শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

কালিয়াকৈরে কলেজ ছাত্র ধর্ষন করেছে প্রতিবন্ধীসহ ৩ শিশুকে !

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কুশলনাথ এলাকায় এক লম্পট কলেজ ছাত্র কর্তৃক প্রতিবন্ধীসহ ৩ শিশু একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে শিশুদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।
বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণের শিকার শিশুদের মধ্যে একজন প্রতিবন্ধী ও একজন স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী এবং অপরজন একই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য ৩ শিশুর পরিবারকে থানায় যেতে দেয়া হচ্ছেনা বলে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা দাবী করেছেন।
এলাকাবাসী ও ধর্ষিতা শিশুরা জানিয়েছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কুশলনাথ গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের লম্পট পুত্র নাইম হোসেন (১৯) ওই ৩ শিশুকে মোবাইলে গান দেখানোর কথা বলে কাছে ডেকে নেয়। পরে তাদেরকে মোবাইলে অশ্লিল ছবি দেখিয়ে উৎসাহ দিয়ে ও চকলেট খাবারের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে, ঘটনাটি কাউকে বললে শিশুদের বাবা মাকে জানিয়ে দিবে এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশের সবার কাছে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। এভাবে পর্যায়ক্রমে এক মাস যাবৎ ধষর্ণ করে আসছে শিশুদের। ধর্ষণের ফলে গত বৃহস্পতিবার ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রীটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী শিশুর মা দাবী করেছেন, স্থানীয় মাতাব্বরা বিচারের দায়িত্ব নিয়েছেন। দরিদ্র ও অসহায়তার কারণে তারা এখন সঠিক বিচার পাবে কি না এনিয়ে দ্বিধা দ্বন্ধে রয়েছেন।  
এ ব্যাপারে ধর্ষক নাইমের বড়বোন নাজমিন আক্তার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, “৩ জনই ছোট্ট শিশু, বিভিন্ন সময় মোবাইলে গেম খেলেছে দেখেছি। নাইম  গাজীপুরের ভাওয়াল মির্জাপুর ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র। তার দ্বারা এধরণের কাজ অসম্ভব”।
স্থানীয় মাতাব্বর মোঃ আব্বাস আলী সিকদার জানান, বিষয়টি লজ্জাকর ও দুঃখজনক।
স্থানীয় কুশনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বিউটি আক্তার জানান, ওরা অবুঝ শিশু ওদের ৩ জনকে পৃথকভাবে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করায় প্রত্যেকেই ধর্ষিত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
কালিয়াকৈর থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।