শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

আত্মঘাতী সংঘাত যেন আর না হয় : বিজিবিকে প্রধান মন্ত্রী

বিজিবি দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা .
মনির শিকদার : 
বিজিবি বিদ্রোহের মতো আত্মঘাতী সংঘাতের পুনরাবৃত্তি এড়াতে ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যদেও ও সতর্ক  থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পিলখানা বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার কওে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই বাহিনী কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। তিনি আশা করেন, বিজিবির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে কখনো এ ধরনের আত্মঘাতী  সংঘাত যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্য বিজিবির সদস্যদেও ও সদাসতকর্ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আজ রোববার বিজিবি দিবস উপলক্ষে পিলখানায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বিজিবিকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ যাতে বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে চলতে পারে, সেভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
বক্তব্যেও শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন ইপিআরের দুঃসাহসী ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। সে সময় নিহতদে ও প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডকে ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত কওে শেখ হাসিনা বলেন,  তাঁকে সেই ন্যক্কারজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছিল। সবার সহযোগিতায় সেদিনের সেই সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছিল। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। তিনি বলেন, সেই বিদ্রোহে জড়িত বিজিবির উচ্ছৃঙ্খল সদস্যদের শাস্তি   দেওয়া হয়েছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার করে বিজিবিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাহিনী কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ রকম আত্মঘাতী সংঘাত যেন না হয়, সে জন্য বিজিবির সদস্যদের সদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সীমান্তে দায়িত্ব পালনে বিজিবি আগের চেয়ে অনেক বেশি সফলতা অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার কমেছে। ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে বন্ধুত্বপূণর্ সম্পর্ক হয়েছে।
 বিজিবিকে আধুনিক করতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,  প্রথমবারের মতো ১০০ নারী সদস্যকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিজিবিতে আর ও সদস্য নিয়োগ, বেতন-ভাতা বাড়ানো, ভিডিও কনফারেন্স, বিওপি, সোলার প্যানেল,  বিএসএফ ও বিজিবির সম্পর্ক উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ,  বিশেষ কওে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বিনিময় সহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ নিজের পায়ে দাঁড়াবে, মর্যাদার সঙ্গে চলবে। সেভাবেই সরকার কাজ কওে যাচ্ছে। তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, বিজয় অর্জনকারী জাত কারও কাছে মাথানত করবে না। ২০২১ সালে দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। ২০৪১ সালেবাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।