শিরোনাম

সাংবাদিকতার পরিচয়ে চৌরাস্তায় একটি চক্র নানা অপরাধে সক্রিয় : নেতৃত্বে শামীম ও হালিম ক্লিনিকের গেইটে তালা লাগিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজ বৃক্ষরোপন, নামাজের ঘর ও কমনরুম উদ্বোধন গাজীপুরে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড উন্মোচিত হয়নি কালীগঞ্জে সাবেক এমপি পুত্র হত্যা রহস্য গাজীপুরে পুত্র হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা তাজউদ্দীন পুত্র সোহেল তাজের মনের শক্তি অনেক

টঙ্গীতে বিএনপি নেতাকর্মীরা লাপাত্তা!

অবরোধে নেই কোন তৎপরতা

স্টাফ রিপোর্টার, টঙ্গী : বিএনপি’র টানা ১৫দিন যাবত অবরোধ-হরতালে বিএনপির দুই কেন্দ্রীয় নেতাসহ সকল নেতাকর্মী টঙ্গী থেকে লাপাত্তা হয়ে গেছেন। এতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহের তৃর্ণমূল কর্মীরা নেতৃত্ব সংঙ্কটে পড়ে হতাশায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে দূরে সরে রয়েছেন। রাজধানীর প্রবেশ মুখ টঙ্গী শিল্পাঞ্চল একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।  রাজধানী ঢাকায় আন্দোলন সংগ্রামে টঙ্গী থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সবসময়ই রেখে থাকেন। সে দিক থেকে টঙ্গীর স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তেমন একটা ভূমিকাও রাখতে পারছেন না তাদের স্থানীয় নেতৃত্বস্থানীয় নেতাদের এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়ে থাকার কারণে। কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের কার্যকরি সভাপতি সালাহ্ উদ্দিন সরকারের বাড়ি টঙ্গীতে। টঙ্গী শিল্পাঞ্চলের ও থানা বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীই দুই নেতার সমর্থক। টঙ্গীর স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী থেকে তারা দু’জনই লাপাত্তা হয়ে রয়েছেন। টঙ্গীর তৃর্ণমূলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী বর্তমান বিএনপির ডাকা টানা অবরোধ-হরতালে কোন কর্মসূচীতেই তাদের কাছে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন।
এদিকে টানা হরতাল-অবরোধে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত নেতাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা মাঝে মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলরত দু’একটি গাড়ি ভাংচুর ও দু’একটি ককটেল ফাটিয়ে তারা টঙ্গীতে আন্দোলন সংগ্রামে জড়িত আছেন এমন প্রমাণ করার কাজে জড়িত বলে বিএনপির তৃর্ণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষোভের সাথে জানান। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহ এবং জামায়াতের তৃর্ণমূল পর্যায়ের কর্মীদের সাথে বর্তমান অবরোধ-হরতাল কর্মসূচীর বিষয়ে টঙ্গীতে তাদের কর্মসূচী নেই কেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান, টঙ্গীর স্থানীয় জামায়াত কর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামে তেমন একটা ভূমিকা রাখতে পারছেন না। কারণ টঙ্গী আওয়ামী ঘরণার রাজনৈতিক এলাকা। সে তুলায় তাদের নেতাকর্মীর সংখ্যা টঙ্গীতে একমাত্র থানা কমিটির উপরই নির্ভরশীল। অন্যদিকে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতৃস্থানীয় নেতারা কয়েকটি ধারায় বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যেই অন্তর কলহে লিপ্ত। বিএনপির দু’জন কেন্দ্রীয় নেতার বাড়ি টঙ্গীতে হলেও তারা নিজেদের মধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের বিভাজন করে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে রেখেছেন। কি করে তারা বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকবেন? এমন প্রশ্ন খোদ বিএনপির কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে। তাছাড়া মধ্যম সারির অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেই মামলা থাকার কারণেও তারা এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।
এসব বিষয়ে কথা বলতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের কার্যকরি সভাপতি সালাহ্ উদ্দিন সরকারের মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করলেও একটি রিংটোন বাজলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।