শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

কালীগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ী মামুন হত্যা

দারোগাসহ ১১ আসামী জেলহাজতে

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে বালু ব্যবসায়ী মামুন ভূইয়াকে পুলিশ গ্রেফতারের পর হাতকড়া পরিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দিলে পুলিশের সম্মুখেই তাকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় গতকাল সোমবার দারোগাসহ চার্জশীটভূক্ত ১১ আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৯ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরের গোপাল মেম্বারের বাড়ীর পাশে বড়গাঁও গ্রামের হোসেন আলীর পুত্র বালু ব্যবসায়ী ও যুবলীগ কর্মী মামুনকে পুলিশ গ্রেফতারের পর হাতকড়া পরিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দেয়। পুলিশের সম্মুখে প্রতিপক্ষ তাকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে তৎকালীন কালীগঞ্জ থানার এসআই নৃপেন কুমার দে মামুনের হাত থেকে হাতকড়া খুলে নিয়ে থানায় চলে আসে। এ ঘটনায় সারাদেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে মামুনের ভাই নাজমুল বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে বিভাগীয় ভাবে হত্যার ঘটনাটি একাধিকবার তদন্ত করা হয়। সে সময় মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে মামলাটি সিআইডি তদন্ত শেষে গত ১২ জুলাই ২০১৫ তারিখে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। এ মামলায় অভিযুক্ত ৬ আসামী জামিনে থাকলেও গতকাল দারোগা নৃপেন, মেম্বার হেকিম ফরাজী, বাদল, শহীদুল্লাহ শাহী, ফাজু, আল আমিন, গাফফার, মুনসুর আলীসহ ১১ আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
উল্লেখ্য, চাঞ্চল্যকর এ খুনের ঘটনাটি মানবাধিকার কমিশনের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি (উপ-সচিব সাফিনা খানম) তদন্ত শেষে দারোগা নৃপেনকে আসামী করার সুপারিশ করলে সিআইডি তাকে চার্জশীটের অন্তর্ভূক্ত করে।