স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : টঙ্গী থানা প্রেস ক্লাব তালতলা রোডে গতকাল বিকেলে সেম কীটনাশক লি. কারখানার বিষাক্ত ও ঝাঁজালো গ্যাসের গন্ধে পুরুষ-মহিলাসহ অন্তত: ১০ জন মারাত্বক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অমল ঘোষ ও আনোয়ার হোসেনকে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভূক্তভোগীরা জানায়, বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে সেম কীটনাশক কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস পথচারিদের নাক-মুখ ও চোখে লাগলে তাদের অনবরত হাচিঁ-কাশি শুরু হয় এবং চোখে জ্বালা পোড়া করতে থাকে। এতে পথচারি খুরশেদ আলম, মনির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, পারভীন বেগম, আনোয়ার হোসেন, অমল ঘোষ, আনোয়ার হোসেন ও আব্দুস সাত্তার অতিরিক্ত কাশিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পথচারিরা অমল ঘোষ, আনোয়ার হোসেন, খুরশেদ আলম ও কারখানার কর্মচারী জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ভর্তি করে রাত ১২ টা পর্যন্ত চিকিৎসা করা হয়। এব্যাপারে সেম কারখানার কর্মচারী রঞ্জন নাথ বলেন, ‘কীটনাশকের কাঁচামালের একটি পুরনো ড্রাম খোলার সাথে সাথে ঝাজালো গন্ধ বেরুতে থাকে এবং পথচারিদের নাকে মুখে লাগলে তাদের হাঁচি-কাঁশি শুরু হয়।’
এব্যাপারে কারখানার পরিচালক পঙ্কজ সিলভা কষ্ট্রার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,‘কীটনাশকের ক্যামিকেলে কারো কিছু হয়নি। আমরা এখানে শুধু রিপ্যাক করি।’
এব্যাপারে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডা. নুসরাত জাহান বলেন, ‘কীটনাশক তৈরির ক্যামিকেলের গ্যাসে শ্বাসকষ্ট, বুকে পিঠে ব্যাথা ও চোখে ঝাপসা দেখাসহ শরীরের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।’