শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

লাখ লাখ টাকা হাতানোর নেপথ্যে দলীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসন

উত্তরার আব্দুল¬াহপুরে সিএনজি, অটো ষ্ট্যান্ড ও ফুটপাতে চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টার : উত্তরার আব্দুল¬াহপুরস্থ ভেরিবাঁধের উপর অটো ষ্টেন ও ফুটপাত থেকে সরকার দলীয় কতিপয় নামধারী নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতিদিন দোকান প্রতি ১০/১০০ টাকা, সিএনজি ও অটো থেকে ৫০/১৫০ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীরা জানান, উত্তরার আব্দুল¬াহপুর থেকে তেরমুখ, মাষ্টারপাড়া, আটিপাড়া, কোটবাড়ী, চৌরারটেকে চলাচলরত সিএনজি, অটো থেকে এবং ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা আশুলিয়া সড়কের দু-পাশের ফুটপাত এবং ভাসমান তরিতরকারীসহ বিভিন্ন দোকান থেকে প্রতিদিন স্থানীয় থানা পুলিশের কতিপয় সদস্য থেকে শুরু করে সরকার দলীয় নামধারী নেতা কর্মীরা বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা আদায়সহ ও চাঁদাবাজী সংক্রান্ত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। আরো জানা যায়, এলাকার নেতা নামধারী মন্টু, কালাম, বেলাল, শাহীনের নেতৃত্বে আব্দুল¬াহপুর চৌরাস্তাসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন যানবাহনসহ ফুটপাত নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এরই ধারা বাহিকতায় সাধারণ ব্যবসায়ীরা কাঁচা তরিতরকারীসহ বিভিন্ন দ্রব্য ও পণ্য-সামগ্রীর দ্বিগুন মূল্য বৃদ্ধিসহ অটো ও সিএনজি চালক ও মালিকরা সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করে থাকে। গতকাল বুধবার দুপুরে আব্দুল¬াহপুর এলাকা ঘুরে আরো জানা যায়, এসব চাঁদাবাজদের একদিন চাঁদা না দিলে ব্যবসায়ীদের পুলিশী হয়রানীসহ বিভিন্ন প্রকার মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে থাকে এবং তাদের উপরোক্ত এলাকায় ব্যবসা করতে দেয়া হয় না। আবার মোটা অংকের টাকা দিলে তাদের পুনরায় বসিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও অটো বা নিএনজি মালিক বা চালকরা একদিন চাঁদা না দিলে তাদের যানবাহন থানা পুলিশ অথবা ট্রাফিক সার্জেন্ট দিয়ে ধরিয়ে থানায় নিয়ে আটক করে রাখা হয়। পরে সংশি¬ষ্ট সার্জেন্ট ও থানা পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তা ছাড়িয়ে আনতে হয়। এবিষয়ে অটো মালিক কামাল, খোকাসহ একাধিক মালিক ও চালকরা জানান, আব্দুল¬াহপুর এলাকায় চলাচলরত সিএনজি ও অটোর সংখ্যা প্রায় ৪/৫ শত রয়েছে। অথচ চাঁদাবাজদের কারণে এসব যানবাহ এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবে চলতে পারছে না। আমরা চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। আগামীতে এ ব্যবসা ছেড়ে দেয়া ছাড়া উপায় নেই। এসব পরিবহন সরিয়ে নিতে একদিকে সরকারের চাপ অন্যদিকে চাঁদাবাজ ও ট্রাফিক পুলিশসহ থানা পুলিশের অত্যাচার, এভাবে কি ব্যবসা চলে ?
ফুটপাত ব্যবসায়ীরা জানায়, থানা পুলিশ ও চাঁদাবাজদের নিয়মিত খাজনা দিয়ে রাস্তার ফুটপাতে ছোট খাটো ব্যবসা করে আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে কোন মতে জীবন সংসার চালাই। আপনারা এনিয়ে লেখা লেখি করলে আমাদেরকে এখানে ব্যবসা করতে দেবে না। স্ত্রী, সন্তান ও পরিবাদের সদস্যদের জীবনের এতটুকু চাহিদা মেটাতে স্থানীয় থানা পুলিশ ও চাঁদাবাজদের নিয়মিত চাঁদা দিয়ে অনেক অন্যায় অত্যাচার সহ্য করেও আমাদের ফুটপাতে বসে ব্যবসা করতে হয়।
এব্যাপারে উত্তরা মডেল থানার (পূর্ব) অফির্সাস ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার থানার কোন অফিসার বা পুলিশ সদস্য এসব ফুটপাত থেকে চাঁদার টাকা আনে বলে আমার জানা নেই। আর চাঁদাবাজ যেই হোক কেউ-ই আইনের উর্দ্ধে নয়। কেউ যদি এধরনের চাঁদাবাজির ঘটনার সাথে জড়িত থাকে প্রমান পেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।