গাজীপুরে মেধাবী ছাত্র সোহেল রানা অপহরণ
স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : গাজীপুর সদর থানার ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষায় ২০১৩ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত এবং স্থানীয় ন্যাশনাল ফিড মিলের শ্রমিক ফজলুল হকের ছেলে সোহেল রানা (১৩) গার্মেন্টস কর্মী মাকে এগিয়ে আনতে গিয়ে একদল অপহরণকারী ও দূঃস্কৃতিকারীর শিকার হয়। অপহরণকারীরা তাকে ধওে নিয়ে গিয়ে তার পিতার কাছে মুক্তিপন দাবী করে। মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে অবশেষে তাকে হত্যা করে লাশ গজারী বনে ফেলে রাখে। এঘটনার পর মামলা হলে ঘটনার সাথে জড়িত ৭ জনের মধ্যে ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। দীর্ঘ প্রায় ১৫ মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এ মামলার চার্জসিট প্রদান না করায় মামলার বাদী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নিহতের পিতা ফজলুল হক এ প্রতিনিধিকে জানান, আমি দরিদ্র মানুষ পেটের ভাত যোগাড় করা কষ্টকর তবুও আমি আমার মেধাবী ছেলেকে পড়াশোনা করাতে চেয়েছিলাম। সেই মোতাবেক ২০১৩ সালে জেএসসি পরীক্ষায় আমার ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো। পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার পূর্বেই গত ৮ ডিসেম্বর রাত ৮ টায় সোহেল রানা তার গার্মেন্টস কর্মী মাকে রাস্তা থেকে এগিয়ে আনতে গেলে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং আমার কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। আমি মুক্তিপনের টাকা দিতে না পারায় সন্ত্রাসী ও অপহরণকারীরা ৯ ডিসেম্বর আমার ছেলেকে হত্যা করে লুটিয়ারচালা গজারী বনে ফেলে রাখে এবং ১০ ডিসেম্বর জয়দেবপুর সদর থানা পুলিশ আমার ছেলের লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে ১২ ডিসেম্বর জয়দেবপুর সদর থানার মামলা নং-৩৬ দায়ের করলে পুলিশ সন্দেহ ভাজন প্রথমে ২ জনকে গ্রেফতার করে এবং আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধীতে গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা সোহেল রানাকে অপহরনের পর মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে হত্যার ঘটনায় আরো ৫ জন জড়িত বলে নাম প্রকাশ করে। সেই মোতাবেক জেলা ডিবি পুলিশ আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করলেও বাকী ২ জনকে আজো গ্রেফতার করতে পারেনি। উক্ত হত্যা মামলাটি প্রায় ১৫ মাস পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে ডিবি পুলিশ বাকী ২ জনকে গ্রেফতার বা মামলার চার্জসীট প্রদান না করায় আমরা শংকিত। আমি কি আমার সন্তান হত্যার বিচার পাবো কি না জানি না ? আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মামলাটি গাজীপুর জয়দে;বপুরের আলোচিত একটি হত্যা মামলা। এতো তারাতারি কি সমাধান হয়। মামলার তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী ২ জনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অচিরেই চার্জসীট প্রদান করা হবে।
নিহতের পিতা ফজলুল হক এ প্রতিনিধিকে জানান, আমি দরিদ্র মানুষ পেটের ভাত যোগাড় করা কষ্টকর তবুও আমি আমার মেধাবী ছেলেকে পড়াশোনা করাতে চেয়েছিলাম। সেই মোতাবেক ২০১৩ সালে জেএসসি পরীক্ষায় আমার ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো। পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার পূর্বেই গত ৮ ডিসেম্বর রাত ৮ টায় সোহেল রানা তার গার্মেন্টস কর্মী মাকে রাস্তা থেকে এগিয়ে আনতে গেলে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং আমার কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। আমি মুক্তিপনের টাকা দিতে না পারায় সন্ত্রাসী ও অপহরণকারীরা ৯ ডিসেম্বর আমার ছেলেকে হত্যা করে লুটিয়ারচালা গজারী বনে ফেলে রাখে এবং ১০ ডিসেম্বর জয়দেবপুর সদর থানা পুলিশ আমার ছেলের লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে ১২ ডিসেম্বর জয়দেবপুর সদর থানার মামলা নং-৩৬ দায়ের করলে পুলিশ সন্দেহ ভাজন প্রথমে ২ জনকে গ্রেফতার করে এবং আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধীতে গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা সোহেল রানাকে অপহরনের পর মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে হত্যার ঘটনায় আরো ৫ জন জড়িত বলে নাম প্রকাশ করে। সেই মোতাবেক জেলা ডিবি পুলিশ আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করলেও বাকী ২ জনকে আজো গ্রেফতার করতে পারেনি। উক্ত হত্যা মামলাটি প্রায় ১৫ মাস পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে ডিবি পুলিশ বাকী ২ জনকে গ্রেফতার বা মামলার চার্জসীট প্রদান না করায় আমরা শংকিত। আমি কি আমার সন্তান হত্যার বিচার পাবো কি না জানি না ? আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন মামলাটি গাজীপুর জয়দে;বপুরের আলোচিত একটি হত্যা মামলা। এতো তারাতারি কি সমাধান হয়। মামলার তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী ২ জনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অচিরেই চার্জসীট প্রদান করা হবে।