শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

টঙ্গীতে মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকসহ গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গী মডেল থানার বেশ কয়েক জন এএসআই ও পুলিশের গাড়ী চালক কনষ্টেবলদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন টঙ্গীতে কর্মরত থাকার সুবাদে সরকারী ডিউটির বাইরের সাদা পোষাকে মটর বাইকযোগে পুলিশ র্সোসদের সাথে নিয়ে টঙ্গীর আমতলী, কেরানীরঠেক, কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ, মরকুন, মরকুন ঠেকপাড়া, টিএন্ডটি, টঙ্গী ভরান মাজার বস্তি, মেঘনা রোড বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কখনো মাদকদ্রব্যসহ আবার কখনো মাদক ছাড়াই হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে থানায় না নিয়ে এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানোসহ ঘটনাস্থলে বসে স্থানীয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, টঙ্গী মডেল থানায় এএসআই ফখরুল অতি চতুরতার সাথে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ডিউটি শেষে সাদা পোষাকে এবং থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিনা অনুমতিতে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে মোটা অংকের টাকা আদায়সহ মাদক উদ্ধারের নামে হোন্ডারোহীদের তল্লাশীসহ হয়রানী ও টাকার বিনিময়ে দফা রফা করার বিভিন্ন অভিযোগে তাকে ক্লোজ করা হয়। আরো জানা যায়, এএসআই ফখরুল সম্প্রতি গাজীপুরা এলাকায় সিনিয়র একজন এসআইয়ের নেমপ্লেড ব্যাবহার করে নিজেকে এসআই পরিচয় দিয়ে এক যুবককে গাঁজাসহ আটকের পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এবং মরকুন এলাকা থেকে অপর একজনকে আটকের পর ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। এব্যাপারে এএসআই ফখরুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। 
এদিকে থানার অপর এএসআই ফয়েজ গাজীপুর জেলায় বিগত দিনে দীর্ঘদিন চাকুরি করার সুবাদে টঙ্গী শীর্ষ এক পুলিশ সোর্স মোল্লা আবুলের সাথে পরিচয় আর সেই সুত্রে সোর্স মোল্লা আবুলের সহযোগীতায় এএসআই ফয়েজ টঙ্গীর বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের কাছ থেকে নিয়মিত বকরা আদায়সহ গত ১৯ মে বিকেলে উত্তরা থেকে টঙ্গী ভরান মাজার বস্তিতে গাঁজা সেবন করতে আসা এক যুবকে পথিক পাম্পের সামনে থেকে ১ পুইরা গাঁজাসহ আটক করে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করে। টাকা দিতে না পারায় ঐ ছেলে ৫২ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন আটকে রেখে ১০ হাজার টাকা আনতে বলে, পরে টাকা নিয়ে এলে মোবাইল ফেরৎ দেন। এছাড়াও এএসআই ফয়েজ টঙ্গীর আমতলী, কেরানীরঠেক, কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ, মরকুন, মরকুন ঠেকপাড়া, টিএন্ডটি,  টঙ্গী ভরান মাজার বস্তি, মেঘনা রোড বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সপ্তাহ ও মাসিক ভিত্তিক উৎকোচ আদায় করে থাকেন বলেও একাধিক সুত্রে জানা গেছে। এব্যাপারে এএসআই ফয়েজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং এধরনের কোন ঘটনার সাথে তিনি জড়িত নন বলে দাবী করেন।
অন্যদিকে টঙ্গী মডেল থানার এএসআই লালন ফকির গত গত ১৬ মে রাতে স্পেশাল ডবল টু ডিউটি ও এএসআই মাহবুব স্পেশাল টু ডিউটিতে থাকা অবস্থায় শিলমুল এলাকা থেকে ঐ এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী পুটকি কাটা বাবুকে ২ বস্তা ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ প্রায় ৫০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ফেন্সিডিলসহ ছেড়ে দেয়। পরে এনিয়ে টঙ্গী মডেল থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের মধ্যে জানা-জানি হলেও দুই এএসআইয়ের কেউ তা স্বীকার করছে না। একটি বিশেষ সূত্র জানায় পুলিশ সোর্স শাহীন ও কুতুবের মাধ্যমে এএসআই লালন ফকির ঐ ফেন্সিডিল গুলো ধরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। এছাড়াও এএসআই লালন ফকিরের নেতৃত্বে টঙ্গী মডেল থানার গাড়ী চালক কনষ্টেবল বাকী, মামুন ও বদরুলসহ অজ্ঞাত নামা আরো জ্জ জন ৩ টি মোটর বাইক যোগে টঙ্গীর দেওড়া, আউচপাড়া, শিংবাড়ী, তিলারগাতী, সাতাইশ, গাজীপুরা, দত্তপাড়া, মরকুন, শিলমুন, পাগাড়, পাগাড় ফকির মার্কেট, আরিচপুর, টঙ্গী মাজার এলাকায় সাদা পোষাকে ঘুরে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীসহ অপরাধীদের ধরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য গত ১৮ মে রাত ৯ টায় উক্ত টিমের টিম লিডার হিসেবে পরিচিত এএসআই লালন ফকিরের নেতৃত্বে উপরোক্ত ব্যক্তিরা পাগাড় এলাকা থেকে ৪ জনকে ৪০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ৩ জনকে ৩৪ ধারায় ও বাকি ১ জনকে ৪০ পিচ দিয়ে মাদক মামলা রজু করত আদালতে প্রেরণ করা হয় বলে একটি বিশেষ সুত্র জানায়। এব্যাপারে লালন ফকিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি আমি এসবের সাথে জড়িত নই বলে দাবী করেন এবং এ প্রতিনিধিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে এধরনের কোন অভিযোগ বা তথ্য প্রমান পেলে আমি চাকুরি ছেড়ে চলে যাবো।
জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হারুন-উর-রশিদ এ জেলায় যোগদানের পর থেকে জেলায় মাদকদ্রব্য বেচা-কেনা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিমূলে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে জেলায় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন এবং আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে জেলাব্যাপী পুলিশী বিশেষ অভিযান পরিচালনাসহ কমিনিউটি পুলিশ গঠনের মতো মহৎ কাজটি হাতে নেয়ার পর জেলা অতিঃ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, টঙ্গী মডেল থানার সিনিঃ এএসপি (সাকেল) মোঃ গোলাম সবুর, বর্তমান অফির্সাস ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী, অফির্সাস তদন্ত মোঃ আমিনূল ইসলাম, সেকেন্ড অফিসার এসআই মোঃ হাসানূজ্জামানের বলিষ্ট নেতৃত্বে মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্তণে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী থেকে সেবনকারীরা যখন আতংকে দিন কাটাচ্ছে, জেলা পুলিশ সুপার বা থানার র্উদ্ধতন কর্মকর্তাদের ভয়ে টঙ্গীতে মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ী বা সেবনকারী এবং বিভিন্ন অপরাধীদের টঙ্গীতে আনা-গোনা বা মাদকদ্রব্য ব্যাবসা যখন অনেকাংশে শিথিল তখন এধরনের অর্থলোভী টঙ্গী মডেল থানার কয়েকজন এএসআইসহ উপরোক্ত গাড়ী চালক কনষ্টেবলগনের কারনে স্থানীয় পুলিশ প্রসাশনের ভাবমুর্ত্তিকে প্রশ্ন বিদ্ধ করছে বলেই টঙ্গী ও গাজীপুরবাসী মনে করছে।
এব্যাপারে টঙ্গী মডেল থানার অফির্সাস ইনচার্জ মোহাম্মদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব বিষয়ে কিছু জানে না বলে জানান। তবে এধরনের কোন ঘটনা কেউ ঘটিয়ে থাকলে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।