শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

নৌ চলাচল বন্ধ! প্রশাসন নীরব!! কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ব্যাপক চাঁদাবাজীর অভিযোগ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদীতে ব্যাপক চাঁদাবাজীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই ঘন্টা নৌ চলাচল বন্ধ। প্রশাসনের নীরব ভূমিকা।
জানা যায়, উপজেলার শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ের কালীগঞ্জ বাজার গুদারা ঘাট, ভাদার্ত্তী, সোমবাজার, সোম বঙ্গবন্ধু বাজার ও প্রজেক্ট এলাকায় নদী পথে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে নৌকা, ট্রলার ও জাহাজ যাওয়ার সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা নৌকা নিয়ে তাদের গতিরোধ করে। তারা নৌযান থামাকে না চাইলে অশালীন ভাষায় গালমন্দ ও ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে নৌযানের গতিরোধ করে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক মালামাল নিয়ে যায়।
গতকাল রবিবার সকালে বাজার গুদারা ঘাটে থাকা একটি নৌকা জোর পূর্বক নিয়ে চাঁদাবাজী করতে নামে। তাতে রাজী না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা নৌকার মালিককে মারধোর করে। এবং সকল নৌকা মালিকগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে অনিদিষ্ট কালের জন্য নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেন। প্রায় ৩ঘন্টা বন্ধ থাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পার্শ্বে শত শত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, শ্রমিক, দিন মজুর, চাকুরীজীবি ও সাধারণ মানুষ আটকা পরে। পরে ইজারাদার মো. ইসমাইল হোসেন সন্ত্রাসীদের সাথে কথা বলে নৌকা মালিকদের হয়রানী ও চাঁদা বাজী বন্ধের আশ্বাস দিলে নৌকা মালিকগণ লোকজন পাড়াপাড় শুরু করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নৌকার মালিক জানান, সন্ত্রাসী আশিক, খোফা শাহিন, স্বজল, নাঈম, হƒদয়, নেয়ামুল, ছানাউল্লাহ, বাবুল ও বজলু জোর পূর্বক আমাদের নৌকা নিয়ে গভীর রাত্র থেকে শীতলক্ষা নদীতে মালামাল ভর্তি নৌকা থামিয়ে চলে ব্যাপক চাঁদাবাজী করে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে থাকলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। নদী পথে চাঁদাবাজী বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করছে নৌকা মালিকগণ।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে প্রতিবেদক বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কি নৌকা নিয়ে নদীতে বসে থাকব? আপনারা চাঁদাবাজদের ধরে ধানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ লাম আজাদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।