শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

কালীগঞ্জের বিএনপি নেতারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে

সাধারণ কর্মীরা মামলায় জর্জরিত

হেলাল উদ্দিন খান, কালীগঞ্জ : ক্ষমতা পালা বদলের সাথে সাথে গত ২০০৯ থেকে বিএনপি নেতা শূন্য হয়ে পরেছে কালীগঞ্জ। ২০ দলীয় জোটের দলীয় কর্মসূচীর ঘোষনায় পুলিশী অভিযানের ভয়ে মৌসুমী নেতারা এলাকা ছেড়ে চলে গেছে অন্যত্র। দল গঠনে অনিয়ম ও রাজনৈতিক মামলার স্বীকার সাধারণ কর্মীরা নিজেদের টাকায় মামলা হাজিরা দিতে গিয়ে নেতাদের দালালীতে আরো অসহায় হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সড়ক র্দুঘটনায় আহত নেতা শহিদুল্লাহ ব্যাতিত জামাই মিঠু, বালু মাসুদরানা, পল্লী ফরিদ, বাবলু ও লাবলুসহ অনেক নেতারা এলাকা ত্যাগ করে অনেকে বাড়ী র্নিমান করে অন্যত্র অবস্থান করায় কালীগঞ্জ বিএনপি নেতা শূন্য হয়েগেছে। আবার অনেকে হামলা মামলার ভয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আতœগোপন করে আছে। সাধারণ কমীরা বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত হয়ে নিজের অর্থে মামলা চালাতে গিয়ে নেতাদের দালালিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তৃনমুল নেতাদের অভিযোগে জানা যায়, দল গোছানোর নামে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পরস্পর নিজস্ব লোক নিয়ে বিভিন্ন পকেট কমিটি গঠিত হয়েছে। দলের ত্যাগী নেতা যারা মাঠে ময়দানে কাজ করেছেন তাদের বাদ দিয়ে একাধিক আত্বীয়দের স্বজন-প্রীতির মাধ্যমে দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনীত করায় দলের ভেতর ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। যার ফলে অনেক ত্যাগী নেতারা দল ছেড়ে বিভিন্ন দলে ও নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মনোনিবেশ করেছেন। এদিকে কয়েক দিন আগে পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের আলমাস আলী স্থানীয় কর্মীদের নিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছে।
সাবেক এমপি একেএম ফজলুল হক মিলন বলেন, মিথ্যা হামলা মামলার ভয়ে অনেক নেতাকর্মী এখনো এলাকার বাহিরে অবস্থান করছে এটা সত্য তবে অনেক নেতা এখনো মিথ্যা মামলায় কারাগারে আছে।
এ বিষয়ে জামাই মিঠু বলেন, আমি আরো ৭/৮ বছর আগে দল ত্যাগ করে ব্যবসা বানিজ্যে আছি। এত বড় বড় নেতাদের ভিড়ে আমার জায়গা হয় না বলে তাই দল ত্যাগ করেছি।
এ বিষয়ে ফরিদ আহাম্মেদ মৃধা বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর দিন আমার বাড়ীতে হামলা চলিয়ে আমাকে না পেয়ে আমার বাবাকে মারধর করে এবং এই বলে হুমকি দেয় যদি আমি কালীগঞ্জে আসি তাহলে জীবন নিয়ে ফিরতে পারবো না। তাই আমি বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। তবে মামলায় কোন কর্মীদের নিকট থেকে টাকা নেয়া হয় না।