শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

মাদকসহ আসামী গ্রেফতারের পর টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

টঙ্গীতে দুই এ.এস.আইয়ের হোন্ডা অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গী মডেল থানার দুই এএসআই দীর্ঘদিন টঙ্গীতে কর্মরত থাকার সুবাদে সরকারী ডিউটির বাইরের সাদা পোষাকে মটর বাইকযোগে নামধারী মাদক ব্যবসায়ী পুলিশ র্সোসদের সাথে নিয়ে টঙ্গীর আমতলী, কেরানীরঠেক, কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ, মরকুন, মরকুন ঠেকপাড়া, টিএন্ডটি, টঙ্গী ভরান মাজার বস্তি, মেঘনা রোড বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সপ্তাহ ও মাসিক ভিত্তিক উৎকোচ আদায়সহ দাবীকৃত উৎকোচের টাকা দিতে মাদক ব্যবসায়ীরা অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষীপ্ত হয়ে দুই এএসআই কখনো মাদকদ্রব্যসহ আবার কখনো মাদক ছাড়াই হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে থানায় না নিয়ে এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানোসহ ঘটনাস্থলে বসে স্থানীয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, টঙ্গী মডেল থানায় দ্বিতীয় বারের মতো বদলী হয়ে আসা এএসআই সামছুল হক অতি চতুরতার সাথে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ডিউটি শেষে সাদা পোষাকে এবং থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিনা অনুমতিতে এএসআই ফয়েজ বা অন্যকোন এএসআইকে কিংবা যেকোন একজন কনষ্টেবলকে তার ব্যবহৃত মটর বাইক এর পেছনে বসিয়ে টঙ্গীর আমতলী, কেরানীরঠেক, কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ, মরকুন, মরকুন ঠেকপাড়া, টিএন্ডটি,  টঙ্গী ভরান মাজার বস্তি, মেঘনা রোড বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সপ্তাহ ও মাসিক ভিত্তিক উৎকোচ আদায় করে থাকেন। সম্প্রতি জেলা পুলিশ সুপার মোঃ হারুন-উর-রশিদসহ জেলা প্রসাশন মাদক বেচা-কেনা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিমূলে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে জেলায় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন এবং আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে জেলাব্যাপী কমিনিউটি পুলিশ গঠনের মতো মহৎ কাজটি হাতে নেয়ার পর মাদক ব্যবসায়ী থেকে সেবনকারীরা আতংকে দিন কাটানোর প্রাক্কালে টঙ্গী মডেল থানার কয়েকজন পুরোনো এএসআইসহ উপরোক্ত দুই এএসআই মোঃ সামছুল হক ও এএসআই ফয়েজ টঙ্গীর মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত সপ্তাহ ও মাসিক ভিত্তিতে টাকা আদায় করেন। এছাড়াও মাদকসহ মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে কখনো থানায় নিয়ে মামলা না দিয়ে, আবার বেশীর ভাগ সময় থানায় না নিয়েই স্থানীয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর তদবিরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন, জেলা পুলিশ সুপার বা থানার র্উদ্ধতন কর্মকর্তাদের ভয়ে টঙ্গীতে মাদকদ্রব্য সেবনকারীদেও আনা-গোনা বা মাদকদ্রব্য ব্যাবসা যখন অনেকাংশে শিতিল তখন এধরনের অর্থলোভী পুলিশ সদস্যদের কারনে স্থানীয় পুলিশ প্রসাশনের ভাবমুর্ত্তিকে প্রশ্ন বিদ্ধ করছে বলেই টঙ্গী ও গাজীপুরবাসী মনে করছে।
উল্লেখ্য ঃ চলতি মাসের প্রথম সপ্তহে সাদা পোষাকে টঙ্গী মডেল থানার এএসআই ফয়েজ টঙ্গীর কেরানীরঠেক বস্তির মাদক ব্যবসায়ী সুমনকে ইয়াবা ও গাজাসহ ধরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার পর থানার উর্দ্ধতন কর্মর্তারাদের মধ্যে বিষয়টি জানা জানি হলেও কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় পুনরায় সাদা পোষাকে টঙ্গী মডেল থানার এএসআই সামছুল হকসহ এএসআই ফয়েজ মোটরবাইক (মটরসাইকেল) যোগে গত ১৩এপ্রিল ২০১৫ ইং আছরের নামাজের পর টঙ্গীর মরকুন পশ্চিমপাড়া ও তিস্তারগেইটের মাঝামাঝি রেলওয়ে বস্তি থেকে টঙ্গীর শীর্ষ ফেন্সিডিল ও ইয়াবা ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগমের সেলসম্যান এবং আদম আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৬২) কে ৩ বোতল ফেনিডিলসহ আটক করে থানায় না নিয়ে এবং থানার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে ঘটনাস্থলে প্রায় এক ঘন্টা বসে ধর কষাকষির এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে রোকেয়া বেগমকে ছেড়ে দেয়। এছাড়াও টঙ্গীর কো-অপারেটিভ ব্যাংক মাঠ বস্তির মাদক ব্যবসায়ী শাহজাহানকে  তোর নামে“ওয়ারেন্টে” আছে এই ভয় দেখিয়ে এএসআই সামছুল হক ধরে থানায় আনার পর কোন ওয়ারেন্ট না পেয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়।
এব্যাপারে জানতে এএসআই ফয়েজ ও এএসআই সামছুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়গুলো অস্বীকার করেন। কিন্তু যাদের আটক করে ছেড়ে দেয়া ও টাকা নেয়া হয়েছে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
এব্যাপারে জানতে টঙ্গী মডেল থানার অফির্সাস তদন্ত মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এসব ব্যাপারে কিছু জানি না, এধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে এবং প্রমান পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।