শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

ময়মনসিংহে ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও প্রতিবাদ

মোঃ শাহজাহান খান : গত ২৩ মার্চ সোমবার ২০১৫ইং তারিখ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কাঁঠালী গ্রামের রাসেল মিলের সামনে কতিপয় এলাকার ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের ষড়যন্ত্রের শিকার নাজমা খাতুন ও হোসনে আরা শিশির’র বিরুদ্ধে যে মিথ্যা কাল্পনিক ও কুরুচিপূর্ন খবর প্রচার করায় কথিত মানববন্ধন সম্পর্কে এলাকাবাসী তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জানা যায়, কাঁঠালী গ্রামের নিম্ন লিখিত ব্যক্তিবর্গ মোছাম্মৎ নাজমা খাতুনের সত্য দখলীয় পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। যার প্রেক্ষিতে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মোছাম্মৎ নাজমা খাতুন বাদী হয়ে ময়মনসিংহের সিনিয়ল জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ভালুকা (দ্রুত বিচার) আদালতে গত ২৩ মার্চ সোমবার ২০০২ সংশোধনী ২০০৯ এর ৪/৫ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলা নং- ১০৩/২০১৫ইং। আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার ভালুকা থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন। এই ঘটনা হতে রেহাই পাওয়ার জন্য ঘটনার সাথে জড়িত নিম্ন লিখিত ব্যক্তিবর্গ কাঁঠালী এলাকায় স্থাপিত কতিপয় মিল ফ্যাক্টরী হতে কিছু সংখ্যাক শ্রমিকদের ভয় ভীতি দেখিয়ে কথিত মানবন্ধনে এনে ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। ঐ মানব বন্ধনে উল্টাপাল্টা এবং মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে বর্তমান সরকারের কতিপয় নেতাকর্মী এবং সাংবাদিকদের এনে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও কাঁঠালী গ্রামের সাধারণ মানুষজন জানান। নাজমা খাতুনের মামলার আসামীগণ হল (১) মাসুদ মিয়া, পিতা- খালেক, ২) হুরমুজ আলী, পিতা- হযরত আলী, ৩) আঃ খালেক, পিতা- আছমর আলী, ৪) বোরহান, পিতা- হাছেন আলী, ৫) জাহাঙ্গীর, পিতা- হাজী মুন্সী, ৬) শরিফুল, পিতা- আঃ কুদ্দুছ, ৭) শাহজাহান, পিতা- মৃত আছমর খা, ৮) শরিবুল, পিতা- আঃ কুদ্দুছ সর্ব সাং- কাঠালী, থানা- ভালুকা, জেলাঃ ময়মনসিংহ। এলাকাবাসী জানায়, উল্লেখিত মামলার আসামীগণ ঐ এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু এবং খুনী হিসাবে ব্যাপক পরিচিত। উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন মানুষের সত্য দখলীয় জমি জোর পূর্বক দখল করে, বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে এবং বাউন্ডারী ভাংচুর করে টাকা আদায় করে থাকে। তারা যে সময় যে সরকার আসে তাদের ছত্র ছায়ায় থেকে এসব অপকর্ম চালিয়ে থাকে বলে জানা যায়। এদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রাণভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ উক্ত কথিত মানবন্ধনের বিষয়টি গত ২৪ মার্চ ২০১৫ মঙ্গলবার দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় “ভালুকায় দুই নারীর গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশে প্ররোচিত করে। সেই সংবাদে নাজমা খাতুন এবং তার মেয়ে হোসনে আরাকে ভূমি দস্যু, মাদক সম্রাজ্ঞী ও প্রতারক চক্রের হোতা বলে উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে কাঁঠালী গ্রামের বাসিন্দারা উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানান। জানা যায় যে, মোছাম্মৎ নাজমা খাতুন কাঁঠালী গ্রামের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত বিশাল সহায় সম্পত্তির মালিক। তাহার সেই সম্পত্তি উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ জোর পূর্বক দখল করে নেওয়ার জন্য এসব অপপ্রচার চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে নেওয়ার জন্য এসব অপপ্রচার চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে আগুন দিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা লিপ্ত রয়েছে। মুলতঃ নাজমা খাতুন, ঐ এলাকার একজন সম্মানী এবং সমাজ সেবিকা হিসাবে সকলের নিকট ব্যাপক পরিচিত একজন ভদ্র মহিলা। উক্ত নাজমা খাতুন সব সময়ই দুঃখী মানুষদেরকে সহায়তা করে থাকেন-যা এলাকার সকলেই অবগত রয়েছে। তাকে সংবাদে যে অপব্যাখ্যামূলক কথাবার্তা উল্লেখ করার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ষড়যন্ত্রমূলক। নাজমা খাতুন পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত যে পরিমান সম্পদের মালিক তাতে তার কখনই আইনের বাইরে কোন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত হওয়ার কোন প্রকার প্রশ্নই আসে না বলে এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর প্রেক্ষিতে উক্ত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যুরা প্রতিনিয়ত নাজমা খাতুন ও হোসনে আরা শিশিরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।  তাই উল্লেখিত কথিত সন্ত্রাসী কর্তৃক সৃষ্ট মানববন্ধন এবং দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাঁঠালী এলাকার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এবং ভালুকা উপজেলাবাসী।