শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

মাদকের নিরাপদ স্থান গাজীপুরের কালীগঞ্জ

স্টাফ রিপোটার : জেলার কালীঞ্জ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের সর্বত্র এখন মাদকে সয়লাব। উপজেলা সদর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত পল্লীতেও মাদক বেচাকেনার হাট বসে। প্রায় ছয়’শ স্পটে ইয়াবা,গাজা,ফেন্সিডিল,চুলাইমদ,বিদেশী বিয়ারসহ হরেক রকমের মাদক বেচাকেনা হয়। আর এ মাদকের সিংহভাগই সেবন করে থাকে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সের যুবক যুবতীরা।ফলে যুব সমাজএখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। প্রতিনিয়ত বিগ্নিত হচ্ছে আইন শৃংখলা। বাড়ছে সামাজিক অস্থিরতাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড। মাদক নিয়ন্ত্রনে আইন শৃংক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভুমিকা নিয়েও জনমনে বিরুপ প্রশ্ন রয়েছে  । 
অনুসন্ধানে জানাযায়,কালীগঞ্জ পৌরসভার তুমুলিয়ার বোয়ালী রোড, ভাদার্তীর, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস এলাকায় মুনশুরপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে। কালীগঞ্জ খেয়াঘাট,সোনালী ব্যাংকের পিছনের পুকুর পাড়, কাপাসিয়া মোড়, শ্রমিক কলেজের আশপাশ,খঞ্জনার শুক্কুরের বাড়ীতে মাদক সেবীদের আখড়া বসে। উপজেলা প্রশাসনের সীমানা প্রাচীর থেকে ক্যাশিয়ার নাসিরের বাড়ীর উত্তরের রেল লাইন পর্যন্ত,ডাক বাংলোর মুচি বাড়ী, প্রাণ.আর.এফ এল’র মেইন গেটের উত্তর পাশে ইসমাইল্,আকরাম,কচি,উত্তরগাঁও তাতী বাজার এলাকা, শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতুর পাশের খেয়া ঘাট, টঙ্গী-ঘোড়াশাল মহাসড়কের কালীগঞ্জ বাইপাসের চলন বিল পরিবহনের কাউন্টার থেকে শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতু পর্যন্ত প্রায় ৫টি স্পটে রাতের আধারে ইয়াবা বিক্রি হয় দেদারছে।
তুমুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়ার পরী,অমর,কামারপাড়া, দড়িপাড়া,নলছটা, দারকাভাংগা,চড়াখোলা, বাজৈন্না পাড়া,ফৈড়াখালী,জাল্লাটি জজু,জ্যাকো কস্তা,নুরুজ্জামান,প্রভাত,বোয়ালী, মানিকপুর,ভাইয়াসুতির লিটন রোজারিও, সাধুবাজার,বাগদি মেম্বার বাড়ী এলাকা,দড়ি পুটিনা। এসব এলাকার প্রায় ১২৫টি স্পটে গাজাঁ,ইয়াবা ,ফেন্সিডিল ও চুলাইমদ অবাধে বিক্রি হচ্ছে। বাগদী,লুদুরিয়া,ধনুন, করানের স্বপনসহ এ এলাকায় মোট ১৫টি স্থানে মাদক বিক্রি হয়। উলুখোলা, নগর ভেলা, মঠবাড়ী,রায়েরদীয়া বাজার,বাসাবাসী, রাথুরা,পাঞ্জোরা মোড়, ইন্দারারপাড়, নাগরী বাজার , বির্তুল ,মাল্লা,ভাসানিয়া,শিমুলিয়া, পিপুলিয়া। এসব গ্রামের প্রায় ৪৫ টি স্পটে চুলাই মদ,ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি হয়। এক কথায় নাগরী ইউনিয়নের নাম বলতেই চলে আসে চুলাই মদের ছোট-বড় কারখানা। প্রতিদিন এ কারখানাগুলো থেকে কয়েক হাজার লিটার চুলাই মদ তেরমুখ নদী পাড় হয়ে ঢাকা শহরে প্রবেশ করে। অথচ সন্নিকটে রয়েছে উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক ব্যাক্তি জানায়, ফাঁড়ির সামনের রাস্তা দিয়েই এই পরিমান চুলাই মদ প্রতিদিন শহরে প্রবেশ করে।
বক্তারপুর ইউনিয়নের জয়রামবের গ্রামের প্রায় ৪০টি বাড়িতে রয়েছে চুলাই মদের কারখানা। এদের মধ্যে প্রমিতি,গিলু,দানি,বাবলু,মহন মালা,কেরপি,পূণ্যা,সুনিল,রবি,কালু, আনন্দ,সমর,খোকন,নিমাই,অপু,সাগর,অজিত উল্লেখ যোগ্য। ফুলদীর সারোয়ার,ইউনুছ আলী,মনির,দেন্ধ্যা,সাতানিপাড়ায় রঞ্জন,শিমুল,রনি,প্রতাপ,প্রদিব,মিনা গমেজের বাড়ীতে রয়েছে চুলাই মদের মিনি কারখানা।দেউলিয়ায় জেবিয়ার,রিচার্ড সহ ৩/৪ বাড়ীতে রয়েছে অনুরুপ কারখানা। ফেন্সিডিল ব্যাবসায়ী আবেদ আলী, গাঁজা ব্যাবসায়ী নাজিমদ্দিন দাপটের সাথে মাদক ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বক্তারপুর কমিউনিটি ক্লিনিকটি রাতে ইয়াবা সেবিদের দখলে থাকে। পৈলাণপুরের ইব্রাহীম ওরফে ইবু ও তার ছেলে আলমগীর,ফুলদীর কোষাঘাট, ছৈল্লার মোড়, নাওয়ানের মোড়, ব্রাক্ষনগাঁও বাজার এলাকার ৩টি স্পটে রয়েছে। উল্লেখ্য
জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের কোষাগাড়া ব্রীজের উভয় পাশে, ইয়াবা ডিলার সাইফুল,আফছার উদ্দিন,সোহেল, কাউলিতার বগার বাড়ীর আলমগীর আকন্দ, রনি,রনির মা, আলমগীর ভূইয়া,আজমতপুরে ইব্রাহীম, ও আমজাতের ছেলে আফজল খান,খোরশেদেও ছেলে শাখাওয়াত,রফিকের ছেলে রুবেল, শাহেদ,শাহিন,বৌন্নার খাইরুল,রুবেল,সজীব, পুনশহির ফাইজুল্লা,বাবু, রবিন,যোবায়ের,ফারুক, কাচারী মাঠ,মরাশ-লোনাব সড়কে, কুলথুনের রফিকুল,আজমতপুরের শাহজাহান মৌলবির ৩ ছেলে, দাইত্তারটেক, সালদীয়া,শশীরমোড়ের   পাপ্পু,মিন্টু দর্জি,মনির,দুবুরিয়ার মোল্লাবাড়ির ৩ যুবক,বাঙ্গালগাঁও,কুলুবাড়ী শরিষার চালা হয়ে নরুন পযর্ন্ত বিস্তৃত এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসা চলছে।বাহাদুশাদী ইউনিয়নের ঈস্বরপুরের কেটি ফারুক, খলাপাড়া মিলগেট,কোহিনুর মার্কেট, দক্ষিনবাগ, বাগবাড়ীর মোড়, বাসাইর বাজার মোড়, রাবেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে কালুর বাড়ীতে চুলাই মদ।
জামালপুর ইউনিয়নের জামালপুর বাজারে মোকাম্মেলের বাবা, কলেজের পূর্ব পাশে, চান্দেরবাগ মোড়, মেন্দিপুর প্রাইমারী স্কুলের পাশে, কাপাইসের মজিবুর,দোলান বাজারের টুন্ডা,স্বপন,জৈনক হুন্ডা মেকার,খাড়গারচরের এক বিএনপি নেতার অনুজ ইয়াবার পাইকারী বিক্রেতা। সে ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে গাজীপুরের বাসন সড়ক এলাকা থেকে। তার নেতৃত্বে বিএনপি পন্থি মাঠ পর্যায়ের যুব ও ছাত্র দলের কয়েক নেতা জাঙ্গালীয়া, মোক্তারপুর ও জামালপুরে মাদক বিক্রি করে। দলীয় মতভেদ যাই থাকুক মাদক বিক্রি ও সেবনে বড় দুই দলের মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কোন বিবেধ নাই। 
এক মাত্র মোক্তারপুর ইউনিয়নই মাদকের ছড়াছড়ি কম লক্ষ্য করা যায়। তার পরও মৈশাইর বাজারে দড়ি বাগুনের কামাল, গাজা ব্যবসায়ী জলিল ও তার ভাই নবুল্ল্যা, শিংলাব, ধনপুর,বাঘুন,বড়গাঁও,সাওরাইদ বাজার, লাইলি মার্কেটে ইয়াবা বিক্রি হয় হরহামেশা। আর হরিদেব পুরের মুচি পল্লীতে হয় তৈরী হয় চুলাইমদ।
মাদকের এ ভয়াবহ বিস্তার রোধ করার লক্ষে পুলিশ প্রশাসনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভুমিকা নিয়ে ইতি মধ্যেই জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সুশিল সমাজ মনেকরে এখনই মাদক ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে না ধরলে কালীগঞ্জ একদিন মেধাশূণ্য হয়ে যাবে।