শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

গাজীপুরের মির্জাপুরস্থ জয়নাতলীতে পরিষদের রাস্তায় বেড়া ও ঘর নির্মাণ করে জন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টির অভিযোগ

রাস্তায় বেড়া ও ঘর নির্মানের ছবি
মোঃ বশির আহম্মেদ : গাজীপুর সদর উপজেলা মনিপুর রাস্তায় বাঁশের বেড়া ও ঘর নির্মান করে পথচারী ও যানবাহন চলাচলের অযোগ্য করে তোলা হয়েছে। সূত্রে যানা যায়- জয়নাতলী থেকে মনিপুর বাজার ও মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি দিয়ে বহু বৎসর যাবৎ স্থানীয় লোকজন, ছাত্র-ছাত্রী ও চাকুরী জিবিসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন যাতায়াত করে আসছে। এমতাবস্থায় গত ১০/০৩/২০১৫ই রোজ মঙ্গলবার কাউকে কিছু না জানিয়ে মির্জাপুর ইউনিয়নের জয়নাতলী গ্রামের মোঃ সাত্তার কাজী ওই বহুল ব্যবহৃত রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এ রাস্তাটির বিষয়ে স্থানীয় ইউ:পি: মেম্বার মোঃ মফিজকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন- এই রাস্তাটি কিসের কারনে বন্ধ করেছে তা আমি কিছু জানিনা। প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানায়- মোঃ সাত্তার কাজী তাহার লোকজন নিয়ে বাশঁ, তার, খুটি, শাবল, ও খন্তি নিয়ে এসে রাস্তা বন্ধের কাজ শুরু করে। ফলে এ রাস্তা দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ রাস্ত দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক চলাচল করে। কি কারনে এমনটি করেছেন তা জিজ্ঞাসা করিলে ছাত্তার কাজী বলেন- আমি আমার জমিতে ঘর করব, তাতে কাহারও কিছু করার নেই। এই বিষয়ে স্থানীয় লোকজন ইউ:পি: চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন দুলাল সাহেবকে জানালে গত ১৬/০৩/২০১৫ইং রোজ সোমবার সকাল ৮ ঘটিকায় ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় লোকজন ও সাত্তার কাজীর সাথে মতবিনিময় করেন। সাত্তার কাজী বলেন-আমার জমির উপর দিয়ে রাস্তা আমি দিবনা ।তখন ইউ:পি: চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন দুলাল বলেন- পরিষদের খরচে ইট দিয়ে রাস্তা করার সময় তুমি কোন বাধা বা আপত্তি করলে না কেন? আজ অনেক দিন যাবৎ চলার পর এমন কি হলো, যে তুমি পরিষদের রাস্তা বন্ধ করেছ? এ বিষয়ে তাকে  এক প্রশ্ন করা হয় যে, পরিষদ থেকে বা সড়ক ও জনপদ বা থানা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট থেকে কোন অনুমতি আপনি এনেছেন কিনা? তিনি জবাবে বলেন- পরিষদ থেকে বা সড়ক ও জনপদ বা থানা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট থেকে কোন অনুমতির প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।  স্থানীয় মুরুব্বীদের এ রাস্তা সর্ম্পকে জিজ্ঞসা করলে তারা  লেন- চেয়ারম্যান আতাউল্লাহ সরকার, চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খাঁন, চেয়ারম্যান আঃ লতীফ, চেয়ারম্যান মোঃ ইজাদুর রহমান মিলন, চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন দুলালসহ আরও অনেক ইউ:পি: চেয়ারম্যান যুগযুগ ধরে এ রাস্তার নির্মানের কাজ করেছেন এবং এ রাস্তা দিয়েই চলাচল করে আসছেন। এখন টাকার দাপটে সাত্তার কাজী পরিষদের রাস্তার উপর ঘর নির্মান করতেও তার গায়ে বাজেনা। এখন এ রাস্তা বন্ধের ঘটনায় এলাকায় ইত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এখন অধিকার বঞ্চিত নিরীহ মানুষ চাতক পাখির ন্যায় চেয়ে আছে জেলা প্রশাষকের উপর।