শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

গাজীপুরে ট্রাফিক সার্জেন্ট সোহেলের বহুমুখী ঘুষ বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার : দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে গাজীপুর, টঙ্গীতে দায়িত্বরত কিছু অসাধু ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।অভিযোগ রয়েছে,নিজেদের দ্বায়-দায়িত্ব এবং সরকারি নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে যত্রতত্র রাস্তার উপর যানবাহন থামিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করার। এদিকে দিনের পাশাপাশি রাতের আঁধারে গাজীপুর টঙ্গী শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকে টমটম, সিএনজি, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সিক্যাব সহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন আটক করে কাগজ-পত্র তল্লাশীর নামে গভীর রাত পর্যন্ত অর্থ আদায়ের অভীযোগ উঠেছে ট্রাফিক সার্জেন্ট সোহেল এর বিরুদ্ধে। হয়রানির স্বীকার এমন বেশ কয়েকজন পরিবহন মালিক ও চালকদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গত কয়েক মাস ধরে সার্জেন্ট সোহেল নগদ টাকার লোভে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন যেখানে সেখানে গাড়ী থামিয়ে ডাম্পিংয়ের ভয় দেখিয়ে গাড়ির মালিক ও চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ উর্পাজন করছে। ঘুষ দিলে সব ঠিক নতুবা সমস্যা শেষ নেই। অবৈধভাবে গাড়ী রেকারিং করা থেকে শুরু করে গাড়ি চালকদেরকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনা গাজীপুর শহরবাসীর কাছে নিয়মিত চিত্র হয়ে গেছে। তবে ঘুষের বিনিময়ে রেহাই পেতে নগত টাকা সঙ্গে না থাকলেও কোন সমস্যা নেই। আছে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশের সু-ব্যবস্থা। ঘুষের 'বনিবনা' হলে সব ঠিক। ঘুষ দিতে না চাইলে অবৈধভাবে রেকারিংয়ের মাধ্যমে গাড়ী পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে ডাম্পিং (গাড়ির জেলখানা) জোনে অথবা স্থানীয় থানায়। দির্ঘদিন ধরে এভাবেই চলছে টমটম, সিএনজি, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, ট্যাক্সি ও অটোরিকশা চালকদের উপর গাজীপুর,টঙ্গী শহরের পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উল্লেখিত ট্রফিক সার্জেন্ট সোহেলের নগ্ন হস্তক্ষেপ। ঢাকা জামালপুর রোড়ের ইসলাম পরিবহন, ঢাকা হালুয়াঘাট রোড়ের  শ্যামলী বাংলা পরিবহনের বাস চালক এবং মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলাচলকারী গাড়িগুলোর মাসিক চুক্তি রয়েছে সোহেলের সঙ্গে। যার কারণে নানা ত্রুটি থাকার পরও নির্বিগ্নে তারা গাড়ি চালাতে পারছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিছু ট্রাফিক পুলিশ সদস্য এই প্রতিবেদককে জানায়, কিছুদিন আগে সার্জেন্ট শরীফুল ইসলাম গাজীপুর থেকে বদলী হবার কারনে তার নিয়ন্ত্রনে থাকা (মাসিক মাসোহারার ভিত্তিতে) প্রায় ৫০টিরও বেশী গাড়ীর দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে যান সার্জেন্ট সোহেলকে। বর্তমানে সোহেল এসব প্রতিটি গাড়ী থেকে প্রতিমাসে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা মাসোহার নিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা জামালপুর রোড়ের ইসলাম পরিবহন, ঢাকা হালুয়াঘাট রোড়ের শ্যামলী বাংলা পরিবহন, ট্রাক মালিক ও চালকরা। সোহেল তার ব্যাক্তিগত ভাবে নিয়োগকৃত সোর্স বিল্লু (জয়দেবপুর চৌরাস্তা) আবুল হোসেন (টঙ্গী ষ্টেশন রোড়) এদের মাধ্যমে মাসিক চাঁদার টাকা উত্তেলন করে থাকেন বলে ভুক্তভুগি পরিবহন মালিক ও চালকরা জানায়। চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রথমে গাড়ি থামিয়েই ডাম্পিংয়ের ভয় দেখিয়ে কাগজ পত্র যাচাইয়ের নামে ড্রাইভারকে পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মোটা অঙ্কের উৎকোচ (ঘুষ) লেনদেনের চেষ্টা চলে। বনিবনা হলেই গাড়ি ছেড়ে দেয়, নতুবা রেকারিং করে তা ডাম্পিংয়ে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, অপর এক গাড়ী মালিক নাম প্রকাশ না করে বলেন, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে আমরা অতিষ্ঠ। ফলে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে হচ্ছে। অটোচালক আবদুল জলিল বলেন, গাড়ি আটকানোর পর সার্জেন্টরা কৌশলে চালককে পুলিশ বক্সের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে বসেই 'বনিবনার' চেষ্টা চালায়। তাছাড়া গাড়ির কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলেও নানা অজুহাতে টাকা আদায় করা হয়। সিএনজি চালিত অটোরিকশা দেখলেই তারা এ কাজটি বেশী করে। শুধু এ কয়েকজন চালকই নন, ভুক্তভোগী অনেক ট্রাক ও পিকআপের চালকেরা একই ধরনের অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে সার্জেন্ট সোহেলের এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অ¯ী^কার করে কৌশলে এড়িয়ে যান।এদিকে সার্জেন্ট সোহেলের ঘুষ বাণিজ্য,মাসিক চাদার বিনিময়ে গাড়ী নিয়ন্ত্রন করার অভিযোগের বিষয়ে ক্লিন ইমেজখ্যাত গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র এ,এসপি শাখাওয়াত হোসেন এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে গতকাল দুপুর  ১ঃ৪৮মি,এবং দুপুর ২ঃ১৪ মিনিটে (দুইবার) তাকে ফোন করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ না করে লাইটি কেটে দেন