ধামাচাপায় মরিয়া প্রভাবশালীরা
শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের বড়বেড় টেকপাড়া গ্রামে গত শনিবার রাতে দশ বছর বয়সী শিশু ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ২৩ মার্চ সোমবার দুপুরে বড়বেড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ধর্ষক আশরাফুল আলম মৃধা (২২) কে কাপাসিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে ওই গ্রামের জামাল উদ্দিন মৃধার ছেলে। ধর্ষিত শিশুটি ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। ধর্ষণের পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালীরা মরিয়া হয়ে ওঠে। ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করলে ‘দেখে নেওয়ারও’ হুমকি দেন প্রভাবশালীরা। হুমকি উপেক্ষা করে ধর্ষিত শিশুর বাবা গতকাল ২৩ মার্চ সোমবার দুপুরে কাপাসিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থানার এ এস আই মিজান নৈশপ্রহরী আশরাফুলকে বিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করে।
স্বজনরা জানায়, দীর্ঘদিন আগে ওই শিশুর মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটায় শিশুটি তার দাদির সঙ্গে থাকত। গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি একা ঘরে ঘুমিয়েছিল। পাশের ঘরে তার দাদি বড় ছেলের বৌয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ চিৎকার শুনে তার চাচি ছুটে গিয়ে শিশুসহ ধর্ষককে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। ওই সময় তিনি ধর্ষিত শিশুকে উদ্ধার করে ধর্ষককে আটকের চেষ্টা করলে জানালা ভেঙে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পালানোর সময় ধর্ষক আশরাফুল তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ফেলে যায়।
ধর্ষিত শিশু জানায়, ঘুমন্ত অবস্থায় তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে আশরাফুল আলম। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সে চিৎকার দেয়।
ধর্ষিত শিশুর চাচা জানান, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মুকুল মৃধা ও তাঁর ছেলে মামুন মৃধা তাঁদের মামলা করতে নিষেধ করেন। গত রবিবার দিনভর স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী মাতব্বর শিশুর বাবাকে এক লাখ টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু আপসরফায় রাজি না হলে মুকুল মৃধা ও তাঁর ছেলে মামুন মৃধা শিশুর বাবাকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেয়।
বড়বেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন জানান, ধর্ষক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী হওয়ায় ঘটনাটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও সাবেক মেম্বার নুরুজাজামান মুকুল সহ উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদকে অবহিত করা হয়েছে। সোমবার বেলা ২ টার দিকে থানার এএসআই মিজান নৈশপ্রহরী আশরাফুলকে বিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করেছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কাশেম খান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছে। ধর্ষিত শিশুসহ পরিবারকেও পুলিশ নিরাপত্তা দেবে।’
স্বজনরা জানায়, দীর্ঘদিন আগে ওই শিশুর মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটায় শিশুটি তার দাদির সঙ্গে থাকত। গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি একা ঘরে ঘুমিয়েছিল। পাশের ঘরে তার দাদি বড় ছেলের বৌয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ চিৎকার শুনে তার চাচি ছুটে গিয়ে শিশুসহ ধর্ষককে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। ওই সময় তিনি ধর্ষিত শিশুকে উদ্ধার করে ধর্ষককে আটকের চেষ্টা করলে জানালা ভেঙে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পালানোর সময় ধর্ষক আশরাফুল তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ফেলে যায়।
ধর্ষিত শিশু জানায়, ঘুমন্ত অবস্থায় তার মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে আশরাফুল আলম। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সে চিৎকার দেয়।
ধর্ষিত শিশুর চাচা জানান, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মুকুল মৃধা ও তাঁর ছেলে মামুন মৃধা তাঁদের মামলা করতে নিষেধ করেন। গত রবিবার দিনভর স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী মাতব্বর শিশুর বাবাকে এক লাখ টাকা দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু আপসরফায় রাজি না হলে মুকুল মৃধা ও তাঁর ছেলে মামুন মৃধা শিশুর বাবাকে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেয়।
বড়বেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন জানান, ধর্ষক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী হওয়ায় ঘটনাটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও সাবেক মেম্বার নুরুজাজামান মুকুল সহ উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামীম আহমেদকে অবহিত করা হয়েছে। সোমবার বেলা ২ টার দিকে থানার এএসআই মিজান নৈশপ্রহরী আশরাফুলকে বিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করেছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কাশেম খান বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছে। ধর্ষিত শিশুসহ পরিবারকেও পুলিশ নিরাপত্তা দেবে।’