শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

জয়দেবপুর থানার রাইটারদের দৌরাত্ব্য বৃদ্ধি

নিরীহ লোকজনকে হয়রানীর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : জয়দেবপুর থানার রাইটারদের দৌরাত্বে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট ও দিশেহারা। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর নিকট থেকে জানা যায়, জয়দেবপুর থানার ১০গজ থেকে ৫০গজের মধ্যে প্রায় অর্ধশতক রাইটার রীতিমতো অফিস খুলে বসেছেন। তাঁরা থানায় আগত অভিযোগকারীদের অভিযোগ ও জিডি লিখে থাকেন। এই অভিযোগ ও জিডি লেখার বিনিময়ে কতিপয় অসাধু রাইটার সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে আসছে। মাঝে মধ্যে মোটা অংকের টাকা দাবী করার মাধ্যমে অভিযোগকারী ব্যক্তিকে নাজেহাল করা হয়ে থাকে। এরা নিজেদেরকে থানার রাইটার বলে দাবী করেন। অথচ এরা কোনো সরকারী নিয়োগ প্রাপ্ত নন। সরজমিন তদন্তে দেখা যায়, পরিস্থিতি অত্যান্ত ভয়ানক। সরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত না হয়েও এই রাইটাররা থানার দারগাদের গোপনীয় কাজকর্ম করছেন। বিশেষ করে মামলার চার্জসীট, পিডি ও সিডিসহ সবকিছুই এরা লিখে থাকেন। ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার তথ্য বাহিরে পাঁচার হয়ে যায়। কোনো কোনো সময় দেখা যায় দাগী কোনো আসামীর বিরুদ্ধে চার্জসীট হলে এই রাইটাররা ওই আসামীর নিকট তাৎক্ষণীকভাবে খবরটি জানিয়ে দেন। আবার কখনো কখনো দেখা যায়, এরা গুরুত্বপূর্ণ অনেক মামলার তদবীর করছেন। বাদী-বিবাদীর পক্ষ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে দেন-দরবার করে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী চার্জসীট কিংবা মামলার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তদন্ত কর্মকর্তারই লিখার কথা। কিন্তু তাঁরা তা না করে ব্যক্তিগত রাইটার দিয়ে মামলাগুলো লিখে থাকেন। এতে করে ওই মামলার গোপনীয়তা কোনোভাবেই রক্ষা করা সম্ভব হয় না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা স্বাক্ষর দিয়ে শুধু দায়িত্ব শেষ করে থাকেন।  অভিজ্ঞ মহলের মতে মামনীয় পুলিশ সুপার যদি ঐ তদন্ত কর্মকর্তাদের হাতের লেখাসমূহ যাচাই-বাচাই করেন তবেই ফলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়বে। বিচার প্রার্থী নিরীহ লোকজনকে রাইটার নামক দালালদের খপ্পর থেকে রক্ষা করার দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে মাননীয় পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ অতিব জরুরী।