কাজী মোসাদ্দেক হোসেন : ভারতের শিবচরণ যাদব। বয়স ৮১ বছর। তিনি রাজস্থান শিক্ষা বোর্ডে অধীন ৪৬ বার পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দশম শ্রেণী পাস করতে পারেন নাই। হিন্দুস্তানের নাগরিক হয়ে তিনি হিন্দি বিষয়ে গত পরীক্ষায় ৩ ও আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজীতে পেয়েছিলেন ০ । প্রতিজ্ঞা করেছিলেন পাস না করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন না - তাই বিয়ের প্রশ্নই আসে না। আবারও তিনি পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আমরা ষাট এর দশকে অষ্টম শ্রেণীতে আদু ভাইয়ের গল্প পড়েছি। তিনি বেশ কয়েকবার পরীক্ষা দিয়ে নবম শ্রেণীতে ঊত্তীর্ণ হতে পেরেছিলেন, তবে ফলাফল ঘোষণার আগেই তিনি পরপারে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তাই তার সমাধিতে লেখা ছিল - ‘হেয়ার স্লিপ আদু মিয়া হু ওয়াজ প্রমোটেড ফ্রম ক্লাস এইট টু ক্লাস নাইন’।
শিক্ষার কোন বয়স নেই। আমাদের দেশেও এধরনের খবর মাঝে মাঝে ছাপা হয়। সত্তর বয়সে এসএসসি বা আশি বছর বয়সে ডিগ্রি পাসের নজির আছে অনেক। পরীক্ষার আগে পরে বা চলাকালীন কোন দুর্ঘনা বা কোন অনিবার্য কারনে ফলাফল আশানুরূপ না হলে অনেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে লেখাপড়া বন্ধ করে দেন। একবার অকৃতকার্য হলেই হাল ছেড়ে দেন অনেকেই। আত্মবিশ্বাসের অভাব ও লক্ষ্যমাত্রা না থাকায় এমনটা হয়ে থাকে। প্রতিভাবান অনেকেই আছেন যারা একটি বিষয়ে পড়ালেখা করেই ক্ষ্যান্ত দেন। ইচ্ছা করলে তারা প্রাইভেট বিদ্যালয় বা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মত দূরশিক্ষণ মাধ্যমে লেখা পড়া করে নিজেকে অধিক সক্ষম ও উপার্জণক্ষম করে গড়ে তুলতে পারেন। স্বচ্ছলতা আনতে পারেন পরিবারে, বদলে দিতে পারেন সমাজ। অনূকরণীয় হতে পারেন অন্যদের কাছে।
আজকের আধুনিক বিশ্বে বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তির চরম ঊৎকর্ষতার সোনালী যুগে শিক্ষার আগ্রহ, বড় হওয়ার স্বপ্ন ও সমাজের বৃহৎ জনগোষ্ঠির কল্যাণ চাইলে বিদ্যা শিক্ষার পথে কোন বাধা আজ আর বাধা নয়। প্রয়াত আদু ভাই বা জীবন্ত যাদব বাবুদের অকৃতকার্যের হতাশা বা পাছে লোকে কিছু বলে- কোন কিছুই তাদের লক্ষ্য ও চেষ্টা থেকে সরাতে পারে নাই। কথা একটাই- একবার না পারিলে দেখ শতবার।
আমরা ষাট এর দশকে অষ্টম শ্রেণীতে আদু ভাইয়ের গল্প পড়েছি। তিনি বেশ কয়েকবার পরীক্ষা দিয়ে নবম শ্রেণীতে ঊত্তীর্ণ হতে পেরেছিলেন, তবে ফলাফল ঘোষণার আগেই তিনি পরপারে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তাই তার সমাধিতে লেখা ছিল - ‘হেয়ার স্লিপ আদু মিয়া হু ওয়াজ প্রমোটেড ফ্রম ক্লাস এইট টু ক্লাস নাইন’।
শিক্ষার কোন বয়স নেই। আমাদের দেশেও এধরনের খবর মাঝে মাঝে ছাপা হয়। সত্তর বয়সে এসএসসি বা আশি বছর বয়সে ডিগ্রি পাসের নজির আছে অনেক। পরীক্ষার আগে পরে বা চলাকালীন কোন দুর্ঘনা বা কোন অনিবার্য কারনে ফলাফল আশানুরূপ না হলে অনেকেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে লেখাপড়া বন্ধ করে দেন। একবার অকৃতকার্য হলেই হাল ছেড়ে দেন অনেকেই। আত্মবিশ্বাসের অভাব ও লক্ষ্যমাত্রা না থাকায় এমনটা হয়ে থাকে। প্রতিভাবান অনেকেই আছেন যারা একটি বিষয়ে পড়ালেখা করেই ক্ষ্যান্ত দেন। ইচ্ছা করলে তারা প্রাইভেট বিদ্যালয় বা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মত দূরশিক্ষণ মাধ্যমে লেখা পড়া করে নিজেকে অধিক সক্ষম ও উপার্জণক্ষম করে গড়ে তুলতে পারেন। স্বচ্ছলতা আনতে পারেন পরিবারে, বদলে দিতে পারেন সমাজ। অনূকরণীয় হতে পারেন অন্যদের কাছে।
আজকের আধুনিক বিশ্বে বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তির চরম ঊৎকর্ষতার সোনালী যুগে শিক্ষার আগ্রহ, বড় হওয়ার স্বপ্ন ও সমাজের বৃহৎ জনগোষ্ঠির কল্যাণ চাইলে বিদ্যা শিক্ষার পথে কোন বাধা আজ আর বাধা নয়। প্রয়াত আদু ভাই বা জীবন্ত যাদব বাবুদের অকৃতকার্যের হতাশা বা পাছে লোকে কিছু বলে- কোন কিছুই তাদের লক্ষ্য ও চেষ্টা থেকে সরাতে পারে নাই। কথা একটাই- একবার না পারিলে দেখ শতবার।