শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

কালিয়াকৈরে বৃষ্টির পানি আটকে তিন শতাধিক বাড়ী প্লাবিত

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গত ৩দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টির পানি আটকে প্রায় তিন শতাধিক বাড়ী প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে ওই সকল এলাকার শত শত মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আন্ধারমানিক, সফিপুর, হরিণহাটি, বিশ্বাসপাড়া, রাখালিয়াচালা এলাকার বাড়ীগুলোতে বৃষ্টির পানি আটকে হাটু পানি হয়েছে। চলতি বছরের এই প্রথম প্রবল বৃষ্টির পানিতে মালেক চৌধুরী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সফিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়  মাঠে জলাবদ্ধতা পানিতে স্কুলটি শ্রেণি কক্ষে দুই ফুট পানি হয়। ফলে সকালেই শিক্ষার্থীদের স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় বলে স্কুল প্রধান জানান।
সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ, বারান্দায় ও ক্লাশ রুমে পানি ঢুকে পরে।  বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে চলমান ড্রেনে পানি নিস্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকার কারণে ওই দুইটি বিদ্যালয়ের মাঠে
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, উপজেলার সফিপুর বাজার ও আশপাশের বাসাবাড়ীর পানি নিস্কাশনের ড্রেন স্কুলের পাশ দিয়ে নির্মান করা হয়েছে। কিন্ত বর্তমানে স্কুলের পাশ দিয়ে নির্মান করা পানি নিস্কাসনের ড্রেনের বেশির ভাগ স্থানে ভেঙে ডেবে  গেছে। ফলে ওই ড্রেন দিয়ে ঠিকমত পানি নিস্কাশিত হতে না পেরে তা স্কুলের মাঠে প্রবেশ করছে। সফিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমেনা খানম বলেন, বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে সফিপুর বাজার সহ আশপাশের পানি নিস্কাসনের জন্য তৈরি করা ড্রেনের উপর দিয়ে বিভিন্ন শিল্প কারখানার বড় বড় লড়ি ও মাটির ট্রাক চলাচল করার ফলে ড্রেনের বেশির ভাগ স্থানে ভেঙে গেছে। ফলে ড্রেন দিয়ে টিকমত পানি যেতে না পেরে তা বিদ্যালয়ের মাঠে প্রবেশ করার ফলে  পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়ের পানি নিস্কাসনের সমস্যাটি দীর্ঘদিনের।
এদিকে আন্ধার মানিক গ্রামের বাবুল মিয়া জানান, শাহাবুদ্দিন স্পিনিং মিল কর্তৃপক্ষ কারখানার আশপাশের জমি ক্রয় করতে না পেরে পানি নিস্কাশনের   ড্রেনের মুখটি বন্ধ করে  দিয়েছে। ফলে এলাকার কম পক্ষে ৫০টি বাড়ীতে  কোমড় পানি জমে রয়েছে। ড্রেনের বাধের মুখ খুলে না দিলে এ বাড়ীর পানি স্থায়ী জলাবদ্ধতার রুপ নিবে।
হরিণ হাটি গ্রামের আলমগীর হোসেন জানান, পৌর এলাকার একটি নির্মাণাধীন ড্রেনের কাজ  শেষ  না হওয়ায় ড্রেনটি দিয়ে পানি নামানোর মুখ বন্ধ রয়েছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই শত শত বাড়ীতে পানি উঠে যায়।
ওই এলাকার বাসিন্দা বাবুল মিয়া জানান, ওই এলাকায় শাহাবুদ্দিন কারখানার কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তারা ড্রেনের ব্যবস্থা করেনি। লোকজনের  ঘরবাড়ীর পানি বের হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতার কারনে পানি যেতে না পেরে ঘরবাড়ীতে পানি উঠে পরেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা তৈয়ব আলী বলেন, শুধু বৃষ্টির কারনে নয় সারা বছর পানি জমে থাকে। পানি যাবার কোন ব্যবস্থা নেই। ড্রেন নিমৃানের আবেদন জানানো হয়েছে। অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা হয়নি। দ্রুত পানি স্কিাশনের ব্যবস্থা ও ড্রেন নির্মানের দাবী জানাচ্ছি।
প্যানেল মেয়র সামছুল আলম জানান, শিল্পশহর খ্যাত কালিয়াকৈরের পৌর এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ী নির্মাণ করার কারণে এ জলাবদ্ধতার সাময়িক সৃষ্টি হচ্ছে। তবে কোটি টাকার ব্যয়ে নির্মাণাধীন ড্রেনের কাজ শেষ হলে এ দুর্ভোগ থাকবে না।