শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

কালিয়াকৈরে সিএনজি চালকের আত্মহত্যার চেষ্টা

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জালশুকা এলাকায় সোমবার টিএমএসএস নামক একটি এনজিও থেকে বাবা কর্তৃক ঋণ করা টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অপবাদের মুখে এক সিএনজি চালক ছেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভতি করা হয়েছে। আহত সিএনজি চালক ওই এলাকার কালু মিয়ার ছেলে আলহাজ হোসেন (২৮)।
স্থানীয় লোকজন ও আহতের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে কালু মিয়া উপজেলার উত্তর হিজলতলী এলাকায় অবস্থিত টিএমএসএস নামক একটি বেসরকারী এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে আড়াই বছর মেয়াদী ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ছেলে আলহাজকে একটি সিএনজি (গাজীপুর-থ-১১-৮৯৯১) কিনে দেয়। দেড় বছর ধরেই আলহাজ প্রতি সপ্তাহে নির্ধারিত ৩হাজার টাকা করে ঋণ পরিশোধ করে আসছিল। সম্প্রতি মহাসড়কে সিএনজি চলাচল নিষেধ করায় তার উপার্জন কমে আসে। নিজের পরিবারের খরচ সামলে সপ্তাহে ৩হাজার টাকা টাকা ঋণ পরিশোধ করতে ব্যার্থ হয় সিএনজি চালক। পরে গত সপ্তাহে নগত ১৫শত টাকা ও নিজের সঞ্চয়ের টাকা থেকে ১৫শত টাকা মিলিয়ে ঋণ পরিশোধ করে। সোমবার সকালে টিএএসএস এর ফিল্ড সুপারভাইজার (এফএস) মাহমুদুল হাসান তুহিন কালু মিয়ার বাড়ীতে সাপ্তাহিক ঋণ আনতে গেলে কালু মিয়া ঋণ দিতে অপারগতা জানায়। ওই এফএস এর চাপের মুখে পাশের বাড়ীর এক লোকের কাছ থেকে ধার নিয়ে ১৫ শত টাকা দেয় এবং সঞ্চয় থেকে বাকিটা পরিশোধ করতে বলে। ওই টাকা না নিয়ে এনজিও কর্মকর্তা জানায়, ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে বিকেলের মধ্যে তারা সিএনজিটি নিয়ে যাবে। এ নিয়ে ছেলে ও বাবার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলে ঘরের ভিতরে গিয়ে দরজা আটকে দিয়ে আড়ার সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস নেয়। পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্তাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর লেখা পর্যন্ত তার অবস্থা আশঙ্খাজনক বলে জানা গেছে।
এব্যপারে ফিল্ড সুপারভাইজার মাহমুদুল হাসান তুহিন বলেন, আমি নির্ধারিত সময়ে ঋণের টাকা আনতে গিয়েছিলাম। তাদের সাথে কোন খারাপ আচরন করিনি।
টিএসমএসএস এর ম্যনেজার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটা আমাদের অফিসিয়ালি নিয়ম। আমাদেরকে অফিসের নিয়মানুসারে চলতে হয়।
আহত সিএনজি চালকের মা বেগম আক্তার বলেন, সরকার নিয়ম করে দিয়েছে মহাসড়কে সিএনজি যেতে পারবেনা। বিপদে পরেছি আমরা। ওই রাস্তায় না উঠতে দিলে আয় রোজগার কম হয়। আমরা তাহলে কিভাবে এত ঋণ পরিশোধ করব।