শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

বিচার মানি তালগাছ আমার গাজীপুরের ভোগড়ায় হারেজের প্রতারণা

লিমা ইসলাম : গাজীপুর জেলার ভোগড়া এলাকার মৃত মোঃ খলিল উল্লার পুত্র অসহায় সফিজদ্দিন গংদের ৯০ নং ভোগড়া মৌজার, ৩৫ শতাংশ ভুমি আত্বসাৎ করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন। বিগত ২৩/৩/১৫ইং তারিখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ হেড কোয়ার্টার ও গাজীপুর পুলিশ সুপার বরাবর, লিখিত অভিযোগ দেন অসহায় সফিজদ্দিন। গাজীপুরের পুলিশ সুপার অভিযোগটি হস্তান্তর করেন সহকারী এসপি, মোহাম্মদ সুলাইমান সাহেবকে, তিনি দায়িত্ব ভার দেন, এস আই দেলোয়ার কে তিনি উভয় পক্ষকে গত ২০/৪/১৫ ইং তারিখে হাজির করেন । মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র মোঃ হারেজ গং এর পক্ষে আসেন, সাবেক মেম্বার মন্তাজউদ্দিন সহ আরো অনেকে। হারেজ এর পক্ষে সাবেক মেম্বার মন্তাজ উদ্দিন, গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে শেষ করার আবেদন জানান এবং উভয় পক্ষের উপ¯ি’িততে, এস আই দেলোয়ার আপোষ নিষ্পত্তির জন্য দিয়ে দেন গ্রামে। এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে পর পর দুই বার বসলেও কোন সুড়াহা হয়নি। পরে বিষয়টি সহকারী এসপি নিজে উভয় পক্ষকে আবারও সময় দেন এবং বিবাদীকে বলেন নিষ্পত্তি না পর্যন্ত সম্পুর্ন কাজ বন্ধ রাখার জন্য। গত ১১/৬/১৫ইং তারিখে লিখিতভাবে আপোষ মিমাংসার জন্য বসেন উভয় পক্ষ। ৩টি দাগের ভোগড়া মৌজার দুটি দাগের মিমাংসা হয়।  শালিস করেন এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিরা। অসহায় সফিজউদ্দিন এর পক্ষে ছিলেন আইনজীবি এড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, এড. মোঃ বি.এম.নাজিবুল হক শাহিন, সহকারী আইনজীবি মোঃ হাবিব, সাংবাদিক রুবেল সরকার, মাহাবুবুর রহমান আকাশ, মোকশেদা ইসলাম লিমা। চালাক চতুর হারেজ গং এর পক্ষে ছিলেন এড. শরফউদ্দিন, এড. আজহারুল ইসলাম কাজল, মোঃ ইসমাইল, মনির হোসেন, সাবেক মেম্বার মন্তাজ আলী সহ আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেম্বার আতাউর রহমান, হাজ্বী রফিজ উদ্দিন। দীর্ঘদিন যাবৎ তিন দাগের দুই মৌজার জমি নিয়া বিরোধ চলছিল। গ্রাম্য শালিসে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ভোগড়া মৌজার ৪২০ দাগের ৭০ শতাংশ ৪২৪ দাগে.৫৩ শতাংশ, ৪৪ দাগে.৮২ শতাংশ, এই জমির মিমাংসা করা হয়। আদেপাশা মৌজার একটি দাগের ৮২ শতাংশ মিমাংসার বাকি আছে। ভোগড়া মৌজার ৪২০ দাগের ৭০ শতাংশ, জমির ফয়সালা করা হয়। সফিজউদ্দিন গংদের  ৩৫ শতাংশ জমি। হারেজ গং এর ৩৫ শতাংশ জমি। ১১-৬-১৫ ইং তারিখ বিকাল ৪.ঘটিকা হইতে-রাত ৯.০০ ঘটিকার সময়, উভয়পক্ষের মধ্যে মিমাংসা করা হয়। গত ১৩-৬-১৫ ইং তারিখ রোজ শনিবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় ৩৫ শতাংশ জমি সফিজউদ্দিনকে সার্ভেয়ার এর মাধ্যমে মাপ ঝোক করে দখল বুঝাইয়া দিবেন। ঘটনা চক্রে শনিবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় সার্ভেয়ার ঘটনাস্থলে আসলে ভূমিলোভী হারেজ ও আজিজ গং অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে সার্ভেয়ারদের তারিয়ে দেন, এবং মারমূখী হন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেম্বার মোঃ আতাউল্লাহ, হাজ্বী রফিকউদ্দিন,মোঃ ইসমাইল এবং এলাকাবাসী। এক পর্য্যায়ে সফিজদ্দিন গংরা তাদের নিজ বাড়িতে চলে আসেন এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা চলে যান। যদিও উভয় পক্ষের একটি আপোষ মিমাংসার কাগজে স্বাক্ষর হয়। জমি বুঝাইয়া দেওয়ার কথা থাকলেও জমি বুঝিয়ে দেননি। এ ছাড়াও কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বেপোরোয়া হারেজ গংরা একের পর এক ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন অসহায় সফিজ উদ্দিন গং। গত ১৪-০৬-১৫ ইং তারিখে হারেজ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৪২০ দাগের ৭০ শতাংশ ভূমির মিমাংসার কথা থাকলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন কোন প্রকার ভূমি মাপ দেওয়া হবে না জমি আমার আমি সব জমির মালিক। যদি পারেন তবে আপনারা মাপ দিয়ে নিয়ে নেন। আমি পারলে ঠেকামো। পরে হারেজের কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনার ও ভাই আজিজ এর নামে জয়দেবপুর থানায় মামলা আছে, যার নং ১১১,তারিখ ২৩/১/১৫ এবং মামলা নং-৮৫, তারিখ ১৭/২/১৫ইং তিনি বলেন আমি লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে শক্তি কিনে নিয়েছি তাই আমার কোন ভয় নাই। আমি কাওকে ভয় করিনা। আপনার নামে গাড়ী পোড়া মামলা আছে, আপনাকে যে কোন সময় গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ। তিনি বলেন আমাকে পুলিশ ধরবেনা, আমি প্রতিদিন এসপি অফিসে যাই। আমার সাথে আপনারা কোন রকম বাড়াবাড়ি করবেন না। এই ভাবে হারেজ হুমকী দিয়ে ফোন কেটে দেন। বর্তমানে সফিজদ্দিন সপরিবার নিয়ে অনিরাপত্তায় ভোগছেন। সফিজদ্দিনের আকুল আবেদন পুলিশ সুপারের কাছে যেন এ অত্যাচার থেকে মুক্তি পান।