শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

গাজীপুরে জেএমবি’র বোমা হামলায় ১৭ জনের জেল

স্টাফ রিপোর্টার : দশ বছর আগে গাজীপুরের নয়টি স্থানে একযোগে বোমা হামলার ঘটনায় জেএমবির ১৭ জঙ্গিকে দশ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার সোমবার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত ১৭ আসামির প্রত্যেককে রায়ে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। ওই টাকা না দিলে তাদের আরও এক বছর করে জেল খাটতে হবে।
দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তার ১১ জন এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরা হলেন- মো. রোকনুজ্জামান রোকন, মো. মামুনুর রশিদ মামুন, আরিফুর রহমান আরিফ ওরফে হাসিব ওরফে আসিফ ওরফে আকাশ, মো. নিজাম উদ্দিন ওরফে রেজা ওরফে রবি ওরফে কচি ওরফে রনি, আসাদ ওরফে জাহাঙ্গীর, নুরুল হুদা ওরফে দুরুল ওরফে হাসান, মো. মাহবুবুল আলম ওরফে মাহবুব, মো. জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির, আফজাল হোসেন ওরফে আদম, কাওসার ও ওমর ফারুক। এছাড়া রাসেল, আবদুল কাফি, এমএ সিদ্দিক বাবলু, রানা ওরফে আবদুস সাত্তার, মাসুম ওরফে আবদুর রউফ এবং রায়হান ওরফে উবায়েদ মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
দণ্ডিতদের সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার আসামি হাসান, মাহবুবুর রহমান ওরফে মাহবুব, মো. দুরুল ইসলাম ওরফে জোবায়ের ও তৈয়বুর রহমান ওরফে হাসানকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা নিজেদের শক্তির জানান দিতে ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট বাংলাদেশের ৬৩ জেলার বিভিন্ন স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালায়। এর অংশ হিসেবে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনসেহ জয়দেবপুর থানাধীন নয়টি স্থানে সেদিন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা ২০ মিনিটের মধ্যে পূর্ব চান্দনা চৌরাস্তা মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর্যের পাশে, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ শহীদ মিনারের সামনে, শিমুলতলী বাসস্ট্যান্ডে, জয়দেবপুর বাজার কালিমন্দিরের প্রবেশপথে, ডুয়েটের এসএম হলের সামনে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে এবং বোর্ডবাজার আলাউদ্দিন টেক্সটাইল মিলের ফটকে এসব বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।
জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক গাজী রুহুল ইমাম ওইদিনই বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছর ১২ অক্টোবর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।