শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

গাজীপুরে ডিবি’র ছদ্মবেশে দেড় লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই ঃ পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ

আসলে এরা কারা- সত্যি সত্যি ডিবি, নাকি ছদ্মবেশী ছিনতাইকারী ?

আবিদ হোসেন বুলবুল : গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর থানা এলাকার পূবাইলস্থ ঢাকা-সিলেট বাইপাস সড়কের মেঘডুবি কলের বাজার এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে ডিবির ছদ্মবেশে এক ব্যবসায়ীর নগদ ১লাখ ৬০হাজার টাকা ও একটি সিম্ফুনি ডব্লিউ- ৯৫ মডেলের একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সংশ্লীষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং- ১৩০, তাং- ২৮/০১/২০১৫ইং।
মামলা সূত্রে প্রকাশ- জয়দেবপুর থানা এলাকার মেঘডুবি কলের বাজরস্থ মেসার্স ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক ব্যবসায়ী মোঃ সুজন ভূঁইয়া (৩২) ২৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী মীরের বাজারে থাকা ডাচ্ বাংলা ব্যাংক থেকে নগদ ১লাখ ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে এবং তার সাথে থাকা আরো ১০ হাজার টাকাসহ মোট ১লাখ ৬০হাজার টাকা নিয়ে যাত্রীবাহী টেম্পু যোগে মেঘডুবি বাছেদ মেম্বারের বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে রাস্তায় পৌছায়। ওই মুহুর্তে পূর্ব থেকে অবস্থান নেয়া একটি মাইক্রোবাস থেকে ৩/৪জন সাদা পোশাকধারী লোক নেমে টেম্পোকে থামার জন্য ইশারা দেয়। টেম্পু চালক তাৎক্ষনিক টেম্পু থামালে তারা এসে ডিবি পুলিশ পরিচয় প্রদান করে টেম্পু থেকে সকলকে নামায় এবং একজন লোক সকলকে নাম জিজ্ঞাসা করে। এক পর্যায়ে সুজন নিজের পরিচয় দিলে, তারা তাকে কালিগঞ্জ থানায় মামলা রয়েছে বলে সাথে সাথে হাতকড়া লাগায় এবং টেনে হেঁচড়ে মাইক্রোবাসে তুলে চট্টগ্রাম রোড অভিমুখে চলে যায়। তারা পথিমথ্যে কৌশলে সুজনের সাথে থাকা নগদ ১লাখ ৬০হাজার টাকা ও একটি ডব্লিউ- ৯৫ মডেলের সিম্ফুনি মোবাইল সেট নিজেদের দখলে নেয় এবং কাঞ্চন ব্রীজ পেরিয়ে পূর্বাচল এলাকায় নিরিবিলি স্থানে রাস্তায় সুজনকে ফেলে রেখে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে পুনরায় মেঘডুবি অভিমুখে চলে আসে।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সুজন বাড়ি ফিরে আসে। এ প্রতিবেদককে সুজন জানায়- তারা গাড়িতে বসিয়েই চোখ বেধে ফেলে এবং তাকে এলোপাথারি মারপিট করে। একপর্যায়ে তারা সুজনকে হুমকী দেয়, এ ঘটনা কাউকে জানালে বা মামলা করলে পরবর্তীতে তারা তাকে মেরে ফেলবে।
সচেতন মহালের ধারণা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। কেননা- আসলে ওরা কারা ? ডিবি’র ছদ্মবেশে ছিনতাইকারী নাকি সত্যি সত্যি ডিবি পুলিশ ? তাছাড়া এলকাবাসীরা বলেন- এই বাইপাস সড়কে বিশেষ করে দাক্ষিনখান থেকে মীরের বাজার পর্যন্ত মাঝে মধ্যেই এমন রহস্যজনক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। যার সমাধান হওয়া আবশ্যক। এলাকাবাসী এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।