বিশেষ প্রতিবেদক : জমিজমা বিরোধকে সাজালেন যৌন হয়রানী মামলায়, ফাঁসালেন এক যুবককে। অভিযোগের বলে আটক করে থানা হাজতে ৪৬ ঘন্টা রেখে করলেন নির্যাতন। এমনটিই ঘটল জয়দেবপুর থানায়। গত ১৪ জুলাই জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে কথিত অভিযোগে জয়দেবপুর থানার এস.আই এনামুল যুবক আব্দুল মাজিদকে শহরের থানা কাউন্সিল নামক স্থান থেকে আটক করে। আব্দুল মাজিদকে আটকের পর এস.আই এনামুল জানতে পারেন, আটককৃত যুবককে যে অভিযোগে আটক করা হয়েছে তা সত্য নয়। সে অভিযোগের অপরাধটি করেননি। তাই আব্দুল মাজিদকে ছেড়ে দিতে দুপক্ষে মধ্যে আপোস করে ছেড়ে দিতে উদ্যোগ নেন। কিন্তু একটি দুষ্টচক্র অর্থের লোভে আব্দুল মাজিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগটির পেছনে তদবিরের মাধ্যমে আটকের ২৪ ঘন্টা পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আব্দুল মাজিদকে পুলিশ আটক করে মাত্র একটি অভিযোগের বলে। ১৪ জুলাই বেলা ২টার সময়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয় ১৫ জুলাই বিকেলে। এ থেকে বোঝা যায়, অপরাধের চাইতে মালের ধান্দাটাই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আব্দুল মাজিদের ক্ষেত্রে। ১৫ জুলাই সকালে সাংবাদিকরা থানায় ডিউটি অফিসারের রুমে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দেখা যায়, তখনও আব্দুল মাজিদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হয়নি। পরে ওই দিনই বিকেলে জানানো হয়, আব্দুল মাজিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। অপরদিকে আব্দুল মাজিদকে গ্রেফতার করলেন ১৪ জুলাই এস.আই এনামুল, ১৫ জুলাই মামলার আইও হলেন এস.আই আল-মামুন। জানা যায়, আব্দুল মাজিদের মা হালিমা গত ১১ জুলাই মামলার বাদীর স্বামী-দেবরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় জিডি করেছিলেন। যার জিডি নং ৭৮২। সেই জিডির পরই আব্দুল মাজিদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগে যায়, স্থানীয় সন্ত্রাসী, মাদক বিক্রেতা ও ভুয়া মানবাধিকার চক্র। কোন রকম সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে যৌন হয়রানীর নাটক সাজিয়ে আব্দুল মাজিদকে ধরিয়ে দিলেন পুলিশের হাতে, তার পিতা-মাতার কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের জন্য। আব্দুল মাজিদের বাড়ি গাজীপুর শহরের চতর নয়াপাড়া এলাকা ঘুরে জানা যায়, ধৃত আব্দুল মাজিদ নিয়মিত এলাকায় থাকে না। দীর্ঘদিন পরে ওই দিনই মায়ের সাথে দেখা করতে বাড়িতে যায় সে। বাড়ি থেকে ফেরার পথে কুচক্রী মহলটি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। আব্দুল মাজিদ বখাটে বা মাদকাসক্ত হলে এলাকায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যেত। শুধুমাত্র আব্দুল মাজিদের বাড়ির পাশের লোকদের কাছেই সে দুষ্ট। স্থানীয় সাইফুল ইসলাম ও নূরুল হকসহ অন্যান্যরা এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানান।