শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

শ্রীপুরের মাওনায় বীজ ভান্ডারের অন্তরালে আলমগীরের ভেজাল ঔষধের জমজমাট ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ময়মনসিংহ রোডের পূর্ব পার্শ্বে মাওনা চৌরাস্তায় খান সুপার মার্কেটে বীজ ভান্ডারের অন্তরালে আলমগীর হোসেনের সম্পূর্ন নকল ভেজাল ঔষধের জমজমাট ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উক্ত দোকানের মালিক আলমগীর হোসেন লাইসেন্স বিহীন অবৈধ দোকান খুলে বীজ ভান্ডারের অন্তরালে নকল ঔষধ তৈরি করে বাজারজাত করছে এবং দীর্ঘ দিন যাবত প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। খান সুপার মার্কেটে বীজ ভান্ডারের অন্তরালে আলমগীর হোসেন যেকল নকল ভেজাল ঔষধ বিক্রি করছে তা খেলে মানুষের মৃত্যুছাড়া কোন উপায় আবার ঔষধের গায়ে লেবেলে যে সমস্ত কোম্পানির নাম লেখা আছে এবং রেজি নং-বিএসটিআই ছাপা হয়েছে সেগুলিও নকল। নকল খোলা ঔষধের কৌটায় নিজের তৈরিকৃত নামীদামী কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে দেদারছে বাজারজাত করছে প্রতারক আলমগীর হোসেন। যা দেখলে বোঝা যায় উক্ত কোম্পানির নামে বাংলাদেশের কোথাও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় নাই। সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে এসব নকল ভেজাল ঔষধের ব্যবসা করে আলমগীর হোসেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। বীজ ভান্ডারের অন্তরালে ঔষধের দোকান খুলে যে সকল হাকিমী ও কবিরাজী ঔষধ বিক্রয় করা হয় সেসব ঔষধের বিন্দু পরিমান গুনগত মান নেই। আলমগীর হোসেন মানহীন কিছু ঔষধ কমদামে কিনে কৌটায় নিজের তৈরি করা বিভিন্ন কোম্পানির উচ্চ মূল্যের লেবেল লাগিয়ে মাওনা চৌরাস্তা, শ্রীপুর, বরমী এলাকার বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজের কিছু ভুয়া হাকিম/কবিরাজ ও ক্যানভাসারদের কাছে পাইকারী বিক্রি করছে এবং ক্যানভাসারগন এসব নকল ভেজাল ঔষধ উচ্চ দামে বিক্রি করে জনসাধারনের সাথে প্রতারনা করছে। খান সুপার মার্কেটে আলমগীর হোসেনের বীজ ভান্ডারের অন্তরালে বিভিন্ন প্রকার জীবনঘাটি নিম্নমানের সেক্স এর ট্যাবলেট উচ্চদামে বিক্রি হচ্ছে ধুম-ধারাক্কা। যার জন্য আলমগীর হোসেনের বীজ ভান্ডার নামক এই দোকানটি খুবই প্রিয়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বীজ ভান্ডারের অন্তরালে আলমগীর হোসেন যেমনি নকল ভেজাল ঔষধ তেমনি আবার ইঁদুর,তেলাপোকা ,পিপড়ার ঔষধ একসাথে বাজারজাত করছে। এছাড়া আলমগীর হোসেন তার দোকানে বিভিন্ন নামের বিভিন্ন কোম্পানির যৌন উত্তেজক টেবলেটও বিক্রি করছে দেদারছে । ফলে অসচেতন ও অতি উৎসাহী যুবকরা এর ক্ষতিকারক দিক না জেনে তা সেবন করছে উচ্চমূল্যে । এছাড়া টেবলেটের পাশাপাশি অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ যেমন-পাওয়ার হর্স, পাওয়ার প্লাস, হর্স ফিলিংস, জিনসিন। টেবলেট ফুলফিল ও ভুয়া মুসলিম কোম্পানির আরদে খোরমা হালুয়া যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং সয়াবিন তৈল দিয়ে বানানো গোপন অঙ্গের মালিশের জমজমাট ব্যবসা। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, আলমগীর হোসেন বীজ ভান্ডারের অন্তরালে নিম্ন মানের ও নকল ভেজাল ঔষুধপত্র বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা কামাচ্ছেন। অথচ উক্ত দোকানের নেই কোন ড্রাগ লাইসেন্স, নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, নেই কোন ভালো ট্রেনিং। কিন্তু চালাক চতুর এই আলমগীর হোসেন প্রশাসনের চোঁখকে ফাকি দিয়ে ধুম ধারাক্কা এসব নকল ঔষধের ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছেন। গাজীপুর মাওনাবাসীর প্রশ্ন একটি গণতান্ত্রিক স্বাধীন দেশে কি করে বীজ ভান্ডারের অন্তরালে আলমগীর হোসেনের মত একজন প্রতারক নকল ভেজাল ঔষধ বিক্রি করছে। তাই তদন্ত পূর্বক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন শ্রীপুর মাওনাবাসী।