কাজী মোসাদ্দেক হোসেন : এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গাজীপুর শহরের কাজী আজিমউদ্দিন কলেজের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার আব্দুল আলী স্বপন (৩০) ওই কলেজের ইংরেজির প্রভাষক। তাকে বুধবার সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তার বাড়ি গাজীপুর সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকায়। আদালত বৃহস্পতিবার লম্পট শিক্ষকে কারাগারে প্রেরন করেছে।
কালীগঞ্জ থানার এসআই মো. মনিরুজ্জামান জানান, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তার ইউনিয়নের দড়িবাগুন গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাকে ধরে এলাকাবাসী পুলিশে দেয়। পরদিন বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধর্ষিতা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মামলায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ওই তরুণী বাসায় একা থাকার কথা জানতে পেরে স্বপন সেখানে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে পালাতে গিয়ে স্বপন ধরা পড়েন।
বাদীর বরাত দিয়ে এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, শিক্ষক স্বপন ওই ছাত্রীকে অনেকদিন ধরেই নানা ধরনের প্রলোভন ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন বাদীর মা ও বাড়ির অন্য সদস্যরা চিকিৎসার জন্য শহরে ছিলেন। এই সুযোগে স্বপন তার বাসায় যান। খুন করার ভয়ভীতি দেখিয়ে এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি নিয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেওয়ায় মামলা দায়েরে একদিন দেরি হয়েছে বলে বাদী বলেছেন।
আজিম উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ওই ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষক স্বপনের অনৈতিক স¤পর্ক নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশ হয়। পরে বিষয়টি তদন্তে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ১৫ দিন পর ওই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই শিক্ষকের দুই বছরের ইনক্রিমেন্ট ও প্রভিডেন্ড ফান্ড বন্ধ করা, ছয় মাস তাকে পর্যবেক্ষণ করা এবং ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। পরে ১৮ এপ্রিল পরিচালনা পর্ষদ এক সভায় তার বিরুদ্ধে ওই সুপারিশ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। বুধবার স্বপনের বিরুদ্ধে আবারো ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বপনের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী মাহফুজা আক্তার রিমা স্বামীর শাস্তি দাবি করেছেন।
কালীগঞ্জ থানার এসআই মো. মনিরুজ্জামান জানান, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তার ইউনিয়নের দড়িবাগুন গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাকে ধরে এলাকাবাসী পুলিশে দেয়। পরদিন বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ধর্ষিতা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মামলায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ওই তরুণী বাসায় একা থাকার কথা জানতে পেরে স্বপন সেখানে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে পালাতে গিয়ে স্বপন ধরা পড়েন।
বাদীর বরাত দিয়ে এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, শিক্ষক স্বপন ওই ছাত্রীকে অনেকদিন ধরেই নানা ধরনের প্রলোভন ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন বাদীর মা ও বাড়ির অন্য সদস্যরা চিকিৎসার জন্য শহরে ছিলেন। এই সুযোগে স্বপন তার বাসায় যান। খুন করার ভয়ভীতি দেখিয়ে এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি নিয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেওয়ায় মামলা দায়েরে একদিন দেরি হয়েছে বলে বাদী বলেছেন।
আজিম উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ওই ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষক স্বপনের অনৈতিক স¤পর্ক নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশ হয়। পরে বিষয়টি তদন্তে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ১৫ দিন পর ওই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে ওই শিক্ষকের দুই বছরের ইনক্রিমেন্ট ও প্রভিডেন্ড ফান্ড বন্ধ করা, ছয় মাস তাকে পর্যবেক্ষণ করা এবং ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। পরে ১৮ এপ্রিল পরিচালনা পর্ষদ এক সভায় তার বিরুদ্ধে ওই সুপারিশ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। বুধবার স্বপনের বিরুদ্ধে আবারো ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বপনের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী মাহফুজা আক্তার রিমা স্বামীর শাস্তি দাবি করেছেন।