শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

কালীগঞ্জে প্রেমিকের সহযোগীতায় স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রেমিকের সহযোগীতায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে ওই ধর্ষিতাকে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের পর দুপুরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম তাকে বিকেল ৩টায় থানায় নিয়ে আসে। রোববার রাতে উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভিকটিম ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে জামালপুর ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামে থেকে ওই শিক্ষার্থীকে প্রেমিক মতি তাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে কথা বলে তার বন্ধু মাসুদ মোটরসাইকেলে করে নিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যায় বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ গ্রামের কালভার্টের পাশে নির্জন একটি টেকে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে অপেক্ষা করতে বলে। কিছুক্ষণ পরে মেয়েটির প্রেমিক ও ওই গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে মতিউর রহমান মতি (২৫) সহ চার জনের একটি বখাটে দল মেয়েটি জোড়পূর্ব রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সোমবার ভোর ৪টায় মেয়েটির চিৎকারে শুনতে পায় পাশের টেকে জুয়া খেলায় ব্যস্থ থাকা একদল যুবক। পরে তারা  ছুটে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তার জবানবন্ধি অনুযায়ী প্রথমে তাকে মতির বাড়ীতে নিয়ে যায়। মতি বাড়ীতে না থাকায় তার বাবা-মা তাদের ফিরিয়ে দেয়। পরে তাকে স্থানীয় ইউপি সদস্য জনব আলীর কাছে তুলে দেয়। মেয়েটি তিনি জামালপুর ইউপি পরিষদে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের পর দুপুরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলমের সহযোগীতায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম তাকে বিকেল ৩টায় থানায় নিয়ে আসে। মেয়েটি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেগম সাহিদা মোল্লা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মতির অন্য সহযোগীরা হচ্ছে একই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে মাসুদ (২২), শামস উদ্দিনের ছেলে নজরুল (৩০) ও মিনু মিয়ার ছেলে আরিফ (২৫)।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।