শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

কাপাসিয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা ঃ ফুপু গুরুতর আহত

শাকিল হাসান, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের জায়গীর গ্রামে ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা র্দুবৃত্তরা ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মাহফুজাকে (১২) জোরপূর্বক উপর্যুপরি ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় ফুপু রিনা বেগম (২৬) বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে ও এলোপাথারী পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। রিনা বেগমকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাঁদপুর  উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ও জায়গীর গ্রামের সবজী ব্যবসায়ী কবিরের কন্যা মাহ্ফুজা বৃহস্পতিবার রাতে পার্শ্ববর্তী আবুল খায়েরের স্ত্রী ও তার ফুপু রিনা বেগমের সাথে ঘুমিয়েছিল। ৫/৬ জন র্দুবৃত্ত রাত ৩ টার দিকে আত্বিয় পরিচয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। দরজা খুলার সাথে সাথে র্দুবৃত্তরা ঘরে ঢুকে ফুপুকে জিম্মি করে মাহ্ফুজাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মাহ্ফুজার মাথা, চোখ, বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্বক ভাবে আঘাত করে। মাহফুজা র্দুবৃত্তদের চিনে ফেলার কারনে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা চলে যায় জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানায়, গত ৪/৫ দিন আগে রাতে এলাকার বহুল আলোচিত ও বহু অপকর্মের হোতা জায়গীর গ্রামের মিয়া বাড়ির বকুলের বখাটে পুত্র নাঈম কে পুলিশ ধাওয়া করে। নাঈম কোন উপায় খুজে না পেয়ে মাহ্ফুজাদের বাড়িতে আশ্রয় নিতে চেয়েছিল। কিন্তু নাঈম সন্ত্রাসী ও নেশাগ্রস্ত হওয়ায় মাহফুজার পিতা কবির তাকে আশ্রয় দেয়নি। পুলিশ সে রাতে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। মাহফুজার পিতা কবিরের কারনে তাকে পুলিশের হাতে ধরা পড়তে হয়েছিল বলে সে লোকজনের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করে ও হুমকী দিয়েছিল। তাই ক্ষুব্দ নাঈম ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা এ জগন্য ও নির্মম হত্যা কান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
মাহুফুজার চাচা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য রমজান আলী মোবাইল টেলিফোনে জানান, ঢাকা মেডিকেলে জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন রিনা বেগম আশংকাজনক অবস্থায় আছে। তার অবস্থা অবনতির দিকে। এলাকার চিহ্নিত বখাটে সন্ত্রাসীরা তাদের পিছু ছাড়ছে না। রিনা বেগম র্দুবৃত্তদের চিনে ফেলতে পারে। সে কারনে তারা ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী রিনাকে হাসপাতালে লোক লাগিয়ে হত্যা করতে পারে বলে আশংকা করছে।
কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ্ ঘটনার সত্যতা স্বিকার এবং তদন্ত শেষে আসল রহস্য উদঘাটন হবে বলে জানান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাহ্ফুজার পিতা কবির হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।