুল হোসেন ও ইজ্জত আলীকে টঙ্গী হাসপাতালে আনা হয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল জানান, অতিরিক্ত টোল আদায়কে কেন্দ্র করে ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ সভা করে।
জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে দর্শনার্থীর হাত ছিঁড়ে নিয়েছে বাঘ

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে এক দর্শনার্থীর হাত ছিঁড়ে নিয়েছে বাঘ। আহত দর্শনার্থীর নাম অংকন (২৬)। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে সাফারি পার্কের টাইগার জোনে এ ঘটনা ঘটেছে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা শিবুপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও ফরেস্টার কৃষ্ণকমল মজুমদার জানান, মঙ্গলবার অংকন নামের ওই যুবক সাফারি পার্কে বেড়াতে আসে। দুপুর দেড়টার দিকে সে পার্কের টাইগার এরিয়ার রেস্টুরেন্টের পাশে দেয়ালের উপরে উঠে নেটের ফাঁকে হাত বাড়িয়ে দূরে থাকা একটি বাঘকে ডাকতে থাকে। এ সময় দেয়ালের পাশে থাকা অপর একটি বাঘ অংকনের বাঁ হাত কামড়ে ধরে। এটা দেখে অন্য দর্শনার্থীরা অংকনকে টেনে ধরে। একপর্যায়ে তার বাঁ হাতটি কুনুই থেকে ছিঁড়ে নিয়ে বাঘ চলে যায়। পরে আশপাশের লোকজন আহত অংকনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

গাজীপুরে সাংবাদিক রুবেল সরকারকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি

খুনির আত্মীয় মান্নানের দাপট

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরে দৈনিক অন্যদিগন্ত’র স্টাফ রিপোর্টার রুবেল সরকারকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জনতা ব্যাংকের ভেতরে।
রুবেল সরকার জানান, তিনি তার বন্ধু নজরুল ইসলামকে নিয়ে গত ১২ এপ্রিল বিকেলে জয়দেবপুর বাজারের তানভীর প্লাজায় জনতা ব্যাংকে যান। ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন তার বন্ধুর ব্যাংকে চাকরির আবেদনের টাকা জমা দেওয়ার কাজটি করতে থাকেন। তখন আবদুল মান্নান নামের একজন তাকে দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি উচ্চস্বরে গালিগালাজ করে বলতে থাকেন, আপনি তো আমাদের বিরুদ্ধে লিখলেন। কী করতে পারলেন। তোরে দেখলে সহ্য করতে পারি না। কোন জায়গায় পাইলে মাইরা ফেলতে পারি। এরপর মান্নান তাকে মারতে তিনবার তেড়ে আসেন। তখন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন।
ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মান্নান তাদের মোটা অঙ্কের টাকার ঋণ গ্রহীতা। ওই ঘটনায় সবাই অবাক হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মান্নান জয়দেবপুর বাসস্ট্যান্ডের ঝুমুর সিনেমা হলের পেছনে সাততলা বাড়ির পাঁচতলায় থাকেন। বাড়ি নং ৩১৮/৯। তিনি অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে। ওই সম্পর্ককে পুঁজি করে তিনি দাপট দেখান।
যে কারণে হুমকি : ২০১০ সালে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের কাজলদীঘি গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ লিপি খুন হন। ওই দিনই তার স্বামী শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় কাপাসিয়া থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা হয়। মামলায় ওই মান্নানের বাবা আকবর আলীও আসামি হন। আর শাহজাহান মান্নানের ফুফাতো ভাই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও লিপিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ মেলে। তখন বিষয়টির ওপর অন্যদিগন্তসহ একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই জেরেই মান্নান প্রতিশোধ নেওয়ার তৎপরতা শুরু করেছেন। হুমকির পর থেকে একাধিক অপরিচিত লোক রুবেল সরকারের গতিবিধি অনুসরণ করছে বলেও লক্ষ করা যাচ্ছে।
থানায় জিডি : হুমকির ঘটনায় রুবেল সরকার জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে পরদিন জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ডায়েরি নং ৯৫৫। ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই সুজায়েত হোসেনকে। জানতে চাইলে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

কালিয়াকৈরে গৃহবধু ও যুবকের লাশ উদ্ধার


কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রবাসীর স্ত্রী ও অজ্ঞাত যুবকের ২টি লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সংলগ্ন বাইকা বিলের পাশ থেকে মঙ্গলবার সকালে অজ্ঞাত পরিচিত যুবকের (৪২) লাশ। অপরটি উপজেলার বড়গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে এক প্রবাসীর স্ত্রী বিউটি আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, এলাকাবাসী গরু চরাতে গিয়ে বিলের ধারে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় নিহতের পরনে ছিল কালো রংয়ের প্লু-শার্ট, সাদা সেন্ডো গেঞ্জি ও খয়েরী সাদা ছাপা সুতি লুঙ্গী। পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, লাশের দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং হাত গামছা ও পা দুটো লম্বালম্বি সুতা দিয়ে বাঁধা । তাকে অন্য কোথাও হত্যার পর তার লাশ ওই স্থানে ফেলে গেছে ধারনা করেছে পুলিশ। থানায় মামলা হয়েছে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
 অপরদিকে কালিয়াকৈরে উপজেলার বড়গোবিন্দ্রপুর এলাকা থেকে বিউটি আক্তার (২৪) নামে একগৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । নিহত বিউটি আক্তার ওই এলাকার প্রবাসী মনজু মিয়ার স্ত্রী ।
এলাকাবাসী জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বিউটিকে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে তারা থানায় খবর দেয় । পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে  নিহত বিউটির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। নিহতের পিতা খলিলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, বিউটি আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ।কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক সানোয়ার জাহান জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে । তদন্তের পর জনা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা ।

কাপাসিয়ায় সুদখোরের বাড়ি-ঘর, দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী ঃ আহত ৫, আটক-১

কাপাসিয়া ব্যুরো চীফ : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১১ এপ্রিল শনিবার বিকালে ৫ যুবককে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সঙ্গবদ্ধ হয়ে কবিরের বাজারের বহুল আলোচিত সুদখোর মজিবুরের দোকানসহ বাড়িঘর ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জড়িত ১ যুবককে আটক করেছে। আগুনে মজিবুরের একটি মাইক্রোবাস, ৭টি দোকান ও বাড়ি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বিহাইদুয়ার ও ইকুরিয়া গ্রামের কয়েক যুবক পাশর্^বর্তী আড়াল জিএল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিল। যুবকেরা সন্ধ্যার পূর্বে কড়িহাতা প্রাইমারী স্কুল মোড়ে এলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎ পেতে থাকা মজিবুরের দুই পুত্র তারেক ও পাপ্পুর নেতৃত্বে  ৭/৮ জন সন্ত্রাসী চাপাতি নিয়ে তাদের উপর অতর্কিতে হামলা ও কুপিয়ে আহত করে। এতে ইকুরিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের পুত্র সজীব (২২), জয়নালের পুত্র সাকিল (২৫), আরমানের পুত্র ফারুক (২২), বিহাইদুয়ার গ্রামের মোক্তার হোসেনের পুত্র  জসিম (১৪) সহ অপর কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। হামলার সংবাদ ইকুরিয়া ও বিহাইদুয়ার গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ কয়েকশত জনতা একত্রিত  হয়ে রাত ৮ টার দিকে মজিবুরের বাড়ি ও দোকান ভাংচুর করে এবং একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার ৭টি দোকান, বসত বাড়ি, একটি মাইক্রোবাস ও ২টি মোটর সাইকেল পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেহেদী নামের একজনকে আটক করেছে। রাত ১০ টার দিকে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ব্রিগেড ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেছে।

বৈশাখ মানে পান্তা ইলিশ, গরীবের চোখে সর্ষে ফুল


॥ এম.এ. ফরিদ ॥

নববর্ষ বাঙালি জাতির উৎসবের একটি দিন। নববর্ষের উৎসব প্রতিটি দেশে নিজস্ব আঙ্গিকে পালন করা হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ দেশিয় সংস্কৃতিতে নববর্ষের অনুষ্ঠানগুলো আমরা আমাদের দেশে উদযাপন করে থাকি। পুরোনোকে পিছনে ফেলে, সকল গ্লানিকে ঝেড়ে ফেলে এই নববর্ষকে কেন্দ্র করে আমরা নতুন করে আমাদের জীবনকে শুরু করি। আমরা বাঙালিরা যুগে যুগে বাংলা নববর্ষকে সব সময় একটু আলাদাভাবে পালন করে থাকি। নববর্ষের অনুষ্ঠানগুলো হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীগণ মিলে আমরা এক সঙ্গে উপভোগ করে থাকি। আমরা বাঙালিরা একটি কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি সেটি হলো, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা আমাদের প্রতিটি উৎসবের আনন্দকে আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেই। নববর্ষ সম্রাট আকবরের সময় ফসলের খাজনা উঠানোর সুবিধার্থে চালু করা হয়। অর্থাৎ নতুন বছরের প্রথম দিন গননা শুরু করা হয়। আজও আমরা বাঙালিরা সম্রাট আকবরের প্রবর্তিত বাংলাসনকেই নববর্ষ হিসেবে পালন করে আসছি। এই দিনটিতে আমরা রংবেরংয়ের পোশাক পরে থাকি। নিজেদের ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মিষ্টান্ন ভোজের আয়োজন করা হয়। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা হালখাতা অনুষ্ঠান করে থাকে। ব্যবসায়ীরা তাদের দেনা-পাওনা পরিশোধ করে মিষ্টি মুখ করে যার যার বাড়ি ফিরে আসে। আবহমানকাল থেকেই আমরা এই বৈশাখ মাসে আমাদের কৃষ্টি-কালচার মানুষের মধ্যে তুলে ধরি। নববর্ষকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালাগান, বাউলগানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এখন গ্রামাঞ্চলের মতো শহরগুলোতেও বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে গত বিশ বছর ধরে আমাদের মধ্যে কিছু অপসংস্কৃতি দেখা দিয়েছে। সেটি হলো বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে আমরা পান্তা-ইলিশের আয়োজন করে থাকি। আমাদের ভাবখানা এমন যেন পান্তা-ইলিশ না খেলে আমাদের বৈশাখ উদযাপন করা হবেই না। বৈশাখ এলেই আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে পালন করার নামে উল্টো অপসংস্কৃতির জন্ম দিয়ে থাকি। এ সময়ে ইলিশের দাম সাধারনের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। এক কেজি ইলিশের দাম হাঁকা হয় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। সম্প্রতি এক হালি ইলিশ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রয় করা হয়। বৈশাখকে কেন্দ্র করে এই হঠকারিতা আমাদের দেশের কৃষ্টি কিংবা কালচার হতে পারে না বরং এটি অপসংস্কৃতি। আমাদের দেশিয় সংস্কৃতিকে ধ্বংস করবার লক্ষে এটি একটি ভীনদেশি চক্রান্ত বলে আমি মনে করি। আমরা বৈশাখ এলেই আমাদের কাপড়ের মধ্যেও বৈচিত্র আনার চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা কেন ভুলে যাই এটি একটি মধ্যম আয়ের দেশ। আমরা এখনও এ দেশের হত দরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য অনেক কিছুই করতে পারিনি। দারিদ্রতা এখনও আমাদের অনেক পিড়া দেয়। এমন অনেক পরিবার রয়েছে যাদের দুবেলা-দু-মুঠো ভাত পেট ভরে খেতে পারে না। আমরা ওই ভুখা নাঙ্গা মানুষগুলোর কথা না ভেবে কি করে পান্তা-ইলিশ নিয়ে মাতামাতি করতে পারি। আমাদের ঐতিহ্য কি এতই নির্মম যে, কেউ খাবে আর কেউ খাবে না। মোটেও নয়। আমরা বাঙালিরা আবেগ প্রবণ জাতি। আমরা সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে পারি। আমরা সেই জাতি যারা আমাদের ঐতিহ্যকে অন্তরে ধারণ করে দীর্ঘ কণ্টকময় পথ পাড়ি দিতে পারি। আমাদের রয়েছে সাহস ও শক্তি। আমরা ভাষার জন্য জীবন দিতে পারি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বের ইতিহাসের পাতায় দাপটের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে। বাঙালি জাতি এমন একটি জাতি যারা মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখেছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের উজ্জল নক্ষত্র। তাঁর জীবনী থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখেছি। কিভাবে মানুষকে ভালোবাসতে হয় তা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন কিভাবে আমরা আমাদের সুখ-দুঃখকে ভাগাভাগি করে একত্রে বাস করতে পারি। তাই আমি সর্বস্তরের ঐতিহ্যরক্ষার দাবিদার মানুষগুলোর প্রতি আনুরোধ জানাবো আমাদের সংস্কৃতিকে বিকৃত করবেন না। বৈশাখে ইলিশ পান্তার কথা বাদ দিয়ে বৈশাখের আনন্দকে গরীব মানুষগুলোর সঙ্গে কাটিয়ে দেয়ার রেওয়াজ তৈরী করুন। দেখেবেন সবাই আমরা ভালো থাকবো।

কাপাসিয়ায় কভার্ড ভ্যান চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু, আহত-১

সড়ক দূর্ঘটনা

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া - ঢাকা সড়কের রাজেন্দ্রপুর বাজার এলাকায় ১২ এপ্রিল রোববার সকাল ১০ টার দিকে প্যারাসুট নারিকেল তৈল বহনকারী কভার্ড ভ্যান ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে কভার্ড ভ্যান চালক আনোয়ার হোসেনের (২৭) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শ্রীপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। সে কাপাসিয়া উপজেলার বরুন গ্রামের দিনমজুর জয়নাল আবেদীনের পুত্র।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার হোসেন দীর্ঘ ৫ বছর যাবত প্যারাসুট নারিকেল তৈল কোম্পানীর কাপাসিয়ার স্থানীয় ডিলার শহীদুল্লাহর কভার্ড ভ্যান চালক হিসাবে চাকুরী করত। প্রতি দিনের মত রোববার সকাল ৮টার দিকে কভার্ড ভ্যানে মালামাল নিয়ে রাজেন্দ্রপুর বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি পিক-আপ তাকে চাপা দিলে ঘটনা স্থলেই চালকের মৃত্যু হয়। তার সাথে থাকা কোম্পানীর ডিএসআর কামাল গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধিন রয়েছে। তার স্ত্রী ও ফয়সাল নামে ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেছেন।

গাজীপুরে ১৩ রছরের মেয়ে সাবরিনার বৌভাত সম্পন্ন

ব্যবস্থা নেয়নি জেলা প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের ভুরুলিয়া এলাকা থেকে দিনমজুর লাল মিয়ার ১৩ বছরের মেয়ে সাবরিনা আক্তারকে বুধবার প্রতিবেশী কুলসুম আক্তার ফুসলিয়ে এবং জোর করে তুলে নিয়ে তাকে প্রতিবেশী বাবুলের বাসায় আটকে রাখে। জেলা শহরের ছোটদেওড়া এলাকার আবুল হাসেমের মাদকাশক্ত ছেলে সাইফুলের সাথে কাবিন ছাড়াই তার বিয়ে দেন তার স্বজনরা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে বুধবার রাত ৮টায় অবহিত করার পরও নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধারে এ পর্যন্ত কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেন নাই।
সাবরিনার মা সকিনা বেগম জানান, আনোয়ারের বউ কুলসুম  তার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে স্থানীয় বাবুলের বাসায় আটকে রাখে এবং পরে তার মাদকাশক্ত ভাই সাইফুলের সাথে জোর করে বিয়ে দেয় বলে শুনেছি। কোন কাবিন নামা দেয় নাই।
সাইফুলে স্বজনারা জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর আয়শাআক্তার পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে এসে তদন্ত করে মিষ্টি খেয়ে ছেলে-মেয়েকে দোয়া করে গেছেন। দুপুরে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এসেছিলেন। আগামীকাল রোববার এই বাড়িতে বৌ-ভাত অনুষ্ঠান হবে।
তবে প্রশাসন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তদন্ত ছাড়া কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পারে নাই।

কাপাসিয়ায় বিএনপি’র ২ শতাধিক কর্মী আওয়ামীলীগে যোগদান

কাপাসিয়া ব্যুরো চীফ : গাজীপুরের কাপাসিয়ার মিজান ক্যাডেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক স্থানীয় বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান সৈকতের নেতৃত্বে জুনিয়া ও আশপাশের ২ শতাধিক বিএনপি দলীয় কর্মী আওয়ামীলীগের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে  ১১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে শহরের দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির হাতে ফুল দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। এ সময় মিজান ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ কয়েক শত লোক উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মিজানের নেতৃত্বে ব্যান্ড পার্টির বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে একটি বর্নাঢ্য বিশাল মিছিল করে যোগদান অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি আজগর রশিদ খান, সহ-সভাপতি অ্যাড. ফজলুল কাদের, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন আকন্দ, কাপাসিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হালিম খোকন, বিআরডিবির চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা সোলায়মান সরকার, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন, যুবলীগের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, ছাত্রলীগ সভাপতি রাজীব ঘোষ, সহ-সভাপতি এস এম সাখাওয়াত, সাধারণ সম্পাদক হিমেল খান প্রমূখ। 

সরকারের নিকট অর্থ বরাদ্দ চান ভারপ্রাপ্ত মেয়র

অর্থ সংকটে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন ব্যাহত
স্টাফ রিপোর্টার : অর্থ সংকটে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। সিটি করপোরেশন গঠনের পর গত ১৮ মাসে ১৮ ভাগ উন্নয়ন কাজও হয়নি। অনেক রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী। এ অবস্থায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) জন্য জরুরী ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ বরাদ্ধ দাবী করেছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ।
টঙ্গীতে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) এর সহায়তায় গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন কর্তৃক সাংবাদিকদের এক বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে তিনি এ দাবী জানান। প্রধানমন্ত্রী আজ শনিবার গাজীপুরের মাওনায় ওড়াল সেতু উদ্ধোধন করছেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জন্য জরুরী ভিত্তিতে বিশেষ বরাদ্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ প্রকাশের জন্যও ভারপ্রাপ্ত মেয়র স্থানীয় সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান। টঙ্গীতে শিল্প সম্পর্ক শিক্ষায়তন (আইআরআই) হলরুমে গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন এর আয়োজনে সাংবাদিকদের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুক্রবার ছিল দ্বিতীয় দিন।

শিক্ষার্থীদের জন্য ছোট গল্প

ব্যাতিক্রমী
সৈয়দ মোকছেদুল আলম
গাজীপুরের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রানী বিলাসমনি বালক উচ্চ বিদ্যালয় তখনও সরকারিকরণ হয়নি। আমি ৮ম শ্রেণির ছাত্র। প্রধান শিক্ষকÑ নূরুল ইসলাম (ভাওয়াল-রতœ) সযতেœ ছাত্রদের রতেœ পরিণত করতে সদা সচেষ্ট।
স্কুল জীবনে’ জীবনের লক্ষ্যÑ নিয়ে গদবাঁধা রচনা মুখস্ত করতে হতো। কেবল পরীক্ষার খাতায় নম্বর পাওয়ার জন্য। তাতে সবাই ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়াÑ জীবনের লক্ষ্য বলে রচনা বই এর মুখস্ত করা বুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ  শিক্ষা লাভ করেছিলাম। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এরকম করা যুক্তিযুক্ত মনে হলেও নবম শ্রেণিতে ভর্তির সময় সব গুলিয়ে যেতো। নবম শ্রেণিতে যখন সাইন্স, আর্টস বা কমার্স বিভাগে ভর্তির প্রশ্ন দেখা দিতো; তখন বিপত্তি হতো। বরাবরের মতো সবাইকেই তখন সাইন্সকে-ই প্রাধান্য দিতে দেখা যেতো। ভাল-মন্দ-মাঝারি মানের সব শিক্ষার্থী-ই সাইন্সে ভর্তির স্বপ্ন দেখতো।
অংকে আমার সব সময়ই দুর্বলতা (খারাপ অবস্থা) ছিল। বিশেষ করে অংক চর্চায় পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখালেখির ঝক্কি বড় বিরক্তিকর ও পীড়াদায়ক মনে হতো। কথাবার্তা-চলাফেরায় প্রায় শিক্ষকেরই চোখে অন্যদের থেকে আলাদা করে নিজের অবস্থান তৈরি করতে পেরছিলাম নানা কারণে। হাস্য-কৌতুক সৃষ্টি করতে পারার কারণেই হয়তো তা সম্ভব হয়েছিল। পড়ালেখা ও স্কুল ফাঁকির কুখ্যাতিও ছিল। আবার বার্ষিক পরীক্ষায় ভালভাবে পাশ মার্ক উঠিয়ে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের কাছে ‘বিস্ময়কর-পদার্থ’Ñ হিসেবে সুখ্যাতিও ছিল।
স্কুল জীবনের রচনায় যাই লিখে থাকি, কলেজে এসে নিজেকে সবসময় ‘বিস্ময়কর-পদার্থ’Ñ করে রাখার স্বপ্নই মনে পোষতাম। গল্প, কবিতা, ছড়া, উপন্যাসে অতি আসক্তি ছিল। বাংলায় কোন বিষয়েই ‘পড়া-শুনায়’ সমস্যা হতো না। ইংরেজি গল্প-কবিতার জন্য মেট্রিকুলেট-বাবার সাহায্য নিতাম। পরীক্ষায় এর ভাল ফলাফল পেতাম। বাংলা ও ইংরেজীতে অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে নম্বর অনেক বেশি পেতাম। অংকে ফল মোটেও ভাল হতো না। জ্যামিতিতে ৩০ -এর মধ্যে ২৫-২৬ পেয়ে শিক্ষকের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। এর সাথে সরল, চলিত ও ঐকিক নিয়মের দুই একটি অংক সঠিকভাবে করতে পারতাম।
টেনে টেনে ৪০/৪৫ হয়ে যেতো। এ্যালজাবরা নিয়ে খু-উ-ব-ই এলোমেলো অবস্থা ছিল।
অন্যদিকে, ফার্স্ট-সেকেন্ড বয়দের বিষয়টি ভিন্ন রকম! অংকে কীভাবে লেটার মার্ক আসবে তা নিয়ে ২৪ ঘন্টা টেনসন ছিল তাদের। অষ্টম শ্রেণিতে অংক স্যার ষান্মাসিক পরীক্ষার খাতা বিলি করার সময় আমার নাম ধরে ডাকলেন। বললেন, “তুই মাত্র ২৬ পেয়েছিস। তবে সবার জন্য একটা উদাহরণ সৃষ্টি করেছিস। তুই শুধু জ্যামিতিতেই ৩০ -এর মধ্যে ২৬ পেয়েছিস। পাটিগনিত, এ্যালজাবরার কোন প্রশ্নের উত্তর দিস নাই। অন্যরা পাটিগনিত-এ্যালজাবরায় ভাল করেছে। কিন্তু জ্যামিতিতে খারাপ করায় লেটার মার্ক উঠেনি অল্পের জন্য। কাজেই, অংকে লেটার পেতে হলে জ্যামিতিতেও মনযোগ দিতে হবে। জ্যামিতিতে ২৬ পাওয়া সম্ভব হলে লেটার-মার্ক পাওয়া সহজ হয়ে যাবে।”
অংকে মাত্র ২৬ পাওয়া ‘ফেলটু-ছাত্র’ হিসেবে সেদিন সাহাবুদ্দীন স্যার আমাকে কোন তিরস্কার করেন নি। বরং কেমন একটা স্নেহমাখা-সমীহকরা ভাব নিয়ে খাতাটা হাতে দিলেন।
এই এক ঘটনায় সহপাঠীদের কাছে ব্যতিক্রমী হিসেবে বিশেষ পরিচিতি অর্জন করেছিলাম।
লেখক ঃ সাংবাদিক, গল্পকার
মোবা: ০১৭২৬-২০ ৫৩ ০২

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে গজারী বন থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অজ্ঞাত পরিচয় শিশু   দু’টির আনুমানিক বয়স পাঁচ ও তিন বছর। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় মরদেহ   দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ।
জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে দু’টি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গাজীপুর সিটি মেয়র মান্নানের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সিটি মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এমএ মান্নানের এক দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক শুনানী শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আইনজীবী মঞ্জুর মোর্শেদ প্রিন্স জানান, কালিয়াকৈর থানার একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় অধ্যাপক এমএ মান্নানকে দুপুর বারটার দিকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে ওই আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে শুনানী শেষে ওই আদালতের বিচারক রেহেনা আক্তার এক দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি আরো জানান, তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিনি তিনটি মামলায় জামিনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি ভোর রাতে কালিয়াকৈর উপজেলার বটতলা মহিষবাথান এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে বাসে ঘুমিয়ে থাকা হেলপার তোফাজ্জল অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এর আগে গত ৪ ফেব্র“য়ারি রাতে গাজীপুরে বাসে পেট্রোলবোমা হামলা মামলায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে অধ্যাপক এম এ মান্নানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতির বিরুদ্ধে গাছ চুরির মামলা

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের সভাপতি জসিম উদ্দিন ইকবালের বিরোদ্ধে সরকারী বনাঞ্চলের গজারী গাছ চুরির অভিযোগ সোমবার মামলা দায়ের করেছেন চন্দ্রা বন বিটের কর্মকর্তা নাজমুল হক সরদার।
বন বিভাগ সুত্র জানায়, জসিম উদ্দিন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে সরকারী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ঘরবাড়ি নির্মান করে মুল্যবান জমি জবর দখল করে আসছে। এমনকি রাতের আধারে সরকারী গাছ কেটে চুরি করে নেয়ার অভিযোগে সোমবার সকালে কালিয়াকৈর রেঞ্জের চন্দ্রা বনবিট কর্মকর্তা বাদী হয়ে বন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রা বন বিট অফিসের কর্মকর্তা নাজমুল হক সরদার জানান, ময়মনসিংহ থেকে আগত জসিম ইকবাল বনের গাছ কেটে ঘরবাড়ি নির্মান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, গাজীপুরের সহকারী বন সংরক্ষক সালেক প্রধান সহ বন কর্মকর্তা ও কর্মীরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বাড়িটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। এ বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জসিম উদ্দিন ইকবাল মোবাইল ফোনে বিটকর্মকর্তা সহ বনকর্মীদের হাত পা কেটে ফেলার এবং জীবন নাশের হুমকি দিলে বিট কর্মকর্তা বাদী হয়ে রোববার কালিয়াকৈর থানায় ১৬৩নং সাধারণ ডায়েরী করেন। সোমবার ভোররাতে জসিম উদ্দিন ইকবাল প্রায় ১লাখ টাকা মুল্যের ২১টি গজারী গাছ কেটে নিলে বিট অফিসার বন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে তার বিরোদ্ধে ৪টি বন মামলা ও থানায় ১টি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলে বিট কর্মকর্তা জানান। বিষয়টি নিয়ে আলাপকলে জসিম উদ্দিন ইকবাল জানান, আমার বিরোদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাসে চলছে অবৈধ জুয়ার জমজমাট আসর

পুলিশ ফাঁড়ি নির্বাক ঃ পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর মহানগরের ভোগরা বাইপাস সড়কের পেয়ারা বাগান ও আহ্ছানিয়া মসজিদের পূর্ব দিকে প্রধান সড়কের পার্শ্বে দীর্ঘ দিন যাবৎ মাচা তৈরী করে ডাইস জুয়া খেলা চলছে নির্বিঘেœ। বেলা ১১টা থেকে শুরু করে রাত ১২টা/১টা পর্যন্ত ওই অবৈধ জুয়া খেলা বিরামহীন ভাবে চলে। ভোগড়া পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায় ওই জুয়ার জমজমাট আসর চললেও তারা নির্বাক। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ ফাঁড়ি ইনচার্জ নাজমুল এর মদদে ওই জুয়ার আসর দাপটের সাথে চলে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি জানান, দিন প্রতি ফাঁড়ি ইনচার্জকে ওই দুই জুয়ার বোর্ড থেকে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ প্রদান করতে হয়। তা ছাড়া স্থানীয় কতিপয় পাতি নেতাদেরও একটা ভাগ রয়েছে ওই জুয়ার বোর্ডে।
সূত্র মতে, জুয়ারি ওসমান আহছানিয়া মসজিদের পূর্ব পার্শ্বে এবং পেয়ারা বাগান সংলগ্ন স্থানে জুয়ারি আঃ হাকিম জুয়ার বোর্ড চালিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা সাধারণ মানুষদেরকে বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে। সচেতন মহল বলছেন- পুলিশ জনতার রক্ষক, কিন্তু পক্ষান্তরে তারা জুয়ারিদের সাথে মিশে তাদের রক্ষকে পরিণত হয়েছেন। এলাকাবাসী এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

কাপাসিয়ায় আলোচিত মাদকস¤্রাট আমজাদ গ্রেফতার

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বহুল আলোচিত মাদকস¤্রাট স্থানীয় যুবলীগ কর্মী আমজাদ হোসেন শিকদারকে ৫ এপ্রিল রবিবার বিকেলে টোক-কাপাসিয়া সড়কের ধলাগড় এলাকা থেকে ৭ টি ইয়াবা টেবলেট সহ থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে তরগাঁও ইউনিয়নের বামনখোলা গ্রামের মৃত আবদুল খালেক শিকদারের পুত্র। এলাকায় মাদকস¤্রাট হিসেবে আমজাদ হোসেনের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। অভিযোগ ওঠেছে, গ্রেফতারের পর উপজেলা যুবলীগের প্রভাবশালী এক নেতা তাকে ছাড়িয়ে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। কাপাসিয়া থানার এএসআই দুলাল মিয়ার সঙ্গে রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত ওই নেতার দফায় দফায় বৈঠকও হয়েছে। উল্লেখ, আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা সহ এলাকায় জমি দখল, জুয়ার আসর বসিয়ে ব্যবসা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, দেনদরবারের নামে নিরিহ মানুষদের হয়রানী ও বিভিন্ন কৌশলে লোকজনের সাথে প্রতারনা করার অভিযোগ রয়েছে। 
তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ্ বলেন, ‘গ্রেফতারের পর কোন মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না। যদি কোন অফিসার এটা করে থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাংবাদিক পরিচয়ে ৪ প্রতারক আটক

মোঃ বায়েজীদ হোসেন : সম্প্রতি গাজীপুর জেলা জুড়ে পরগাছার ন্যায় নামধারী সংবাদ কর্মীতে ছেয়ে গেছে। এবার সেই পরগাছার মধ্যে ৪জন গ্রেফতার হলেন পুলিশের হাতে। চোর, ছিনতাইকারী, চামার, মুচি, ফুটপাতের হকারের কাছে সম্প্রতি মিডিয়ার পরিচয়পত্র লক্ষ্যনীয় । এসব ধান্দাবাজদের কারনে প্রকৃত সাংবাদিকদের মাঠে কাজ করতে অনেক সময় লজ্জায় পড়তে হয়। গত ৩ এপ্রিল ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার পরিচপত্রধারী ৪ ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। জানা যায়, মোঃ শহিদুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় পাত্র-পাত্রী চাই বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরে মোবাইল ফোনে কল করে ৪ প্রতারকের খপ্পরে পড়ে। প্রতারকরা শহিদুর কে জয়দেবপুর মান্নান প্লাজার ২য় তলায় একটি রুমে আটক রেখে শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং তার নিকট থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট কেড়ে  নেয়। এরপর তার কাছে আরো ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এক পর্যায়ে কৌশল করে শহিদুর সেখান থেকে বের হয়ে এসে চান্দনা চৌরাস্তায় টহল পুলিশকে ঘটনাটি জানালে, পুলিশ ধাওয়া করে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ৩ প্রতারককে আটক করে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে জয়দেবপুরের শিববাড়ী মোড় পলাশ বাস কাউন্টারের সামনে থেকে আরেক প্রতারককে আটক করে। আটকৃতরা হল, জয়দেবপুর থানার কলমেশ্বর এলাকার আঃ সামাদ এর পুত্র মোঃ আঃ হামিদ মিয়া (৩০), সাতাইশ খরতৈইল এলাকার মোঃ নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ মোরসালিন শেখ ওরফে মোস্তফা (২৫), লক্ষীপুরা এলাকার মোঃ কামাল এর বাড়ীর ভাড়াটিয়া মোস্তফা (১৮) এবং যাত্রাবাড়ী এলাকার মানিকনগর সিটি কোয়াটার এর ইসকান্দার আলীর পুত্র নাজমুর হাসান কামাল (৩২)। এব্যাপারে জয়দেবপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মাহমুদুল হাসান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।