হাটহাজারী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গত সোমবার এই তিন আইনজীবীকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেন র্যাব। ওই মামলায় আজ তাঁরা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ২৩ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এই তিন আইনজীবী হলেন শাকিলা ফারজানা, মো. হাছানুজ্জামান ও মাহফুজ চৌধুরী। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাঁদের আদালতে আনা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন আদালত প্রাঙ্গণে বলেন, তিন আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে কী বলেছেন মামলার তদন্তের স্বার্থে তা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার সাংবাদিকদের বলেন, বাঁশখালী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও রুহুল আমিন। তিনি ওই মামলায় এই তিন আইনজীবীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। এরপর তাঁরা গত রোববার জবানবন্দি দেন। হাটহাজারী থানায় করা মামলাতেও র্যাব তাঁদের নতুন করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আবদুস সাত্তার বলেন, ‘তিন আইনজীবী দুই মামলার জবানবন্দিতেই টাকা দেওয়া-নেওয়ার কথা বলেছেন। সরল বিশ্বাসে মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা ফেরত দিয়েছেন। এঁরা কেউই জঙ্গি নন। একজন আইনজীবী হিসেবে তাঁরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন।’
চলতি মাসের ১৮ তারিখ রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে এ তিন আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের র্যাব-৭। পরদিন সংবাদ সম্মেলনে র্যাব দাবি করে, ‘শহীদ হামজা ব্রিগেড’ নামে চট্টগ্রামভিত্তিক নতুন জঙ্গি সংগঠনের জন্য সংগৃহীত এক কোটি ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে এ তিন আইনজীবী এক কোটি আট লাখ টাকা দিয়েছেন। এর মধ্যে আইনজীবী শাকিলা দুই দফায় ২৫ লাখ ও ২৭ লাখ করে মোট ৫২ লাখ টাকা, আইনজীবী হাছানুজ্জামান ৩১ লাখ টাকা এবং মাহফুজ ২৫ লাখ টাকা দিয়েছেন। পরে তাঁদের বাঁশখালী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চার দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। গত রোববার বাঁশখালী আদালতে তিন আইনজীবী জবানবন্দি দেন। পরের দিন হাটহাজারী থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাঁদের শ্যোন অ্যারেস্ট (গ্রেপ্তার) দেখানো হয়।