শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

কাপাসিয়ায় সুদখোরের বাড়ি-ঘর, দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী ঃ আহত ৫, আটক-১

কাপাসিয়া ব্যুরো চীফ : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কড়িহাতা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১১ এপ্রিল শনিবার বিকালে ৫ যুবককে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সঙ্গবদ্ধ হয়ে কবিরের বাজারের বহুল আলোচিত সুদখোর মজিবুরের দোকানসহ বাড়িঘর ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জড়িত ১ যুবককে আটক করেছে। আগুনে মজিবুরের একটি মাইক্রোবাস, ৭টি দোকান ও বাড়ি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার বিহাইদুয়ার ও ইকুরিয়া গ্রামের কয়েক যুবক পাশর্^বর্তী আড়াল জিএল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিল। যুবকেরা সন্ধ্যার পূর্বে কড়িহাতা প্রাইমারী স্কুল মোড়ে এলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎ পেতে থাকা মজিবুরের দুই পুত্র তারেক ও পাপ্পুর নেতৃত্বে  ৭/৮ জন সন্ত্রাসী চাপাতি নিয়ে তাদের উপর অতর্কিতে হামলা ও কুপিয়ে আহত করে। এতে ইকুরিয়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের পুত্র সজীব (২২), জয়নালের পুত্র সাকিল (২৫), আরমানের পুত্র ফারুক (২২), বিহাইদুয়ার গ্রামের মোক্তার হোসেনের পুত্র  জসিম (১৪) সহ অপর কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। হামলার সংবাদ ইকুরিয়া ও বিহাইদুয়ার গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ কয়েকশত জনতা একত্রিত  হয়ে রাত ৮ টার দিকে মজিবুরের বাড়ি ও দোকান ভাংচুর করে এবং একপর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার ৭টি দোকান, বসত বাড়ি, একটি মাইক্রোবাস ও ২টি মোটর সাইকেল পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেহেদী নামের একজনকে আটক করেছে। রাত ১০ টার দিকে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ব্রিগেড ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেছে।