শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

গাজীপুরের মনিপুরে আলমাছ কাজ্বীর মাদ্রাসায় ছাত্রকে বেধুম প্রহার ঃ শিক্ষক বহিস্কার


স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর সদর উপজেলা ভাওয়াল গড় ইউনিয়নে মনিপুর গ্রামে “হাজ্বি আলমাছ কাজ¦ী কারিমিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা” মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি অল্প সময়ের মধ্যেই দশ জনের সহযোগীতায় বিশেষ করে পাশে ইউটা গ্রোপের অনুদানের কথা অসিকার করার মতো নয়। সেখান থেকে প্রতিমাসে বেতন হলেই সুপার ফাইজারের মাধ্যমে টাকা কালেকশন করে সহযোগীতা করে আসছে। এছাড়া প্রত্যেক ফসল উৎপাদন মওসুমে গ্রামে গ্রামে শিক্ষক ও এতিম ছাত্রদের দিয়ে ধান, কাঁঠাল ও বাঁশ পর্যন্ত কালেকশন করাচ্ছে। এমন কি প্রতি বছর ২/৩টি ইসলামী ওয়াজ মাহফিল দিয়ে হাজার হাজার টাকা আয় করছে। এছাড়াও মাদ্রাসার সোনার এতিম ছেলেদের কাছ থেকে বেতন হিসেবে নিচ্ছে ৩৫০ টাকা। লোক মুখে শুনেছি, বাহিরের কোন মাদ্রাসার ছাত্র অথবা শিক্ষক বা কোন মাদ্রাসার সওয়ালকারী আশেপাশে আসলে তাকে অপমান অপদস্ত করে। এই মাদ্রসার কমিটি ও শিক্ষকগণ মাদ্রাসার জন্য এত কঠুর পরিশ্রম করেছেন যা বর্ণণাতীত। কোন কোন কেজি স্কুলের বেতন যখন ১০০ টাকা তখন  “আলমাছ কাজী কারিমাতুল কারীম মাদ্রাসার ছাত্রদের বেতন ৩০০ টাকা  বর্তমান বেতন ৩৫০ টাকা। অথচ এতিম খানার নামে ছাত্রদের দিয়ে চলছে আলমাছ কাজির মাদ্রাসার ব্যবসা।
সূত্রে জানা যায় যে ছাত্ররা রাতদিন পড়ার মধ্যে থেকে কোরআন শরীফকে মুখস্ত করে তাদের দিয়ে বিভিন্ন ভাবে টাকা কালেকশন করে মাদ্রাসার উন্নয়ন করে আসছে। কিন্তু আজ সেই ছাত্র মোঃ এমদাদুল (১১) মারবেল খেলার অপরাধে গত ২৮ শে এপ্রিল রোজ সমঙ্গলবার সকাল ৮ ঘটিকায় অত্র মাদ্রসার শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক তাকে বেধম প্রহার করে অজ্ঞান করে ফেলে। এমনকি কাউকে বললে আগামীকাল আরও বেত্রাঘাত করা হবে বলে তাকে শাসায়। বেত্রাঘাতের পর এমদাদুলকে কোন শিক্ষক বা কমিটির কেউ চিকিৎসা দেয়াতো দুরের কথা, কোন ছাত্রকে  এ বিষয়ে মুখ খুলতে দেয়নি শিশু নির্যযাতন কারী  শিক্ষক মোজাম্মেল হক। এদিকে ওস্তাদের পিটুনীর ব্যথা সহ্য করতে পারছিলনা ছেলেটি। ব্যথায় যন্ত্রনায় জ¦রে কাতরাচ্ছিল। বড় ভাই মোঃ জাহিদুল ইসলাম তার অবস্থা দেখে গায়ে হাত বুলালে বড় ভাইকে বলে- ভাইয়া তোমার হাতটা সরাও, আমার কিছুই হয়নি। বড় ভাই দেখতে পায় তার হাতে বেত্রাঘাতের চিহ্ন। তার গায়ের কাপড় খোলার পর সারা শরীরে ২০/৩০ টি বেতের আঘাত দেখতে পেয়ে  বড় ভাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং জড়িয়ে ধরে ছোট ভাইকে। জিজ্ঞেস করে কে তোকে মারছে? অনেকক্ষণ কান্নার পর ছোট ভাই এমদাদুল হক বলে- আমি বসে আছি, আমার বন্ধুরা সেখানে ওরা মারবেল খেলতেছিল। আমার দিকে একটি মারবেল ছুড়ে মারলে এমনি হুজুরে তা দেখে ফেলে। পরে আমাকে হাতে, পিঠে ও পাছায় খুব জোড়ে পিটিয়ে সারা শরীর জখম করে। আরও বলেন বাসায় কারো কাছে যদি বলিস তাহলে কাল আবার পেটাব। আমি হজুরের ভয়ে তুমাকে বলিনি ভাইয়া। বড় ভাই বিষয়টি জানার পর খুব মর্মাহত হন এবং কমিটির কাছে বিচার দাবী করেন। আরও জনা যায় এরকম প্রহার করে অনেকের হাত পর্যন্ত ভেঙ্গে দিয়েছে যারা পিটির ভয়ে পি/মাতাকে কিছুই বলেনি। পড়ালেখা বন্ধ করে হয়তো মা-বাবার গালী খাচ্ছে অথবা কোথাও সিএনজি /লেগুনা গাড়ির হেলপার গিরি করতেছে। তাদের জীবন হচ্ছে ধবংস। এরকম অমানষিক নির্যাতনের ফলে ছাত্রদের ব্রেনে আঘাত পাচ্ছে। ফলে আশানুরুপ ফল পাচ্ছেনা পিতা-মাতা বা গার্জেন। বিষয়টি জানা জানি হলে এলাকার সচেতন ব্যক্তিবর্গগণ  ক্ষিপ্ত হয়ে র্নিযাতিত ছাত্রদের অভিভাবকসহ মাদ্রাসার আঙ্গিনায় তারা অবস্থান গ্রহণ করে। বাধ্য হয়ে শিক্ষককে গত ২৯ শে এপ্রিল মাদ্রাসার কমিটি ও জনসাধারণকে সান্তনা মূলক আশ্বাস দিয়ে শিক্ষক মোজাম্মেল হককে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করেন।
“হাজ্বি আলমাছ কাজ¦ী কারিমিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা” কারীম মাদ্রাসা” ছাত্রদের সহিত এই রকম অমানবিক, পাশবিক, মানুষিক প্রেশার, লোম হর্ষক ও সরকারী নিয়ম বহির্ভূত এ রকম ঘটনা চালিয়ে আসছে মাদ্রাসার শুরু লগ্ন থেকেই। এই শিক্ষক (মােঃ মোজাম্মেল হক) আয়শা সিদ্দিকা মহিলা মাদ্রাসা নামে আরও একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল। জনগনের মনে প্রশ্ন ? সেপুরুষ হয়ে মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হয় কি ভাবে? বিস্তারিত আসছে পরর্বতী চলমান পাতায়।