শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

ঘটনার ৬ দিনেও গ্রেপ্ততার হয়নি রফিকুল হত্যার আসামীরা

জেলা গোয়েন্দা দপ্তরে মামলা হস্তান্তর

 কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম হত্যার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও গ্রেপ্ততার হয়নি এজাহার ভুক্ত আসামীরা।
 পুলিশ ও স্থাণীয় একাধিক সুত্র জানায়,এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মামুন সিরাজুল মজিদ ওরফে মোতালেব বাদী হয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী, বিআরডিবির চেয়ারম্যান সিকদার মোশারফ হোসেন জয়, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ মন্ডল, পৌর ছাত্রলীগ নেতা স্বপন সরকার, পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক খাত্তাব মোল্লা, উপজেলা প্রজন্ম লীগের সভাপতি সাইফুল, পৌর আ.লীগের সাবেক যুগ্ম আহব্বায়ক জহিরুল ইসলাম জয়, উপজেলা আ.লীগের কর্যকরী কমিটির সদস্য মোশারফ সিকদার, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ রিয়াদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামী কওে কালিয়াকৈর থানা মামলা (নং ৪২, তারিখ ২২/৮/১৫ইং) দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় সন্দেহজনক ভাবে ৪জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২জনকে পুলিশ গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেছে।
হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে উপজেলার আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, মহা সড়ক অবরোধ, সমাবেশ, মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছে। ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত ও মামলা গতিশীল করার লক্ষ্যে  সোমবার মামলাটি কালিয়াকৈর থানা থেকে গাজীপুর ডিবিতে হস্থান্তর করা হয়।
গাজীপুর ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) আমীর হোসন বলেন, মামলা আমাদের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। এখনো তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়নি, তবে মামলাটি গুরুত্বে সাথে তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জাতীয় শোক দিবস পালন ও ২১ আগষ্ট গ্রেনেট হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় গত শুক্রবার বিকেলে পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে উপজেলার চান্দরাস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে মিলাদ, গণভোজ ও আলোচনা সভায় বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠান থেকে মাত্র ১’শ গজ দূরে মোশারফের চায়ের দোকানে খুন হয় রফিকুল ইসলাম।

জবানবন্দি শেষে আবারও কারাগারে ৩ আইনজীবী

মনির শিকদার : দ্বিতীয় দফা জবানবন্দি দেওয়ার পর আবারও কারাগারে পাঠানো হলো জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া তিন আইনজীবীকে। আজ বুধবার বেলা একটা থেকে দুইটা ২০ মিনিট পর্যন্ত চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শহিদুল ইসলামের খাস কামরায় এ জবানবন্দি দেন তাঁরা।
হাটহাজারী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গত সোমবার এই তিন আইনজীবীকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেন র‌্যাব। ওই মামলায় আজ তাঁরা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ২৩ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এই তিন আইনজীবী হলেন শাকিলা ফারজানা, মো. হাছানুজ্জামান ও মাহফুজ চৌধুরী। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাঁদের আদালতে আনা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন আদালত প্রাঙ্গণে বলেন, তিন আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে কী বলেছেন মামলার তদন্তের স্বার্থে তা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার সাংবাদিকদের বলেন, বাঁশখালী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও রুহুল আমিন। তিনি ওই মামলায় এই তিন আইনজীবীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। এরপর তাঁরা গত রোববার জবানবন্দি দেন। হাটহাজারী থানায় করা মামলাতেও র‌্যাব তাঁদের নতুন করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আবদুস সাত্তার বলেন, ‘তিন আইনজীবী দুই মামলার জবানবন্দিতেই টাকা দেওয়া-নেওয়ার কথা বলেছেন। সরল বিশ্বাসে মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা ফেরত দিয়েছেন। এঁরা কেউই জঙ্গি নন। একজন আইনজীবী হিসেবে তাঁরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন।’
চলতি মাসের ১৮ তারিখ রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে এ তিন আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের র‌্যাব-৭। পরদিন সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব দাবি করে, ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’ নামে চট্টগ্রামভিত্তিক নতুন জঙ্গি সংগঠনের জন্য সংগৃহীত এক কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে এ তিন আইনজীবী এক কোটি আট লাখ টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে আইনজীবী শাকিলা দুই দফায় ২৫ লাখ ও ২৭ লাখ করে মোট ৫২ লাখ টাকা, আইনজীবী হাছানুজ্জামান ৩১ লাখ টাকা এবং মাহফুজ ২৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। পরে তাঁদের বাঁশখালী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চার দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে র‌্যাব। গত রোববার বাঁশখালী আদালতে তিন আইনজীবী জবানবন্দি দেন। পরের দিন হাটহাজারী থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাঁদের শ্যোন অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) দেখানো হয়।

আরও দুই মৈত্রী সেতু হবে চীনের সহায়তায়

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে আরও দুটি নতুন সেতু নির্মাণে চীন সরকার সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বরগুনার আমতলী ও পটুয়াখালীর গলাচিপায় এই দুটি মৈত্রী সেতু হবে।
আজ বুধবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর দায়িত্ব চীনের কাছে হস্তান্তরের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চীন বিশ্ব অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীন ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। এর আগে তারা ছয়টি মৈত্রী সেতু নির্মাণ করেছে। চীনের অর্থায়নে পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমতলীর সেতুটি নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু এবং গলাচিপার সেতুটি দশম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নামে পরিচিত হবে।
এর আগে মাদারীপুর(মোস্তফাপুর)-শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নবনির্মিত আচমত আলী খান সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর হস্তান্তর করা হয়। চীন সরকারের পক্ষে ঢাকা সফররত দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী এইচই জাওয়ের উপস্থিতিতে এই হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। ৭০০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকা। মূল সেতুটির পাশাপাশি টেকেরহাট, টুমচর ও আঙ্গাররিয়ায় আরও তিনটি সেতু নির্মাণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২০ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুগুলোর উদ্বোধন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চীনের বিভিন্ন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সেতু নির্মাণে কাজ করছে। সম্প্রতি আমার চীন সফরকালে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে জি-টু-জি ভিত্তিতে একটি টানেল নির্মাণে আমরা চুক্তি করেছি। পাশাপাশি আজ আমি চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় সড়ক ও সেতু বিভাগের পরিকল্পনাধীন আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা চেয়ে অনুরোধ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ; ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের আদলে চার লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ। এ ছাড়া সেতু বিভাগের আওতায় ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল নির্মাণ এবং ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সহযোগিতা চেয়েছি।’
আগামী অক্টোবরে চীনের প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরে এসব প্রকল্পের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া মিলবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, আহত ১

মনির শিকদার : বান্দরবানের থানচি উপজেলার বড়মদক এলাকায় আজ বুধবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে মিয়ানমারের সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনায় এক বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁর নাম জাকির হোসেন।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহসীন রেজা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে জানানো হয়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান লিবারেশন পার্টির সদস্যরা বিজিবির একটি টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে বিজিবির বড়কদম বিওপির নায়েক জাকির হোসেন আহত হন। এ সময় বিজিবি পাল্টা গুলি ছুড়লে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলীকদম সেনানিবাস থেকে একটি দল ও বিজিবির বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের একটি দলের দুটি হেলিকপ্টারে করে ঘটনাস্থলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১৫ নভেম্বর থেকে

স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১৫ নভেম্বর। চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। আবেদন শুরু হবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি এবং রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে আরও জানা গেছে, মুঠোফোনের খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদের অধীনে মোট ৮টি ইউনিটে (এ, বি, সি, ডি, ই, এফ, জি এবং এইচ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি ইউনিটে আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা পরে জানানো হবে। আবেদন ফি সার্ভিস চার্জসহ ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার দাবীতে বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে। মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাসীদের হামলা এবং ছাত্রী হোস্টেলে বখাটেদের উপদ্রবের প্রতিবাদে শিক্ষার্থী, মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
প্রকাশ- গত ২৪ আগস্ট সোমবার শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজের অভ্যন্তরে কয়েক মাদকাসক্তের  উৎপাতের প্রতিবাদ জানায় চিকিৎসা শিক্ষার্থীরা। এঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা তিন জন  চিকিৎসা শিক্ষার্থীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করে। আহত হচ্ছেন- শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রবিউল আলম, সাজ্জাদ হোসেন এবং প্রথম বর্ষের ছাত্র নাহীদসহ ক্যান্টিনের ম্যানেজার মাসুম মিয়া। হামলা ও মারধরের ঘটনায় পাঁচ মাদকসেবীর বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা করায় আসামীরা ছাত্র ছাত্রীদেরকে হত্যার হুমকী দিচ্ছে।
মানববন্ধনে চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, মাদকাসক্ত সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা এবং মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের দাবী জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: সুভাস চন্দ্র সাহা, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা: মো: আমির হেসাইন রাহাত ও মো: যায়েদ বিন আরেফিন প্রমুখ।

রাজধানীর উত্তরা থেকে প্রতারক চক্রের ১৫ সদস্য আটক

মাহফুজুল আলম খোকন : রাজধানীর উত্তরা থেকে চাকরি দাতা নামে প্রতারক চক্রের ১৫ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব ৩)। এ সময় প্রতারণার শিকার ৪২ জন চকুরি প্রার্থিকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বিকেলে র‌্যাব সদর দফতরের মিডিয়া শাখার সহকারী পরিচালক মেজর মাকসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে র‌্যাব-৩’র একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটর্কৃতরা ড্রিমহার্ট বাংলাদেশ প্রাইভেট লিঃ কোম্পানির অংশীদার।
মেজর মাকসুদ আরও জানান, আটক র্কৃতদের সংখ্যা বাড়তে পারে, এখনও অভিযান চলছে। উত্তরা ১৩ নং সেক্টরের ১ নং রোর্ডের ১৫ নাম্বার বাড়ি থেকে ওই ১৫ প্রতারক কে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সন্ধ্যা ৬টায় প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

নিজের গাড়ী চালককে বেদম মারধর

পুলিশের ছেলে বলে কথা!


স্টাফ রিপোর্টার : টঙ্গীর চম্পাকলি সিনেমা হলের সামনে নিজ গাড়ির চালককে বেদম মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এস আই মজিবুর রহমানের ছেলে ”লচ্চিত্রের নবাগত নায়ক অভি গতকাল বুধবার বিকেলে এঘটনা ঘটায়। এঘটনায় গুরুতর আহত চালক মো. খোকনকে (৩০) উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, অভিকে বহনকারী তার নিজ প্রাইভেটকারীটি গুলশান ২ নম্বরে পৌছলে কর্তব্যরত সার্জেন্ট গাড়ির ফিটনেস না থাকায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে অভি সেখানে চালককে কিছু না বললেও টঙ্গীর নিজ বাসা সংলগ্ন  চম্পাকলি সিনেমা হলের সামনে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেদম মারপিট করেন। খবর পেয়ে টঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে খোকনকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। মারধরের ঘটনাটি জানার পর  টঙ্গীর এএসআই সামছুল ইসলাম চালককে  আটক করলেও পুলিশের ছেলে বলে অভিকে ছেড়ে দেয়।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভি বলেন, খোকন আমার গাড়ি থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। তাই এলাকার ছেলেরা তাকে মারধর করেছে।
এব্যাপারে এএসআই সামছুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে টাকা চুরির ব্যপাওে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

টঙ্গীতে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

স্টাফ রিপোর্টার : টঙ্গীর এরশাদনগর বাস্তুহারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ বাবুল হোসেন (২৮) ও কাইল্লা আনোয়ার (৩৫) নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় দিকে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা এরশাদনগর ৪ নং ও ৬ নং ব্লকে অভিযান চালিয়ে বাবুল হোসেন ও কাইল্লা আনোয়ারকে আটক করে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি চালিয়ে ৯৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে র‌্যাব-১ এর এসআই তারিক বিন খালিদ এঘটনায় একটি মামলা দায়ের শেষে আটককৃতদের থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

শ্রীপুরে ইটের দেয়াল ধ্বসে নিহত ১

শ্রীপুর থেকে সুজন : গাজীপুরের শ্রীপুর থানার মাওনা ফুলবাড়িয়া মহাসড়কের মাওনা বাজার সংলগ্ন ক্রাউন উল ওয়্যার কারখানার ইটের দেয়াল ধ্বসে নিহত হয় নাছির (২০) নামের এক শ্রমিক। শ্রীপুর থানার আক্তাপাড়া গ্রামের আহাম্মদ আলী (৪৫) এর ছেলে নাছির (২০) উক্ত কারখানাতে কেমিক্যাল সেকশনে কাজ করত। পাশাপাশি সে পিয়ার আলী বিশ^বিদ্যালয় কলেজে ডিগ্রি ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত ছিল। কারখানায় বিভিন্ন কেমিক্যাল নিয়েই ছিল তার কাজ। কারখানার  বারান্দার মাঝ বরাবর তৈরি করা হয় একটি ১০ ফিট উচু ১৫ ফিট প্রস্থের এবং ১০ ইঞ্চি পুরুত্বের একটি অপরিকল্পিত নড়বড়ে ইটের দেয়াল। দেয়ালের  এক পাশে স্টক করে রাখা হয় প্রায় ১৫ শত বস্তা লবন। অন্য পাসে রাখা হয় কিছু কেমিক্যলের ড্রাম। এখানেই কাজ করছিল নাছির (২০) । দীর্ঘ দিন যাবত এ সকল বস্তা রাখায় বস্তার চাপে দেয়ালটি হেলে যায়। কারখানার জি.এম এবং কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হলে তাঁরা এর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। যার ফল¯্রুতিতে গতকাল সোমবার সকাল ৭ টায় প্রাণ দিতে হল নাছিরকে। রবিবার রাত ১০ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ছিল তার নাইট ডিউটি। সকাল বেলায় সে ঐ ইটের দেয়ালের পাশেই কাজ করছিল এ সময় স্টক করে রাখা প্রায় ১৫ শত বস্তা লবনের চাপে দেয়াল টি ধ্বসে পরে তার উপর। এ সময় মাথায় প্রচন্ড আঘাত এবং প্রচুর রক্তক্ষরনের সাথে ঘটনা স্থলে মারা যায় নাছির। ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকেরা কারখানার গ্লাস, চেয়ার, টেবিল ভাংচুর করে এবং রাস্তায় টায়ার জ¦ালিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অবশেষে লাশ  পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। 

কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২,আহত-৪

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় সোমবার দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারীসহ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো চারজন।
নিহতরা হলেন, মানিকগঞ্জের সদর থানার উখিপুর এলাকার গেদু ব্যাপারীর ছেলে তোফায়েল আহম্মেদ লেবু (৪০) ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে মোজাম্মেল হোসেন (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফাঁয়ার সার্ভিস সুত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মাছ বহনকারী একটি পিকআপভ্যান ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় পৌছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্টাফ বাসে  ধাক্কা লাগে। এতে বাসটি পাশের একটি খাদে পড়ে যায়। এসময় পথচারী তোফায়েল আহম্মেদ লেবু ও মোটরসাইকেল আরোহী মোজাম্মেল হোসেন চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে ওই দুজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পিকআপভ্যানে থাকা আরো চারজন আহত হন। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফাঁয়ার সার্ভিস মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আহতদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং স্থানীয় ক্লিনিকে পাঠিয়েছে।
সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পিকআপভ্যানটি আটক করা হলেও ঘটনার পর চালক কৌশলে পালিয়ে গেছে।

গাজীপুরে ৩০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

 স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর মাদবদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলার জয়দেবপুরের পূর্ব বাগবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মো. আমজাদ সরকারকে (২৬) ৩০ কেজি গাঁজাসহ আটক করেছে।
জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নব নিযুক্ত মহা-পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমানের নির্দেশক্রমে অব্যাহত অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার সহকারী পরিচালক বিপ্লব কুমার মোদকের নেতৃত্বে গাজীপুর জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সুপারেনটেনডেন্ট আজিজুল হককে সাথে নিয়ে জেলার জয়দেবপুরের পূর্ব বাগবাড়ী গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় ব্যবসায়ী আমজাদের একটি ঘর থেকে দুটি প্লাস্টিকের বস্তা ভর্তি ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। সে ওই গ্রামের মাইন উদ্দিন সরকারের ছেলে। পরে জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

গাজীপুরের মেয়র মান্নান সাময়িক বরখাস্ত

স্টাফ রিপোর্টার : নাশকতার মামলায় আটক গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মান্নানের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানার একটি ফৌজদারি মামলায় (নং ১০৪/১২/১৪, জিআর নং ১৫৭১/১৪ এ আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মান্নানকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তার ঢাকার বারিধারার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মান্নানের বিরুদ্ধে মোট আটটি মামলা রয়েছে। সবগুলোতেই আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। তবে একটিতে জামিন স্থগিতের আদেশ হওয়ায় মুক্তি পাননি। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গাজীপুরে বিজয়ী হন মান্নান।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মান্নানকে হাই কোর্টের দেয়া জামিন আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে গাজীপুরের জয়দেবপুর ও কালিয়াকৈর থানার নাশকতার দুই মামলায় হাই কোর্ট গত ২১ জুলাই তিন মাসের জামিন প্রদান করেন। এর মধ্যে জয়দেবপুর থানার এক মামলায় মান্নানের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি হয় মঙ্গলবার। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলিরুজ্জামান শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্ট্র পক্ষের আবেদন শুনে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ওই দিন তার জামিন আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। যার ফলে তার মুক্তি হচ্ছে না।
বাসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জয়দেবপুর থানায় পুলিশ কর্তৃক দায়ের করা মামলায় ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকার বারিধারার বাসা থেকে গ্রেপ্তার হয়ে মান্নান বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তার জায়গায় গত ৮ মার্চ থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ।

গাজীপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

সুশীল চন্দ্র পাল : গতকাল বুধবার গাজীপুর দুপুরে গাজীপুরের নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক সৈয়দ জাহেদ মনসুর স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যু দন্ডের রায় প্রদান করেছেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত স্বামীর নাম মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৩৭)। তিনি গাজীপুর মহানগরের কাউলতিয়া এলাকার পূর্ব বাহাদুরপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানাযায়- জাহাঙ্গীর আলমের সাথে গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কাইঞ্জানুল গ্রামের মোঃ হাছেন আলীর মেয়ে আয়েশা আক্তার লিজা (২৮) এর বিয়ে হলে ২০১০ সালের ১৫ আগষ্ট লিজার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন ৫লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মারপিট করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় গাজীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় লিজার ভাই মামুন খান বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর, তার মা জাহানারা  বেগম ও ভাই জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে গতকাল বুধবার দুপুরে বিচারক এ আদেশ দেন। জাহানারা ও ভাই জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেন বলে জানাযায়। আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফজজুল হক।

কালীগঞ্জে ৩ মাদক ব্যবসায়ীর জেল-জরিমানা

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে ৩ মাদক ব্যবসায়ীর জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তারের পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত এ রায় প্রদান করেন।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালীগঞ্জ থানার এস আই নাজমুল তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে উপজেলার বাহাদুরসাদী বাশাইর গ্রামের অধণ্য দাসের ছেলে সঞ্জিত দাস, মোক্তাপুর ধনপুর গ্রামের আলী আহাম্মেদ খাঁনের ছেলে নাঈম খাঁন,এবং কালীগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তর ভাদার্ত্তী গ্রামের ওসমান গনির ছেলে রিয়াদকে  মাদকসহ আটক করে। পরে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ১৯ ৭(ক) ধারা মোতাবেক সঞ্জিত ও নাঈমকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং একই আইনের ২২ (ঘ) ধারা মোতাবেক রিয়াদকে ৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করে আলাদাভাবে পরিচালিত দু’টি ভ্রাম্যমান আদালত।

কালীগঞ্জে ৩ মাদকাসক্তের জেল-জরিমানা

মনিরুল আলম : গাজীপুরের কালীগঞ্জে ৩ মাদকাসক্তের জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তারের পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত এ রায় প্রদান করেন।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়। অভিযানে উপজেলার বাহাদুরসাদী বাশাইর গ্রামের অধণ্য দাসের ছেলে সঞ্জিত দাসকে (৩৬), মোক্তাপুর ধনপুর গ্রামের আলী আহাম্মেদ খাঁনের ছেলে নাঈম খাঁনকে (১৯) এবং কালীগঞ্জ পৌর এলাকার উত্তর ভাদার্ত্তী গ্রামের ওসমান গনির ছেলে রিয়াদকে (১৮) মাদকসহ আটক করে। পরে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০ এর ১৯ ৭(ক) ধারা মোতাবেক সঞ্জিত ও নাঈমকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং একই আইনের ২২ (ঘ) ধারা মোতাবেক রিয়াদকে ৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় প্রদান করে আলাদাভাবে পরিচালিত দু’টি ভ্রাম্যমান আদালত।

কালীগঞ্জে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জ বাদীকে মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
গতকাল বুধবার সকালে ৩/৪ জন সন্ত্রাসী মামলার বাদী ইব্রাহীমের বাড়ীতে গিয়ে মামলা তুলে নিতে বলে । মামলা তুলে না নিলে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায় সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় ও থানা সুত্রে জানা যায়, ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান এবং রাতে মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে জেলা কৃষক লীগ যুগ্ন সম্পাদক মোঃ ইব্রাহীম মোল্লা ও আইন উদ্দিন খান এদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় । কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আইন উদ্দিন খান ক্ষিপ্ত হয়ে জেলা কৃষক লীগ যুগ্ন সম্পাদক মোঃ ইব্রাহীম মোল্লার ওপর হামলা করে । পরে তাৎক্ষনিক স্থানীয় মেম্বার হুসেন আলী বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। ঘটনার প্রায় ২ঘন্টা পরে  ইব্রাহীম মোল্লা মাথার চুল কাটার উদ্যেশে ঈশ্বর পুর বাজারে  শ্বভল চন্দ্র দাস’র দোকানে যায় । এ খবর পেয়ে আইন উদ্দিন ও তার চাচা ভাই ওর্য়াড আ’লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ১০/১২ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী চাইনিচ কুড়াল, চাপাটি, রাম-দা, ছেন নিয়ে ওই সেলুনে ডুকে ইব্রাহীম মোল্লাকে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর আহত কর্।ে পরে বাজারের লোকজনদের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ডাক্তার তার অবস্থার আবনতি দেখে দ্রুুত ঢাকা কলেজ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠায়। পরে বাজারের লোকজন চাইনিচ কুড়ালসহ দুইজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে । আটকরা হচ্ছে- উপজেলার  খলাপাড়ার সুরুজের ছেলে নজরুল, বাহাদুরসাদীর বিজয় চন্দ্রের ছেলে গৌতম । এ ব্যাপারে  ইব্রাহীম মোল্লা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

লাখ লাখ টাকা হাতানোর নেপথ্যে দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসন

উত্তরার আব্দুল¬াহপুরে সিএনজি, অটো ষ্ট্যান্ড ও ফুটপাতে চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টার : উত্তরার আব্দুল¬াহপুরস্থ ভেরিবাঁধের উপর অটো ষ্টেন ও ফুটপাত থেকে সরকার দলীয় কতিপয় নামধারী নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতিদিন দোকান প্রতি ১০/১০০ টাকা, সিএনজি ও অটো থেকে ৫০/১৫০ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা জানান, উত্তরার আব্দুল¬াহপুর থেকে তেরমুখ, মাষ্টারপাড়া, আটিপাড়া, কোটবাড়ী, চৌরারটেকে চলাচলরত সিএনজি, অটো থেকে এবং ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা আশুলিয়া সড়কের দু-পাশের ফুটপাত এবং ভাসমান তরিতরকারীসহ বিভিন্ন দোকান থেকে প্রতিদিন স্থানীয় থানা পুলিশের কতিপয় সদস্য থেকে শুরু করে সরকার দলীয় নামধারী নেতা কর্মীরা বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা আদায়সহ ও চাঁদাবাজী সংক্রান্ত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। আরো জানা যায়, এলাকার নেতা নামধারী মন্টু, কালাম, বেলাল, শাহীনের নেতৃত্বে আব্দুল¬াহপুর চৌরাস্তাসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন যানবাহনসহ ফুটপাত নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এরই ধারা বাহিকতায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা কাঁচা তরিতরকারীসহ বিভিন্ন দ্রব্য ও পণ্য-সামগ্রীর দ্বিগুন মূল্য বৃদ্ধিসহ অটো ও সিএনজি চালক ও মালিকরা সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করে থাকে। গতকাল বুধবার দুপুরে আব্দুল¬াহপুর এলাকা ঘুরে আরো জানা যায়, এসব চাঁদাবাজদের একদিন চাঁদা না দিলে ব্যবসায়ীদের পুলিশী হয়রানীসহ বিভিন্ন প্রকার মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে থাকে এবং তাদের উপরোক্ত এলাকায় ব্যবসা করতে দেয়া হয় না। আবার মোটা অংকের টাকা দিলে তাদের পুনরায় বসিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও অটো বা নিএনজি মালিক বা চালকরা একদিন চাঁদা না দিলে তাদের যানবাহন থানা পুলিশ অথবা ট্রাফিক সার্জেন্ট দিয়ে ধরিয়ে থানায় নিয়ে আটক করে রাখা হয়। পরে সংশি¬ষ্ট সার্জেন্ট ও থানা পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তা ছাড়িয়ে আনতে হয়। এবিষয়ে অটো মালিক কামাল, খোকাসহ একাধিক মালিক ও চালকরা জানান, আব্দুল¬াহপুর এলাকায় চলাচলরত সিএনজি ও অটোর সংখ্যা প্রায় ৪/৫ শত রয়েছে। অথচ চাঁদাবাজদের কারণে এসব যানবাহ এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবে চলতে পারছে না। আমরা চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। আগামীতে এ ব্যবসা ছেড়ে দেয়া ছাড়া উপায় নেই। এসব পরিবহন সরিয়ে নিতে একদিকে সরকারের চাপ অন্যদিকে চাঁদাবাজ ও ট্রাফিক পুলিশসহ থানা পুলিশের অত্যাচার, এভাবে কি ব্যবসা চলে ?
ফুটপাত ব্যবসায়ীরা জানায়, থানা পুলিশ ও চাঁদাবাজদের নিয়মিত খাজনা দিয়ে রাস্তার ফুটপাতে ছোট খাটো ব্যবসা করে আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে কোন মতে জীবন সংসার চালাই। আপনারা এনিয়ে লেখা লেখি করলে আমাদেরকে এখানে ব্যবসা করতে দেবে না। স্ত্রী, সন্তান ও পরিবাদের সদস্যদের জীবনের এতটুকু চাহিদা মেটাতে স্থানীয় থানা পুলিশ ও চাঁদাবাজদের নিয়মিত চাঁদা দিয়ে অনেক অন্যায় অত্যাচার সহ্য করেও আমাদের ফুটপাতে বসে ব্যবসা করতে হয়।
এব্যাপারে উত্তরা মডেল থানার (পূর্ব) অফির্সাস ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার থানার কোন অফিসার বা পুলিশ সদস্য এসব ফুটপাত থেকে চাঁদার টাকা আনে বলে আমার জানা নেই। আর চাঁদাবাজ যেই হোক কেউ-ই আইনের উর্দ্ধে নয়। কেউ যদি এধরনের চাঁদাবাজির ঘটনার সাথে জড়িত থাকে প্রমান পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

কালিয়াকৈরে উপজেলা ফোরামের পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : স্থাণীয় সরকারের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে  বুধবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা ফোরামের পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসুচী ব্রাক এর সহযোগীতায় ইউনিয়ন পরিষদের নারী প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহনে আয়োজিত উপজেলা ফোরামের পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুর রহমান। ফোরামের সভাপতি ইসমত আরা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাসুদ আলম, ব্রাক এর গাজীপুর জেলা সিনিয়র ম্যানেজার আনিসুর রহমান, কালিয়াকৈর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম অভি, সাংবাদিক খোরশেদ আলম, জিল্লুর রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাহিদা সুলতানা, নারী নেত্রী শাহানাজ আক্তার, সুচিত্রা সরকার, হাসিনা বেগম প্রমুখ। বক্তারা নারী নেত্রীদের ক্ষমতা ্ও তা যথাযথ ভাবে প্রয়োগের বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

২৯ একরের অধিক সরকারী বনের জমি ব্যক্তি নামে দলিল রেজিষ্ট্রির অভিযোগ

গাজীপুরে দ্বিতীয় যুগ্ম সাব-রেজিষ্ট্রার আবুল কালাম মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম পলাশের কান্ড

স্টাফ রিপোর্টার : জাল পর্চা ও জাল দলিল মূলে গাজীপুর সদর ২য় যুগ্ম সাব-রেজিষ্ট্রার কর্তৃক ২৯ একরের অধিক সরকারি বনের জমি অনৈতিক ভাবে ব্যক্তি মালিকানায় রেজিষ্ট্রি করে দেয়া হয়েছে মর্মে গুরুত্বর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গাজীপুরে তোলপাড় চলছে। ২য় যুগ্ম সাব-রেজিষ্ট্রার আবুল কালাম মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম পলাশ, জনৈক জাফর উল্লাহর সাথে আতাত করে বড় অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ওই কাজ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
প্রকাশ- গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার অন্তর্গত কাশিমপুরের সারদা গঞ্জ গ্রামের মৃত নসিমুদ্দিন মাতাব্বরের ছেলে, মোঃ জাফর উল্লাহ, আনোয়ারা বেগম গংদের নিকট থেকে স্থানীয় বড় ভবানীপুর মৌজার ২৯ একর আড়াই শতাংশ জমি ‘আমমোক্তার’ নামা দলিল (নং-১২১৩০, তাং- ২৬/০৬/২০০২্ইং) মূলে গ্রহিতা হয়ে নিজ পুত্র মোঃ আবু সাইয়িদে মিয়ার নামে হেবা নামা ঘোষণা পত্র দলিল (নং-১০৯২২, তাং- ০২/১১/২০১৪ইং) করে দেন। যা কোন ভাবেই আইনসিদ্ধ নয়।
দলিলটিতে তারা জমির মূল্য দেখিয়েছেন- সাড়ে ৫০ কোটি টাকা। যা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে মাত্র সাড়ে ৪শত টাকা।
আমমোক্তার দলিল হচ্ছে, জমি দেখাশোনার করার প্রতিনিধি মাত্র। এর মাধ্যমে কেউ জমির প্রকৃত মালিক হতে পারেনা। কিংবা জমি কাউকে দান ও হেবা দিতে পারেনা। অথচ জাফর উল্লাহ নিজ ছেলেকে ওই জমি হেবানামা ঘোষণা পত্র দলিল করে দিয়েছেন। আর তাতে বিরাট অংকের উৎকোচের বিনিময়ে সর্বরকম সহযোগিতা করেছেন- সাব-রেজিষ্ট্রার আবুল কালাম মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম পলাশ।
এ দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে তিনি কোন আইনের তোয়াক্কা করেননি। করেছেন পকেট ভর্তি অবৈধ টাকার খেয়াল।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর সাব-রেজিষ্ট্রার আবুল কালাম মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম কর্তৃক রেজিষ্ট্রিকৃত ওই দলিলের খবর প্রচার হওয়ার ফলে, সচেতন মহলের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে যে, তিনি না জানি, অনুরূপ আরো কতো অকাম করে রেখেছে। কাজেই, গাজীপুরে তার কর্মকালের সবগুলো দলিল খতিয়ে দেখা দরকার। এতে বেরিয়ে আসবে, সরকারের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে তিনি সরকারের আর কতো সর্বনাশ করেছেন।
বিভিন্ন সূত্র মতে জানাযায়- জয়দেবপুর থানা এলাকার কাশিমপুরের বড় ভবানীপুর মৌজার আর.এস ৪১ নং খতিয়ানের ২৯ একর আড়াই শতাংশ জমি ১ নং খাস খতিয়ানে সরকারের গেজেট ভূক্ত বনভূমি। যা সংরক্ষণ করা সরকারী কর্মকর্তাসহ প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সম্পত্তিটির সি.এস ও এস.এ দাগ গুলো হচ্ছে- ০৩, ৪৬, ২৩৫, ২৪৯ ও ২২১, আর.এস দাগ ২১, ৬৫, ৮৬, ২৫০ ও ৬৪৪। এখানে মোট জমির পরিমাণ ছিলো ৩৮ একর ৭০ শতাংশ। যার মধ্যে থেকে গাজীপুর সদর ২য় যুগ্ম সাব-রেজিষ্ট্রার ২৯ একর আড়াই শতাংশ জমি উৎকোচের বিনিময়ে হেবা ঘোষণা পত্র দলিল রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছেন।
রাজধানী ঢাকার শ্যামলীর বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ হোসেন ভূঁইয়ার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, মেয়ে আফরোজা বেগম, মাহফুজা বেগম, বাদিবা বেগম, ছেলে মোঃ বদিউল হোসেন ও সাবির হোসেন ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে মালিক সেজে ২০০২ সালের ২৬ জুন তারিখে কাশিমপুরের সারদা গঞ্জের মৃত নসিমুদ্দিন মাহব্বরের ছেলে জাফর উল্লাহ কে আমমোক্তার হিসেবে নিয়োগ করেন জমি দেখভালের জন্য। জাফর উল্লাহ চিটিংবাজি করে ১ যুগ পর নষ্ট কর্মকর্তা গাজীপুর সদরের ২য় যুগ্ম সাব-রেজিষ্ট্রার আবুল কালাম মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম পলাশ কে উৎকোচ খাইয়ে ওই দেখভালকৃত জমি নিজ পুত্র মোঃ আবু সাইয়িদ মিয়ার নামে হেবা ঘোষণা পত্র দলিল করে দেয়।
সরকারী বিধি অনুসারে বনের সরকারি গেজেট ভূক্ত জমি রেজিষ্ট্রি করা যায়না এবং আমমোক্তার নামা দলিলের মাধ্যমে জমি অন্যের নিকট বিক্রি করা গেলেও নিজ সন্তান ও স্ত্রীকে হেবা কিংবা দান করা যায় না। এক্ষেত্রে এই কর্মকর্তা আবুল কালাম মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম সাব-রেজিষ্ট্রার সাহেব দুটি আইনকেই বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করেছেন।
ধূর্ত জাফর উল্লাহ গাজীপুর সদর উপজেলা ২য় যুগ্ম সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে সম্পাদিত বা রেজিষ্ট্রিকৃত হেবা ঘোষণা পত্র ১০৯২২/১৪ দলিলে একটি জোত নম্বর (১৭৭৫) উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে সংশ্লীষ্ট কাশিমপুর ভূমি অফিসে খোঁজ করে ওই জোতের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
তবে কাশিমপুর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারি কর্মকর্তা দ্বীপক কুমার সাহা জানান- বড় ভবানীপুর মৌজার সর্বশেষ জোত নম্বর হচ্ছে ১১৬২। এর পরে আর কোন জোত খোলা হয়নি। যদি কেই তার পরের জোত নম্বর দেখায়, তার দায়-দায়িত্ব আমরা জানিনা।
সূত্রমতে আবুল কালাম মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম পলাশের কর্মস্থল ঢাকার দোহারে। সপ্তাহে ২ দিন বুধ ও বৃহস্পতিবার তিনি ডেপুটেশনে গাজীপুর সদর ২য় যুগ্ম সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে সাব-রেজিষ্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেন। যেহেতু পলাশ সপ্তাহে দু’দিন গাজীপুরে অফিস করেন, সেহেতু তার কাগজ পত্র দেখভাল করেন- ওই অফিসের করণিক নুরুল ইসলাম নুরু। কাজেই তার দ্বারাই সাব-রেজিষ্ট্রার পার্টি ধরেন আর উৎকোচ গ্রহণ করেন। নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানীর ব্যপক অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রমতে আরো জানাযায়- সাব-রেজিষ্ট্রার নিজেকে আইনমন্ত্রীর পি.এস এর বন্ধু পরিচয় প্রদান করে হাক-ডাক মারেন। তিনি বুঝান তার হাত অনেক লম্বা। তিনি যা খুশি করবেন, তাকে কেউ কিছু করতে পারবেন না।
আবুল কালাম মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করেন না। জমির মূল্য অনুযায়ী তিনি উৎকোচের হার বেধে দিয়েছেন।
উৎকোচ পেলে তার কাছে দলিল রেজিষ্ট্রি করার জন্য আর কোন বৈধ কাগজপত্রের দরকার হয়না। এজলাশে তিনি কম বসেন। কাজ সারেন নিজ খাস কামরায়। যার দরজা থাকে সিটকিনি আটকা। সেখানে উৎকোচ গ্রহণে সুবিধা বেশী। এক পার্টির কাজ শেষ হলে আরেক পার্টি বা গ্রাহক প্রবেশের অনুমতি বা সুযোগ পান।
উল্লেখ্য- আবুল কালাম মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম পলাশ প্রতি বুধবার অফিস করার কথা থাকলেও গতকাল তিনি অফিস করেননি। ফলে বহুসংখ্যক গ্রাহক ওই কারণে হয়রানীর শিকার হয়েছেন।

দালাল চক্রের হাত ধরে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব

গাজীপুর জেলা রেকর্ড রুম সমাচার- ১

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর জেলা রেকর্ড রুমে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব। সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ জনগন। বিশেষ করে দালালদের উৎপাত রোধ করা যাচ্ছেনা কোন ভাবেই। কাজেই অনেকে মন্তব্য করে থাকেন, এখানে দালাল চক্রের হাত ধরেই চলে দুর্নীতির মহোৎসব। যা রুখে দেয়ার জন্য কেউ নেই।
সরজমিনে দেখাযায়- রেকর্ড রুমের আশপাশে প্রায় শতাধীক দালাল প্রতিনিয়ত ঘোরাফেরা করে। ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ সেবার জন্য গেলেই প্রথমে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে। চক্রের সদস্যরা তিলকে তাল বানিয়ে মানুষকে বুঝিয়ে হাতিয়ে নেয় টাকা-কড়ি। বিশেষ করে রেকর্ড রূমটি উকিল পাড়ায় হওয়াতে উকিলদের যত সহকারি তথা মহোরি রয়েছে, তারা রেকর্ড রুমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আতাত করে দালালী বানিজ্যটি একচ্ছত্র ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ ওই দালাল চক্রসহ রেকর্ড রুমের সব রকম অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে চায়।

কালীগঞ্জে প্রেমিকের সহযোগীতায় স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রেমিকের সহযোগীতায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে ওই ধর্ষিতাকে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের পর দুপুরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম তাকে বিকেল ৩টায় থানায় নিয়ে আসে। রোববার রাতে উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভিকটিম ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে জামালপুর ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে থেকে ওই শিক্ষার্থীকে প্রেমিক মতি তাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে কথা বলে তার বন্ধু মাসুদ মোটরসাইকেলে করে নিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যায় বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ গ্রামের কালভার্টের পাশে নির্জন একটি টেকে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে অপেক্ষা করতে বলে। কিছুক্ষণ পরে মেয়েটির প্রেমিক ও ওই গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে মতিউর রহমান মতি (২৫) সহ চার জনের একটি বখাটে দল মেয়েটি জোড়পূর্ব রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সোমবার ভোর ৪টায় মেয়েটির চিৎকারে শুনতে পায় পাশের টেকে জুয়া খেলায় ব্যস্থ থাকা একদল যুবক। পরে তারা  ছুটে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তার জবানবন্ধি অনুযায়ী প্রথমে তাকে মতির বাড়ীতে নিয়ে যায়। মতি বাড়ীতে না থাকায় তার বাবা-মা তাদের ফিরিয়ে দেয়। পরে তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্য জনব আলীর কাছে তুলে দেয়। মেয়েটি তিনি জামালপুর ইউপি পরিষদে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের পর দুপুরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলমের সহযোগীতায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম তাকে বিকেল ৩টায় থানায় নিয়ে আসে। মেয়েটি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেগম সাহিদা মোল্লা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মতির অন্য সহযোগীরা হচ্ছে একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে মাসুদ (২২), শামস উদ্দিনের ছেলে নজরুল (৩০) ও মিনু মিয়ার ছেলে আরিফ (২৫)।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

টঙ্গীতে বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ ১০

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গী থানা প্রেস ক্লাব তালতলা রোডে গতকাল বিকেলে সেম কীটনাশক লি. কারখানার বিষাক্ত ও ঝাঁজালো গ্যাসের গন্ধে পুরুষ-মহিলাসহ অন্তত: ১০ জন মারাত্বক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অমল ঘোষ ও আনোয়ার হোসেনকে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়েছে। 
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভূক্তভোগীরা জানায়, বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে সেম  কীটনাশক কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস পথচারিদের নাক-মুখ ও চোখে লাগলে তাদের অনবরত হাচিঁ-কাশি শুরু হয় এবং চোখে জ্বালা পোড়া করতে থাকে। এতে পথচারি খুরশেদ আলম, মনির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, পারভীন বেগম, আনোয়ার হোসেন, অমল ঘোষ, আনোয়ার হোসেন ও আব্দুস সাত্তার অতিরিক্ত কাশিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পথচারিরা অমল ঘোষ, আনোয়ার হোসেন, খুরশেদ আলম ও কারখানার কর্মচারী জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ভর্তি করে রাত ১২ টা পর্যন্ত চিকিৎসা করা হয়। এব্যাপারে সেম কারখানার কর্মচারী রঞ্জন নাথ বলেন, ‘কীটনাশকের কাঁচামালের একটি পুরনো ড্রাম খোলার সাথে সাথে ঝাজালো গন্ধ বেরুতে থাকে এবং পথচারিদের নাকে মুখে লাগলে তাদের হাঁচি-কাঁশি শুরু হয়।’
এব্যাপারে কারখানার পরিচালক পঙ্কজ সিলভা কষ্ট্রার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,‘কীটনাশকের ক্যামিকেলে কারো কিছু হয়নি। আমরা এখানে শুধু রিপ্যাক করি।’ 
এব্যাপারে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডা. নুসরাত জাহান বলেন, ‘কীটনাশক তৈরির ক্যামিকেলের গ্যাসে শ্বাসকষ্ট, বুকে পিঠে ব্যাথা ও চোখে ঝাপসা দেখাসহ শরীরের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।’ 

সাজাপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মামলার ১০ আসামী গ্রেফতার

কাপাসিয়ায় পুলিশের অভিযান

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আহসান উল্লাহ্’র নেতৃত্বে ১৬ আগষ্ট রোববার রাতে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত, ফেরারী ও মোটর সাইকেল আসামী সহ ৯ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া মানব পাচার মামলার রিমান্ড ফেরত আসামী সহ ১০ জনকে সোমবার সকালে গাজীপুর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলো- উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের চৌড়াপাড়া গ্রামের সাহেব আলীর পুত্র জাকির হোসেন, তরগাঁও ইউনিয়নের দিঘধা গ্রামের আব্দুল বারেকের পুত্র আবুল হাসেম, রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া গ্রামের ইব্রাহীমের পুত্র সোহরাব হোসেন, একই গ্রামের রফিজ উদ্দিনের পুত্র পাশান। বিভিন্ন মামলার ফেরারী আসামীরা হলো- তরগাঁও ইউনিয়নের মৈশন গ্রামের সফিউদ্দিনের পুত্র জসিম উদ্দিন ও আঃ রশিদ, একই গ্রামের তমিজ উদ্দিনের পুত্র মামুন। মোটর সাইকেল চোর চক্রের হোতা উপজেলার সন্মানিয়া ইউনিয়নের দক্ষিনগাঁও গ্রামের গনি মিয়ার পুত্র সবুজ ও নেত্রকোনা জেলার সন্যাসী পাড়ার রুস্তম মিয়ার পুত্র আজিজ মোল্লা। এছাড়া মানব পাচারকারী চক্রের হোতা ও রিমান্ড ফেরত আসামী উপজেলার টোক ইউনিয়নের উলুসারা গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার (৩৫) কে সোমবার সকালে গাজীপুর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ্ জানান, পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার এবং আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

প্রতিবাদ করায় ৮ জনকে পিটিয়ে আহত

কালিয়াকৈর স্কুলছাত্রীদের উত্যাক্ত

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : দুই স্কুলছাত্রীকে উত্যাক্ত করার প্রতিবাদ করায় যাত্রী ও চালকসহ পাঁচজনকে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। এ সময় তারা সফিপুর-বড়ইবাড়ি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ রেখে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা কালিয়াদহ এলকায় সোমবার দুপুরে।
প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী ছাত্রীদের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উত্যাক্তের শিকার ওই দুই ছাত্রী উপজেলার বড়ইবাড়ি এ,কে,ইউ, ইনষ্টিটিউশন এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী। উপজেলার কালিয়াদহ এলাকার আওলাদ হোসেনের ছেলে রিফাত হোসেন  ও তার বন্ধু রনি মিয়া, রবিন হোসেন, নাঈম হোসেন, আশ্ররাফ মিয়াসহ কয়েকজন বেশ কিছু দিন ধরে ওই ছাত্রীদের উত্যাক্ত করে আসছে। সোমবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীদের আবারও উত্যাক্ত করে ওই বখাটেরা। বিষয়টি ছাত্রীদের বড় ভাইদের জানালে এর প্রতিবাদ করে তারা। এতে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিষয়টি তাদের অন্য বন্ধুদের জানায়। পরে ২০-২২ জন ছেলে ওইদিন দুপুরে কালিয়াদহ এলাকায় সফিপুর-বড়ইবাড়ি আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে। এ সময় সড়কে থাকা সিএনজি, টেম্পু, মোটারসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে বখেটেরা। এসময় বাধা দিতে গেলে মোটরসাইকেল আরোহী আহম্মদ আলী, আলম খান, টেম্পু চালক আবু হায়েত ও যাত্রী জাফর মিয়াসহ ৮ জনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়। আহতদের মধ্যে আহম্মদ আলীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে বেলা পৌণে ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখলে আতংকে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন শ্রমিকরা। তবে স্কুল ছুটি হওয়ায় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম জানান, আমি আসছি সবার পরে। বিকেলে সবাই একত্রে বসে একটা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
এব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, শুনেছি একটা মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এখনো কোন অভিযোগ হয়নি।

কালিয়াকৈরে সিএনজি চালকের আত্মহত্যার চেষ্টা

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জালশুকা এলাকায় সোমবার টিএমএসএস নামক একটি এনজিও থেকে বাবা কর্তৃক ঋণ করা টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অপবাদের মুখে এক সিএনজি চালক ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করা হয়েছে। আহত সিএনজি চালক ওই এলাকার কালু মিয়ার ছেলে আলহাজ হোসেন (২৮)।
স্থানীয় লোকজন ও আহতের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে কালু মিয়া উপজেলার উত্তর হিজলতলী এলাকায় অবস্থিত টিএমএসএস নামক একটি বেসরকারী এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে আড়াই বছর মেয়াদী ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ছেলে আলহাজকে একটি সিএনজি (গাজীপুর-থ-১১-৮৯৯১) কিনে দেয়। দেড় বছর ধরেই আলহাজ প্রতি সপ্তাহে নির্ধারিত ৩হাজার টাকা করে ঋণ পরিশোধ করে আসছিল। সম্প্রতি মহাসড়কে সিএনজি চলাচল নিষেধ করায় তার উপার্জন কমে আসে। নিজের পরিবারের খরচ সামলে সপ্তাহে ৩হাজার টাকা টাকা ঋণ পরিশোধ করতে ব্যার্থ হয় সিএনজি চালক। পরে গত সপ্তাহে নগত ১৫শত টাকা ও নিজের সঞ্চয়ের টাকা থেকে ১৫শত টাকা মিলিয়ে ঋণ পরিশোধ করে। সোমবার সকালে টিএএসএস এর ফিল্ড সুপারভাইজার (এফএস) মাহমুদুল হাসান তুহিন কালু মিয়ার বাড়ীতে সাপ্তাহিক ঋণ আনতে গেলে কালু মিয়া ঋণ দিতে অপারগতা জানায়। ওই এফএস এর চাপের মুখে পাশের বাড়ীর এক লোকের কাছ থেকে ধার নিয়ে ১৫ শত টাকা দেয় এবং সঞ্চয় থেকে বাকিটা পরিশোধ করতে বলে। ওই টাকা না নিয়ে এনজিও কর্মকর্তা জানায়, ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে বিকেলের মধ্যে তারা সিএনজিটি নিয়ে যাবে। এ নিয়ে ছেলে ও বাবার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে ঘরের ভিতরে গিয়ে দরজা আটকে দিয়ে আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস নেয়। পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্তাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর লেখা পর্যন্ত তার অবস্থা আশঙ্খাজনক বলে জানা গেছে।
এব্যপারে ফিল্ড সুপারভাইজার মাহমুদুল হাসান তুহিন বলেন, আমি নির্ধারিত সময়ে ঋণের টাকা আনতে গিয়েছিলাম। তাদের সাথে কোন খারাপ আচরন করিনি।
টিএসমএসএস এর ম্যনেজার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটা আমাদের অফিসিয়ালি নিয়ম। আমাদেরকে অফিসের নিয়মানুসারে চলতে হয়।
আহত সিএনজি চালকের মা বেগম আক্তার বলেন, সরকার নিয়ম করে দিয়েছে মহাসড়কে সিএনজি যেতে পারবেনা। বিপদে পরেছি আমরা। ওই রাস্তায় না উঠতে দিলে আয় রোজগার কম হয়। আমরা তাহলে কিভাবে এত ঋণ পরিশোধ করব।

গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্যার মাগফেরাত কামনা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪০তম মৃত্যু বার্ষিকি এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন । অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব প্রফেসর মো: ইমদাদুল হক এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেয় গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা, বিজ্ঞান বিভাগের ফয়েজুল ইসলাম ফয়েজ, মো: সোহেল রানা, মেহেদী হাসান, রাফি শাহরিয়ার, নওশাদ মাহমুদ, তাহসিনা আক্তার ইমা, মনিষা আক্তার ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জুলেখা আক্তার, সানিয়া আক্তার বক্তব্য রাখেন। আলোচকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছাত্র জীবন, রাজনৈতিক জীবনের উপর বিশদ আলোচনা করেন । তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বিদেহী আত্যার মাগফেরাত কামনা করে  বলেন, আমরা আজ ৪০ বৎস পূর্বের সেই নোংরা রাজনীতি ঘৃনা করে শপথ নেই আর যেন কোন জাতিকে তার প্রাণপ্র্রিয় নেতাকে অকালে হারাতে না হয়। আলোচনায় সভাপতি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, যার ডাকে আমরা যুদ্ধ করেছি এই বাংলাকে স্বাধীন করেছি, ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে কালো রাজনৈতিক কারণে আমরা সেই নেতাকে হারিয়েছি । যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি । আজ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা রিকশা চালায়, নিপীড়িত নিঃস্ব জীবন যাপন করে, তাদের দেখার কেউনেই। তিনি তার ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা বঙ্গ বন্ধুর চেতনা বুকে লালন করবে, ৭১ চেতনা বুকে লালন করবে, দেশ মাতাকে ভালবাসবে, এটাই আমার কামনা। উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজের তরুন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ওমর ফারুক, প্রভাষক প্রনীতা রানী দাস (ইংরেজী) এবং দোয়া ও আলোচনা সভার আহ্বায়ক এবং তথ্য ও যোগাযুগ প্রযুক্তি প্রভাষক সফিউদ্দিন সোলক, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোঃ শহিদুল হক প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজ, সাইফুল ইসলাম শামীম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজ, এবং গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজের সম্মানীত প্রভাষক ও ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ।

গাজীপুরে গরু বোঝাই ট্রাকের সাথে বাসের সংঘর্ষে আহত ১৫

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা সাহেব বাজার বাইপাস সড়ক এলাকায় শনিবার যাত্রীবাহী বাসের সাথে গরুবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওইদিন দুপুরে ঢাকা থেকে গাইবান্ধাগামী আশা ক্লাসিক নামের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিকে আসা গরু বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১৫ বাস যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর বাস ও ট্রাক আটক করা হলেও চালকরা পালিয়ে গেছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবসের আলোচনা  

স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস - ২০১৫ উপলক্ষে ১৬ই আগস্ট রবিবার সকাল ১১:০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসস্থ একাডেমিক ভবনের নিচতলায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস- চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ।


বশেমুরকৃবি’তে জাতীয় শোক দিবস পালন

স্টাফ রিপোর্টার : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস -২০১৫ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাবগম্ভীর ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল - ১৫ আগস্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ ও শোক র‌্যালি। সকাল ১০টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহ্বুবর রহমান এর নেতৃত্বে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বিশাল শোক র‌্যালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে এসে শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ মিনারে সর্বপ্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহ্বুবর রহমান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও  কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিকাল ৩-০০টায় বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে রচনা লিখন ও উপস্থিত কবিতা লিখন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর উপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন। এছাড়াও লাইব্রেরি লাউঞ্জে মাস ব্যাপি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শণ করা হয় । অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ ইসমাইল হোসেন মিঞাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীনগণ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, প্রভোস্টবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ ও স্কুলের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করে কোরআনখানী, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

শ্রীপুরে বস্তা চাপা পড়ে শ্রমিক নিহত

মনির শিকদার : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ এলাকার ভিয়েলা টেক্সটাইল মিলে সূতার বেল পড়ে সাইফুল ইসলাম (৬০) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। নিহত শ্রমিক শ্রীপুর পৌর এলাকার উজিলাব গ্রামের আব্দুল মোতালেবের পুত্র। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় কারখানার ভিতরে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রীপুর মডেল থানা সূত্র জানায়  নিহত শ্রমিক ওই কারখানার ক্লিনিং পদে কর্মরত ছিল। ঘটনার সময় সাইফুল ইসলাম কারখানার গোডাউনে ঝাড়– দিচ্ছিল। এসময় সারিবদ্ধভাবে রাখা সূতার বেল হঠাৎ করে তার ওপর পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

গাজীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন


মানিক সরকার : স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী ১৫ আগষ্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালন উপলক্ষে গতকাল শনিবার গাজীপুর জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো- ফজরের নামাজের পরে গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও কালেক্টরেট জামে মসজিদ গাজীপুরসহ বিভিন্ন মসজিদে কোরআন খতম ও বিশেষ মোনাজাত, সরকারী বেসরকারিসহ সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো ব্যাচ ধারণ ও শোক র‌্যালী, বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে কবিতা পাঠ, বঙ্গবন্ধুর জীবনীর উপর ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, সকল মন্দির ও গীর্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা এবং বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আজকের বাংলাদেশ বিষয়ক আলোচনা, দোয়া মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণ। 

বিকেল ৫টার আলোচনা, দোয়া মাহফিল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এস এম আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ পিপিএম (বার), গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ আজমত উল্লা খান, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ আব্দুল হাদী শামীম, গাজীপুর শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. মোঃ ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, গাজীপুর সদর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাউল্লাহ মন্ডল, গাজীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিজ উদ্দিন রফিজ প্রমুখ। 
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক/উন্নয়ন) এস এম মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ মহসিন ও বাবু মনোজ কুমার গোস্বামী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানু। 

গাজীপুরের মটরবাইক চালকদের জন্য সুখবর

স্টাফ রিপোর্টার : ট্রাফিক সেবাকে জনবান্ধব করতে ও চেকপোস্টে হয়রানি কমাতে ‘গ্রিন বাইকার মুভমেন্ট সেবা’ চালু করছে গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগ। বুধবার গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রিন বাইকার মুভমেন্ট এর বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যেসব মোটরসাইকেল চালক আইন মেনে চলেন অর্থাৎ তাদের বাইকের সব কাগজপত্র আপ টু ডেট এবং যারা সব সময় হেলমেট পরে বাইক চালান তাদের জন্য গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে থাকছে বিশেষ কিছু সেবা। মূলত যারা আইন মেনে মোটরসাইকেল চালান তাদেরই গ্রিন বাইকার হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। গ্রিন বাইকারদের দেওয়া হবে বিশেষ গ্রিন স্টিকার, যা বাইকের সামনে লাগানো থাকবে। এটা দেখে বোঝা যাবে সে গ্রিন বাইকার। এছাড়া তাদের হেলমেটেও একটি ছোট স্টিকার থাকবে। ফলে একই ব্যক্তি বারবার চেকপোস্টে কাগজপত্র দেখানোর ঝামেলা ও হয়রানি থেকে মুক্ত থাকবেন। এতে দু’পক্ষেরই সময় বাঁচবে। যারা এই সেবা পেতে চান তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে সহজে ও দ্রুত তা পেতে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কর্মসূচীর আওতায় মাসিক মিটিংয়ের মাধ্যমে বাইকারদের আন্তঃস¤পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনতে কাজ করা হবে। এর ফলে গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সব সদস্যের সঙ্গে গ্রিন বাইকারদের সুস¤পর্ক তৈরি হবে। এতে হয়রানি একবারে জিরোতে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান, যে সব মোটরসাইকেল চালক আইন মেনে চলেন তাদেরও বিভিন্ন চেকপোস্টে থামনো হয়। এতে যেমন সময় নষ্ট হয় তেমনি ভোগান্তিওপোহাতে হয়। মূলত আইন মেনে চলা মানুষগুলোকে পদ্ধতিগত ঝামেলা বা হয়রানি থেকে মুক্তি দিতে আমাদের একটি ছোট প্রচেষ্টা এটি। হয়রানি বা ঝামেলা কমিয়ে জনবান্ধব সেবা দিতে পারলেই একদিন পুলিশ জনগণের সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে মর্যাদা পাবে। আমরা সে লক্ষেই কাজ করছি।
মোটরসাইকেল চালকরা গ্রিন বাইকার মুভমেন্টে রেজিস্ট্রেশন করতে চাইলে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। বিস্তারিত জানতে ফোন/টেক্সট করতে পারেন ০১৭৬৯৬৯০৪২০ নম্বরে।

যশোর বোর্ডে ভয়াবহ বিপর্যয় ঃ পাসের হার ৪৬.৪৫ %, ইংরেজীই কাল

মনির শিকদার : এবছর যশোর বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক লাখ ১৪ হাজার ২৮১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ
হয়েছেন ৫৩ হাজার ৮৭ জন।
পাসের হার ৪৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা গতবছরের চেয়ে কম। গতবছর এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬০ দশমিক ৫৮।
পাসের মতো সব বোর্ডের মতো এই বোর্ডেও এবার জিপিএ-৫ কমেছে।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৯২৭ জন। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন চার হাজার ২৩১জন।
ইংরেজি বিষয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হওয়ায় বোর্ডে এবার ফল খারাপ হয়েছে বলে মনে করছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, ইংরেজি প্রশ্ন এবার কঠিন হয়েছিল।
‘বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই ইংরেজিতে অকৃতকার্য হয়েছে। যে কারণে পাসের হার অনেক কমে গেছে।
এবার এই বোর্ডে ১৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের কেউই পাস করতে পারেননি বলে জানান তিনি।

কালিয়াকৈরে হত্যা মামলার ২ আসামী গ্রেপ্তার

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকার ফেন্সি সিরাজ হত্যা মামলার প্রধান আসামী সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যা রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ সুত্র জানায়, গতকাল রাতে মোবাইলের সুত্র ধরে কালিয়াকৈর থানা পুলিশের মৌচাক ফাড়ি ইনচার্জ এসআই সাইফুল আলম অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে সিরাজ হত্যা মামলার এজহারভুক্ত প্রধান আসামী শাহীন (২৮) ও ৪নং আসামী মাসুদ (২৬) কে গ্রেপ্তার করে।
নিহত সিরাজের স্ত্রী রুবী বেগম জানান, সফিপুর পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ্ওরফে ফেন্সি সিরাজকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা নির্মমভাবে হত্যা করে। এ বিষয়ে স্ত্রী রুবী বেগম বাদী হয়ে ৬জনের নাম উল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় ২৮ (৩) ১৫ নং  হত্যা মামলা দায়ের করলে আসামীরা পালিয়ে যায়। পরে তিনি পুলিশের শিখানো কায়দায় মোবাইল ফোনে প্রধান আসামী শাহীনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। তাদের সাথে দেখা সাক্ষাত, সময় কাটানোর স্থান ও দিন ধার্য্য করলে পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।তারা ২জনই নিহত ফেন্সি সিরাজের একই এলাকার ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল।

কালীগঞ্জের বিএনপি নেতারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে

সাধারণ কর্মীরা মামলায় জর্জরিত

হেলাল উদ্দিন খান, কালীগঞ্জ : ক্ষমতা পালা বদলের সাথে সাথে গত ২০০৯ থেকে বিএনপি নেতা শূন্য হয়ে পরেছে কালীগঞ্জ। ২০ দলীয় জোটের দলীয় কর্মসূচীর ঘোষনায় পুলিশী অভিযানের ভয়ে মৌসুমী নেতারা এলাকা ছেড়ে চলে গেছে অন্যত্র। দল গঠনে অনিয়ম ও রাজনৈতিক মামলার স্বীকার সাধারণ কর্মীরা নিজেদের টাকায় মামলা হাজিরা দিতে গিয়ে নেতাদের দালালীতে আরো অসহায় হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সড়ক র্দুঘটনায় আহত নেতা শহিদুল্লাহ ব্যাতিত জামাই মিঠু, বালু মাসুদরানা, পল্লী ফরিদ, বাবলু ও লাবলুসহ অনেক নেতারা এলাকা ত্যাগ করে অনেকে বাড়ী র্নিমান করে অন্যত্র অবস্থান করায় কালীগঞ্জ বিএনপি নেতা শূন্য হয়েগেছে। আবার অনেকে হামলা মামলার ভয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আতœগোপন করে আছে। সাধারণ কমীরা বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত হয়ে নিজের অর্থে মামলা চালাতে গিয়ে নেতাদের দালালিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তৃনমুল নেতাদের অভিযোগে জানা যায়, দল গোছানোর নামে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পরস্পর নিজস্ব লোক নিয়ে বিভিন্ন পকেট কমিটি গঠিত হয়েছে। দলের ত্যাগী নেতা যারা মাঠে ময়দানে কাজ করেছেন তাদের বাদ দিয়ে একাধিক আত্বীয়দের স্বজন-প্রীতির মাধ্যমে দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনীত করায় দলের ভেতর ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। যার ফলে অনেক ত্যাগী নেতারা দল ছেড়ে বিভিন্ন দলে ও নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মনোনিবেশ করেছেন। এদিকে কয়েক দিন আগে পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের আলমাস আলী স্থানীয় কর্মীদের নিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছে।
সাবেক এমপি একেএম ফজলুল হক মিলন বলেন, মিথ্যা হামলা মামলার ভয়ে অনেক নেতাকর্মী এখনো এলাকার বাহিরে অবস্থান করছে এটা সত্য তবে অনেক নেতা এখনো মিথ্যা মামলায় কারাগারে আছে।
এ বিষয়ে জামাই মিঠু বলেন, আমি আরো ৭/৮ বছর আগে দল ত্যাগ করে ব্যবসা বানিজ্যে আছি। এত বড় বড় নেতাদের ভিড়ে আমার জায়গা হয় না বলে তাই দল ত্যাগ করেছি।
এ বিষয়ে ফরিদ আহাম্মেদ মৃধা বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর দিন আমার বাড়ীতে হামলা চলিয়ে আমাকে না পেয়ে আমার বাবাকে মারধর করে এবং এই বলে হুমকি দেয় যদি আমি কালীগঞ্জে আসি তাহলে জীবন নিয়ে ফিরতে পারবো না। তাই আমি বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। তবে মামলায় কোন কর্মীদের নিকট থেকে টাকা নেয়া হয় না।

গাজীপুরে ট্রাফিক সার্জেন্ট সোহেলের বহুমুখী ঘুষ বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার : দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে গাজীপুর, টঙ্গীতে দায়িত্বরত কিছু অসাধু ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।অভিযোগ রয়েছে,নিজেদের দ্বায়-দায়িত্ব এবং সরকারি নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে যত্রতত্র রাস্তার উপর যানবাহন থামিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করার। এদিকে দিনের পাশাপাশি রাতের আঁধারে গাজীপুর টঙ্গী শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকে টমটম, সিএনজি, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সিক্যাব সহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন আটক করে কাগজ-পত্র তল্লাশীর নামে গভীর রাত পর্যন্ত অর্থ আদায়ের অভীযোগ উঠেছে ট্রাফিক সার্জেন্ট সোহেল এর বিরুদ্ধে। হয়রানির স্বীকার এমন বেশ কয়েকজন পরিবহন মালিক ও চালকদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে সার্জেন্ট সোহেল নগদ টাকার লোভে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন যেখানে সেখানে গাড়ী থামিয়ে ডাম্পিংয়ের ভয় দেখিয়ে গাড়ির মালিক ও চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ উর্পাজন করছে। ঘুষ দিলে সব ঠিক নতুবা সমস্যা শেষ নেই। অবৈধভাবে গাড়ী রেকারিং করা থেকে শুরু করে গাড়ি চালকদেরকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনা গাজীপুর শহরবাসীর কাছে নিয়মিত চিত্র হয়ে গেছে। তবে ঘুষের বিনিময়ে রেহাই পেতে নগত টাকা সঙ্গে না থাকলেও কোন সমস্যা নেই। আছে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশের সু-ব্যবস্থা। ঘুষের 'বনিবনা' হলে সব ঠিক। ঘুষ দিতে না চাইলে অবৈধভাবে রেকারিংয়ের মাধ্যমে গাড়ী পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে ডাম্পিং (গাড়ির জেলখানা) জোনে অথবা স্থানীয় থানায়। দির্ঘদিন ধরে এভাবেই চলছে টমটম, সিএনজি, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সি ও অটোরিকশা চালকদের উপর গাজীপুর,টঙ্গী শহরের পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উল্লেখিত ট্রফিক সার্জেন্ট সোহেলের নগ্ন হস্তক্ষেপ। ঢাকা জামালপুর রোড়ের ইসলাম পরিবহন, ঢাকা হালুয়াঘাট রোড়ের  শ্যামলী বাংলা পরিবহনের বাস চালক এবং মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলাচলকারী গাড়িগুলোর মাসিক চুক্তি রয়েছে সোহেলের সঙ্গে। যার কারণে নানা ত্রুটি থাকার পরও নির্বিগ্নে তারা গাড়ি চালাতে পারছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিছু ট্রাফিক পুলিশ সদস্য এই প্রতিবেদককে জানায়, কিছুদিন আগে সার্জেন্ট শরীফুল ইসলাম গাজীপুর থেকে বদলী হবার কারনে তার নিয়ন্ত্রনে থাকা (মাসিক মাসোহারার ভিত্তিতে) প্রায় ৫০টিরও বেশী গাড়ীর দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে যান সার্জেন্ট সোহেলকে। বর্তমানে সোহেল এসব প্রতিটি গাড়ী থেকে প্রতিমাসে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা মাসোহার নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা জামালপুর রোড়ের ইসলাম পরিবহন, ঢাকা হালুয়াঘাট রোড়ের শ্যামলী বাংলা পরিবহন, ট্রাক মালিক ও চালকরা। সোহেল তার ব্যাক্তিগত ভাবে নিয়োগকৃত সোর্স বিল্লু (জয়দেবপুর চৌরাস্তা) আবুল হোসেন (টঙ্গী ষ্টেশন রোড়) এদের মাধ্যমে মাসিক চাঁদার টাকা উত্তেলন করে থাকেন বলে ভুক্তভুগি পরিবহন মালিক ও চালকরা জানায়। চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রথমে গাড়ি থামিয়েই ডাম্পিংয়ের ভয় দেখিয়ে কাগজ পত্র যাচাইয়ের নামে ড্রাইভারকে পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মোটা অঙ্কের উৎকোচ (ঘুষ) লেনদেনের চেষ্টা চলে। বনিবনা হলেই গাড়ি ছেড়ে দেয়, নতুবা রেকারিং করে তা ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, অপর এক গাড়ী মালিক নাম প্রকাশ না করে বলেন, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে আমরা অতিষ্ঠ। ফলে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে হচ্ছে। অটোচালক আবদুল জলিল বলেন, গাড়ি আটকানোর পর সার্জেন্টরা কৌশলে চালককে পুলিশ বক্সের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে বসেই 'বনিবনার' চেষ্টা চালায়। তাছাড়া গাড়ির কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলেও নানা অজুহাতে টাকা আদায় করা হয়। সিএনজি চালিত অটোরিকশা দেখলেই তারা এ কাজটি বেশী করে। শুধু এ কয়েকজন চালকই নন, ভুক্তভোগী অনেক ট্রাক ও পিকআপের চালকেরা একই ধরনের অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে সার্জেন্ট সোহেলের এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অ¯ী^কার করে কৌশলে এড়িয়ে যান।এদিকে সার্জেন্ট সোহেলের ঘুষ বাণিজ্য,মাসিক চাদার বিনিময়ে গাড়ী নিয়ন্ত্রন করার অভিযোগের বিষয়ে ক্লিন ইমেজখ্যাত গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র এ,এসপি শাখাওয়াত হোসেন এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে গতকাল দুপুর  ১ঃ৪৮মি,এবং দুপুর ২ঃ১৪ মিনিটে (দুইবার) তাকে ফোন করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ না করে লাইটি কেটে দেন

গাজীপুরে সড়ক নিরপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ক মত বিনিময় সভা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে সোমবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচী ও এডভোকেসী ফর সোসাল চেঞ্জ কর্তৃক আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: স্থানীয় পর্যায়ে করনীয়’ শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: দেলোয়ার হোসেন পিপিএম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো: হারুন অর রশীদ পিপিএম ও বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের গাজীপুর জেলা ব্যবস্থাপক প্রণব কুমার রায়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আমিরুজ্জামান সবুজ, অতি: পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান, মো: সোলায়মান, ও ট্রাফিক সার্জেন্ট মো: শাখাওয়াত হোসেন। ব্র্যাকের ব্যবস্থাপক মশিউর রহমান, হোসেন মোহাম্মদ আবেদ ও মো: রফিকুল ইসলাম। গাজীপুর সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি মো: সুলতান সরকার ও ভিআইপি ২৭ পরিবহনের পরিচালক কামরুল হাসান রিপন এবং সাংবাদিক কাজী মোসাদ্দেক হোসেন ও শরীফ আহমেদ শামীম প্রমুখ। সময় ট্রাফিক পরিদর্শক মো: ওমর ফারুক, পুলিশ পরিদর্শক মো: মোমিন, পরিবহন মালিক সমিতি ও পরিবহন সমিতির নেতৃবৃন্দ উপসিস্থত ছিলেন।
সভায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা, মহাসড়কে অবৈধ ও ত্র“টিপূর্ণ গাড়ির চলাচল বন্ধ করা, লাইসেন্সবিহীন চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় আলোচকবৃন্দ দুর্ঘটনারোধে বিভিন্ন সুপরিশ ও মতামত তুলে ধরেন।

টঙ্গীতে সোর্স সুমনের বাম হাত কেটে নিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গীর বড় দেওড়া এলাকার সিরাজ মার্কেটের সামনে গত রোববার বিকেলে প্রকাশ্যে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মোমেন ও তার ভাই মোবারকের নেতৃত্বে ৫/৬ জন সন্ত্রাসী গাজীপুর জেলা ডিবি পুলিশের সোর্স মো: শাহিদুল ইসলাম সুমনের বাম হাত কেটে নিয়েছে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টঙ্গীর বড় দেওড়া এলাকার বাসিন্দা মোমেন ও মোবারক দুই ভাই মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমসহ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সেবন করে আসছে। জেলা ডিবি পুলিশের সোর্স শাহিদুল ইসলাম সুমন প্রায়ই তাদের ডিবি পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়ায় ক্ষীপ্ত হয়ে গত রোববার বিকেল ৩ টায় সুমনকে একা পেয়ে বড় দেওড়া এলাকার সিরাজ মার্কেটের সামনে প্রকাশ্যে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাম হাত কেটে নেয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্বক জখম করে। এসময় সন্ত্রাসীরা সুমনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ২ টি মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং উলঙ্গ অবস্থায় তাকে রাস্তার পাশে ফেলে কাটা বাম হাত নিয়ে এলাকায় আনন্দ মিছিল করেছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে গুরত্বর আহত অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে সুমন পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। খবর পেয়ে টঙ্গী মডেল থানার এসআই শাহিন শেখসহ একদল পুলিশ রাতে টনাস্থলে গেলেও রহস্যজনক কারনে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করেনি।
এব্যাপারে টঙ্গী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী পিপিএম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

গাজীপুরে পুকুরে মিলল শিশুর লাশ

স্টাফ রিপোর্টার :  গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার একটি পুকুর থেকে আকাশ নামে (৫) বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাত ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আকাশের বাবার নাম সাদেক আলী। তাদের বাড়ি নেত্রকোনায়। তিনি পরিবার নিয়ে শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে ভাড়া থেকে বাজারে চা বিক্রি করেন।
জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলাম জানান, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আকাশ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তার খোঁজ করতে থাকেন স্বজনরা। সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার সামসুদ্দিনের পুকুরে আকাশের লাশ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।  আকাশের ডান কান ও গালে নখের আচঁড় রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুরে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর পুলিশ রোববার দিবাগত রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পূবাইলের মাঝুখান এলাকা থেকে রিভলবার ও গুলিসহ দুই ডাকাতকে আটক করেছে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ও একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের ভূরুলিয়া গ্রামের মিহির সাহার ছেলে বিশ্ব সাহা (৩৬) ও কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার তেবাড়িয়া এলাকার মনিরুজ্জামানের ছেলে শাহ আলম (৩৮)।
জয়দেবপুর থানার পূবাইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, রাতে ১৫-১৬ জনের ডাকাত দল মাঝুখান পশ্চিমপাড়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। টহল পুলিশ টের পেয়ে তাদের ধাওয়া করে টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের মাঝুখান ব্রিজের কাছাকাছি থেকে দুই ডাকাতকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের কাছ থেকে একটি রিভলবার, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত একটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়।

গাজীপুরে ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ড

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরে শিশু ধর্ষণের দায়ে এক ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানার দণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ জাহেদ মনসুর ধর্ষককে এ দণ্ড দেন। সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষকের নাম মো. সোহেল খান (২৪)। সে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর দক্ষিনপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
নারী ও শিশু আদালতের ¯েপশাল পিপি অ্যাডভোকেট শাহজাহান খান জানান, স্থানীয় আজমতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (৮) গত ২০১৩ সালের ২ জুলাই দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল। রাত আড়াইটার দিকে ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তার বাবা-মার সঙ্গে ঘরের বাইরে বের হয়। সেই ফাঁকে চুপিসারে সোহেল খান ওই ছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করে খাটের নীচে লুকিয়ে থাকে। পরে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে বাড়ির পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকার শুনে তার দাদা এগিয়ে গেলে সোহেল পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুর সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এর পর পুলিশ সোহেল খানকে গ্রেফতার করে। তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই ইয়াসিন আলী তদন্ত শেষে সোহেল খানকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ২ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ৯ জন স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসামী সোহেল খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকার জরিমানার দণ্ড দেন।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের প্রথম কর্মী সভা

মোঃ মাসুদ রানা : গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের প্রথম কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকালে শহরের স্ট্রাস্ট কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল। মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক-১, সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রনালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, চট্রগ্রাম বিভাগীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন, অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন গাজীপুর শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, গাজীপুর সদর উপজেল আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক সেলিম আজাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য খোরশেদ আলম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উল্লাহ খোকা, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সুমন আহাম্মেদ শান্ত বাবু, আলমগীর হোসেন, সদস্য দেলোয়ার হোসেন বাদল,দেলোয়ারহোসেনদেলু, আবুল কালাম মালম প্রমুখ। এসময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মো. রকিব সরকার, সদর থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক হাজী মনিরুজ্জামান প্রমুখ   
             

গাজীপুরে জেএমবি’র বোমা হামলায় ১৭ জনের জেল

স্টাফ রিপোর্টার : দশ বছর আগে গাজীপুরের নয়টি স্থানে একযোগে বোমা হামলার ঘটনায় জেএমবির ১৭ জঙ্গিকে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার সোমবার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত ১৭ আসামির প্রত্যেককে রায়ে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ওই টাকা না দিলে তাদের আরও এক বছর করে জেল খাটতে হবে।
দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার ১১ জন এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরা হলেন- মো. রোকনুজ্জামান রোকন, মো. মামুনুর রশিদ মামুন, আরিফুর রহমান আরিফ ওরফে হাসিব ওরফে আসিফ ওরফে আকাশ, মো. নিজাম উদ্দিন ওরফে রেজা ওরফে রবি ওরফে কচি ওরফে রনি, আসাদ ওরফে জাহাঙ্গীর, নুরুল হুদা ওরফে দুরুল ওরফে হাসান, মো. মাহবুবুল আলম ওরফে মাহবুব, মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির, আফজাল হোসেন ওরফে আদম, কাওসার ও ওমর ফারুক। এছাড়া রাসেল, আবদুল কাফি, এমএ সিদ্দিক বাবলু, রানা ওরফে আবদুস সাত্তার, মাসুম ওরফে আবদুর রউফ এবং রায়হান ওরফে উবায়েদ মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
দণ্ডিতদের সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার আসামি হাসান, মাহবুবুর রহমান ওরফে মাহবুব, মো. দুরুল ইসলাম ওরফে জোবায়ের ও তৈয়বুর রহমান ওরফে হাসানকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা নিজেদের শক্তির জানান দিতে ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট বাংলাদেশের ৬৩ জেলার বিভিন্ন স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালায়। এর অংশ হিসেবে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনসেহ জয়দেবপুর থানাধীন নয়টি স্থানে সেদিন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা ২০ মিনিটের মধ্যে পূর্ব চান্দনা চৌরাস্তা মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্যের পাশে, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ শহীদ মিনারের সামনে, শিমুলতলী বাসস্ট্যান্ডে, জয়দেবপুর বাজার কালিমন্দিরের প্রবেশপথে, ডুয়েটের এসএম হলের সামনে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে এবং বোর্ডবাজার আলাউদ্দিন টেক্সটাইল মিলের ফটকে এসব বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।
জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক গাজী রুহুল ইমাম ওইদিনই বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছর ১২ অক্টোবর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় কারখানা শ্রমিক নিহত সড়ক অবেরোধ

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রঙ্গীলা বাজারে সোমবার পুলিশ বহনকারী একটি ভ্যানের চাপায় এক কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করায় সোমবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি হেলালুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই বাজার এলাকায় একটি ভ্যান গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে রানু আক্তার (৩০) নামে শ্রীপুরের প্যারাডাইস ¯িপনিং মিলস এর এক অপারেটর নিহত হয়। পাশের মুলাইদ গ্রামের একটি বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি। রানুর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার দিল বাগমারায়। তার সহকর্মী শাহানাজ বেগম জানান, কারখানায় রাতের পালার কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ভ্যান রানুকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে রাস্তার দুই পাশে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
শ্রীপুর থানার ও.সি হেলাল জানান, “পিকআপ ভ্যানটি হাইওয়ে পুলিশের নয়। শ্রমিকরা ভেবেছিল গাড়িটি মাওনা হাইওয়ে পুলিশের। পরে অবরোধকারীদের বোঝানো হয় যে গাড়িটি আমাদের নয়। পরে তারা শান্ত হয়ে অবরোধ তুলে নেয়।” এরপর সকাল ৮টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় । স্বজনদের আবেদনে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

কাপাসিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় সন্ত্রাসী হামলা, ৩ বাড়িতে তালা, মহিলা-শিশুসহ আহত-৩

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সন্মানিয়া ইউনিয়নের ধানদিয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে প্রতিপক্ষ শহিদুল গংদের হামলায় গৃহবধূ শাহনাজ (৩৫), মারজিয়া (২৬) ও শিশু শাওন (৪) গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গৃহবধূর স্বামী মতিউর রহমান বাদী হয়ে ১০ আগষ্ট সোমবার কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। 
জানাযায়, উপজেলার ধানদিয়া গ্রামের হাজী বাড়ির মতিউর রহমানদের সাথে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে তারই চাচাত ভাই শহিদুল, আল আমীন ও আলমদের প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হয়ে থাকে। ৯ আগষ্ট রোববার রাত ৮টার দিকে প্রতিপক্ষরা মতিউরের বাড়িতে পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। তারা তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাইকেলের চেইন দিয়ে মহিলাদের বেধড়ক পিটায় ও ৪ বছরের শিশু শাওনকে মাটিতে ছুড়ে ফেলে। সন্ত্রাসীরা মতিউর, সাহিদ ও মুকুলের বাড়ির লোকজনদের বের করে দিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন বিএসসি ও মেম্বার সফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বিকার এবং বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার এস আই আজহারুল ইসলাম একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বিকার করেন। এ ব্যাপারে শহিদুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে কথা বলতে সে রাজি হয়নি। 

জয়দেবপুর থানার রাইটারদের দৌরাত্ব্য বৃদ্ধি

নিরীহ লোকজনকে হয়রানীর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : জয়দেবপুর থানার রাইটারদের দৌরাত্বে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট ও দিশেহারা। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর নিকট থেকে জানা যায়, জয়দেবপুর থানার ১০গজ থেকে ৫০গজের মধ্যে প্রায় অর্ধশতক রাইটার রীতিমতো অফিস খুলে বসেছেন। তাঁরা থানায় আগত অভিযোগকারীদের অভিযোগ ও জিডি লিখে থাকেন। এই অভিযোগ ও জিডি লেখার বিনিময়ে কতিপয় অসাধু রাইটার সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে আসছে। মাঝে মধ্যে মোটা অংকের টাকা দাবী করার মাধ্যমে অভিযোগকারী ব্যক্তিকে নাজেহাল করা হয়ে থাকে। এরা নিজেদেরকে থানার রাইটার বলে দাবী করেন। অথচ এরা কোনো সরকারী নিয়োগ প্রাপ্ত নন। সরজমিন তদন্তে দেখা যায়, পরিস্থিতি অত্যান্ত ভয়ানক। সরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত না হয়েও এই রাইটাররা থানার দারগাদের গোপনীয় কাজকর্ম করছেন। বিশেষ করে মামলার চার্জসীট, পিডি ও সিডিসহ সবকিছুই এরা লিখে থাকেন। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তথ্য বাহিরে পাঁচার হয়ে যায়। কোনো কোনো সময় দেখা যায় দাগী কোনো আসামীর বিরুদ্ধে চার্জসীট হলে এই রাইটাররা ওই আসামীর নিকট তাৎক্ষণীকভাবে খবরটি জানিয়ে দেন। আবার কখনো কখনো দেখা যায়, এরা গুরুত্বপূর্ণ অনেক মামলার তদবীর করছেন। বাদী-বিবাদীর পক্ষ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেন-দরবার করে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী চার্জসীট কিংবা মামলার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তদন্ত কর্মকর্তারই লিখার কথা। কিন্তু তাঁরা তা না করে ব্যক্তিগত রাইটার দিয়ে মামলাগুলো লিখে থাকেন। এতে করে ওই মামলার গোপনীয়তা কোনোভাবেই রক্ষা করা সম্ভব হয় না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা স্বাক্ষর দিয়ে শুধু দায়িত্ব শেষ করে থাকেন।  অভিজ্ঞ মহলের মতে মামনীয় পুলিশ সুপার যদি ঐ তদন্ত কর্মকর্তাদের হাতের লেখাসমূহ যাচাই-বাচাই করেন তবেই ফলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়বে। বিচার প্রার্থী নিরীহ লোকজনকে রাইটার নামক দালালদের খপ্পর থেকে রক্ষা করার দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে মাননীয় পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ অতিব জরুরী। 

এক ব্যাক্তিকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা ঃ ৫০মন গুর বিনষ্ট করে

কালিগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালত 

মনিরুল আলম, কালিগঞ্জ, গাজীপুর : গত শনিবার  বিকাল   ৫ ঘটিকায়  সময়  ভাম্যমান আলত  কালিগঞ্জ উপজেলার বাদুশাদী ই্উনিয়নের বাসাইর বাজারে এক ব্যাক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৫০ মন পচা  গুর নষ্টকরে। 
খোজ নিয়ে জানা যায় শনিবার বিকলে গোপন সংবাদের কালিগঞ্জ উপজেলাসহ-কারী কমিশনার ভূমি শারমিন আক্তার এর নেত্রীতে  উপজেলার বাদুশাদী ইউনিয়নের জামালপুর (বাসাইর ) বাজারে,বাসাইর গ্রামের  সামসুউদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন নামেএক ব্যাক্তিকে . চিনি দিয়ে বানিয়ে বাজার জাত ও  গুর  গুদামে সংরক্ষন  করায় পচেঁ যায় যার  ফলে মানব দেখের অনেক  ক্ষতি হতে পারে । এ সময় ভ্রা¤্রমান আলত  নগত (৫০) হাজার টাকা ৫০মন গুর  নষ্টকরে  ফেলে এ সময়  ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেনকালিগঞ্জ  উপজেলা সহ-কারীকমিশনার  ভূমি শারমিন আক্তার এবং সঙ্গীয় পুলিশ   ফোর্স ছিলেন এস আই মোঃ মনিরহোসেন  এর নেত্বীতে। 

কালিয়াকৈরে ডিম বোঝাই গাড়ি ছিনতাই ঃ আহত-৪

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাক-ফুলবাড়িয়া সড়কের বড়বাইদ নামক স্থান থেকে  ডিম বোঝাই একটি পিক-আপ (ঢাকা মেট্্েরা-ন-১৬-৪৬৭৭)শনিবার ভোররাতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছিনতাইকারীদের ধারোলো অস্ত্রের আঘাতে গাড়ীর ড্রাইভারসহ ৪জন আহত হয়েছে।আহতরা হলেন রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানার ধোলাপাড়া গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ মজিবুল ইসলাম(৩৫),একই জেলার বদরগঞ্জ থানার মুগগাছ গ্রামের আছরাব আলীর ছেলে মোঃ রুমেদ আলী(২৫),সিরাজগঞ্জ জেলার উলÍাপাড়া থানার শাজাহানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল আউয়াল(৩০)ও নিলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার কামারপুকুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোঃ মোক্তার হোসেন(২৫)।পিকআপ ড্রাইভার মজিবুল ইসলাম জানায় টাঙ্গাইল জেলার সফিপুর থানার সাগরদিঘী বাস ষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে হেলাল এন্টারপ্রাইজ থেকে ৫৫১৪৫টি ডিম বোঝাই করে নারায়নগঞ্জ যাওয়ার পথে  সিড ষ্টোর এলাকার রানার মোড় নামক স্থানে পৌছলে একদল ছিনতাইকারী ডিমবোঝাই গাড়ির গতিরোধ করে। এসময় পিকআপের ড্রাইভারসহ গাড়ীতে থাকা ৪জনকে কুপিয়ে আহত করে হাত পা,মুখ  বেধে একটি ট্্রাকে উঠিয়ে নিয়ে  ফুলবাড়িয়া-মৌচাক দিয়ে যাওয়ার পথে ওই সড়কের বড়বাইদ নাম স্থানে আহতদের ফেলে রেখে ডিম বোঝাই গাড়ি নিয়ে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। এব্যপারে মৌচাক পুলিশ ফাড়ির সাব ইন্সপেক্টর (ইনচার্জ) সাইফুল ইসলাম জানায় বিষয়টি সকাল ১০টা পর্যন্ত তাদের জানানো হয়নি তবে গাড়ির মালিক আমাদের জানালে আমাদেও পক্ষ থেকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পিকআপের মালিক মোঃ সোহেল রানা জানায় গাড়ি উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরকরা হবে। 

টঙ্গীতে প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রেমিক আটক

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের টঙ্গীতে প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে এক প্রেমিক। নিহতের নাম শান্তা (১৯)। তিনি নেত্রকোণা সদরের নাগড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে এবং টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। পুলিশ শনিবার গভীর রাতে লাশ উদ্ধার এবং প্রেমিককে আটক করেছে। ঘাতক প্রেমিকের নাম রুকনুজ্জামান (২৩)। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকবাজার রাজাপুর গ্রামের সাঈদ মৃধার ছেলে।
টঙ্গী থানার এএসআই মোস্তফা কামাল জানান, শান্তা ও রোকনুজ্জামানের মধ্যে প্রেমের স¤পর্ক ছিল। শনিবার শান্তাকে নিয়ে রুকনুজ্জামান টঙ্গীর পাগাড় এলাকার এক আত্মীয় বাবুলের বাসা  ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। মিঠুও স্থানীয় একটি পোষাক করাখানার শ্রমিক। তাদেরকে ঘরে রেখে মিঠু তার কর্মস্থলে চলে গেলে রুকনুজ্জামান শান্তাকে ধর্ষণ করে। পরে শান্তা বিয়ের জন্য তাকে চাপ দিলে’সে টালবাহানা শুরু করে এবং উত্তেজিত হংে উঠে। দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শান্তাকে হত্যা করে রুকনুজ্জামান।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, কর্মস্থল থেকে মিঠু রাতে বাসায় ফিরে এলে রুকনুজ্জামান ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার সময় তার আচরণ মিঠুর সন্দেহ হয়। পরে ঘরে লাশ দেখে এলাকাবাসীর সহায়তায় রুকনুজ্জামানকে ঘরে আটকে রাখে পুলিশকে খবর দেয় মিঠু। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে শান্তার লাশ উদ্ধার এবং রুকনুজ্জামানকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে রুকনুজ্জামান ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

গাজীপুরে শহীদ ময়েজউদ্দিম ব্রীজ ও বিদুৎ সংযোগ উদ্বোধন, বঙ্গবন্ধুর ৪০তম মৃত্যু বাষিকী পালিত

গাজীপুরের বাড়িয়ায় বিদুৎ সংযোগ উদ্বোধন করছেন বেগম মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত ৯ আগষ্ট রোববার বিকেলে খাতিয়া স্কুল মাঠে বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী, কয়েরÑখাতিয়ার কাটাখালী খালে শহীদ ময়েজ উদ্দিন ব্রীজ ও খাতিয়ায় বিদুৎ সংযোগ উদ্বোধন সম্পন্ন হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী বেগম মেহের আফরোজ চুমকি এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই উদ্বোধন করেন। কাটা খালের ব্রীজটি দৈর্ঘ্যে ১২০ ফিট প্রস্থে ১৮ ফিট নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। ফলে বাড়ীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ অঞ্চলের লোক সরাসরি পূর্ব অঞ্চলের সাথে সংযুক্ত হলো। চলাচলে হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ কমবে এবং সময় সময় বাচবে। অপর দিকে ‘‘জ্বলছে আলো চলছে দেশ, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানে পাছ খাতিয়া হতে আগ খাতিয়া ৩ কিঃ মিঃ বিদ্যুতায়নে খরচ হয়েছে ৩৭ লক্ষ ১১ হাজার টাকা। ফলে এলাকার শতশত মানুষ এখন বিদ্যুতের সুবিধা পাবে। মানুষের ভাগ্যের  উণœয়ন হবে দেশ জাতির গর্বিত হবে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এজিইডি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিরুল ইসলাম খান, গাজীপুর পল্লী বিদুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার দাস। অন্যান্যের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আক্তার উদ্জ্জামান শুকুর, মুক্তিযুদ্ধা বাতেন ভুইয়া, সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দিন, সাবেক যুবলীগ সভাপতি মোঃ সাদেকুর রহমানসহ মোঃ জিন্নত আলী মাল্টার, যুবলীগ সভাপতি মোঃ সোহেল রানা, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ রেজাউল আলম রনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আফজাল হোসেন। 

বিমান বন্দরের আয় দিয়েই এ দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব


গাজীপুরে সিঙ্গাপুরের ৫০তম জাতীয় দিবস উদযাপন
 অনুষ্ঠানে কেক কাটছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
 আলহাজ্ব এড. আকম মোজাম্মেল হক এমপি।

---------------মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী



 সিঙ্গাপুরের ৫০তম জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে গতকাল রবিবার বিকেলে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের রাঙ্গামাটিয়ায় আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ও ডব্লিউ এন্ড ডব্লিউ গ্রেইনস এর উদ্যোগে আয়েজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি প্রধান অতিথীর বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেশের বর্তমান বিমান বন্দরকে আরও আধুনিকায়নের মাধ্যমে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে তোলার মহা পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। যা আগামী ৭ বছরের মধ্যে  বাস্তবায়ন করা হবে। শুধুমাত্র বিমান বন্দরের আয় দিয়েই দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করা সম্ভব হতে পারে।
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর ছিল এক সময় অত্যন্ত গরীব দেশ। দেশটির খাবার পানি পর্যন্ত মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করতে হয়। ওই দেশটি শুধুমাত্র বিমানবন্দরের আয় থেকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ং সম্পূর্ন হয়েছে। আমাদের দেশের বিমান বন্ধর থেকেও তা করা সম্ভব হবে।       
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ আলতাফ হোসেনের সভাপত্বিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশস্থ কনসাল মিঃ ডেরেল লাউ। পরে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

গাজীপুরে কাজী আজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাষ্টার একাডেমিক ভবন উদ্বোধন

গাজীপুরেকাজী আজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে 
শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাষ্টার একাডেমিক ভবন
 উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন এবং ভবন 
উদ্বোধন করছেন- মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর শহরের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে ৪ তলা ভীত বিশিষ্ট নব-নির্মিত শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার একাডেমীক ভবনের শুভ উদ্বোধন ৬ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠান কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারে সুযোগ্য সন্তান কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে ওই ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন। 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন- শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। কলেজে ১৭ হাজার  শিক্ষার্থীদের  শিক্ষার জন্যে  সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা  খরচে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছি।  ফলে অতিতের চেয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কলেজে বর্তমানে ৭ টি বিষয়ে অনার্স ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাষ্টার্সে লেখাপড়া চলছে। এছাড়া মাষ্টার্সে ২টি বিষয় ও অনার্সের
৩টি বিষয় খোলার জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে তা কার্যকর হবে। 
ফলে পরবর্তীতে পূণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজী আজিমদ্দিন কলেজে  রূপান্তর হবে। সকলের আবেদন ও নিবেদনের ভিত্তিতে তিনি কলেজটিকে সরকারী করণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন। 
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক 
(সার্বিক/উন্নয়ন) এস এম মোস্তফা কামাল, কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য যথাক্রমে অধ্যাপক মোঃ আয়েশ উদ্দিন ও প্রফেসর ফেরদৌসী মাহমুদা, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সফর উদ্দিন খান, গাজীপুর শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা আতাউল্লাহ মন্ডল, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিজ উদ্দিন রফিজসহ এড. আমানত হোসেন খান, দিলরূবা ফায়জিয়া, আব্দুল জব্বার নুরু, শরিফুল ইসলাম ও মারিফ দর্জি প্রমুখ। 

কাপাসিয়ায় দু’টি প্রতিষ্ঠানের বর্জ্যে ৫শ বিঘা কৃষি জমিতে চাষাবাদ বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর থেকে ঃ কাপাসিয়া উপজেলা কপালেশ^র গ্রামে প্রোটিন হাউজ ও কেন্দুয়াব গ্রামে ডায়মন্ড নামে ১৫০ বিঘা জমিতে ২২ লক্ষ মুরগী পালনের জন্য নির্মিত দ’ুটি প্রতিষ্ঠানের অন্যায় অত্যাচারে অতিষ্ট আশপাশের ১০-১২টি গ্রামের হাজার হাজার নিরিহ মানুষ। প্রতিষ্ঠান দুটির বর্জ্যে ও নিষ্কাশিত পানিতে অন্তত পাঁচ শতাধিক বিঘা কৃষি জমি এখন চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে বিনষ্ট হচ্ছে খাল-বিল, নদী-নালার মাছ। দূর্গন্ধে অতিষ্ট এলাকাবাসী ও হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। প্রতিষ্ঠানের জেনারেটরের বিকট শব্দে লেখা পড়া বন্ধের উপক্রম হচ্ছে আশ পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের। 
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাপাসিয়া উপজেলা থেকে ১৬ কিঃ মিঃ দূরে সিংহশ্রী ইউনিয়নের কপালেশ^র গ্রামে ৫০ বিঘা জমিতে নির্মিত প্রোটিন হাউজ নামে প্রতিষ্ঠানের আশপাশের জমিতে রাতের আধারে বর্জ্য এবং নিষ্কাশিত পানি ফেলায় জমিগুলোতে এখন আর কোনো ধরনের ফসল উৎপাদন হচ্ছেনা। অপরদিকে পাশের আমুরী নদী ও আঙ্গুয়ারী বিলে এসব বর্জ্য ও নিষ্কাশিত পানি ফেলে নদী ও বিলের এবং আশপাশের পুকুরের মাছ মড়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এসব বিষয়ে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো ধরনের প্রতিকার পাচ্ছেন না গ্রামবাসি। আর এসব দূষিত বর্জ্য ও নিষ্কাশিত পানির দূর্গন্ধে অনেকেই এখন গ্রাম ছাড়া। শুধু তাই নয়, আশপাশের ভূমিতে কারখানার বর্জ্য ও নিষ্কাশিত পানি ফেলে জমি চাষাবাদের অনুপোযোগী বানিয়ে এবং জমিতে মাটি ফেলে নিজেদের দখলে নেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি। দুই প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ও নিস্কাশিত পানি আশপাশের গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ায় গ্রামে বসবাস করার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত ভাবে জনবসতি প্রত্যন্ত গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে এই দুটি বৃহৎ পোল্ট্রি খামার। দিন যতই যাচ্ছে ততই প্রতিষ্ঠান দুটির অন্যায় অত্যাচার যেন বেড়েই চলছে। এ থেকে পরিত্রান পেতে গ্রামবাসির মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বর্জ্য ও নিষ্কাশিত পানিতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় কোমলমতি শিশুরা পড়েছে বিপাকে। আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান করতে অসুবিধা পোহাতে হয়। প্রোটিন হাউজের ২০ গজ দক্ষিণে কপালেশ^ আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন স্কুল, তার পাশে রয়েছে কপালেশ^র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কপালেশ^র উচ্চ বিদ্যালয়, নামিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নামিলা ফাজিল মাদরাসা, বীর উজুলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীর উজুলী উচ্চ বিদ্যালয়, লোহাদী উচ্চ বিদ্যালয়, কেন্দুয়াব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানে অসুবিধা হচ্ছে। কৃষি জমি ভরাট করায় বৃষ্টি পানি ও প্রতিষ্ঠানের নিষ্কাশিত পানিতে এখন স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এই খামারে ৭ লক্ষ মুরগী পালন করা যায়। 
কপালেশ^র গ্রামের আ. কাদিরের ছেলে লিটন প্রধান জানায়, ২০০৯ সালে প্রোটিন হাউজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এমডি তাজুল ইসলামের নিকট তার বাবা ও কয়েক জন ১৩ বিঘা জমি বিক্রয় করে। এই জমির পর আরো একজনের কাছ থেকে আর একটু জমি কেনেন ওই প্রতিষ্ঠানটি। পরে গড়ে তোলেন প্রোটিন হাউজ নামের মুরগীর খামার। গত ৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা তাদের দুই বিঘা জমিতে প্রথমে অল্প কিছু বর্জ্য রাতের আধারে ফেলা হয়। পরে আরেক রাতে ওই জমিতে নিষ্কাশিত পানি ফেলা হয়। এক পর্যায়ে আ. কাদিরকে প্রস্তাব দেয়া হয় জমিটুকু প্রোটিন হাউজের কাছে বিক্রি করতে। বিক্রিতে রাজী না হওয়ায় কয়েকদিন পরই রাতের আধারে ওই জমির চারপাশে মাটি কেটে পুকুর বানিয়ে দেয়। একইভাবে দখলে নেয় পাশের নজরুল ইসলামের ২ বিঘা জমি, আ. রশিদের ১ বিঘা জমি, মফিজ উদ্দিনের ২ বিঘা , সফিউদ্দিনের ২ বিঘা, তমিজ উদ্দিনের ৩ বিঘা জমি বেদখল করে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব ঘটনায় প্রতিবাদ করলেই শুরু হয় অন্যায় অত্যাচার, নির্যাতন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় এসব করছে বলে জানায় গ্রামবাসী। বর্তমানে প্রোটিন হাউজে জমির পরিমান প্রায় ৫০ বিঘা। এলাকার কৃষক ইলিয়াছ, জহিরুল ইসলাম, নুজরুল ইসলাম, ডা. সমশের আলী, সাখাওয়াত হোসেন, তমিজ উদ্দিন মাস্টার, নবি হোসেন, মোখলেছুর রহমান, হেলাল মাষ্টার, আ. কাদির, আ. রশিদ, লিটন প্রধান, নজরুল ইসলাম, সফিউদ্দিন, আঃ করিম,আবু বক্কর সিদ্দিক, কফিল উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, মোতালিব মাষ্টার, তাজুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা তাজ উদ্দিন মাষ্টার,মকবুল হোসেন, ইসমাইল মাষ্টার, আমিনুল ইসলামসহ শতাধিক কৃষকের জমিতে চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছেনা। প্রতিষ্ঠানের এহেন কার্যক্রমে অতিষ্ট গ্রামবাসি কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অপর দিকে একই মালিক গত ৩ বৎসর পূর্বে পাশর্^বর্তী কেন্দুয়াব গ্রামে  প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে ১৫ লক্ষ মুরগী পালনের জন্য বৃহৎ ডায়মন্ড নামে আরও একটি প্রোল্ট্রি খামার একইভাবে গড়ে তোলে। গ্রামের সাধারণ মানুষ জমিতে দিতে অনাগ্রাহ প্রকাশ করলে রাতের আধারে কারখানার শ্রমিক দিয়ে ওই বাড়িগুলোতে ডাকাতির ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসি। শুধু তাই নয় এসব প্রত্যন্ত গ্রামে ডাকাতি নামক ঘটনাগুলোর সাথে ডায়মন্ড কারখানার শ্রমিকগণ জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যাঞ্চেলর ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, প্রোটিন হাউজের দূষিত বর্জ্যগুলো শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে মানবদেহের স্কীনের নানা সমস্যা হতে পারে। চর্মরোগ, এ্যাগজিমা, চুলকানি, দানা দানা গোটাসহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে কারখানার দূষিত বর্জ্য ও নিষ্কাশিত পানি মানবদেহে দীর্ঘ সময় লাগলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গা হতে পারে। আলসার এমনকি ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মীর আলীমুজ্জামান (জামান) সকল অভিযোগে অস্বীকার করে বলেন, এই গুলোর কোন সত্যতা নেই ।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুল হক জানান, আমি অভিযোগ পেয়েছি, সরে জমিনে গিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাপাসিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার আশিষ কুমার কর জানান, পোল্ট্রি খামারের নিষ্কাশিত পানি ও বর্জ্য প্রতিনিয়ত মাটিতে ফেললে মাটির মধ্যে নিথেন গ্যাসের সৃষ্টি হয়। মিথেন গ্যাস মাটির শিকর নষ্ট করে ফেলে। আর এ কারণেই ওইসব ফসলী জমিতে কোনো ধরনের ফসল ফলানো সম্ভব হয়না। 

কালিয়াকৈরে দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে ফল গাছ কর্তনের অভিযোগ

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার গাছবাড়ী এলাকায় শনিবার সকালে দাবীকৃত চাদা না পেয়ে এক পরিবারের তিন বছর আগে রোপনকৃত প্রায় ২’শ টি আম ও কাঠলের চারা ভেঙ্গে ও কেটে দিয়েছে বিট কর্মকর্তা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ও ভূক্তভূগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার অন্যান্য লোকের মত মৃত হোসন আলীর ছেলে শাহীন আলম দীর্ঘ্য দিন ধরে বন বিভাগের জমির উপর বসবাস করে আসছে। প্রায় তিন বছর আগে বাড়ীর পাশে পতিত পরে থাকা জমিতে আম ও কাঠালের চারা রোপন করে। চারা রোপন করার জন্য বিট কর্মকর্তার মামলার হুমকীতে তাকে দিতে হয় মোটা অংকের উৎকোচ। পরে সপ্তাহ খানেক আগে বিট কর্মকর্তা আবারো ১ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে। দাবীকৃত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ওই দিন সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাচীঘাটা রেঞ্জ অফিসের আওতাধীন জাথালিয়া বিট কর্মকর্তা দ্বিলিপ কোমার সাহা তার বিট অফিসের লোকজন নিয়ে প্রায় ২’শ টি আম ও কাঠাল গাছ কর্তন করে ও ভেঙ্গে দেয়।
এব্যপারে বিট কর্মকর্তা দ্বিলিপ কুমার সাহা বলেন, আমি ওই দিন সকালে দখলকৃত জমি উদ্ধার করতে গিয়েছিলাম। আমরা কোন গাছ কাটিনি ও ভাঙ্গিনি।

কালিয়াকৈরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর এলাকায় গতকাল দুপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নামা (২৮) এক নারীর করুন মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়,দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই নারী দিকে ঢাকা-রাজশাহী রেলপথের  ওই স্থান দিয়ে পায়ে হাটার সময় রাজশাহীগামী একতা এক্সপ্রেস এসে তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তার শরীর কেটে ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যায়। নিহত ওই অজ্ঞাত নারীর পড়নে টিয়া রঙের ছাপা শাড়ী ছিল। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেছেন।
জয়দেবপুর রেলওয়ে থানার এএসআই দাদন মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বিকার কওে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করেছি তবে এখন পর্যন্ত তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কালিয়াকৈরে কৃষি জমিতে আবাদ বন্ধ রেখে মাছ চাষ

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বাশতলী এলাকায় একটি প্রভাবশালী মহল কৃষকের জমিতে ফসল আবাদ বন্ধ রেখে বাধ দিয়ে মাছ চাষ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, ওই এলাকার প্রভাবশালী চানমিয়া, আক্কাস আলী, মনির হোসেন, নূরুল ইসলাম ও মাসুদুর রহমান  এলাকার একটি কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় ওই এলাকার লোকজনের আবাদি জমি ও ১৬টি ভুমিহীন পরিবারের জমি জবরদখল করে গত কয়েক বছর আগে থেকে মাছ চাষ করে আসছে। স্থানীয় লোকজন ও ভূমিহীন পরিবার বাধা প্রদান করলে তাদেরকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে। এ নিয়ে নিরীহ ওই পরিবারের লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করে। এতে কোন সমাধান না পেয়ে তারা গাজীপুর জেলা প্রশাসক বারাবর একটি আবেদন ও গাজীপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে আদালতের নির্দেশে সিনিয়র আইনজিবী শহীদ সরকারকে উকিল কমিশনার করে দুপক্ষের ৬জন আইনজিবী প্রেরণ করেন।উকিল কমিশন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।আইনজিবী শহীদ সরকার বলেন, আমি দুপক্ষের আইনজিবীদের সাথে নিয়ে আদালতের নির্দেশে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় খতিয়ে দেখতে এসেছি। আদালতের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন জানানো হবে।

গাজীপুরে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল-মাদ্রাসার স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্টস কেবিনেট গঠন করার লক্ষে  গত ৮ আগষ্ট  গাজীপুর চৌরাস্তার চান্দনায় এম এ রাজ্জাক মাষ্টার আলিম মাদ্রাসা ও হাড়িনাল হাই স্কুলের স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচন সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে। হাড়ীনাল হাই স্কুলে ৭৮৩ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রার্থী ছিল ৩০ জন এদের মধ্যে, ৮জন নির্বাচিত হয়। এরা হলেন  বিউটি আক্তার, আহ্সান উল্লা­হ, ইতি মনি, মোঃ পারভেজ, জাহিদুল ইসলাম জিহাদ, মোঃ পারভেজ,  নুর আলম, মোঃ শাকিল হোসেন।  প্রধান নির্বাচন কমিশনার দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ আশিকুর রহমানসহ দুইজন নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইটিং অফিসার, পুলিং অফিসার ও  এজেন্ট ছিল নির্বাচন অনুষ্ঠানে। এ সময় উপস্থিত ছিল গর্ভনিং বডির সভাপতি মোঃ রফিজ উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আরা, প্রধান শিক্ষক  মোঃ আক্তার হোসেন।
অপর দিকে এম এ রাজ্জাক মাষ্টার আলিম মাদ্রাসায় ৫০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রার্থী ছিল ২২জন। নির্বাচিত ৮ জন হলেন শারমিন আক্তার, জামিরুল, ফাতেমা খাতুন, সানজিদা, মিলি আক্তার, সাগর আলী, আবু হানিফ ও আজিজুল হক। ভোট গ্রহণের দিন থেকে  নির্বাচিত ৮ জন আগামী ১সপ্তাহে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে একজনকে সভাপতি নির্বাচিত করা হবে, বাকী ৭জন কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে। ষষ্ঠ শ্রেণী হতে ১০ম শ্রেণী  ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে আগামী ১ বছরের জন্য স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচিতরা দেশের বিভিন্ন জাতীয় দিবসসহ বৃক্ষ রোপন, বাগান তৈরী,স্বাস্থ্য, ক্রীড়া-সাংকৃতিক কার্যক্রম পালনে ভূমিকা রাখবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ তরিকুল ইসলামসহ  ২জন  নির্বাচন কমিশনার,  প্রিজাইটিং অফিসার পুলিং অফিসার ও এজেন্ট ছিল এ স্টুডেন্টস কেবিনেট গঠন অনুষ্ঠানে ।  এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার গর্ভনিং কমিটির সদস্য মনোয়ার মাহ্মুদ মিন্টু, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিনিধি মোশির্দা আক্তার, কলেজ অধ্যক্ষ রাকিবুল হাসান প্রমুখ।

গাজীপুরে ওবায়দুল কাদের লাশের মিছিল কাঁধে নিয়ে উন্নয়ন করা যায় না

স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যের দিকে ছুটছি। কিন্তু তাই বলে জীবিকার কাছে জীবনকে ম্লান করে লাশের মিছিল কাঁধে নিয়ে উন্নয়ন করা যায় না। আগস্ট মাসের মধ্যে মহাসড়কের চারপাশ থেকে বিলবোর্ড নামানোর নির্দেশ দেয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা নির্দেশনা না  মানলে সেপ্টেম্বর থেকে নিজেই অপসারণ করবেন বলেও জানান মন্ত্রী। শনিবার গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিদর্শণে এসে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
১ আগস্ট থেকে দেশের ২২টি সড়ক-মহাসড়কে তিন চাকার  যান চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সরকার। প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্তে জনসাধারণের সম্মতি ও স¤পৃক্ততা আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীতে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যের দিকে ছুটছি। মন্ত্রী আরো বলেন, বিলবোর্ড দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায় না। আগস্ট মাসের মধ্যে মহাসড়কের চারপাশ থেকে বিলবোর্ড নামাতে হবে। না নামালে সেপ্টেম্বর থেকে আমি নিজেই অপসারণ করবো। দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের জনগনের মাঝে জনসচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখারও আহবান জানান মন্ত্রী। এসময় গাজীপুর সড়ক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকতাসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ ঃ আহত ১০

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার কালিয়াকৈর বাইপাস ও মৌচাকের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈরের মৌচাক নিশ্চিন্তপুর বেঙ্গল পেন্সিল কারখানার সামনে শুক্রবার বিকেলে যাত্রীবাহী লেগুনার সঙ্গে বিপরীত দিক হতে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ ও কোনাবাড়ী হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
অপর দিকে শুক্রবার সকালে মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস রোড এলাকায় সড়ক অতিক্রম করার সময় বাস চাপায় সাবের আলী (৫৫) নামের এক জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সাবের আলী কুড়িগ্রামের বোরুঙ্গাবাড়ি ছোট কাটামনি এলাকার মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে।

মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা দুদু

মনির শিকদার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শামসুজ্জামান খাঁন দুদু কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার পৌনে ১২টার দিকে তিনি মুক্তি পান। এ সময় কারাফটকে দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনরা তাকে স্বাগত জানান।
কাশিমপুর কারাগার-২ এর কারাধ্যক্ষ নাসির আহমেদ  জানান, বৃহস্পতিবার নাশকতার চার মামলায় শামসুজ্জামান দুদুকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। ওই জামিন নামার কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছলে অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় দুপুরে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
জানুয়ারিতে হরতাল-অবরোধে নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুদুর বিরুদ্ধে পল্টন থানায় চারটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন।
৭ জুলাই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নাশকতার সাত মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুকে অন্তর্র্ব্তী জামিন দেন। পরে সরকার পক্ষ জামিনের বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টে আপিল করে।

কাপাসিয়ায় কলেজ ছাত্রী নাজমা হত্যার বিচারের দাবীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানব বন্ধন

ফল প্রকাশের আগেই নির্মম হত্যার শিকার 

কাপাসিয়া ব্যুরো চীফ : গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক শরীফ মোমতাজ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী নাজমা আক্তার (১৯) স্বামীকে তার উপ-বৃত্তির টাকা না দেয়ায় গলা টিপে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবীতে ৮ আগষ্ট শনিবার সকাল ১১ টায় কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস সংলগ্ন টোক-কাপাসিয়া সড়কে মানব বন্ধন করেছে। আজ ৯ আগষ্ট তার পরিক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। নাজমার হাতে মেহেদীর রং মুছতে না মুছতেই নির্মম হত্যার শিকার হতে হয়েছে। 
জানাযায়, উপজেলার টোক ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামের দরিদ্র কাঠ মিস্ত্রী নাজিম উদ্দিনের কন্যা এইচএসসি পরিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের পরিবারের অমতে প্রায় দেড় মাস পূর্বে একই গ্রামের মৃত আব্দুল হেকিমের পুত্র রাজমিস্ত্রী আতাবুদ্দিনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবী সহ নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। ৫ আগষ্ট বুধবার নাজমা তার কলেজ থেকে উপ-বৃত্তির ২ হাজার ৫ শত টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরলে স্বামী সেই টাকা দাবী করে। কিন্ত নাজমা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়। রাত ৯/১০ টার দিকে বৃষ্টির সময় স্বামী তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ির পার্শ্বে আম গাছের ডালের সাথে ওড়না দিয়ে প্যাচিয়ে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসি আম গাছে ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দিলে থানা পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আজহারুল ইসলাম জানান, লাশের গলায় হাতের আঙ্গুলের কালো ছাপ রয়েছে। তবে লাশের ময়না তদন্ত রির্পোট পেলে ঘটনাটি হত্যা না আতœহত্যা তার আসল রহস্য বলা যাবে।