শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

টঙ্গীতে মাদকের ভয়ংকর ছোবল থেকে রেহাই পাচ্ছেনা স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা

মাদক ব্যবসা প্রতিবাদ করায় যুবক লাঞ্জিত

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গীতে মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক ব্যবসায় প্রতিবাদ করায় মাদকসেবীদের হাতে লাঞ্জিত হয়ে এলাকা ছাড়তে হয়েছে এক যুবককে। জানা যায়,  টঙ্গী এলাকা মাদক ব্যবসায়ী আল-আমিন অরফে ফেন্সি আল আমিন, সাহিদা, তাজুল ইসলাম (ইনটেক), রাজিয়া অরফে ফেন্সি রাজিয়া, রফিক অরফে ফেন্সি রফিক, বাদশা, সুমন, ছালাম অরফে সামু, কামরুল হাসান, টিটু , মিরাশ পাড়া এলাকার বিপ্লব, গাজা ব্যবসায়ী লিটন, ফেন্সি রুবেল, ইয়াবা বিপ্লব, সুমন, ইসমাইল, আলেরটেক এলাকার আল আমিন, নদীবন্দর কালা বিল্লাল, দক্ষিন পাড়া এলাকার খেউরার পোলা, ব্যাংকের মাঠের ময়না, সুজন, ইদ্রিস, কেরানিরটেকের দেলোয়ার, রনি অরফে বেস্তি রনি, শাহিন অরফে কাউয়া শাহিন, পিলু এরা দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এমন কোন এলাকা বা বস্তি নাই যে, যেখানে কোন মাদক বিক্রি না হচ্ছে। এসব বস্তির অলিতে গলিতে সর্বত্রই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা, ফেনসিডেল, মদ, গাজা, হিরোইন, পেথেডিন ইনজেকশিনসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য। এসব মাদক ব্যবসায়ীরা টঙ্গী থানা এলাকাকে যেন মাদকের হাটে পরিনত করছে, দেখার কি কেউ নেই এমনই জনসাধারনের? টঙ্গী প্রতিটিই বস্তি এখন মাদকের সর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত, টঙ্গীতে ছোট বড় সব মিলে ১৯টি বস্তি রয়েছে। এসব বস্তির প্রায় ৮০ ভাগ লোকই কোন কোন অবৈধ ব্যবসা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। এসব বস্তির বাসীর অপকর্মের ফলে টঙ্গীর সুশিল সমাজ অনেক জায়গায় বিব্রত ও লজ্জাবোধ করে আসছেন। পাশাপাশি আশেপাশের থানার লোকজন মনে  করেন বস্তি বাসীর মতই টঙ্গী বাসী। এজন্য বস্তির ৮০ ভাগ লোকদের  জন্য টঙ্গী বাসী কলঙ্গিত। টঙ্গী থানার মাদকের হাট হিসেবে পরিচিত ভয়ঙ্গকর বস্তিগুলো হচ্ছে টঙ্গী বাজার এলাকার গোহাটা বস্তি, হাজী মাজার বস্তি, এরশাদ নগর বাস্তুহারা বস্তি, নতুন বাজার এলাকার ব্যাংকের মাঠ বস্তি, আমতলি এলাকার কেরানীরটেক বস্তি, রেলওয়ে বস্তি, মাছিমপুর এলাকার জিন্নাতের পিছনের বস্তি, নিশাতনগর এলাকার পিছনের বস্তি, চুড়ি ফ্যাক্টরির বস্তি, তেতুলতলা বস্তি, সিপাই পাড়া বস্তি, নামা বাজার বস্তি, কলাবাগান বস্তি, বেক্সিমকোর পিছনের বস্তি, টঙ্গী মেডিকেলের পিছনের বস্তি, পরানমন্ডলের টেক কাঠালদিয়া বস্তি, আউচপাড়া এলাকার মোল্লা বাজার বালুর মাঠ বস্তি, নোয়াগাও এলাকার বাহার আলীর টেক বস্তি, নেকার বাড়ী বস্তি, বেলতলা বস্তি, সান্ডারপাড়া বস্তি, সাতইশ এলাকার নাজিম ফ্যাশনের পিছনের বস্তি, গুটিয়া বস্তি, ইন্টান্যাশনাল মেডিকেলের পিছনের বস্তি, খৈরতুলের ব্যাংকপাড়া বস্তিসহ নাম না জানা আরও অনেক বস্তি ও এর অলি গলি মাদকের মোকাম হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় একটি সচেতন মহল জানান সরকার দলীয় এক শ্রেনীর প্রভাবশালী কিছু নেতাদের ছত্র ছায়ায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় কিছু অসাধু অফিসারের সহযোগিতায় দেদার্চে চালিয়ে যাচ্ছে ফেনসিডেল, হেরোইন, মদ, গাজা, ইয়াবা, পেথোডিনসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসা। আর এ মাদক দ্রব্য রিক্সা চালক থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা হাবুডুবু খাচ্ছে মাদকের এই ভয়ংকর নীল নেশায় জড়িয়ে পড়ে। এতে করে মাদকের মরণ থাবায় ছাত্র ছাত্রী ও বেকার যুব সমাজ ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে। তা অভিভাবক এবং সচেতন মহলকে উদ্বীগ্ন করে তুলছে । এমনকি সমাজের গরবী – ধনী, নি¤œ আয়ের পেশা জীবীরাও দিন দিন মাদকের আসক্ত হয়ে পড়ছেন। খোজ নিয়ে জানা গেছে দেশের বিভিন্ন  রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অবৈধভাবে ঢুকছে এই ফেনসিডেল, হেরোইন, মদ, গাজা, ইয়াবা, পেথোডিনসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শতাধিক ব্যক্তিতে নিয়ন্ত্রন করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ, তৃনমূল পর্যায়ের ব্যক্তিরা। ইদানিং এসব অবৈধ মাদক বিক্রেতারা নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাসহ থানা পুলিশ, জিআরপি পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসহারা (মাসিক ঘুষ) নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। মাঝে মধ্যে টঙ্গী থানা পুলিশ ও জিআরপি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছোট ছোট দুএকটি মাদকের চালান আটক করলেও মূল হোতারা থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। আবার অনেক মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও আইনের ফাক ফোকরে বেরিয়ে এসে তারা পুনরায় এই অবৈধ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। এতে করে আইনের কঠোর প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন এ অবৈধ মাদক ব্যবসা মহামারি আকার ধারন করছে।  এতে এলাকা নিরীহ যুবক, স্কুল-কলেজগামী ছাত্র ও অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। তাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম চঞ্চল মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবাদ করে আসছে। মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মোবাইল ফোনে তাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলার স্বীকার হয়ে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইতিপূর্বে টঙ্গী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর সহযোগীতায় টঙ্গী এলাকার মিরাশপাড়া, টঙ্গী বাজার, মধুমিতা, আরিচপুর, বউবাজার, হাজীর  মাজার বস্তি, টঙ্গী নতুন বাজার, ব্যাংকের মাঠ বস্তি, মেঘনা রোড এলাকার প্রায় ৩০/৪০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের পুলিশের সহযোগিতায় আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীরা আদালত থেকে জামিনে এসে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ তাকে অভিনন্দন জানালেও মাদকসেবীদের ভয়ে সে দিশেহারা হয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। টঙ্গী বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে। টঙ্গী বিভিন্ন এলাকার সমাজের সমাজপ্রতিদের সহযোগীতায় বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসা  টঙ্গী বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।