শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

আরও দুই মৈত্রী সেতু হবে চীনের সহায়তায়

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে আরও দুটি নতুন সেতু নির্মাণে চীন সরকার সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বরগুনার আমতলী ও পটুয়াখালীর গলাচিপায় এই দুটি মৈত্রী সেতু হবে।
আজ বুধবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর দায়িত্ব চীনের কাছে হস্তান্তরের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চীন বিশ্ব অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে চীন ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। এর আগে তারা ছয়টি মৈত্রী সেতু নির্মাণ করেছে। চীনের অর্থায়নে পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমতলীর সেতুটি নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু এবং গলাচিপার সেতুটি দশম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নামে পরিচিত হবে।
এর আগে মাদারীপুর(মোস্তফাপুর)-শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর নবনির্মিত আচমত আলী খান সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর হস্তান্তর করা হয়। চীন সরকারের পক্ষে ঢাকা সফররত দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী এইচই জাওয়ের উপস্থিতিতে এই হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। ৭০০ মিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৯৪ কোটি টাকা। মূল সেতুটির পাশাপাশি টেকেরহাট, টুমচর ও আঙ্গাররিয়ায় আরও তিনটি সেতু নির্মাণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২০ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুগুলোর উদ্বোধন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চীনের বিভিন্ন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সেতু নির্মাণে কাজ করছে। সম্প্রতি আমার চীন সফরকালে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে জি-টু-জি ভিত্তিতে একটি টানেল নির্মাণে আমরা চুক্তি করেছি। পাশাপাশি আজ আমি চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় সড়ক ও সেতু বিভাগের পরিকল্পনাধীন আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা চেয়ে অনুরোধ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ; ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের আদলে চার লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ। এ ছাড়া সেতু বিভাগের আওতায় ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল নির্মাণ এবং ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে সহযোগিতা চেয়েছি।’
আগামী অক্টোবরে চীনের প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরে এসব প্রকল্পের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া মিলবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।