শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

গাজীপুর গোয়েন্দা বিভাগে তিন তারকা সমাচার-২

স্টাফ রিপোর্টার : গত ২১মে বৃহস্পতিবার গাজীপুর গোয়েন্দা বিভাগের ওরা তিন তারকা শীর্ষক একটি সংবাদ প্রথম পাতায় বেশ গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়। সংবাদটি গাজীপুরবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সাধুবাদ জানানোসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে এ প্রতিবেদককে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। গাজীপুর গোয়েন্দা বিভাগের তিন তারকা এস.আই.মোস্তাফিজ, এস.আই আলিম ও এস.আই মামুন। এই তিন তারকা শুধু গাজীপুর গোয়েন্দা বিভাগকেই নয় পুরো পুলিশ প্রশাসনকেই কলুষিত করেছে। গাজীপুর পুলিশ সুপার মহোদয়কে গাজীপুরের জনগণ অত্যান্ত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছিলেন। পুলিশ সুপার হারুন অর-রশিদ আমাদের গর্ব। তিনি মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত গাজীপুর গড়ে তুলতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সফল হননি এটা বলা যাবে না। তিনি তাঁর পরিকল্পনা অনেকাংশে সফল করে ফেলেছিলেন। কিন্তু কতিপয় দুুষ্ট প্রকৃতির কর্মকর্তা তাঁর সফলতার মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন উল্লেখিত তিন তারকা। যারা মাদক ব্যবসায়ী ধরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আবার তাদের ছেঁড়ে দেন। এতে করে মাদক নির্র্মূল তো দূরের কথা বরং মাদক বিক্রেতারা উৎসায়িত হচ্ছে। মাদকের করাল গ্রাসে আজ আমাদের যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে পতিত। যত্রতত্র মাদকের বেঁচাকেনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। মাদক নির্মূলে যাদের ওপর নির্ভর করবো তাঁরাই যদি ঘুষের বিনিময়ে মাদক বিক্রেতাদের সহযোগীতা করে তবে আমাদের বলতেই হয় সর্ষের মধ্যে ভূত। ভূত তাড়াতে যে সর্ষে আনা হলো সেই সর্ষেতেই যদি ভূত থাকে তবে ভূত যাবে কি করে। বাস্তবতা হচ্ছে এস.আই মোস্তাফিজ এ জেলায় পূর্বে দীর্ঘদিন চাকুরী করেছেন। সেই সুবাধে মাদকের নারী-নক্ষত্র সব তাঁর চেনা জানা। এখন ডিবি’র ভয় দেখিয়ে ষোলকলা পূর্ন্য করছেন তিনি। গাজীপুরের মরকুন, কেরানীর টেক, গোপালপুর মরকুন, মাজুখান, মিলগেইট, পুবাইলসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক স্পট থেকে ওই তিন তারকা মোটা দাগের মাসোহারা আদায় করে থাকেন। দেলোয়ার হোসেন দেলু, খালেক, সাহেদা, জাহাঙ্গীর, পারুলী। এরা প্রত্যেকেই বড় মাদক ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে কেউ ফেন্সীডিলের পাইকারী বিক্রেতা আবার কেউ ইয়াবার বড় ব্যবসায়ী। একটি সূত্র জানায়, কুখ্যাত এই মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ওই তিন তারকা মাসে ১০/১২ লাখ টাকা মাসোহারা পেয়ে থাকেন। তাছাড়া পূবাইল এলাকার হোসনা ও নিপা ওই তিন তারকাকে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাদকের ব্যবসা করে আসছে। কাশিমপুর এলাকার রাইস মিল (সারাপাড়া) এলাকার জাহানারার ছেলের বউ বিশিষ্ট গাজা ব্যবসায়ীকে গত ২২মে ৫ কেজি গাজাসহ এস.আই মোস্তাফিজ আটক করে। পরবর্তীতে ৫০ হাজার টাকা আপোষ রফা করে তাকে ছেঁড়ে দেন এস.আই মোস্তাফিজ। মানুষ এখন মনে করছে পুলিশ সুপার যদি এ সব অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।