শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

টঙ্গীতে প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রেমিক আটক

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের টঙ্গীতে প্রেমিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে এক প্রেমিক। নিহতের নাম শান্তা (১৯)। তিনি নেত্রকোণা সদরের নাগড়া গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে এবং টঙ্গীতে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। পুলিশ শনিবার গভীর রাতে লাশ উদ্ধার এবং প্রেমিককে আটক করেছে। ঘাতক প্রেমিকের নাম রুকনুজ্জামান (২৩)। তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকবাজার রাজাপুর গ্রামের সাঈদ মৃধার ছেলে।
টঙ্গী থানার এএসআই মোস্তফা কামাল জানান, শান্তা ও রোকনুজ্জামানের মধ্যে প্রেমের স¤পর্ক ছিল। শনিবার শান্তাকে নিয়ে রুকনুজ্জামান টঙ্গীর পাগাড় এলাকার এক আত্মীয় বাবুলের বাসা  ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। মিঠুও স্থানীয় একটি পোষাক করাখানার শ্রমিক। তাদেরকে ঘরে রেখে মিঠু তার কর্মস্থলে চলে গেলে রুকনুজ্জামান শান্তাকে ধর্ষণ করে। পরে শান্তা বিয়ের জন্য তাকে চাপ দিলে’সে টালবাহানা শুরু করে এবং উত্তেজিত হংে উঠে। দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শান্তাকে হত্যা করে রুকনুজ্জামান।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, কর্মস্থল থেকে মিঠু রাতে বাসায় ফিরে এলে রুকনুজ্জামান ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার সময় তার আচরণ মিঠুর সন্দেহ হয়। পরে ঘরে লাশ দেখে এলাকাবাসীর সহায়তায় রুকনুজ্জামানকে ঘরে আটকে রাখে পুলিশকে খবর দেয় মিঠু। শনিবার দিবাগত গভীর রাতে শান্তার লাশ উদ্ধার এবং রুকনুজ্জামানকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে রুকনুজ্জামান ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।