কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফেরদৌছ মিয়া (৫০) কে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে একই কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের জুনিয়র প্রভাষক শরীফ হোসেন (২৯)। কলেজ পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৃহস্পতিবার সকালে কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত সেই প্রভাষক শরীফ হোসেনকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। তাছাড়া এ ব্যাপারে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতির কাছে দাখিল করার অনুরাধ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে প্রভাষকের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে একটি সূত্র জানায়। তবে অভিযুক্ত প্রভাষক শরীফ হোসেনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপির কাছে কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারী স্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে তাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, গত বছরের জুলাই মাসে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করা শরীফ হোসেন প্রায়শই সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে কলেজে প্রাশসনিক ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপ করতো। যা সরকার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে বলেও সূত্র জানায়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার কলেজের অধ্যক্ষকে অফিস কক্ষে প্রবেশ করে প্রভাষক মো. শরীফ হোসেন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, অফিস ভাংচুর এবং শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। ঘটনার পর পর কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিতাই চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী এমপিকে জানানো হয়েছে। যার নির্দেশে মঙ্গলবার অধ্যক্ষ মো. ফেরদৌছ মিয়া বাদি হয়ে থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (নং ৯১৪) করেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার কলেজের অধ্যক্ষকে অফিস কক্ষে প্রবেশ করে প্রভাষক মো. শরীফ হোসেন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, অফিস ভাংচুর এবং শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। ঘটনার পর পর কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিতাই চন্দ্র সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী এমপিকে জানানো হয়েছে। যার নির্দেশে মঙ্গলবার অধ্যক্ষ মো. ফেরদৌছ মিয়া বাদি হয়ে থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (নং ৯১৪) করেন।