শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার ২য় পর্বের সমাপ্তি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি মাগফিরাত ও কল্যাণ কামনা

মোঃ রাকিব হাসান, টঙ্গী থেকে : দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গতকাল রোববার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমার আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ব তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বী ভারতের দিল্লীর মারকাজের সূরা সদস্য হযরত মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ। বেলা ১১টা ২২ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়ে ১১টা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত ৩৯মিনিট ব্যাপী আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা নারী-শিশু মহান আল্লাহর নিকট তাদের কৃতকর্মের ও ইহলৌকিক-পরলৌকিক সুখ-শান্তি কল্যাণ কামনায় দু’হাত তুলে মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাতে সারা দুনিয়ার মানুষের সুখ শান্তি-সমৃদ্ধি কল্যাণ কামনা করে অশ্র“সিক্ত কান্নাজড়িত কন্ঠে মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে মুসলিম উম্মাহর ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত, দুনিয়ায় মুসলিম ভাইয়ে ভাইয়ে হানাহানি, কাটাকাটি বন্ধ করে শান্তির পথে চলার জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়। এসময় লাখ লাখ মুসল্লী দেশ-জাতি ও বিশ্বের সব মানুষের জন্য সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করা হয়।
গতকাল রোববার বাদ ফজর থেকেই মোনাজাত পরিচালনাকারী ভারতের মাওলানা দিল্লী মারকাজের সূরা সদস্য মাওলানা সা’দ বয়ান করেন। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করেন বাংলাদেশের মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম। লাখো মুসল্লির ‘আমিন আমিন’,  ‘আলাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর বিস্তৃত এলাকার আকাশ-বাতাস। মোনাজাত চলাকালে সমগ্র ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের ৫বর্গ কিলোমিটার এলাকায় পিনপতন নীরবতা নেমে আসে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অশ্র“সিক্ত নয়নে দুই হাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে নিজেকে সমর্পণ করে নিজ নিজ গুণাহ মাফের কামনা করে আখেরী মোনাজাতে শরীক হন। এ সময় অনেক মুসল্লীকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরী মোনাজাতে বিশ্বের ৯০টি দেশের প্রায় ১০ হাজার বিদেশি অতিথি সহ দেশ-বিদেশের প্রায় ৩০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লী শরিক হন বলে আয়োজক কমিটি সূত্রের ধারণা। মোনাজাতে তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি দিল্লির হজরত মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ আরবি ও উর্দু ভাষায় দোয়া পরিচালনা করেন। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মাওলানা সা’দ তার প্রদত্ত বয়ানে হেদায়েতি (দাওয়াতি কাজের পদ্ধতি) সম্পর্কে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন।
গতকাল রোববার মূল ময়দানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকেই আশপাশের এলাকা ও মহাসড়কে অবস্থান নেন। আশপাশের এলাকার ভবনগুলোর ছাদেও মানুষের ভিড় দেখা যায়। সেখান থেকেই মোনাজাতে শরিক হন অনেকে। এ সময় “আমিন আমিন” ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। মোনাজাত চলাকালে দক্ষিণে বিমানবন্দর, উত্তরে গাজীপুর বোর্ড বাজার পূর্বে পূবাইলের মাঝুখান এবং পশ্চিমে আশুলিয়া পর্যন্ত প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোররাত থেকে যানবাহনশূন্য সড়ক-মহাসড়ক ও নদীপথে টুপি-পাঞ্জাবি পরা মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার শুরু হয়। চারদিকে যত দূর চোখ যায় মানুষ আর মানুষ। সকাল ৮টার মধ্যে গোটা এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। আখেরি মোনাজাতের দিন টঙ্গী, উত্তরা ও আশপাশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস কারখানা ও সকল শিল্পকারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এসব শিল্পকারখানার কয়েক লাখ শ্রমিকও আখেরী মোনাজাতে অংশ নেয়।
আখেরি মোনাজাতের বিস্তৃতি, তুরাগ নদের পূর্ব পাড়ের ইজতেমা কেবল তুরাগপাড় কিংবা টঙ্গীতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। উত্তরে চেরাগ আলী, দক্ষিণে খিলক্ষেত, পূর্বে টঙ্গী রেলস্টেশন, পশ্চিমে কামারপাড়া। সাভার বাইপাইল, জয়দেবপুরের চান্দনা চৌরাস্তা মোড়ে দাঁড়িয়েও দেখা যায় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লীকে মোনাজাতে অংশ নিতে। রাস্তাঘাট, দোকানপাট, ব্রিজ-কালভার্ট, বাসা-বাড়ির ছাদ, নৌকা-লঞ্চ ও বাস-ট্রাকের ছাদে যে যেখানে যে অবস্থায় ছিলেন, সেখান থেকে দুই হাত তুলে আখেরি মোনাজাতে শরিক হন।
মোনাজাতে মহিলাদের অংশগ্রহণ : আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার মহিলা মুসল্লীও আগের দিন রাত থেকে ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে, বিভিন্ন মিলকারখানা, বাসা-বাড়িতে ও বিভিন্ন দালানের ছাদে বসে আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে দেখা গেছে।
টিভি ও মোবাইলের মাধ্যমে মোনাজাত : আখেরী মোনাজাতের সময় ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া ও মোবাইলের মাধ্যমে লাখ লাখ নারী-পুরুষ, ও শিশু টিভির সামনে বসে মোনাজাতে অংশ নেন।
১০ কি.মি. এলাকা জুড়ে মানব বলয় : দ্বিতীয় দফায় তিন দিনব্যাপি বিশ্ব ইজতেমার শেষ দিন রোববার ভোর থেকেই আখেরি মোনাজাতে শামিল হতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ রাজধানী ঢাকা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো থেকে ট্রেন, বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, জীপ, কার এবং নৌকাসহ নানা ধরনের যানবাহনে এবং যানবাহন না চলায় ইজতেমা ময়দানের ৫/৬ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে এসে পায়ে হেঁটে পৌঁছেন মুসল্লীগণ। এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ভোর থেকেই ইজতেমা ময়দানের দক্ষিণে খিলক্ষেত, বিশ্বরোড এবং উত্তরে গাজীপুর চৌরাস্তা, পূর্বে পূবাইল, পশ্চিমে আশুলিয়া পর্যন্ত রিকসাসহ সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখার ফলে সকাল থেকেই দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে ইজতেমা অভিমুখে ছুটতে থাকে মুসল্লীদের কাফেলা। এতে তুরাগের তীরকে কেন্দ্র করে কয়েক বর্গকিলোমিটার জুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশাল মানব বলয় সৃষ্টি হয়। মোনাজাত শুরুর আগেই সকাল ৮টার মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় তুরাগ তীরের পুরো ইজতেমাস্থল ও চারপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে গোটা এলাকা পরিণত হয় এক বিশাল মানববলয়ে।
নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা : এবারের বিশ্ব ইজতেমায় নজীরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ১২ হাজারের অধিক পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি রয়েছে কয়েক হাজার সাদা পোষাকদারী গোয়েন্দা পুলিশ। আকাশে র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল, নৌ-পথে স্পীড বোটে সতর্ক টহল ও নজরদারী। আকাশ ও নৌ-পথের পাশাপাশি সড়ক পথগুলোতে খালি চোখ ছাড়াও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে বাইনোকুলার দিয়ে মুসল্লীসহ সকলের চলার পথ ও কার্যক্রম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদ্যরা পর্যবেক্ষণ করেন। এসব কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে স্থাপিত র‌্যাবের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও গাজীপুর জেলা পুলিশের মনিটরিং কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহম্মেদ, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এ.এস.এম মাহফুজুল হক নূরুজ্জামান, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদ সার্বক্ষণিক মুসল্লীদের নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করেন।
যে কারণে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা : বিশ্ব তাবলীগ জামাতের মুরুব্বীগণ জানান, দেশ-বিদেশে তাবলীগের দাওয়াত পৌঁছে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ইজতেমায় শরীক হওয়া মুসল্লীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠানের সময় টঙ্গী তুরাগ তীরের এ বিশাল ময়দানেও স্থান সংকুলান হচ্ছে না। আগত মুসল্লীদের যাতায়াতের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের অসুবিধা ও দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুরব্বীরা আরো জানান, ইজতেমা মাঠের ভিতরে বিভিন্ন কলকারখানা রয়েছে। ইজতেমার স্বার্থে এসব কলকারখানা স্থানান্তর করা হলে ভবিষতে ইজতেমা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা যাবে। তারা এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বিদেশী তাশকিল কামরা : ইজতেমা ময়দানের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে করা হয়েছে বিদেশী মুসলিম মেহমানদের অবস্থানের জন্য তাশকিলের কামরা। ময়দানের খিত্তাগুলো থেকে চিল্লায় নাম লেখানো ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের জামাতবন্দী করে তাশকিলের কামরায় জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। আখেরী মোনাজাত শেষে এসব মুসল্লীগণ জামাতবন্দী হয়ে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে গিয়ে রিপোর্ট করে তাবলীগের মুরুব্বীদের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী জামাতবন্দী হয়ে দ্বীনের দাওয়াতী মেহনতে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বেন। এসব জামাতবন্দীদের মধ্যে ৪০দিন, ৩ মাস, ৬ মাস, ১ বছর ও আজীবন চিলল্লাধারী মুসল্লীগণ রয়েছেন। তারা বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে দাওয়াতি কাজ করবেন।
যানজটে মুসল্লীদের ভোগান্তি  : মোনাজাত শেষে একত্রে লাখ লাখ মুসল্লীদের চলাচলের কারণে সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে ফেরত যাওয়া মুসল্লীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। অন্যদিকে অবরোধের কারণে সড়ক মহাসড়কগুলোতে নিয়মিত যানবাহন চলাচল না থাকায় অনেক মুসল্লীকে বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন অধিক ভাড়া দিয়ে রিজার্ভ করে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। এক পর্ষায়ে এসব সড়ক মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করতে না পেরে স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ যানজট সারাদিনই টঙ্গীতে বিরাজ করছিল।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোনাজাতের আগের রাত থেকেই এসব সড়ক মহাসড়কে সাধারণ যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। মোনাজাত শেষেই যানবাহন চলাচল শুরু করলে এতে গন্তব্যে ফিরে যাওয়া পায়ে হাটা লাখ লাখ মুসল্লী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়।
ট্রেনে মুসল্লীদের প্রচন্ড ভীড় : বিএনপির টানা অবরোধের কারণে সড়ক মহাসড়কগুলোতে স্বাভাকি যানচলাচল না থাকায় টঙ্গী রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে চলাচলকারী সকল ট্রেনে মুসল্লীদের প্রচন্ড ভীড় দেখা গেছে। মুসল্লীরা ট্রেনের ভিতরে জায়গা না পেয়ে মই বেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাঁদে উঠে  গাদাগাদি করে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা যায়।
প্রতিবন্ধীদের মোনাজাতে অংশগ্রহণ : বিশ্ব ইজতেমায় শতাধিক প্রতিবন্ধী আখেরী মোনাজাতে অংশ নেয়। তাদের জন্য তাশকিলের কামরার পাশে নির্ধারিত করে দেয়া স্থানে বসে তারা আখেরী মোনাজাতে অংশ নেয়।
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় ৮ মুসল্লীর মৃত্যু : বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে গত শনিবার গভীর রাত এবং রোববার সকাল পর্যন্ত পুলিশ সদস্যসহ মোট ৮মুসল্লীর মৃত্যু হয়েছে। গাজীপুরের সির্ভিল সার্জন আনিসুর রহমান জানান, ঠান্ডাজনিতসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার মধ্য রাত থেকে মোনাজাতের আগ পর্যন্ত ৫হাজার ৬শ’ ৬৫জন মুসল্লী ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ২১জন মুসল্লীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ৩৫জন মুসল্লী ভর্তি রয়েছেন।
ব্যবস্থাপনায় মুসুল্ল¬ীদের সন্তুষ্টি : এবারের বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসুল্ল¬ীরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবা কার্যক্রমে ও নজিরবিহীন সুশৃঙ্খল আইনশৃঙ্খলায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, এবারের ৫০তম বিশ্ব ইজতেমা গত ৯জানুয়ারী থেকে দুই পর্বে শুরু হয়। ৩দিন ৩দিন করে দুই পর্বে ৬দিনের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব  ১১ জানুয়ারী শেষ হয়। মাঝে ৪ দিন বিরতি দিয়ে ১৬জানুয়ারী দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে গতকাল ১৮ জানুয়ারি রোববার আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে এবারের ৫০তম বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি হল।