নিহতের আত্বীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানায়, মাদারীপুর জেলার সদর থানার নয়াকান্দি বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী ও ২ ঔরশজাত মেয়েসহ ১ পালক মেয়েকে নিয়ে চট্রগামে থেকে গার্মেন্টসে চাকুরি করাকালীন নিহত শিরিন আক্তারের খালাতো বোন রেশমার দেবর মোঃ কাউসার তাদের গার্মেন্টসে চাকুরি দেয়ার কথা বলে টঙ্গীতে নিয়ে আসে। গত দু-মাস আগে জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে টঙ্গীর আরিচপুরস্থ পাকনাপাড়া (মদিনাপাড়া) জনৈক নিজামের বাড়িতে বসবাস শুরু করে এবং নিহত শিরিন আক্তার বিসিকস্থ ফ্যালটেক্স্র কারখানায় চাকুরি করে। একই কারখানার ওয়াশিংয়ে ও একই বাড়ির দু-তলায় কাউসার বসবাস করে। এক পর্যায়ে শিরিন আক্তারের খালাতো বোন রেশমার দেবর মোঃ কাউসারের সাথে শিরিনের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। গত রোববার শিরিনের মা-বাবা ঢাকায় এক আত্বীয় বাড়িতে চলে গেলে রাত পৌনে ১২ টায় কাউসার শিরিনের ঘরে আসে। এসময় ঘরে শিরিনের বড়বোন পলি আক্তার ও পালক ছোট বোন ছিলো। গভীর রাত পর্যন্ত শিরিন ও কাউসার কথা বলার পর ভোর রাত ৩ টার পর শিরিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর হত্যাকান্ডকে আত্বহত্যা বলে চালানোর চেষ্টায় শিরিনের মৃত দেহ ঘরে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এসময় শিরিনের বড়বোন ও পালক ছোট বোন ঘরেই ছিলো।
নিহত শিরিনের বড়বোন পলি আক্তার জানায়, আমার বোন আমাদের ছেড়ে কেনো চলে গেলো জানি না। আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম কাউসার আর শিরিন বারান্দায় বসে কথা বলছিলো। কখন যে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁসি দিয়ে আত্বহত্যা করেছে আমরা ঠের পাইনি। আর কিছু বলতে পারবো না।
খবর পেয়ে টঙ্গী মডেল থানার এসআই মনিরসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করাকালীন ফাঁসিতে ঝুলে আত্বহত্যার কোন আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানান। পুলিশের ধারনা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে তাকে ধর্ষন করা হয়েছে কি না তা ময়নাতদন্ত রির্পোট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন উক্ত এসআই।
এদিকে (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) এলাকাবাসীসহ কাউসারের একাধিক সহকর্মী জানায়, এঘটনা জানা-জানির পর কাউসার সোমবার সকাল পৌনে ৮ টায় বাসা থেকে বেড়িয়ে তার কর্মস্থলে গিয়ে হাজিরা দিয়ে আধ ঘন্টার ছুটি নিয়ে আত্বগোপন করেছে। এছাড়া নিহত শিরিনের বড়বোন পলি আক্তারকে পুলিশ জোরালো ভাবে জি¹াসাবাদ করলে এ হত্যাকান্ডের আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।